পরিচয় পর্ব-৩৩৯
পরিচয়(পর্ব-৩৩৯)
(সিজন-১২-ওয়াদা)
(সিজন-১২-ওয়াদা)
“আপু!” চয়নিকা রান্না করছিলো, সে সময় এসে বলল মাইশা । চয়নিকা জিজ্ঞেস করলো, “হ্যাঁ বল মাইশা ।” মাইশা বলল, “আপু, আজ তো কিছু সাহায্য করতে দেন! এখন আবির ভাইয়া এসেছে, বেশি কাজ আপনার ।” চয়নিকা মাইশা গালে হাত বুলিয়ে বলল, “ওরে! আবির এসেছে তো কি? কোন সমস্যা নেই । আমি করছি ।” মাইশা বলল, “কিন্তু আপু! আমি তো বাড়ির বউ । আমারও তো দায়িত্ব কিছু করার! আর আমি কিছু না পারলে কোন একটা কথা ছিলো । আমি তো পারি!” চয়নিকা বলল, “আচ্ছা বেশ, এক কাজ কর । এই রান্নাটা একটু দ্যাখ, আমি বাকি তরকারিগুলো কাটাকুটি করি ।” বলে চয়নিকা নিচে বসে বটিতে কাটাকুটি করতে শুরু করলো আর মাইশা চুলায় চামচ দিয়ে রান্না নাড়তে লাগলো । সেই সময় অয়ন এলো । এসেই বলল, “বাহ! আমার বোন আর বউ, দুজনেই বেশ কাজের! সারাদিন কতো কাজ করে! ইশ! তোমাদের আমাদের জন্য এই ত্যাগের ঋণ কোন কিছুতেই শোধ হবে না ।” সে সময় রাব্বি এলো । এসে অয়নের পাশে দাঁড়িয়ে বলল, “হেয়ালি না করে আসল কথা বলো । নিজের দরকার না হলে তুমি এভাবে কারও প্রসংসা করো না মামা!” কথা শুনে হেসে উঠলো চয়নিকা আর মাইশা । অয়ন বলল, “নাহ! এর জ্বালায় আর পারি না! এক নিশান বড় হয়েছে, আর এখন এসেছে এই রাব্বি! মানে এরা আমাকে না জ্বালিয়ে মজা পায় না!” চয়নিকা বলল, “ভালো হয়েছে । তোর সাথে এমনই হওয়া উচিৎ । আর কথা একেবারে ভুল বলে নি । তোর কি দরকার বল ।” অয়ন গলা খাখরে বলল, “আসলে আপু! আমার একটা বন্ধু খুব অসুস্থ, ওর বাড়ি ময়মনসিংহতে । সেখানে তাই ওকে দেখতে যাবো ভাবছি ।” মাইশা জিজ্ঞেস করলো, “একি নাবিল নাকি! ওউ তো ময়মনসিংহের!” অয়ন বলল, “আরে না! আরও পুরোন ফ্রেন্ড আমার, স্কুল লাইফের । তুমি চিনবে না ।” চয়নিকা বলল, “অয়ন, মায়ের অবর্তমানে তোকে কিন্তু ছেলেবেলা থেকে আমি আর আঁখি আপুই মানুষ করেছি । তাই তোর সব ফ্রেন্ডের খবরই জানি । ওদের মধ্যে এমন কেউ নেই যে ময়মনসিংহ ছিলো । মনে হয় না কেউ গিয়েছেও ।” অয়ন বলল, “তুমি জানবে কি করে! তুমি কি আর ওদের সাথে এতো ক্লোজ ছিলে নাকি!” চয়নিকা তখন একটা তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিয়ে অয়নের দিকে তাকিয়ে বলল, “নিশ্চয়ই আবির তোকে নিয়ে নতুন গোয়েন্দাগিরিতে যেতে চায় তাই না!” চয়নিকার দৃষ্টিতে এমন একটা রাগান্মিত ভাব ছিলো যে অয়ন ভয়ে স্বীকার করে ফেলল । বলল, “আপু প্লিজ! দ্যাখো, ভাই একজনকে কথা দিয়ে ফেলেছে! এখন সেটা পালন না করলে খুব খারাপ হবে!” চয়নিকা বলল, “আর পালন করলেও অশান্তি হবে এ বাড়িতে । আমি বলে দিচ্ছি! আর তুই সবে বিয়ে করেছিস! এখন তুই বউকে রেখে যাবি একটা ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায়! অয়ন যে কষ্টটা সাবিত পাচ্ছে সে কষ্টটা মাইশা পাক এমন করিস না ।” বলে আবার তরকারী কাটায় মন দিলো চয়নিকা ।
