পরিচয় পর্ব-৩২৮
পরিচয়(পর্ব-৩২৮)
(সিজন-১১: আত্মার সাক্ষাৎ)
(সিজন-১১: আত্মার সাক্ষাৎ)
“চয়নিকা এটা আমি!” মোটরসাইকেলে থেকে আওয়াজ এলো । কণ্ঠ চিনতে ভুল হলো না চয়নিকার । এটা সাবিত ভাই । চয়নিকা খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেলো । সাবিত কাছে এসে বলল, “পেছনে ওঠো ।” পেছনে উঠলো চয়নিকা । তারপর সাবিত চয়নিকাকে নিয়ে দূরে যেতে লাগলো । চয়নিকা জিজ্ঞেস করলো, “ভাই! তুমি কি করে আসলা!” সাবিত বলল, “ভাবলাম আমিও পালিয়ে যাই! সবাই যখন কাবু হয়েই গিয়েছে! আর এটা ওই দোকানদারের বাইক । তুমি দেখি ঝিকানা হয়ে গেলা! ও চোখে কলম ঢুকিয়ে দিয়েছো!” চয়নিকা বলল, “কি আর করবো ভাই! নিজেকে বাঁচানোর জন্য করেছি! এখন আমরা কোথায় যাচ্ছি!” সাবিত বলল, “আগে পুলিশ স্টেশন, তারপর আবিরের কাছে ।” চয়নিকা বলল, “আমি আমার বাচ্চা, আমার ভাইয়ের কাছে যাবো! ওরা ঠিক আছে কিনা সেটা জানা প্রয়োজন!” সাবিত বলল, “লাভ নেই! ওরা ওদেরও আটকে রেখেছে!” চয়নিকা কেদে উঠলো । সাবিত ওকে শান্তনা দিয়ে বলল, “কেঁদো না! সব ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ!”
এদিকে রিভুর মুখে সবটা শুনে আবির বলল, “ইয়া আল্লাহ! কত বোকা আমি! এতো সাংঘাতিক এক লোকের বাসায় ছিলাম আর আমি কিচ্ছু ধরতে পারিনি! নিজেকে নিয়ে একটু বেশি অহংকার করে ফেলেছি আমি! আমি গোয়েন্দা গ বা ফেলুদার ফ এরও যোগ্য না!” রিভু বলল, “শান্ত হ । এখন তুই কি করে বাচবি এটা তোর ব্যাপার ।” আবির বলল, “আরেকটা কথা জিজ্ঞেস করতে পারি?” রিভু বলল, “এটাই শেষ! আর কোন কথা জিজ্ঞেস করবি না!” আবির বলল, “তোর এখানে যেই আসে, তাকেই কি তুই মারিস নাকি?” রিভু বলল, “আমার এখানে কেউ আসে না! আমার সন্ধান তো কেউ জানে না! তুই এখানে এলি কি করে? এখানে কেউ তো আসেই না!” আবির বলল, “এক ফকির তোর সন্ধান দিয়েছে!” রিভু কপালে হাত রেখে বলল, “ফকিরটার ওপর দয়া করে বাসায় এনে খাইয়েছিলাম! ভেবেছিলাম বুড়ো মানুষ, আমার ঠিকানা মনে রাখবে না হয়তো । না! ঠিকই মনে আছে! আর তোকেও জুটিয়ে দিয়েছে আমার কপালে!” আবির তখন উঠে দাঁড়িয়ে বলল, “আমাকে বেরোতে হবে! আমার পরিবার বিপদে! এমনিতে তোর জন্য অনেক সময় নষ্ট হয়েছে!” বলে আবির বেড়িয়ে চলে গেলো ।
