পরিচয় পর্ব-৩৪৮
পরিচয়(পর্ব-৩৪৮)
(সিজন-১২-ওয়াদা)
(সিজন-১২-ওয়াদা)
“বাবা! আমার একটা ভালো ম্যাথ টিচার লাগবে!” আফজাল খানকে বলল তার ছেলে নয়ন । আফজাল খান বলল, “আচ্ছা, আমি দেখবো খুজে ।” তারপর এক গুন্ডাকে বলল, “এই! আশেপাশে খুজে দ্যাখো! কোনো টিচার খুজে পাও কিনা!” গুন্ডা জবাবে বলল, “ওকে বস!” আবির তখন বাইরেই ছিলো । ঘর মুচ্ছিলো । এটা ওর দ্বিতীয় দিন ওই বাড়িতে ঘর মোছার । আফজাল খান ছেলের সাথে কথা বলা শেষে বেড়িয়ে আসতেই আবিরের দেখা পেলো । আবিরের কাজ করা দেখে এক গুন্ডাকে বলল, “এই, এই লোক ভালোই কাজ কর্ম করে, একে পার্মানেন্ট করে ফেলো ।” বলে চলে গেলো আফজাল খান । এক গুন্ডা আবিরের পিঠে আলতো করে চাপড় মেরে বলল, “কি চাচা! পার্মানেন্ট হইয়া গেলা তো!” আবির শুধু হাসিমুখে দেখালো, কিছু বলল না ।
বিকেলের কথা । আবির ওর মোবাইলে কি যেনো করছিলো । অয়ন, নিশান আর দ্বীপ সাম্নেই বসে ছিলো । ওরা সবাই এখন দ্বীপের বাসার সামনে বসে আছে । অয়ন নিশানকে জিজ্ঞেস করলো, “আবির ভাই কি এতো করছে? আবার আমাকে বলল কোথায় নিয়ে যাবে!” নিশান বলল, “বাবা মনে হয় ভুল পদক্ষেপটা তুলতে যাচ্ছে ।” অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “মানে?” নিশান বলল, “এই যে, এই রহস্যের মধ্যে তোমাকে প্রবেশ করাতে যাচ্ছে!” অয়ন বুক ফুলিয়ে বলল, ”দেখে নিস! আমি এমনভাবে কাজ করবো না, আবির ভাই আনন্দে নাচতে শুরু করেছে ।” সাবিত ছিলো বাজারে । এসে ওদের কাছে বসলো । জিজ্ঞেস করলো, “কিরে? তোরা কি এতো গল্প করছিস? আর আবিরই বা মোবাইলে কি করছে?” অয়ন বলল, “ভাই কি করছে তা জানি না, তবে মনে হচ্ছে আমি এবার এই রহস্যে অভিনয় করতে যাচ্ছি ।” সাবিত ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করলো, “মানে?” অয়ন বলল, “মানে, এই যেমন এখন ভাই পাগলের অ্যাক্টিং করছে, আমিও এরকম কোনো একটা রোলে ঢুকে যাবো ।” সাবিত বলল, “সেকি! আবিরকে তো আমি বলেছিলাম আমকে রোল দিতে, তোকে তো নেবার কথা না ।” ওদের কথা শুনছিলো আবির । মোবাইলের কাজ করতে করতে বলল, “এই কাজে তুই না অয়ন, সাবিত ভাই আমাকে সাহায্য করছে ।” দ্বীপ জিজ্ঞেস করলো, “কিন্তু তুমি এতক্ষণ ধরে কি করো মোবাইলে ভাইয়া?” আবির মোবাইলটা ওদের দিকে ঘোরালো । সেটা দেখে পড়লো অয়ন । পুরো স্ক্রিন সাদা আর মাঝে লেখা, “পড়াতে চাই ।” আর নিচে মোবাইল নাম্বার দেয়া । অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “এটা কি!” আবির অয়নের কথার জবাব না দিয়ে সাবিতকে বলল, “ভাই, তুমি ম্যাথ ভালো পারো । তাই না?” সাবিত বলল, “হ্যাঁ, আলহামদুলিল্লাহ ভালোই পারি । কিন্তু কেনো?” আবির বলল, “তুমি খুব শীঘ্রই আফজাল খানের ছোট ছেলে নয়নকে পড়াবা ।” সাবিত জিজ্ঞেস করলো, “পড়ায়ে লাভ?” আবির বলল, “এতে তুমি ওর সাথে ঘনিষ্ঠ হতে পারবা আর যদি কোনও কাজে লাগে কখনো, আমাকে হেল্প করতে পারবা ।” সাবিত বলল, “হ্যাঁ অবশ্যই, আমি করবো । কিন্তু আবির, তুই যে প্ল্যান করছিস, তাতে মনে হচ্ছে এই কাজটা অনেক দীর্ঘমেয়াদী হবে । কিন্তু আমার তো এতোদিন ছুটি নাইরে ।” আবির বলল, “ভাই, চিন্তা কোরো না । যা করার তাড়াতাড়ি করবো । আর যদি এরকম কিছু হয় যে আমি সময় মতো করতে পারলাম, তখন অন্য কিছু ভেবে দেখবো । তবে তোমাকে এখন একটু কাজ করতে হবে ।” সাবিত জিজ্ঞেস করলো, “কি?”