পরদিন সকালে কোম্পানিতে নিজের অফিসে বসে ছিলো আবির । এমন সময় এক লোক এলো আবিরের কাছে একটা ফাইল নিয়ে । দরজার কাছে এসে বলল, “আসতে পারি?” আবির লোকটাকে পারমিশন দিতেই সে ভেতরে এলো । তারপর আবিরের পারমিশনে বসলো । আবির জিজ্ঞেস করলো, “জি বলেন ।” কথা বললেও আবির কেমন একটু আনমনা ছিলো । লোকটা আবিরের দিকে ফাইল এগিয়ে দিয়ে বলল, “স্যার, এ মাসে আমাদের বেশ কিছু প্রোডাক্ট ইউএস ফেরত দিয়েছে । বলেছে সেগুলো মানসম্মত হয় নি ।” আবির বলল, “ঠিক আছে, আপনি দেখুন এটা কিভাবে মানসম্মত করা যায় ।” লোকটা বলল, “কিন্তু স্যার! আমি তো আপনার পরামর্শ নিতেই এলাম!” আবির আনমনা ছিলো, সেখান থেকে ফিরে এসে বলল, “ও আচ্ছা । দিন দেখি ফাইলটা ।” বলে ফাইল নিলো । তারপর সেগুলো দেখে বলল, “ওরা বলেছে এই ইনগ্রেডিয়েন্টসটা মিসিং । এটা নিয়ে আসুন, তাহলেই তো হয় ।” লোকটা বলল, “কিন্তু স্যার, এই ইনগ্রেডিয়েন্টসটার দাম অনেক । এটা অ্যাড করলে পণ্যের দামও বেড়ে যাবে, বাড়াতেও হবে ।” আবির একটু ভাবলো । তারপর বলল, “এর বিকল্প নেই কোন?” লোকটা বলল, “না স্যার । এটা একটাই ।” আবির বলল, “আচ্ছা, আপনারা এটা আনার ব্যাবস্থা করুন, এটা ব্যাবহার করে বানান, তারপর পন্যের দাম বাড়ানো যায় কি যায় না তা দেখা যাবে ।” লোকটা চলে গেলো আবিরের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে । আবির আবার চিন্তায় ডুবে গেলো । কিছুক্ষণ চুপ করে রইলো । একটু পর সে লোকটা আবার এলো । আবার বসলো । তারপর আবিরকে বলল, “স্যার, ওই ইনগ্রেডিয়েন্টসটা ঢাকায় পাওয়া বেশ মুশকিল । তার ওপর আসল নকল বোঝা দ্বায় ।” আবির জিজ্ঞেস করলো, “তাহলে উপায়?” লোকটা বলল, “স্যার, ওদের যে মেইন কোম্পানি আছে, মানে ওরা যেখানে ওই ইনগ্রেডিয়েন্টসটা বানায়, সেখানে আপনি আমাদের সাথে গিয়ে একটা চুক্তি করতে পারেন । তাহলে ভেজালও পাওয়ার সম্ভাবনা নেই, আবার দামেও বাজারের তুলনায় অন্তত কিছু হলেও কম পড়বে ।” আবির জিজ্ঞেস করলো, “কোথায় ওদের কোম্পানি?” লোকটা বলল, “ময়মনসিংহে স্যার ।” এবার আবিরের আনমনা ভাব কেটে গেলো । এক মুহূর্ত অপেক্ষা না করেই জবাব দিলো, “কালই আমরা রওনা হবো ময়মনসিংহ ।”
আগামী পর্বেঃ
নিশান বলল, “এহ! প্রথমত হ্যাঁ আমার পড়া আছে, কিন্তু এখন সেগুলো তুলনামূলক বেশ কম । ধীরে ধীরে বাড়বে পড়াশুনা । দ্বিতীয়ত, কোম্পানির কেউ না হয়েও যাওয়া যায় আমি জানি । তুমিও বাবা যখন ছিলো না, তখন মাঝে মাঝেই নিজের ফ্রেন্ডদের নিয়ে যেতে । ইউ ফরগোট দ্যাট? তৃতীয়ত……।” অয়ন ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো, “তৃতীয়ত? আমি তো আর কিছুই বলিনি!” নিশান হালকা হেসে বলল, “সেটাই তো রহস্য, যেটা তোমরা কাউকে বলো নি । কোম্পানির কাজ ছাড়াও তোমরা যে সেখানে একটা রহস্যের সমাধান করতে যাচ্ছো!” অয়ন বলল, “আস্তে! কেউ যেনো না জানে!”