এদিকে পুলিশ স্টেশনে এলো চয়নিকা আর সাবিত । পুলিশকে বলল, “স্যার! একটা সাংঘাতিক ক্রাইমের ঘটনা জানাতে এসেছি! আমাদের সাথে প্লিজ তাড়াতাড়ি সেখানে চলুন! না হলে দেরি হয়ে যাবে!” একজন ওসি, নাম রুপম তাকেই সবটা বলল সাবিত, কিন্তু সাবিতের কথা শুনে ওসি রুপম ভ্রু কুঁচকে সাবিতের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো, “আপনি ছেলে না মেয়ে?” সাবিত তখন বোরখার কাপড় এক মুহূর্তে জন্য তুলে আবার নামিয়ে নিলো । ওই এক মুহূর্ত ওর চেহারা দেখেই চমকে উঠলো ওসি রুপম । তারপর বলল, “ঠিক আছে চলুন!” তারপর ওসি রুপম সাথে আর কিছু পুলিশ ফোর্স সাথে নিয়ে চয়নিকা আর সাবিতের সাথে রওনা হলো কাহরামানের আস্তানায় ।
এদিকে আবির রওনা হয়েছে রজব মোল্লার বাড়ির দিকে । ভ্যানে করে যাচ্ছিলো, সে সময় আবিরের কাছে একটা কল এলো অপুর । কল ধরতেই অপু বলল, “দোস্ত, একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেছে রে!” আবির জিজ্ঞেস করলো, “হায় আল্লাহ! কি বলিস! তোরা ঠিক আছিস তো?” অপু বলল, “আরে আমরা তো ঠিকই আছি, কিন্তু যমুনা সেতুর একপাশ ভেঙ্গে গেছে, ফলে এর ওপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ । আমাদের এখন অন্য পথ ধরে আসতে হবে কিন্তু তাতে আমাদের অনেক দেরি হবে! অনেক দেরি! কাল দুপুরেও পৌঁছতে পারবো কিনা সন্দেহ!” আবির বলল, “আচ্ছা, তোর যেটা ভালো মনে হয় কর ।” অপু বলল, “আর আমাদের স্যার একটু প্যারা দিচ্ছে রে! বলছেন ওখানকার স্থানীয় পুলিশের সাহায্য নিতে তোকে ।” আবির বলল, “ঠিক আছে, আমি না হয় তাই করবো ।” কল রাখলো আবির । তারপর মনে মনে বলল, “আজকে আমার ভাগ্যটাও খারাপ ।” সেই সময় মাগরিবের আজানের আওয়াজ কানে এলো আবিরের আবির ভ্যানওয়ালাকে বলল, “ভাই দাড়ান!” ভ্যানওয়ালা দাঁড়ালো । তারপর জিজ্ঞেস করলো, “কি হইলো ভাই, আফনে যা ঝিকানা যাইবেন!” আবির উনাকে টাকা দিয়ে বলল, “এখন না, পড়ে ।” ভ্যানওয়ালা টাকা নিয়ে চলে গেলো, আর আবির গেলো মসজিদে । তারপর নামাজ আদায় করলো । পশ্চিম দিকে তাকিয়ে দোয়া করলো, “হে আল্লাহ! বাচান আমাকে! বাচান আমার পরিবারকে!
এদিকে রাতের বেলা কাহরামানের সেই আস্তানায় এসে পৌঁছল চয়নিকা সাবিত আর পুলিশ ফোর্স । কিন্তু গর্তের নিচে নেই কাহরামান, আর বাকি যারা বোরখা পড়া ছিলো, তাদের প্রত্যেকের শরীর থেকে মাথা আলাদা করা ছিলো । এই দৃশ্য দেখে কিছু পুলিশ বমি করে দিলো । ওসি রুপম একজনকে ডেকে বলল, “এ্যাম্বুলেন্স কল করুন!” তারপর সাবিত আর চয়নিকাকে বলল, “আপনারা চিন্তা করবেন না! আত্মার সাক্ষাৎ ঘটানো এই কুচক্রের আস্তানার খোঁজ আমাদের ছিলো, আজ পেয়েও গেলাম । এখন ওদের ধরতে আমাদের আর বেশি সময় লাগবে না ।” চয়নিকা ওসি রুপমকে থ্যাংকস জানালো । সাবিত বলল, “চুনি! দেখেছো! আমি যদি এখানে থাকতাম তাহলে এদের একজনও এখন আমি হতাম!” চয়নিকা বলল, “আল্লাহ বাঁচিয়েছেন আপনাকে ভাই! এখন ভালোয় ভালোয় সবাই সুস্থভাবে পেলে হয়!”