পরদিনের কথা । সকালে আফজাল খান বাজার থেকে ফেরার পথে হঠাৎ দেখলো, দেয়ালে দেয়ালে একটা পোস্টার, লেখা “পড়াতে চাই ।” আর নিচে ফোন নাম্বার দেয়া । আফজাল খান তার এক গুন্ডাকে বলল, “এই লোককে ফোন করে জিজ্ঞেস করো, ক্লাস নাইনের ম্যাথ পড়াতে পারবে কিনা । তারপর একে আমার সাথে দেখা করতে বলো ।”
বিকেলের কথা । আফজাল খানের বাড়ির দরজায় নক পড়লো কারও । এক কাজের লোক এসে দরজা খুলতেই দেখলো, কোট প্যান্ট পড়া চোখে চশমা পড়া দাড়িগোফ ওয়ালা কালো করে এক লোক । সে আর কেউ নয়, সাবিত । কাজের লোক জিজ্ঞেস করলো, “কি চাই?” সাবিত বলল, “মোর নাম হইতাছে গিয়া আবির, এই বাড়ির কি জানি নাম, আফজাল খান হেতে মোরে ডাকছে । হেতের পোলারে ম্যাথ পড়ান লাগবো নাকি ।” কাজের লোক বলল, “একটু খারান!” তারপর কাজের লোকটা ভেতরে গেলো । আবিরের প্ল্যান অনুযায়ীই সাবিত নিজের নাম আবির বলেছে । এমনকি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম-ও আবিরের স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বলবে । একটু পর কাজের লোক এলো । বলল, “আসেন ।” সাবিত ভেতরে গেলো । একটা তিনতলায় আফজাল খানের রুমে নিয়ে যাওয়া হলো সাবিতকে । বিরাট রুমে বিছানায় বসে সিগারেট খাচ্ছে আফজাল খান । দুইপাশে দুই গুন্ডা । একটু পর রুমে এলো নয়ন । নয়ন ওর বাবাকে জিজ্ঞেস করলো, “বাবা, আমাকে ডেকেছো?” আফজাল খান সাবিতকে দেখিয়ে বলল, “এই যে, তোর ম্যাথ টিচার ।” নয়ন সাবিতকে দেখল । তারপর আফজাল খান সাবিতকে জিজ্ঞেস করলো, “নাম কি?” সাবিত বলল, “মোর নাম আবির ।” আফজাল খান ভ্রু-কুচকে জিজ্ঞেস করলো, “একি! আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলো কেনো! শুদ্ধভাষায় পারো না?” সাবিত বলল, “যে, কিছুটা কিছু কইতে পারি ।” আফজাল খান বলল, “না না! আমার এমন টিচার দরকার যে একদম প্রোপার শুদ্ধ ভাষায় কথা বলে! তোমাকে প্রোপার মনে হচ্ছে না!” সাবিত মনে মনে বলল, “এবার কি হবে! টিচার হতে না পারলে তো আবিরের প্ল্যানটা নষ্ট হয়ে যাবে!”