পরদিন সকালে কোম্পানিতে নিজের অফিসে বসে ছিলো আবির । এমন সময় এক লোক এলো আবিরের কাছে একটা ফাইল নিয়ে । দরজার কাছে এসে বলল, “আসতে পারি?” আবির লোকটাকে পারমিশন দিতেই সে ভেতরে এলো । তারপর আবিরের পারমিশনে বসলো । আবির জিজ্ঞেস করলো, “জি বলেন ।” কথা বললেও আবির কেমন একটু আনমনা ছিলো । লোকটা আবিরের দিকে ফাইল এগিয়ে দিয়ে বলল, “স্যার, এ মাসে আমাদের বেশ কিছু প্রোডাক্ট ইউএস ফেরত দিয়েছে । বলেছে সেগুলো মানসম্মত হয় নি ।” আবির বলল, “ঠিক আছে, আপনি দেখুন এটা কিভাবে মানসম্মত করা যায় ।” লোকটা বলল, “কিন্তু স্যার! আমি তো আপনার পরামর্শ নিতেই এলাম!” আবির আনমনা ছিলো, সেখান থেকে ফিরে এসে বলল, “ও আচ্ছা । দিন দেখি ফাইলটা ।” বলে ফাইল নিলো । তারপর সেগুলো দেখে বলল, “ওরা বলেছে এই ইনগ্রেডিয়েন্টসটা মিসিং । এটা নিয়ে আসুন, তাহলেই তো হয় ।” লোকটা বলল, “কিন্তু স্যার, এই ইনগ্রেডিয়েন্টসটার দাম অনেক । এটা অ্যাড করলে পণ্যের দামও বেড়ে যাবে, বাড়াতেও হবে ।” আবির একটু ভাবলো । তারপর বলল, “এর বিকল্প নেই কোন?” লোকটা বলল, “না স্যার । এটা একটাই ।” আবির বলল, “আচ্ছা, আপনারা এটা আনার ব্যাবস্থা করুন, এটা ব্যাবহার করে বানান, তারপর পন্যের দাম বাড়ানো যায় কি যায় না তা দেখা যাবে ।” লোকটা চলে গেলো আবিরের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে । আবির আবার চিন্তায় ডুবে গেলো । কিছুক্ষণ চুপ করে রইলো । একটু পর সে লোকটা আবার এলো । আবার বসলো । তারপর আবিরকে বলল, “স্যার, ওই ইনগ্রেডিয়েন্টসটা ঢাকায় পাওয়া বেশ মুশকিল । তার ওপর আসল নকল বোঝা দ্বায় ।” আবির জিজ্ঞেস করলো, “তাহলে উপায়?” লোকটা বলল, “স্যার, ওদের যে মেইন কোম্পানি আছে, মানে ওরা যেখানে ওই ইনগ্রেডিয়েন্টসটা বানায়, সেখানে আপনি আমাদের সাথে গিয়ে একটা চুক্তি করতে পারেন । তাহলে ভেজালও পাওয়ার সম্ভাবনা নেই, আবার দামেও বাজারের তুলনায় অন্তত কিছু হলেও কম পড়বে ।” আবির জিজ্ঞেস করলো, “কোথায় ওদের কোম্পানি?” লোকটা বলল, “ময়মনসিংহে স্যার ।” এবার আবিরের আনমনা ভাব কেটে গেলো । এক মুহূর্ত অপেক্ষা না করেই জবাব দিলো, “কালই আমরা রওনা হবো ময়মনসিংহ ।”
আগামী পর্বেঃ
নিশান বলল, “এহ! প্রথমত হ্যাঁ আমার পড়া আছে, কিন্তু এখন সেগুলো তুলনামূলক বেশ কম । ধীরে ধীরে বাড়বে পড়াশুনা । দ্বিতীয়ত, কোম্পানির কেউ না হয়েও যাওয়া যায় আমি জানি । তুমিও বাবা যখন ছিলো না, তখন মাঝে মাঝেই নিজের ফ্রেন্ডদের নিয়ে যেতে । ইউ ফরগোট দ্যাট? তৃতীয়ত……।” অয়ন ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো, “তৃতীয়ত? আমি তো আর কিছুই বলিনি!” নিশান হালকা হেসে বলল, “সেটাই তো রহস্য, যেটা তোমরা কাউকে বলো নি । কোম্পানির কাজ ছাড়াও তোমরা যে সেখানে একটা রহস্যের সমাধান করতে যাচ্ছো!” অয়ন বলল, “আস্তে! কেউ যেনো না জানে!”