পরিচয় পর্ব-৩৫২
পরিচয়(পর্ব-৩৫২)
(সিজন-১২-ওয়াদা)
(সিজন-১২-ওয়াদা)
পরদিন সকালের কথা । কাজে যাবার সময় হয়েছে আবিরের । অয়নকে ডাকলো আবির । তারপর বলল, “শোন, তুই আজকে আফজাল খানকে যদি ঘর থেকে গাড়ি নিয়ে বের হতে দেখিস, তাহলে পিছু নিয়ে দেখবি, আফজাল খান কোথায় যায়!” অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “অ্যা! কিভাবে পিছু নেবো? উনি থাকবে গাড়ি নিয়ে, আর আমি পায়ে হেটে!” আবির বলল, “একটা ট্যাক্সি ভাড়া করিস । আর কোনো গণ্ডগোল দেখলে আমাকে কল করিস ।” অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “গন্ডগোল মানে?” আবির বলল, “গন্ডোগোল বলতে, যদি তোকে ধরে ফেলে তাহলে ।” অয়ন ভয় পেয়ে গেলো । বলল, “ধরা পরে গেলে মানে! আমাকে বাঁচায় রাখবে না!” আবির বলল, “আরে! তখন পাব্লিক প্লেসে চলে যাবি । তাহলেই তো হয়!” অয়ন বলল, “না বাবা । আমি পারবো না ।” পাশেই বসে ছিলো নিশান । বলল, “দেখছো! বলছি না! তোমার দ্বারা পসিবল না!” রনি তখন উঠে দাঁড়িয়ে বলল, “আবির, যদি তুমি বলো, আমি এ কাজটা করতে পারি ।” আবির বলল, “না না, আপনাকে কেনো এ বিপদের মধ্যে ফেলবো আমি!” রনি বলল, “দ্যাখো, এমনিতে আমি কিন্তু আগেই বলেছি, তোমাকে সাহায্য করতে চাই । আর তাছাড়া এ কাজ আমি ছাড়া আর কেউ করার মতো নেই ।” আবির বলল, “না না । তবুও ।” অয়ন মনে মনে বলল, “এহ! বাইরের লোককে বিপদে ফেলতে চায় না, আর ঘরের লোককে চায়!” রনি বলল, “আচ্ছা ঠিক আছে, কিন্তু তুমি যদি বলো, আমি অন্যভাবে গাড়িটা কোথায় যায় সেটা খুঁজতে পারি ।” আবির জিজ্ঞেস করলো, “কিভাবে?” রনি বলল, “একটা জিপিএস ট্র্যাকিং ডিভাইস নিয়ে গাড়িতে গোপনে লাগিয়ে দিলে পড়ে আমরা ফোন থেকেই দেখতে পারবো গাড়িটা কোথায় যাচ্ছে না যাচ্ছে ।” আবির বলল, “হুম, এটাও একটা ভালো আইডিয়া । কিন্তু এই ডিভাইস পাবো কোথায়?” রনি বলল, “আমার একটা বন্ধু আছে, পুলিশ । ওর কাছে দেখেছিলাম । দাড়াও ওকে কল করি ।”
সেদিন আফজাল খানের গাড়ি বেরোলো না । তবে বেরোলেও লাভ হতো না, কারণ জিপিএস ট্র্যাকিং ডিভাইসটা পেতে পেতে রাত হয়ে গেলো ।