আগামী পর্বেঃ
স্যার এর চোখ তখন পড়লো, পাশের কর্মচারীর প্রিন্টারের দিকে । দেখলো, সালমান খান আবির নামে একটা ছেলের বিভিন্ন ইনফরমেশন প্রিন্ট করা হচ্ছে । টিচার তখন ওই লোকটাকে জিজ্ঞেস করলো, “কি ব্যাপার ভাই? এই ছেলের ইনফরমেশন প্রিন্ট করছেন যে?” অফিসের লোকটা বলল, “এই যে, এই লোক চাইতাছে ।” টিচার তখন আফজালের খানের গুন্ডাকে জিজ্ঞেস করলো, “আপনি কে?” লোকটা বলল, “মাস্টার মশাই, গ্রাফ নিতে আইছেন নিয়া চইলা যান, আমি কে তা আপনার জাইনা লাভ নাই ।” টিচারটা তখন রেগে গিয়ে বলল, “মানে কি? আপনি যদি এই ছাত্রের সাথে নিজের সম্পর্ক না-ই বলতে পারেন তাহলে এই ছাত্রের ইনফরমেশন নিচ্ছেন কেনো?”
বিকেলের কথা । আবির ওর মোবাইলে কি যেনো করছিলো । অয়ন, নিশান আর দ্বীপ সাম্নেই বসে ছিলো । ওরা সবাই এখন দ্বীপের বাসার সামনে বসে আছে । অয়ন নিশানকে জিজ্ঞেস করলো, “আবির ভাই কি এতো করছে? আবার আমাকে বলল কোথায় নিয়ে যাবে!” নিশান বলল, “বাবা মনে হয় ভুল পদক্ষেপটা তুলতে যাচ্ছে ।” অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “মানে?” নিশান বলল, “এই যে, এই রহস্যের মধ্যে তোমাকে প্রবেশ করাতে যাচ্ছে!” অয়ন বুক ফুলিয়ে বলল, ”দেখে নিস! আমি এমনভাবে কাজ করবো না, আবির ভাই আনন্দে নাচতে শুরু করেছে ।” সাবিত ছিলো বাজারে । এসে ওদের কাছে বসলো । জিজ্ঞেস করলো, “কিরে? তোরা কি এতো গল্প করছিস? আর আবিরই বা মোবাইলে কি করছে?” অয়ন বলল, “ভাই কি করছে তা জানি না, তবে মনে হচ্ছে আমি এবার এই রহস্যে অভিনয় করতে যাচ্ছি ।” সাবিত ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করলো, “মানে?” অয়ন বলল, “মানে, এই যেমন এখন ভাই পাগলের অ্যাক্টিং করছে, আমিও এরকম কোনো একটা রোলে ঢুকে যাবো ।” সাবিত বলল, “সেকি! আবিরকে তো আমি বলেছিলাম আমকে রোল দিতে, তোকে তো নেবার কথা না ।” ওদের কথা শুনছিলো আবির । মোবাইলের কাজ করতে করতে বলল, “এই কাজে তুই না অয়ন, সাবিত ভাই আমাকে সাহায্য করছে ।” দ্বীপ জিজ্ঞেস করলো, “কিন্তু তুমি এতক্ষণ ধরে কি করো মোবাইলে ভাইয়া?” আবির মোবাইলটা ওদের দিকে ঘোরালো । সেটা দেখে পড়লো অয়ন । পুরো স্ক্রিন সাদা আর মাঝে লেখা, “পড়াতে চাই ।” আর নিচে মোবাইল নাম্বার দেয়া । অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “এটা কি!” আবির অয়নের কথার জবাব না দিয়ে সাবিতকে বলল, “ভাই, তুমি ম্যাথ ভালো পারো । তাই না?” সাবিত বলল, “হ্যাঁ, আলহামদুলিল্লাহ ভালোই পারি । কিন্তু কেনো?” আবির বলল, “তুমি খুব শীঘ্রই আফজাল খানের ছোট ছেলে নয়নকে পড়াবা ।” সাবিত জিজ্ঞেস করলো, “পড়ায়ে লাভ?” আবির বলল, “এতে তুমি ওর সাথে ঘনিষ্ঠ হতে পারবা আর যদি কোনও কাজে লাগে কখনো, আমাকে হেল্প করতে পারবা ।” সাবিত বলল, “হ্যাঁ অবশ্যই, আমি করবো । কিন্তু আবির, তুই যে প্ল্যান করছিস, তাতে মনে হচ্ছে এই কাজটা অনেক দীর্ঘমেয়াদী হবে । কিন্তু আমার তো এতোদিন ছুটি নাইরে ।” আবির বলল, “ভাই, চিন্তা কোরো না । যা করার তাড়াতাড়ি করবো । আর যদি এরকম কিছু হয় যে আমি সময় মতো করতে পারলাম, তখন অন্য কিছু ভেবে দেখবো । তবে তোমাকে এখন একটু কাজ করতে হবে ।” সাবিত জিজ্ঞেস করলো, “কি?”
