পরিচয় পর্ব-৩৫০
পরিচয়(পর্ব-৩৫০)
(সিজন-১২-ওয়াদা)
(সিজন-১২-ওয়াদা)
পরদিন সকালের কথা । আফজাল খানের বাড়িতে কাজ করতে গেছে আবির । ঘর মুছছে । মুছতে মুছতে আবির পৌঁছে গেলো তিন তলায় । আজ আফজাল খানের বউ পূর্ণিমা ঘরেই আছে । তার ঘরটা মোছার সময় পূর্ণিমা কোন যেনো বান্ধবীর সাথে কথা বলছিলো । “হ্যাঁ হ্যাঁ!......। বিয়েতে তো আমি অবশ্যই আসবো…………হীরের আংটি! এ আবার বলা লাগে…………আরে! কিসের বেশি! আমার স্বামীর কি টাকার অভাব আছে নাকি ।……………করে, একটা কোম্পানিতে কাজ করে । বিরাট বড় একটা পোস্টে ।” আর কোনো কথা শুনতে পেলো না আবির । কারণ ততোক্ষণে আবিরের ঘর মোছা ইতোমধ্যে শেষ । আবির বাইরেটা ধীরে ধীরে মুছতে মুছতে শোনার চেষ্টা করলো কিন্তু পূর্ণিমা একবারের জন্যও আফজাল খান কি কোম্পানিতে কাজ করতে সেটার নাম নিলো না ।
যোহরের নামাজের পর মসজিদের সবাই যখন বেড়িয়ে যাচ্ছিলো, তখন মসজিদের গেইটের সামনে দাঁড়িয়ে দ্বীপ দেখলো, এক লোক দাঁড়িয়ে বেরোতে থাকা লোকেদের মাঝে কাউকে খুঁজছে । দ্বীপ কিছু মনে না করে ভেতরে গেলো । একটু পর দ্বীপ দেখলো, লোকটা ভেতরে বসে থাকা ২-৩জনকেও দেখছে । হয়তো উনি কাউকে খুঁজছেন । এই লোকটা আর কেউ না, গতকাল আফজাল খানের গুন্ডা ভেকুটিয়া অনাথ আশ্রমের যে টিচারকে হুমকি দিয়ে এসেছিলো, সেই টিচার । দ্বীপ লোকটার কাছে যেয়ে জিজ্ঞেস করলো, “ভাই, কিছু দরকার?” লোকটা বলল, “না মানে, একজনকে খুঁজতে এসেছিলাম ।” দ্বীপ জিজ্ঞেস করলো, “কাকে?” টিচার বলল, “একটা ছেলেকে । ছেলে বললে ঠিক ভুল হবে । কারণ সে-ও আমার সমানই । শুনেছি সে এই এলাকায় এসেছে । ও নামাজ পড়তো রেগুলার, তাই ভাবলাম হয়তো মসজিদেই পেয়ে যাবো । কিন্তু এখানে এসেও পেলাম না ।” দ্বীপ বলল, “তার নাম জানলে বলেন, আমরা পরের নামাজ শেষে মাইকে ঘোষণা কইরা দেবো না হয় ।” টিচার বলল, “জি, তার নাম আবির, সালমান খান আবির ।” দ্বীপ মনে মনে বলল, “আল্লাহ! এই লোক আবার আফজাল খানের চ্যালা না তো? আমাদের ওপর নজর রাখতেছে না তো?” টিচার তখন পকেট থেকে তার আইডি কার্ড বের করে দ্বীপকে দেখিয়ে বলল, “এই যে, ভেকুটিয়া অনাথ আশ্রমের টিচার আমি । ও আমাদের আশ্রমের স্কুলের স্টুডেন্ট ছিলো ।” দ্বীপ এবার চিন্তামুক্ত হলো । কারণ আবির যে ভেকুটিয়া স্কুলের স্টুডেন্ট তা দ্বীপ জানতো । আর এই লোকের কাছে আইডি কার্ড তো আছেই, মানে লোকটা মিথ্যা বলছে না । দ্বীপ বলল, “আচ্ছা, আসেন । আমার সাথে আসেন ।” বলল দ্বীপ । টিচার জিজ্ঞেস করলো, “কোথায়?” দ্বীপ বলল, “আরে আসেন না! আপনি যারে খোঁজেন, তার কাছে নিয়া যাই ।” টিচার জিজ্ঞেস করলো, “সত্যি!” দ্বীপ বলল, “হ্যাঁ হ্যাঁ! ও আমার ভাই । আমার সাথেই থাকে ।” টিচারের চেহারা দেখে মনে হলো কথাটা শুনে সে একটু অবাক হলো । অবশ্য তার কারণ একটু পরে সে নিজেই প্রকাশ করলো তার প্রশ্নে, “ভাই! ও তো অনাথ আশ্রম ছিলো, ওর ভাই হবে কোত্থেকে?” দ্বীপ বলল, “আরে, আপন ভাই না । আমার মা বাপ আবির ভাইরে ছোটবেলা পালতো । তাই আবির ভাই আমার ভাই । তবে আপন না হইলেও কি হবে, আমি উনারে আপনের চেয়ে কম ভাবি না ।” এবার টিচারের চেহারা থেকে শঙ্কার ছাপ চলে গেলো ।
