পরিচয় পর্ব-৩৫৩
পরিচয়(পর্ব-৩৫৩)
(সিজন-১২-ওয়াদা)
(সিজন-১২-ওয়াদা)
দ্বীপের বাসার সামনে এলো আবির । দেখলো, রনির মোবাইলে দ্বীপ, অয়ন, নিশান আর সাবিত কি যেনো দেখছে । আবির গেলো সেখানে । জিজ্ঞেস করলো, “কি হয়েছে?” রনি বলল, “জিপিএস ট্র্যাকার বলছে, উনার গাড়ি একটা চাররাস্তার মোড়ে গিয়ে থেমেছে । এই রাস্তায় যাবার মতো রেস্টুরেন্ট ছাড়া আর কিছু দেখছি না ।” আবির বলল, “রেস্টুরেন্টে যেয়ে উনি কি করতে পারেন?’ অয়ন বলল, “সেটা আমরা কি করে বলে?” আবির তখন দ্বীপকে জিজ্ঞেস করলো, “তুই এই রাস্তাটা চিনিস না?” দ্বীপ বলল, “হ, চিনবো না ক্যান?” আবির বলল, “এই রাস্তায় কি সিসি ক্যামেরা আছে?” দ্বীপ বলল, “এইডা শহর তো, প্রত্যেকটা দোকানে দোকানে সিসি ক্যামেরা । ভেতরেই, বাইরেও ।” আবির বলল, “ঠিক আছে, আমি তাহলে যাচ্ছি সেখানে । আমার সাথে কেউ যেতে চায়?” অয়ন নিশান আর রনি রাজি চাইলো যেতে কিন্তু আবির শুধু রনিকেই সাথে নিলো । সাবিত চায় নি । কারণ ওর কোচিং করানো আছে নয়নকে ।
“মা, কি হয়েছে তোমার?” চয়নিকার রুমে যেয়ে বলল রাব্বি । চয়নিকা রাগ আর কষ্ট একসাথে মিশিয়ে ধমকের স্বরে বলল, “মা ডাকবি না আমাকে!” মাইশা সেই ডাক শুনে পাশে ঘর থেকে ছুটে এলো । তারপর রাব্বিকে বলল, “রাব্বি, যাও সোনা, তুমি পাশের ঘরে যাও ।” রাব্বি অন্য রুমে চলে গেলো । মাইশা চয়নিকাকে বলল, “আপু, এভাবে কেনো বাচ্চাটাকে ধমক দিচ্ছো? ওর কি দোষ? ও তো ছোট মানুষ!” চয়নিকা বলল, “না না! ওর দোষ হতে যাবে কেনো! সব দোষ আমার!” মাইশা বলল, “না আপু, সব দোষ ওই লোকটার যে তোমার সাথে এরকম করেছে । কিন্তু সে তো এখন শাস্তি পেয়েছে, সে তো মারা গেছে । আর এই বাচ্চা তো আর ইচ্ছে করে তোমার পেটে আসে নি । ওকে কেনো এভানে বকছো?” চয়নিকা মাইশাকে বলল, “নিজের হলে এসব নীতিকথা আর খাটতো না!” মাইশা কথাটা শুনে কষ্ট পেলো বেশ, কিন্তু কিছু বলল না । বুঝতে পারলো, চয়নিকা রাগের বশে বলে ফেলেছে এসব ।
ট্যাক্সিতে করে আবির আর রনি যাচ্ছে জিপিএস ট্র্যাকারে পাওয়া লোকেশনে । হস্তিনী গ্রাম থেকে আড়াই কিলোমিটার দুরের শহর, ত্রিশাল । সেখানকারই একটা চার রাস্তার মোড় পর্যন্ত গাড়িটা এসে আবার ফিরে গিয়েছে । আবিরের মন খারাপ রাব্বির কথাটা শুনে । তাই দেখে রনি জিজ্ঞেস করলো, “আপনার মন খারাপ?” আবির হালকা হাসিমুখ আনবার চেষ্টা করে বলল, “জি কিছুটা ।” রনি বলল, “চাইলে তুমি আমার সাথে কারণ শেয়ার করতে পারো ।” আবির হালকা হেসে