পরদিনের কথা । সকালে আফজাল খান বাজার থেকে ফেরার পথে হঠাৎ দেখলো, দেয়ালে দেয়ালে একটা পোস্টার, লেখা “পড়াতে চাই ।” আর নিচে ফোন নাম্বার দেয়া । আফজাল খান তার এক গুন্ডাকে বলল, “এই লোককে ফোন করে জিজ্ঞেস করো, ক্লাস নাইনের ম্যাথ পড়াতে পারবে কিনা । তারপর একে আমার সাথে দেখা করতে বলো ।”
বিকেলের কথা । আফজাল খানের বাড়ির দরজায় নক পড়লো কারও । এক কাজের লোক এসে দরজা খুলতেই দেখলো, কোট প্যান্ট পড়া চোখে চশমা পড়া দাড়িগোফ ওয়ালা কালো করে এক লোক । সে আর কেউ নয়, সাবিত । কাজের লোক জিজ্ঞেস করলো, “কি চাই?” সাবিত বলল, “মোর নাম হইতাছে গিয়া আবির, এই বাড়ির কি জানি নাম, আফজাল খান হেতে মোরে ডাকছে । হেতের পোলারে ম্যাথ পড়ান লাগবো নাকি ।” কাজের লোক বলল, “একটু খারান!” তারপর কাজের লোকটা ভেতরে গেলো । আবিরের প্ল্যান অনুযায়ীই সাবিত নিজের নাম আবির বলেছে । এমনকি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম-ও আবিরের স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বলবে । একটু পর কাজের লোক এলো । বলল, “আসেন ।” সাবিত ভেতরে গেলো । একটা তিনতলায় আফজাল খানের রুমে নিয়ে যাওয়া হলো সাবিতকে । বিরাট রুমে বিছানায় বসে সিগারেট খাচ্ছে আফজাল খান । দুইপাশে দুই গুন্ডা । একটু পর রুমে এলো নয়ন । নয়ন ওর বাবাকে জিজ্ঞেস করলো, “বাবা, আমাকে ডেকেছো?” আফজাল খান সাবিতকে দেখিয়ে বলল, “এই যে, তোর ম্যাথ টিচার ।” নয়ন সাবিতকে দেখল । তারপর আফজাল খান সাবিতকে জিজ্ঞেস করলো, “নাম কি?” সাবিত বলল, “মোর নাম আবির ।” আফজাল খান ভ্রু-কুচকে জিজ্ঞেস করলো, “একি! আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলো কেনো! শুদ্ধভাষায় পারো না?” সাবিত বলল, “যে, কিছুটা কিছু কইতে পারি ।” আফজাল খান বলল, “না না! আমার এমন টিচার দরকার যে একদম প্রোপার শুদ্ধ ভাষায় কথা বলে! তোমাকে প্রোপার মনে হচ্ছে না!” সাবিত মনে মনে বলল, “এবার কি হবে! টিচার হতে না পারলে তো আবিরের প্ল্যানটা নষ্ট হয়ে যাবে!”
আগামী পর্বেঃ
স্যার এর চোখ তখন পড়লো, পাশের কর্মচারীর প্রিন্টারের দিকে । দেখলো, সালমান খান আবির নামে একটা ছেলের বিভিন্ন ইনফরমেশন প্রিন্ট করা হচ্ছে । টিচার তখন ওই লোকটাকে জিজ্ঞেস করলো, “কি ব্যাপার ভাই? এই ছেলের ইনফরমেশন প্রিন্ট করছেন যে?” অফিসের লোকটা বলল, “এই যে, এই লোক চাইতাছে ।” টিচার তখন আফজালের খানের গুন্ডাকে জিজ্ঞেস করলো, “আপনি কে?” লোকটা বলল, “মাস্টার মশাই, গ্রাফ নিতে আইছেন নিয়া চইলা যান, আমি কে তা আপনার জাইনা লাভ নাই ।” টিচারটা তখন রেগে গিয়ে বলল, “মানে কি? আপনি যদি এই ছাত্রের সাথে নিজের সম্পর্ক না-ই বলতে পারেন তাহলে এই ছাত্রের ইনফরমেশন নিচ্ছেন কেনো?”