আগামী পর্বেঃ
আবির দূর থেকে একটা সাদা পুরোন ঘর দেখতে পেলো । ঢুকে দেখলো, মাইশা আর অয়ন । দুজনের ঘুমোচ্ছে । ধীরে ধীরে ডাকল । “মাইশা! অয়ন! মাইশা! ওঠো!” দুজনে ধীরে ধীরে চোখ খুলল আবিরকে দেখে দুজনেই খুশি হয়ে গেলো । মাইশা বলল, “ভাই! আপনি এসেছেন!” বলে আবির ওদের হাতের বাঁধন খুলতে লাগলো । আবির মাইশা আর অয়নকে নিয়ে বেড়োতে যাবে, এমন সময় দেখলো, টর্চ নিয়ে একজন এদিকে আসছে ।
এদিকে রিভুর মুখে সবটা শুনে আবির বলল, “ইয়া আল্লাহ! কত বোকা আমি! এতো সাংঘাতিক এক লোকের বাসায় ছিলাম আর আমি কিচ্ছু ধরতে পারিনি! নিজেকে নিয়ে একটু বেশি অহংকার করে ফেলেছি আমি! আমি গোয়েন্দা গ বা ফেলুদার ফ এরও যোগ্য না!” রিভু বলল, “শান্ত হ । এখন তুই কি করে বাচবি এটা তোর ব্যাপার ।” আবির বলল, “আরেকটা কথা জিজ্ঞেস করতে পারি?” রিভু বলল, “এটাই শেষ! আর কোন কথা জিজ্ঞেস করবি না!” আবির বলল, “তোর এখানে যেই আসে, তাকেই কি তুই মারিস নাকি?” রিভু বলল, “আমার এখানে কেউ আসে না! আমার সন্ধান তো কেউ জানে না! তুই এখানে এলি কি করে? এখানে কেউ তো আসেই না!” আবির বলল, “এক ফকির তোর সন্ধান দিয়েছে!” রিভু কপালে হাত রেখে বলল, “ফকিরটার ওপর দয়া করে বাসায় এনে খাইয়েছিলাম! ভেবেছিলাম বুড়ো মানুষ, আমার ঠিকানা মনে রাখবে না হয়তো । না! ঠিকই মনে আছে! আর তোকেও জুটিয়ে দিয়েছে আমার কপালে!” আবির তখন উঠে দাঁড়িয়ে বলল, “আমাকে বেরোতে হবে! আমার পরিবার বিপদে! এমনিতে তোর জন্য অনেক সময় নষ্ট হয়েছে!” বলে আবির বেড়িয়ে চলে গেলো ।
এদিকে পুলিশ স্টেশনে এলো চয়নিকা আর সাবিত । পুলিশকে বলল, “স্যার! একটা সাংঘাতিক ক্রাইমের ঘটনা জানাতে এসেছি! আমাদের সাথে প্লিজ তাড়াতাড়ি সেখানে চলুন! না হলে দেরি হয়ে যাবে!” একজন ওসি, নাম রুপম তাকেই সবটা বলল সাবিত, কিন্তু সাবিতের কথা শুনে ওসি রুপম ভ্রু কুঁচকে সাবিতের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো, “আপনি ছেলে না মেয়ে?” সাবিত তখন বোরখার কাপড় এক মুহূর্তে জন্য তুলে আবার নামিয়ে নিলো । ওই এক মুহূর্ত ওর চেহারা দেখেই চমকে উঠলো ওসি রুপম । তারপর বলল, “ঠিক আছে চলুন!” তারপর ওসি রুপম সাথে আর কিছু পুলিশ ফোর্স সাথে নিয়ে চয়নিকা আর সাবিতের সাথে রওনা হলো কাহরামানের আস্তানায় ।