বলল, “থ্যাঙ্কস! কিন্তু ব্যাপারটা পারিবারিক তো, তাই শেয়ার করতে পারলাম । সরি!” রনি বলল, “আরে নানা! ইট’স ওকে । পারিবারিক ব্যাপার না শেয়ার করা-ই ভালো ।” এরপর কিছুক্ষণ রনি আর আবির চুপ । অনেকক্ষণ পর রনি জিজ্ঞেস করলো, “আপনি গান শোনেন?” আবির বলল, “জি শুনি, তবে কম ।” রনি জিজ্ঞেস করলো, “একটা গান শোনাবো? আশা করি আপনার মন খারাপ ভালো হয়ে যাবে ।” আবির আগ্রহের সাথে বলল, “হ্যাঁ! শোনান!” রনি গান গাওয়ার জন্য যে-ই শুরু করতে যাবে “সেই………” অমনি ট্যাক্সি ড্রাইভার বলে উঠলো, “ভাই, পৌছায় গেছি তো!” আবির বলল, “ও আচ্ছা!” তারপর ট্যাক্সি থেকে দুজনে নামলো । ভাড়া দিয়ে আবির আর রনি হাটা ধরলো । হাটতে হাটতে আবির রনিকে বলল, “আপনার গান শোনার খুব ইচ্ছে ছিলো, কিন্তু দেখুন, পৌঁছেই গেলাম ।” রনি বলল, “ইটস ওকে, পরে কখনো শোনাবো না হয় ।” আবির আর রনি রাস্তার সেখানে গেলো, যেখানে জিপিএস ট্র্যাকার গাড়ি থেমে থাকতে দেখিয়েছিলো । সেখানে একটা ছোট রেস্টুরেন্ট আছে যার সামনে থাকা একটা সিসিক্যামেরা সামনের দিকেই থাকে । আবির আর রনি ভেতরে ঢুকলো । রেস্টুরেন্টের কাউন্টারে যেয়ে জিজ্ঞেস করলো, “এক্সকিউজ মি, আপনাদের সিসিটিভি রেকর্ড কোথায় পাওয়া যাবে?” কাউন্টারে থাকা লোকটা বলল, “সেগুলো আমার কাছেই থাকে, কিন্তু কেনো বলুন তো?” আবির বলল, “আমরা একটু সেগুলো চেক করতে চাই যদি আপনাদের আপত্তি না থাকে ।” লোকটা বলল, “আপত্তি হবে না আবার! এভাবে কারও হাতে সিসিটিভির ফুটেজ দেয়ার নিয়ম নেই আমাদের ।” আবির তখন “এক মিনিট” বলে পকেট থেকে ফোন বের করে কল করলো অপুকে । অপুকে আগে থেকেই বলে দেয়া ছিলো সব কথা তাই বেশি বেগ পেতে হলো না । আবির ফোনটা সেখানে থাকা লোককে দিয়ে বলল, “একটু কথা বলুন ।” কাউন্টারে থাকা লোকটা কথা বলল, “আসসালামু আলাইকুম স্যার………জি স্যার!.........জি………হ্যাঁ হ্যাঁ! লোকাল থানার ওসি তো জাবেদ স্যার………জি…… আচ্ছা……ওকে স্যার, থাঙ্ক ইউ স্যার ।” বলে ফোনটা আবিরকে দিলো । আবির জিজ্ঞেস করলো, “কি বলল?” কাউন্টারের লোকটা বলল, “আমাদের লোকাল থানার ওসি জাবেদ স্যারকে নাকি সব জানিয়ে রেখেছেন, আমাকে কল দিয়ে শিওর হতে বললেন ।” আবির বলল, “ঠিক আছে শিওর হয়ে নিন ।” কাউন্টারের লোকটা কল করলো ওসি জাবেদকে । বেশ কিছুক্ষণ কথা বলল ওসি জাবেদের সাথে । তারপর কল রেখে আবির আর রনিকে বলল, “ঠিক আছে, আসুন আপনারা কাউন্টারে ।”
আগামী পর্বেঃ
