পরিচয় পর্ব-৩৪৭
পরিচয়(পর্ব-৩৪৭)
(সিজন-১২-ওয়াদা)
(সিজন-১২-ওয়াদা)
যোহরের নামাজ শেষে বের হচ্ছিলো আফজাল খান, এমন সময় সে শুনতে পেলো আবার সেই পাগলের আওয়াজ । আফজাল খান দেখলো, সেই পাগল তার গাড়ি মুচ্ছে, আর ড্রাইভার তাকে বাঁধা দিচ্ছে । আফজাল খান কাছে যেতেই জিজ্ঞেস করলো, “কি ব্যাপার? আজও আপনি এখানে?” পাগলরূপী আবির হাসি দিয়ে বলল, “বাবা! আমার বাবা! আপনার গাড়িতে একটা বদমাইশ পাখি হেগে দিয়েছে! সেটাই পরিষ্কার করছিলাম বাবা!” ড্রাইভার পাগলরূপী আবিরকে একটা চড় লাগাতে যাবে, এমন সময় আফজাল খান ওকে থামতে বলে পাগলকে জিজ্ঞেস করলো, “চাচা কি কাজ টাজ করেন?” আবির বলল, “বাবা! তোমার জন্য সব করতে পারবো বাবা! আমি তোমার এতো বড় ভক্ত বাবা!” আফজাল খান ওপর নিচ মাথা নেড়ে বলল, “হুম। ঘর মুছতে পারবেন আমার?” আবির হেসে বলল, “এ তো তুচ্ছ কাজ বাবা! আমি পারবো!” আফজাল খান তার এক বডিগার্ডকে বলল, “একে নিয়ে যাও আমার বাড়িতে । একে ঠিকঠাক মতো পরিষ্কার করিয়ে আমার বাড়িতে কাজ করানোর জন্য রেডি করো । শালার আগে যে কাজ করতো সে যে কই গেছে! আজ ঘর ময়লা হয়ে আছে!” আবির মনে মনে বলল, “যাক! আমাকে কাজে নিয়েছে তাহলে ।” আবিরকে একজন গুন্ডা ধরে নিয়ে গেলো আফজাল খানের বাসায় । ঠিক বাসায় না, বাসার পাশের একটা ছোটো কক্ষে । সেখানে একটা বাথরুম আছে । আবিরের হাতে গামছা ধরিয়ে দিয়ে একজন গুন্ডা বলল, “ভেতরে যেয়ে গোসল করে আসুন ।” আবির ভেতরে ঢুকলো । আবির ভয় পাচ্ছিলো, যদি এরা ধরে গোসল করায় তাহলে নকল চুল ইত্যাদি ধরা পড়ে যেতে পারে । কিন্তু না, ওকে একাই গোসলে যেতে দিলো গুন্ডাগুলো ।
“কি যে করছে আবির ভাই! কিচ্ছু বুঝতে পারছি না । ওই লোকের বাড়িতে ঢুকে কি লাভ?” দ্বীপের বাড়ি থেকে দূরে নারিকেল গাছের নিচে বসে নিশানে কথাগুলো বলল অয়ন । নিশান বলল, “বুঝতে তো আমিও পারছি না, কিন্তু বাবা মনে হয় যা করার তা ভেনে চিন্তেই করছে ।” অয়ন বলল, “হ্যাঁ, তা তো করছেই ।” নিশান তখন জিজ্ঞেস করলো, “আচ্ছা, তোমাকে কি বলছিলো মামা?” অয়ন বলল, “কি আর? আমাকেও এই সব সাংঘাতিক কান্ডে নামাবে ।” নিশান বলল, “নাহ! এটা মনে হয় বাবা ভেবে চিন্তে বলে নি । তোমাকে এসব কাজে নামানো আর বাবার এই মিশন ফেইল হওয়া একই কথা ।” অয়ন আড়চোখে নিশানের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো, “তোর কি তাই মনে হয়? আমি সব কাজে ব্যাঘাত ঘটাই?” নিশান বলল, “মনে হওয়ার কি আছে? যা সত্যি তাই বললাম ।” অয়ন উঠে দাঁড়িয়ে, “হুহ! দেখিস! আমি কতো কি করি!” বলে চলে গেলো ।
গোসল শেষে বেরোলো আবির । গুন্ডারা আবিরকে দেখে টিটকারি মেরে বলল, “কিগো চাচা! দেখে তো মনেই হয় না বয়স হইছে?” আবির বলল, “না না, বয়স আর কই হইছে, মাইয়ারা এহনও আমারে দেইখা চোখ টিপ মারে!” আরেকগুন্ডা টিটকারি মেরে বলল, “বাহ! চাচা তো সেই মাল!” প্রথম গুন্ডা তখন বলল, “এখন আসো চাচা, তোমাকে ঘর মোছার সব ক্যামনে কি করবা দেখাই ।” বলে আবিরকে নিয়ে গেলো এক গুন্ডা। সে আবিরকে দেখিয়ে দিলো কি করতে হবে । চারতলা বাড়ি প্রতিটি সিড়িতে দুটো করে বিরাট বিরাট রুম । ৪ তলার দুটো