টিচারকে নিয়ে আবিরের সামনে হাজির হলো দ্বীপ । আবির তখন দ্বীপের বাসার সামনে নামাজ পড়ছে । দ্বীপ টিচারকে বলল, “ভাই এখনও পাচওয়াক্ত নামাজ পড়ে । এখন কামে গেছিলো তো, তাই বাসায়ই পইড়া নিলো । নাইলে মসজিদেই পাইতেন ।” টিচার তখন জিজ্ঞেস করলো, “কাজ বলতে, পড়ানোর কাজ?” আবিরের নামাজ ততোক্ষণে শেস হয়ে গেছে তাই টিচারের বলা শেস কথাটা কানে গেলো আবিরের । উঠে দাঁড়িয়ে আবির প্রশ্ন ছুড়লো, “আপনি কি করে জানলেন আমি পড়ানোর কাজ করি? আর আপনি কে?” আবির একটু উচ্চস্বরে কথা বলায় চমকে গেলো টিচার । একটু আমতা আমতা করে বলল, “জি আমি আসলে……।” লোকটা কথা শেষ করার আগেই দ্বীপ বলল, “ভাইয়া, উনি তোমার স্কুলের টিচার ।” আবির ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো, “আমার স্কুলের টিচার?” টিচার বলল, “হ্যাঁ, আমি ভেকুটিয়া অনাথ আশ্রমের টিচার ।” আবির জিজ্ঞেস করলো, “প্রমাণ আছে?” টিচার তখন আইডি কার্ড দেখালো । আবির আইডি কার্ডটা ভালো করে না দেখেই বলল, “এটার নকল ভার্সনও পাওয়া যায়, অন্য কোনো প্রমাণ?” টিচার তখন মোবাইল বের করে স্কুলের বিভিন্ন উপস্থিতিতে হওয়া প্রোগ্রামের ছবি দেখালো । অনেক অনেক ছবি । তার একটাও দেখে কেউ বলবে না এডিট করা । আবির তখন বলল, “আসসালামু আলাইকুম স্যার! অ্যান্ড আ’ম সো সরি! আসলে আমি এখানে এমন একটা কাজে এসেছি, এখানে যে কেউ আমার ওপর নজরদারি শুরু করতে পারে । তাই আপনাকে আমি জেরার মুখে ফেললাম ।” টিচার বলল, “না না আবির, ইটস ওকে । আর আমাকে স্যার ডাকার দরকার নেই । কারণ তুমি যে সময় ওই স্কুলে ছিলে, আমিও ওই সময়কারই । পার্থক্য তুমি ঢাকায় চলে এসেছিলে, আর আমি ওই স্কুলের টিচার হিসেবেই ছিলাম ।” আবির বলল, “তো আমি আপনাকে কি নামে ডাকতে পারি?” টিচার বলল, “আমার নাম রনি । আমাকে রনি নামেই ডাকতে পারো ।” আবির বলল, “ঠিক আছে রনি ।” তারপর আবির হ্যান্ডশেক করলো টিচার রনির সাথে ।
আগামী পর্বেঃ
রনি বলল, “ও আচ্ছা! তাহলে তো তুমি দেখি সত্যিই বিপদে, আমি কি তোমাকে সাহায্য করতে পারি?” আবির বলল, “আরে না না! কি বলেন স্যার!” রনি বলল, “আসলে আমি আমাদের স্কুল্র এক স্টুডেন্টকে অনেক কষ্ট দিয়েছিলাম । সেই পাপের বোঝা এখনও আমাকে কাদায় । তাই যখন দেখলাম ওই স্কুলের আরেকটা স্টুডেন্ট বিপদে, আমি ভাবলাম তাকে একটু বিপদ মুক্ত করে নিজেকে একটু পাপের বোঝা মুক্ত করবো! প্লিজ! তুমি না কোরো না!”