এদিকে আবির রওনা হয়েছে রজব মোল্লার বাড়ির দিকে । ভ্যানে করে যাচ্ছিলো, সে সময় আবিরের কাছে একটা কল এলো অপুর । কল ধরতেই অপু বলল, “দোস্ত, একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেছে রে!” আবির জিজ্ঞেস করলো, “হায় আল্লাহ! কি বলিস! তোরা ঠিক আছিস তো?” অপু বলল, “আরে আমরা তো ঠিকই আছি, কিন্তু যমুনা সেতুর একপাশ ভেঙ্গে গেছে, ফলে এর ওপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ । আমাদের এখন অন্য পথ ধরে আসতে হবে কিন্তু তাতে আমাদের অনেক দেরি হবে! অনেক দেরি! কাল দুপুরেও পৌঁছতে পারবো কিনা সন্দেহ!” আবির বলল, “আচ্ছা, তোর যেটা ভালো মনে হয় কর ।” অপু বলল, “আর আমাদের স্যার একটু প্যারা দিচ্ছে রে! বলছেন ওখানকার স্থানীয় পুলিশের সাহায্য নিতে তোকে ।” আবির বলল, “ঠিক আছে, আমি না হয় তাই করবো ।” কল রাখলো আবির । তারপর মনে মনে বলল, “আজকে আমার ভাগ্যটাও খারাপ ।” সেই সময় মাগরিবের আজানের আওয়াজ কানে এলো আবিরের আবির ভ্যানওয়ালাকে বলল, “ভাই দাড়ান!” ভ্যানওয়ালা দাঁড়ালো । তারপর জিজ্ঞেস করলো, “কি হইলো ভাই, আফনে যা ঝিকানা যাইবেন!” আবির উনাকে টাকা দিয়ে বলল, “এখন না, পড়ে ।” ভ্যানওয়ালা টাকা নিয়ে চলে গেলো, আর আবির গেলো মসজিদে । তারপর নামাজ আদায় করলো । পশ্চিম দিকে তাকিয়ে দোয়া করলো, “হে আল্লাহ! বাচান আমাকে! বাচান আমার পরিবারকে!
এদিকে রাতের বেলা কাহরামানের সেই আস্তানায় এসে পৌঁছল চয়নিকা সাবিত আর পুলিশ ফোর্স । কিন্তু গর্তের নিচে নেই কাহরামান, আর বাকি যারা বোরখা পড়া ছিলো, তাদের প্রত্যেকের শরীর থেকে মাথা আলাদা করা ছিলো । এই দৃশ্য দেখে কিছু পুলিশ বমি করে দিলো । ওসি রুপম একজনকে ডেকে বলল, “এ্যাম্বুলেন্স কল করুন!” তারপর সাবিত আর চয়নিকাকে বলল, “আপনারা চিন্তা করবেন না! আত্মার সাক্ষাৎ ঘটানো এই কুচক্রের আস্তানার খোঁজ আমাদের ছিলো, আজ পেয়েও গেলাম । এখন ওদের ধরতে আমাদের আর বেশি সময় লাগবে না ।” চয়নিকা ওসি রুপমকে থ্যাংকস জানালো । সাবিত বলল, “চুনি! দেখেছো! আমি যদি এখানে থাকতাম তাহলে এদের একজনও এখন আমি হতাম!” চয়নিকা বলল, “আল্লাহ বাঁচিয়েছেন আপনাকে ভাই! এখন ভালোয় ভালোয় সবাই সুস্থভাবে পেলে হয়!”
আগামী পর্বেঃ
আবির দূর থেকে একটা সাদা পুরোন ঘর দেখতে পেলো । ঢুকে দেখলো, মাইশা আর অয়ন । দুজনের ঘুমোচ্ছে । ধীরে ধীরে ডাকল । “মাইশা! অয়ন! মাইশা! ওঠো!” দুজনে ধীরে ধীরে চোখ খুলল আবিরকে দেখে দুজনেই খুশি হয়ে গেলো । মাইশা বলল, “ভাই! আপনি এসেছেন!” বলে আবির ওদের হাতের বাঁধন খুলতে লাগলো । আবির মাইশা আর অয়নকে নিয়ে বেড়োতে যাবে, এমন সময় দেখলো, টর্চ নিয়ে একজন এদিকে আসছে ।