রুমের একটায় থাকে আফজাল খানের ক্লাস নাইনে পড়ুয়া ছেলে, নয়ন এবং অন্য রুমে আফজাল খানে মেডিকেল ভার্সিটিতে পড়ুয়া মেয়ে, রিধিতা । তিনতলায় এক রুম আফজাল খানের, অন্য রুম তার বউ, পূর্ণিমার । যদিও ঘুমায় তারা একই রুমেই । কোনোদিন এ ওর রুমে যায়, কোনোদিন ও এর রুমে যায় । দোতলার একটা রুম ড্রইং রুম, অন্যটা ডাইনিং রুম । নিচতলাটা গ্যারেজ । রান্নাঘর ছাদের ওপর । আবিরকে গুন্ডারা বলল, “শোনেন চাচা, কাজে কিন্তু পার্মানেন্ট হন নাই, ভালো কইরা কাজ করলে তবেই পার্মানেন্ট হইয়া যাবেন ।” আবির আইচ্ছা বলে কাজে লেগে পড়লো । প্রথমে ডাইনিং আর ড্রইং রুম পরিষ্কার করলো । তারপর তিনতলায় আফজাল খানের রুমে গেলো । কিছু খুঁজতে চাইলেও পারলো না আবির । কারণ রুমে সিসি ক্যামেরা আছে । সিসি ক্যামেরা প্রত্যেক রুমেই রয়েছে । আফজাল খানের বউ পূর্ণিমার রুমও পরিষ্কার করলো আবির যদিও পূর্ণিমা রুমে ছিলো না । আফজাল খানের মেয়ের রুমও পরিষ্কার করলো সে কিন্তু আফজাল খানের মেয়ে রিধিতা-ও ঘরে ছিলো না । আফজাল খানে ছেলে, নয়ন ছিলো রুমে । নয়নের রুমে যেয়ে ঘ্রর মোছা শুরু করলো আবির । নয়ন ফোনে কার সাথে কথা বলছিলো । কথপথন এমন, নয়নের ম্যাথের জন্য একজন টিচার খুব দরকার, তাই সে তার বন্ধুর কাছে জিজ্ঞেস করছে তার পরিচিত কোনো ম্যাথ টিচার আছে কিনা । কাজ শেষে নিচতলায় চলে গেলো আবির । গুন্ডারা সেখানে বসে গাঁজা টানছে । আবির বলল, “আমার কাজ শেষ ।” গুন্ডা জিজ্ঞেস করলো, “তুমি থাকো কই চাচা?” আবির বলল, “আমার কোন থাকার জায়গা নাই । যেখানে পারি, সেখানেই থাকি । তবে দরকার পড়লে বাজারের পেছনে আম গাছের নিচে চলে এসো, আমি ওখানেই দিনে বেশিরভাগ সময় থাকি ।” গুন্ডা বলল, “ঠিক আছে ঠিক আছে! যাও!” আবির চলে গেলো সেখান থেকে ।
আগামী পর্বেঃ
দ্বীপ জিজ্ঞেস করলো, “কিন্তু তুমি এতক্ষণ ধরে কি করো মোবাইলে ভাইয়া?” আবির মোবাইলটা ওদের দিকে ঘোরালো । সেটা দেখে পড়লো অয়ন । পুরো স্ক্রিন সাদা আর মাঝে লেখা, “পড়াতে চাই ।” আর নিচে মোবাইল নাম্বার দেয়া । অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “এটা কি!” আবির অয়নের কথার জবাব না দিয়ে সাবিতকে বলল, “ভাই, তুমি ম্যাথ ভালো পারো । তাই না?” সাবিত বলল, “হ্যাঁ, আলহামদুলিল্লাহ ভালোই পারি । কিন্তু কেনো?” আবির বলল, “তুমি খুব শীঘ্রই আফজাল খানের ছোট ছেলে নয়নকে পড়াবা ।”
“কি যে করছে আবির ভাই! কিচ্ছু বুঝতে পারছি না । ওই লোকের বাড়িতে ঢুকে কি লাভ?” দ্বীপের বাড়ি থেকে দূরে নারিকেল গাছের নিচে বসে নিশানে কথাগুলো বলল অয়ন । নিশান বলল, “বুঝতে তো আমিও পারছি না, কিন্তু বাবা মনে হয় যা করার তা ভেনে চিন্তেই করছে ।” অয়ন বলল, “হ্যাঁ, তা তো করছেই ।” নিশান তখন জিজ্ঞেস করলো, “আচ্ছা, তোমাকে কি বলছিলো মামা?” অয়ন বলল, “কি আর? আমাকেও এই সব সাংঘাতিক কান্ডে নামাবে ।” নিশান বলল, “নাহ! এটা মনে হয় বাবা ভেবে চিন্তে বলে নি । তোমাকে এসব কাজে নামানো আর বাবার এই মিশন ফেইল হওয়া একই কথা ।” অয়ন আড়চোখে নিশানের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো, “তোর কি তাই মনে হয়? আমি সব কাজে ব্যাঘাত ঘটাই?” নিশান বলল, “মনে হওয়ার কি আছে? যা সত্যি তাই বললাম ।” অয়ন উঠে দাঁড়িয়ে, “হুহ! দেখিস! আমি কতো কি করি!” বলে চলে গেলো ।