যোহরের নামাজের পর মসজিদের সবাই যখন বেড়িয়ে যাচ্ছিলো, তখন মসজিদের গেইটের সামনে দাঁড়িয়ে দ্বীপ দেখলো, এক লোক দাঁড়িয়ে বেরোতে থাকা লোকেদের মাঝে কাউকে খুঁজছে । দ্বীপ কিছু মনে না করে ভেতরে গেলো । একটু পর দ্বীপ দেখলো, লোকটা ভেতরে বসে থাকা ২-৩জনকেও দেখছে । হয়তো উনি কাউকে খুঁজছেন । এই লোকটা আর কেউ না, গতকাল আফজাল খানের গুন্ডা ভেকুটিয়া অনাথ আশ্রমের যে টিচারকে হুমকি দিয়ে এসেছিলো, সেই টিচার । দ্বীপ লোকটার কাছে যেয়ে জিজ্ঞেস করলো, “ভাই, কিছু দরকার?” লোকটা বলল, “না মানে, একজনকে খুঁজতে এসেছিলাম ।” দ্বীপ জিজ্ঞেস করলো, “কাকে?” টিচার বলল, “একটা ছেলেকে । ছেলে বললে ঠিক ভুল হবে । কারণ সে-ও আমার সমানই । শুনেছি সে এই এলাকায় এসেছে । ও নামাজ পড়তো রেগুলার, তাই ভাবলাম হয়তো মসজিদেই পেয়ে যাবো । কিন্তু এখানে এসেও পেলাম না ।” দ্বীপ বলল, “তার নাম জানলে বলেন, আমরা পরের নামাজ শেষে মাইকে ঘোষণা কইরা দেবো না হয় ।” টিচার বলল, “জি, তার নাম আবির, সালমান খান আবির ।” দ্বীপ মনে মনে বলল, “আল্লাহ! এই লোক আবার আফজাল খানের চ্যালা না তো? আমাদের ওপর নজর রাখতেছে না তো?” টিচার তখন পকেট থেকে তার আইডি কার্ড বের করে দ্বীপকে দেখিয়ে বলল, “এই যে, ভেকুটিয়া অনাথ আশ্রমের টিচার আমি । ও আমাদের আশ্রমের স্কুলের স্টুডেন্ট ছিলো ।” দ্বীপ এবার চিন্তামুক্ত হলো । কারণ আবির যে ভেকুটিয়া স্কুলের স্টুডেন্ট তা দ্বীপ জানতো । আর এই লোকের কাছে আইডি কার্ড তো আছেই, মানে লোকটা মিথ্যা বলছে না । দ্বীপ বলল, “আচ্ছা, আসেন । আমার সাথে আসেন ।” বলল দ্বীপ । টিচার জিজ্ঞেস করলো, “কোথায়?” দ্বীপ বলল, “আরে আসেন না! আপনি যারে খোঁজেন, তার কাছে নিয়া যাই ।” টিচার জিজ্ঞেস করলো, “সত্যি!” দ্বীপ বলল, “হ্যাঁ হ্যাঁ! ও আমার ভাই । আমার সাথেই থাকে ।” টিচারের চেহারা দেখে মনে হলো কথাটা শুনে সে একটু অবাক হলো । অবশ্য তার কারণ একটু পরে সে নিজেই প্রকাশ করলো তার প্রশ্নে, “ভাই! ও তো অনাথ আশ্রম ছিলো, ওর ভাই হবে কোত্থেকে?” দ্বীপ বলল, “আরে, আপন ভাই না । আমার মা বাপ আবির ভাইরে ছোটবেলা পালতো । তাই আবির ভাই আমার ভাই । তবে আপন না হইলেও কি হবে, আমি উনারে আপনের চেয়ে কম ভাবি না ।” এবার টিচারের চেহারা থেকে শঙ্কার ছাপ চলে গেলো ।