পরদিন সকালের কথা । আফজাল খানের গাড়ি বাড়ির সামনে এনে রাখলো ড্রাইভার । একটু পড়েই সে বেরোবে বাড়ি থেকে । সেই সময় রনি এসে ডাকলো ড্রাইভারকে । “এক্সকিউজ মি! একটু কথা বলতে পারি?” ড্রাইভার এসে জিজ্ঞেস করলো, “হ কন!” রনি তখন এলাকায় নতুন এসেছে, অমুক জায়গাটা কোথায়, তমুক জায়গাটা কোথায় এসব জিজ্ঞেস করতে লাগলো ড্রাইভারকে আর সেই ফাকে অয়ন গাড়ির নিচে ঢুকে একটা জায়গা আঠা দিয়ে ভালোমতো আটকে দিলো জিপিএস ট্র্যাকিং ডিভাইসটি । কাজ শেষ হতেই যে-ই না অয়ন চলে গেলো, অমনি রনিও ড্রাইভারের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলো ।
দুপুরে আফজাল খানের ঘর মোছা শেষ হলে আবির ফিরে এলো মসজিদে । সেখানে নিজের ছদ্মবেশ পালটে যোহরের নামাজ শেষে রওনা হলো দ্বীপের বাড়ির দিকে । এমন সময় আবিরের মোবাইলে একটা কল এলো । চয়নিকার কল । আবির মনে মনে বলল, “আল্লাহ! সেই যে এসেছি! আর একবারও কথা বলিনি চয়নিকার সাথে!” আবির কল ধরলো । ফোনের ওপাশ থেকে রাব্বির গলা এলো । “হ্যালো বাবা! কেমন আছো?” আবির বলল, “হ্যাঁ বাবা । অনেক ভালো আছি । তুমি কেমন আছো?” রাব্বি বলল, “আমিও ভালো আছি বাবা । কিন্তু মা ভালো নেই ।” আবির জিজ্ঞেস করলো, “কেনো?” রাব্বি বলল, “একটু আগে একটা লোক এসেছিলো একটা রিপোর্ট নিয়ে । দেখে মনে হলো হাসপাতালের রিপোর্ট । মা উনার কাছে হাসিমুখেই জিজ্ঞেস করছিলো এতো দেরি হলো কেনো রিপোর্ট আসতে । মাইশা আপুও ভালোই ছিলো । কিন্তু রিপোর্টটা দেখার পরপরই হঠাৎ করে মা কান্নাকাটি শুরু করলো এবং ঘরে যেয়ে দরজা ধাম করে বন্ধ করে দিলো । মাইশা মামি অনেক কষ্টে ঢুকলো ভেতরে, আমি বাইরে থেকে শুনলাম মা মাইশা মামিকে বলছিলো, আমি নাকি তোমার ছেলে নই । বাবা এ কথার মানে কি? আমি কি সত্যি তোমার ছেলে নই?” আবির ভেঙ্গে পড়লো । তবে রাব্বি ওই কাহরামান আর চয়নিকা সন্তান! আবিরের নয়! রাব্বি আবার জিজ্ঞেস করলো, “কি হলো বাবা? আমি কি তোমার সন্তান না?” আবির মুখে জোর করে হালকা হাসি আনবার চেষ্টা করে বলল, “হ…হ্যাঁ, তুমি তো আমার ছোট্ট সোনা বাবা!” রাব্বি জিজ্ঞেস করলো, “তাহলে মা যে ওরকম বলল?” আবির বলল, “হয় তুমি ভুল শুনেছো, নয়তো মা ভুল বলেছে বাবা । তোমার মা-কে ফোনটা দিতে পারবে?” রাব্বি বলল, “না বাবা, আমাকে মা কাছেই যেতে দিচ্ছে না ।” আবির বলল, “ও আচ্ছা ঠিক আছে । আমি না হয় পড়ে কথা বলবো ।” বলে কল রাখলো আবির । চোখ দিয়ে ওর পানি পড়তে শুরু করলো । মনে মনে নিজেকে বলল, “না, আমাকে এখন শক্ত থাকতে হবে! ভেঙ্গে পড়লে এ যাত্রায় আমি হেরে যাবো!”
আগামী পর্বেঃ
“মা, কি হয়েছে তোমার?” চয়নিকার রুমে যেয়ে বলল রাব্বি । চয়নিকা রাগ আর কষ্ট একসাথে মিশিয়ে ধমকের স্বরে বলল, “মা ডাকবি না আমাকে!”