একটু দূর যেতেই গলিটার শেষ প্রান্ত, যেখানে একটা দরজা । ওপরে লেখা, ইজাবেলা পাবলিকেশন । আবির নক করলো দরজায় । একটু পর এক লোক বেড়িয়ে এলো । জিজ্ঞেস করলো, “কি চাই?” আবির বলল, “আসলে আমি একজন লেখক, এই পাবলিকেশনে আমার একটা বই ছাপাতে চাই ।” লোকটা বলল, “এই ছাপাখানা এখন বন্ধ আছে ।” অথচ ভেতরে ছাপাখানার কল চলার আওয়াজ ঠিকই পাচ্ছে আবির । আবির লোকটাকে জিজ্ঞেস করলো, “তা কি করে হয়? আমি যে ছাপাখানার কল চলার আওয়াজ পাচ্ছি?” আবিরের করা প্রশ্নটা লোকটার বোধহয় শুনতে ভালো লাগলো না ।
“মা, কি হয়েছে তোমার?” চয়নিকার রুমে যেয়ে বলল রাব্বি । চয়নিকা রাগ আর কষ্ট একসাথে মিশিয়ে ধমকের স্বরে বলল, “মা ডাকবি না আমাকে!” মাইশা সেই ডাক শুনে পাশে ঘর থেকে ছুটে এলো । তারপর রাব্বিকে বলল, “রাব্বি, যাও সোনা, তুমি পাশের ঘরে যাও ।” রাব্বি অন্য রুমে চলে গেলো । মাইশা চয়নিকাকে বলল, “আপু, এভাবে কেনো বাচ্চাটাকে ধমক দিচ্ছো? ওর কি দোষ? ও তো ছোট মানুষ!” চয়নিকা বলল, “না না! ওর দোষ হতে যাবে কেনো! সব দোষ আমার!” মাইশা বলল, “না আপু, সব দোষ ওই লোকটার যে তোমার সাথে এরকম করেছে । কিন্তু সে তো এখন শাস্তি পেয়েছে, সে তো মারা গেছে । আর এই বাচ্চা তো আর ইচ্ছে করে তোমার পেটে আসে নি । ওকে কেনো এভানে বকছো?” চয়নিকা মাইশাকে বলল, “নিজের হলে এসব নীতিকথা আর খাটতো না!” মাইশা কথাটা শুনে কষ্ট পেলো বেশ, কিন্তু কিছু বলল না । বুঝতে পারলো, চয়নিকা রাগের বশে বলে ফেলেছে এসব ।
ট্যাক্সিতে করে আবির আর রনি যাচ্ছে জিপিএস ট্র্যাকারে পাওয়া লোকেশনে । হস্তিনী গ্রাম থেকে আড়াই কিলোমিটার দুরের শহর, ত্রিশাল । সেখানকারই একটা চার রাস্তার মোড় পর্যন্ত গাড়িটা এসে আবার ফিরে গিয়েছে । আবিরের মন খারাপ রাব্বির কথাটা শুনে । তাই দেখে রনি জিজ্ঞেস করলো, “আপনার মন খারাপ?” আবির হালকা হাসিমুখ আনবার চেষ্টা করে বলল, “জি কিছুটা ।” রনি বলল, “চাইলে তুমি আমার সাথে কারণ শেয়ার করতে পারো ।” আবির হালকা হেসে বলল, “থ্যাঙ্কস! কিন্তু ব্যাপারটা পারিবারিক তো, তাই শেয়ার করতে পারলাম । সরি!” রনি বলল, “আরে নানা! ইট’স ওকে । পারিবারিক ব্যাপার না শেয়ার করা-ই ভালো ।” এরপর কিছুক্ষণ রনি আর আবির চুপ । অনেকক্ষণ পর রনি জিজ্ঞেস করলো, “আপনি গান শোনেন?” আবির বলল, “জি শুনি, তবে কম ।” রনি জিজ্ঞেস করলো, “একটা গান শোনাবো? আশা করি আপনার মন খারাপ ভালো হয়ে যাবে ।” আবির আগ্রহের সাথে বলল, “হ্যাঁ! শোনান!” রনি গান গাওয়ার জন্য যে-ই শুরু করতে যাবে “সেই………” অমনি ট্যাক্সি ড্রাইভার বলে উঠলো, “ভাই, পৌছায় গেছি তো!” আবির বলল, “ও আচ্ছা!” তারপর ট্যাক্সি থেকে দুজনে নামলো । ভাড়া দিয়ে আবির আর রনি হাটা ধরলো । হাটতে হাটতে আবির রনিকে বলল, “আপনার গান শোনার খুব ইচ্ছে ছিলো, কিন্তু দেখুন, পৌঁছেই গেলাম ।” রনি বলল, “ইটস ওকে, পরে কখনো শোনাবো না হয় ।” আবির আর রনি রাস্তার সেখানে গেলো, যেখানে জিপিএস ট্র্যাকার গাড়ি থেমে থাকতে দেখিয়েছিলো । সেখানে একটা ছোট রেস্টুরেন্ট আছে যার সামনে থাকা একটা সিসিক্যামেরা সামনের দিকেই থাকে । আবির আর রনি ভেতরে ঢুকলো । রেস্টুরেন্টের কাউন্টারে যেয়ে জিজ্ঞেস করলো, “এক্সকিউজ মি, আপনাদের সিসিটিভি রেকর্ড কোথায় পাওয়া যাবে?” কাউন্টারে থাকা লোকটা বলল, “সেগুলো আমার কাছেই থাকে, কিন্তু কেনো বলুন তো?” আবির বলল, “আমরা একটু সেগুলো চেক করতে চাই যদি আপনাদের আপত্তি না থাকে ।” লোকটা বলল, “আপত্তি হবে না আবার! এভাবে কারও হাতে সিসিটিভির ফুটেজ দেয়ার নিয়ম নেই আমাদের ।” আবির তখন “এক মিনিট” বলে পকেট থেকে ফোন বের করে কল করলো অপুকে । অপুকে আগে থেকেই বলে দেয়া ছিলো সব কথা তাই বেশি বেগ পেতে হলো না । আবির ফোনটা সেখানে থাকা লোককে দিয়ে বলল, “একটু কথা বলুন ।” কাউন্টারে থাকা লোকটা কথা বলল, “আসসালামু আলাইকুম স্যার………জি স্যার!.........জি………হ্যাঁ হ্যাঁ! লোকাল থানার ওসি তো জাবেদ স্যার………জি…… আচ্ছা……ওকে স্যার, থাঙ্ক ইউ স্যার ।” বলে ফোনটা আবিরকে দিলো । আবির জিজ্ঞেস করলো, “কি বলল?” কাউন্টারের লোকটা বলল, “আমাদের লোকাল থানার ওসি জাবেদ স্যারকে নাকি সব জানিয়ে রেখেছেন, আমাকে কল দিয়ে শিওর হতে বললেন ।” আবির বলল, “ঠিক আছে শিওর হয়ে নিন ।” কাউন্টারের লোকটা কল করলো ওসি জাবেদকে । বেশ কিছুক্ষণ কথা বলল ওসি জাবেদের সাথে । তারপর কল রেখে আবির আর রনিকে বলল, “ঠিক আছে, আসুন আপনারা কাউন্টারে ।”
আগামী পর্বেঃ
একটু দূর যেতেই গলিটার শেষ প্রান্ত, যেখানে একটা দরজা । ওপরে লেখা, ইজাবেলা পাবলিকেশন । আবির নক করলো দরজায় । একটু পর এক লোক বেড়িয়ে এলো । জিজ্ঞেস করলো, “কি চাই?” আবির বলল, “আসলে আমি একজন লেখক, এই পাবলিকেশনে আমার একটা বই ছাপাতে চাই ।” লোকটা বলল, “এই ছাপাখানা এখন বন্ধ আছে ।” অথচ ভেতরে ছাপাখানার কল চলার আওয়াজ ঠিকই পাচ্ছে আবির । আবির লোকটাকে জিজ্ঞেস করলো, “তা কি করে হয়? আমি যে ছাপাখানার কল চলার আওয়াজ পাচ্ছি?” আবিরের করা প্রশ্নটা লোকটার বোধহয় শুনতে ভালো লাগলো না ।