টিচারকে নিয়ে আবিরের সামনে হাজির হলো দ্বীপ । আবির তখন দ্বীপের বাসার সামনে নামাজ পড়ছে । দ্বীপ টিচারকে বলল, “ভাই এখনও পাচওয়াক্ত নামাজ পড়ে । এখন কামে গেছিলো তো, তাই বাসায়ই পইড়া নিলো । নাইলে মসজিদেই পাইতেন ।” টিচার তখন জিজ্ঞেস করলো, “কাজ বলতে, পড়ানোর কাজ?” আবিরের নামাজ ততোক্ষণে শেস হয়ে গেছে তাই টিচারের বলা শেস কথাটা কানে গেলো আবিরের । উঠে দাঁড়িয়ে আবির প্রশ্ন ছুড়লো, “আপনি কি করে জানলেন আমি পড়ানোর কাজ করি? আর আপনি কে?” আবির একটু উচ্চস্বরে কথা বলায় চমকে গেলো টিচার । একটু আমতা আমতা করে বলল, “জি আমি আসলে……।” লোকটা কথা শেষ করার আগেই দ্বীপ বলল, “ভাইয়া, উনি তোমার স্কুলের টিচার ।” আবির ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো, “আমার স্কুলের টিচার?” টিচার বলল, “হ্যাঁ, আমি ভেকুটিয়া অনাথ আশ্রমের টিচার ।” আবির জিজ্ঞেস করলো, “প্রমাণ আছে?” টিচার তখন আইডি কার্ড দেখালো । আবির আইডি কার্ডটা ভালো করে না দেখেই বলল, “এটার নকল ভার্সনও পাওয়া যায়, অন্য কোনো প্রমাণ?” টিচার তখন মোবাইল বের করে স্কুলের বিভিন্ন উপস্থিতিতে হওয়া প্রোগ্রামের ছবি দেখালো । অনেক অনেক ছবি । তার একটাও দেখে কেউ বলবে না এডিট করা । আবির তখন বলল, “আসসালামু আলাইকুম স্যার! অ্যান্ড আ’ম সো সরি! আসলে আমি এখানে এমন একটা কাজে এসেছি, এখানে যে কেউ আমার ওপর নজরদারি শুরু করতে পারে । তাই আপনাকে আমি জেরার মুখে ফেললাম ।” টিচার বলল, “না না আবির, ইটস ওকে । আর আমাকে স্যার ডাকার দরকার নেই । কারণ তুমি যে সময় ওই স্কুলে ছিলে, আমিও ওই সময়কারই । পার্থক্য তুমি ঢাকায় চলে এসেছিলে, আর আমি ওই স্কুলের টিচার হিসেবেই ছিলাম ।” আবির বলল, “তো আমি আপনাকে কি নামে ডাকতে পারি?” টিচার বলল, “আমার নাম রনি । আমাকে রনি নামেই ডাকতে পারো ।” আবির বলল, “ঠিক আছে রনি ।” তারপর আবির হ্যান্ডশেক করলো টিচার রনির সাথে ।
আগামী পর্বেঃ
রনি বলল, “ও আচ্ছা! তাহলে তো তুমি দেখি সত্যিই বিপদে, আমি কি তোমাকে সাহায্য করতে পারি?” আবির বলল, “আরে না না! কি বলেন স্যার!” রনি বলল, “আসলে আমি আমাদের স্কুল্র এক স্টুডেন্টকে অনেক কষ্ট দিয়েছিলাম । সেই পাপের বোঝা এখনও আমাকে কাদায় । তাই যখন দেখলাম ওই স্কুলের আরেকটা স্টুডেন্ট বিপদে, আমি ভাবলাম তাকে একটু বিপদ মুক্ত করে নিজেকে একটু পাপের বোঝা মুক্ত করবো! প্লিজ! তুমি না কোরো না!”