গোসল শেষে বেরোলো আবির । গুন্ডারা আবিরকে দেখে টিটকারি মেরে বলল, “কিগো চাচা! দেখে তো মনেই হয় না বয়স হইছে?” আবির বলল, “না না, বয়স আর কই হইছে, মাইয়ারা এহনও আমারে দেইখা চোখ টিপ মারে!” আরেকগুন্ডা টিটকারি মেরে বলল, “বাহ! চাচা তো সেই মাল!” প্রথম গুন্ডা তখন বলল, “এখন আসো চাচা, তোমাকে ঘর মোছার সব ক্যামনে কি করবা দেখাই ।” বলে আবিরকে নিয়ে গেলো এক গুন্ডা। সে আবিরকে দেখিয়ে দিলো কি করতে হবে । চারতলা বাড়ি প্রতিটি সিড়িতে দুটো করে বিরাট বিরাট রুম । ৪ তলার দুটো রুমের একটায় থাকে আফজাল খানের ক্লাস নাইনে পড়ুয়া ছেলে, নয়ন এবং অন্য রুমে আফজাল খানে মেডিকেল ভার্সিটিতে পড়ুয়া মেয়ে, রিধিতা । তিনতলায় এক রুম আফজাল খানের, অন্য রুম তার বউ, পূর্ণিমার । যদিও ঘুমায় তারা একই রুমেই । কোনোদিন এ ওর রুমে যায়, কোনোদিন ও এর রুমে যায় । দোতলার একটা রুম ড্রইং রুম, অন্যটা ডাইনিং রুম । নিচতলাটা গ্যারেজ । রান্নাঘর ছাদের ওপর । আবিরকে গুন্ডারা বলল, “শোনেন চাচা, কাজে কিন্তু পার্মানেন্ট হন নাই, ভালো কইরা কাজ করলে তবেই পার্মানেন্ট হইয়া যাবেন ।” আবির আইচ্ছা বলে কাজে লেগে পড়লো । প্রথমে ডাইনিং আর ড্রইং রুম পরিষ্কার করলো । তারপর তিনতলায় আফজাল খানের রুমে গেলো । কিছু খুঁজতে চাইলেও পারলো না আবির । কারণ রুমে সিসি ক্যামেরা আছে । সিসি ক্যামেরা প্রত্যেক রুমেই রয়েছে । আফজাল খানের বউ পূর্ণিমার রুমও পরিষ্কার করলো আবির যদিও পূর্ণিমা রুমে ছিলো না । আফজাল খানের মেয়ের রুমও পরিষ্কার করলো সে কিন্তু আফজাল খানের মেয়ে রিধিতা-ও ঘরে ছিলো না । আফজাল খানে ছেলে, নয়ন ছিলো রুমে । নয়নের রুমে যেয়ে ঘ্রর মোছা শুরু করলো আবির । নয়ন ফোনে কার সাথে কথা বলছিলো । কথপথন এমন, নয়নের ম্যাথের জন্য একজন টিচার খুব দরকার, তাই সে তার বন্ধুর কাছে জিজ্ঞেস করছে তার পরিচিত কোনো ম্যাথ টিচার আছে কিনা । কাজ শেষে নিচতলায় চলে গেলো আবির । গুন্ডারা সেখানে বসে গাঁজা টানছে । আবির বলল, “আমার কাজ শেষ ।” গুন্ডা জিজ্ঞেস করলো, “তুমি থাকো কই চাচা?” আবির বলল, “আমার কোন থাকার জায়গা নাই । যেখানে পারি, সেখানেই থাকি । তবে দরকার পড়লে বাজারের পেছনে আম গাছের নিচে চলে এসো, আমি ওখানেই দিনে বেশিরভাগ সময় থাকি ।” গুন্ডা বলল, “ঠিক আছে ঠিক আছে! যাও!” আবির চলে গেলো সেখান থেকে ।
আগামী পর্বেঃ
দ্বীপ জিজ্ঞেস করলো, “কিন্তু তুমি এতক্ষণ ধরে কি করো মোবাইলে ভাইয়া?” আবির মোবাইলটা ওদের দিকে ঘোরালো । সেটা দেখে পড়লো অয়ন । পুরো স্ক্রিন সাদা আর মাঝে লেখা, “পড়াতে চাই ।” আর নিচে মোবাইল নাম্বার দেয়া । অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “এটা কি!” আবির অয়নের কথার জবাব না দিয়ে সাবিতকে বলল, “ভাই, তুমি ম্যাথ ভালো পারো । তাই না?” সাবিত বলল, “হ্যাঁ, আলহামদুলিল্লাহ ভালোই পারি । কিন্তু কেনো?” আবির বলল, “তুমি খুব শীঘ্রই আফজাল খানের ছোট ছেলে নয়নকে পড়াবা ।”