…………………
আবির বলল, “আমরা একটু সেগুলো চেক করতে চাই যদি আপনাদের আপত্তি না থাকে ।” লোকটা বলল, “আপত্তি হবে না আবার! এভাবে কারও হাতে সিসিটিভির ফুটেজ দেয়ার নিয়ম নেই আমাদের ।”
সেদিন আফজাল খানের গাড়ি বেরোলো না । তবে বেরোলেও লাভ হতো না, কারণ জিপিএস ট্র্যাকিং ডিভাইসটা পেতে পেতে রাত হয়ে গেলো ।
পরদিন সকালের কথা । আফজাল খানের গাড়ি বাড়ির সামনে এনে রাখলো ড্রাইভার । একটু পড়েই সে বেরোবে বাড়ি থেকে । সেই সময় রনি এসে ডাকলো ড্রাইভারকে । “এক্সকিউজ মি! একটু কথা বলতে পারি?” ড্রাইভার এসে জিজ্ঞেস করলো, “হ কন!” রনি তখন এলাকায় নতুন এসেছে, অমুক জায়গাটা কোথায়, তমুক জায়গাটা কোথায় এসব জিজ্ঞেস করতে লাগলো ড্রাইভারকে আর সেই ফাকে অয়ন গাড়ির নিচে ঢুকে একটা জায়গা আঠা দিয়ে ভালোমতো আটকে দিলো জিপিএস ট্র্যাকিং ডিভাইসটি । কাজ শেষ হতেই যে-ই না অয়ন চলে গেলো, অমনি রনিও ড্রাইভারের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলো ।
দুপুরে আফজাল খানের ঘর মোছা শেষ হলে আবির ফিরে এলো মসজিদে । সেখানে নিজের ছদ্মবেশ পালটে যোহরের নামাজ শেষে রওনা হলো দ্বীপের বাড়ির দিকে । এমন সময় আবিরের মোবাইলে একটা কল এলো । চয়নিকার কল । আবির মনে মনে বলল, “আল্লাহ! সেই যে এসেছি! আর একবারও কথা বলিনি চয়নিকার সাথে!” আবির কল ধরলো । ফোনের ওপাশ থেকে রাব্বির গলা এলো । “হ্যালো বাবা! কেমন আছো?” আবির বলল, “হ্যাঁ বাবা । অনেক ভালো আছি । তুমি কেমন আছো?” রাব্বি বলল, “আমিও ভালো আছি বাবা । কিন্তু মা ভালো নেই ।” আবির জিজ্ঞেস করলো, “কেনো?” রাব্বি বলল, “একটু আগে একটা লোক এসেছিলো একটা রিপোর্ট নিয়ে । দেখে মনে হলো হাসপাতালের রিপোর্ট । মা উনার কাছে হাসিমুখেই জিজ্ঞেস করছিলো এতো দেরি হলো কেনো রিপোর্ট আসতে । মাইশা আপুও ভালোই ছিলো । কিন্তু রিপোর্টটা দেখার পরপরই হঠাৎ করে মা কান্নাকাটি শুরু করলো এবং ঘরে যেয়ে দরজা ধাম করে বন্ধ করে দিলো । মাইশা মামি অনেক কষ্টে ঢুকলো ভেতরে, আমি বাইরে থেকে শুনলাম মা মাইশা মামিকে বলছিলো, আমি নাকি তোমার ছেলে নই । বাবা এ কথার মানে কি? আমি কি সত্যি তোমার ছেলে নই?” আবির ভেঙ্গে পড়লো । তবে রাব্বি ওই কাহরামান আর চয়নিকা সন্তান! আবিরের নয়! রাব্বি আবার জিজ্ঞেস করলো, “কি হলো বাবা? আমি কি তোমার সন্তান না?” আবির মুখে জোর করে হালকা হাসি আনবার চেষ্টা করে বলল, “হ…হ্যাঁ, তুমি তো আমার ছোট্ট সোনা বাবা!” রাব্বি জিজ্ঞেস করলো, “তাহলে মা যে ওরকম বলল?” আবির বলল, “হয় তুমি ভুল শুনেছো, নয়তো মা ভুল বলেছে বাবা । তোমার মা-কে ফোনটা দিতে পারবে?” রাব্বি বলল, “না বাবা, আমাকে মা কাছেই যেতে দিচ্ছে না ।” আবির বলল, “ও আচ্ছা ঠিক আছে । আমি না হয় পড়ে কথা বলবো ।” বলে কল রাখলো আবির । চোখ দিয়ে ওর পানি পড়তে শুরু করলো । মনে মনে নিজেকে বলল, “না, আমাকে এখন শক্ত থাকতে হবে! ভেঙ্গে পড়লে এ যাত্রায় আমি হেরে যাবো!”
আগামী পর্বেঃ
“মা, কি হয়েছে তোমার?” চয়নিকার রুমে যেয়ে বলল রাব্বি । চয়নিকা রাগ আর কষ্ট একসাথে মিশিয়ে ধমকের স্বরে বলল, “মা ডাকবি না আমাকে!”
…………………
আবির বলল, “আমরা একটু সেগুলো চেক করতে চাই যদি আপনাদের আপত্তি না থাকে ।” লোকটা বলল, “আপত্তি হবে না আবার! এভাবে কারও হাতে সিসিটিভির ফুটেজ দেয়ার নিয়ম নেই আমাদের ।”