পরিচয় পর্ব-৩২৩
পরিচয়(পর্ব-৩২৩)
(সিজন-১১: আত্মার সাক্ষাৎ)
(সিজন-১১: আত্মার সাক্ষাৎ)
আবির কিছু একটা করার কথা ভাবছিলো, কিন্তু এমন সময় ওর মোবাইলে একটা মেসেজ এলো । মোবাইলটা বের করলো আবির । দেখলো, অয়নের মেসেজ । লিখেছে, “ভাই! সাবিত ভাইকে কারা যেনো ধরে নিয়ে গেছে! আমি আর মাইশা রজব মোল্লার সাথে পুলিশ স্টেশনে যাচ্ছি! তুমিও ফ্রি থাকলে চলে এসো!” আবির ভয় পেয়ে গেলো । সে ভয়টা কেবলই সাবিতের জন্য না, ভয়টা জরিনা আর নিশানের জন্যও । কারণ ওরা ঘরে একা । আবির আর দেরি না করে রজব মোল্লার বাড়ির দিকে রওনা হলো ।
সিড়ি বেয়ে নিচে নামলো চয়নিকা । চয়নিকাকে দেখেই কাহরামান বলে উঠলো, “মুতলুওল! মুতলুওল!” চয়নিকার ঠোঁটের কোণে হালকা হাসি ফুটলো । বলল, “বাবা! আমার বোনের আত্মা কি সাড়া দিয়েছে?” কাহরামান বলল, ”হ্যাঁ! তা তো দেবারই ছিলো! কিন্তু আজ তোকে আমরা আত্মার কাছে নিয়ে যাবো ন!” চয়নিকার ঠোঁটের হাসি চলে গেলো । জিজ্ঞেস করলো, “কেনো?” কাহরামান তখন সবাই দিকে তাকিয়ে বলল, “বেনি ইয়ালনিজ বিরাক্কন!” এ কথার বাংলা “আমাকে একা থাকতে দাও!” কথা শুনে বোরখা পরিহিত সবাই চলে গেলো সেখান থেকে । কাহরামান চোখে মুখে একটা অদ্ভুত হাসি দিতে দিতে চয়নিকার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো । চয়নিকা ভয়ে ভয়ে বলতে লাগলো, “কি করছেন আপনি! দুরে যান!” কাহরামান বলল, “দুরে যাবো বলে তো কাছে আসছি না মামনি! আজ তো তোমাকে আমি স্পর্শ করবো! আর এটাই তো আমার কাজ!” চয়নিকা বলল, ”কি বলছেন এসব!” কাহরামান এগিয়ে এলো । চয়নিকার ব্যাগে তখন একটা মোটা সেফটিপিন ছিলো । কাহরামান যখন চয়নিকার দিকে হাত বাড়িয়ে দিলো, চয়নিকা সেই সেফটিপিনের পিনটা ঢাকনার ভেতর থেকে বের করে তা ঢুকিয়ে দিলো কাহরামানের ভুড়িতে । কাহরামান যখন ভুড়িতে নিজের হাত দিলো, চয়নিকা তখন সেখান থেকে বেড়িয়ে এলো । নক করলো, কিন্তু দরজা কেউ খুলল না । বোধহয় দোকানে কেউ কিছু কিনতে এসেছে । চয়নিকা অনেকক্ষণ ধরে নক করলো । কাহরামানও ততক্ষণে চলে এসেছে । চয়নিকার দু হাত পেছন থেকে ধরে কানের কাছে মুখ বাড়িয়ে হিংস্রতার সাথে বলল, “তুই যে দুঃসাহসটা দেখালি! এর ফল কি হতে চলেছে তুই নিজেও জানিস না!” ঠিক সেই সময় দোকানদার ঢাকনা খুলল । চয়নিকা আর কাহরামানকে একসাথে দেখলো । চয়নিকা বলল, “ভাই! আমাকে বাচান! ভাই! বাচান!” কিন্তু কি লাভ, দোকানদারও তো কাহরামানেরই লোক । কাহরামানের চোখের ইশারায় দোকানদার ঢাকনা লাগিয়ে চলে গেলো । কাহরামান চয়নিকাকে নিচে নামিয়ে বাকিদের ডেকে বলল, “প্রস্তুত করো একে!”
রজব মোল্লার বাড়ি এসে কাউকে দেখতে পেলো না আবির । খোকন, মিতু, নিশান, জরিনা কেউ নেই । রজব মোল্লার ঘরে গেলো আবির । তারপর আবির খাটের নিচ থেকে বের করলো সেই জিনিসটা, যেটা সে গতকাল পেয়েছে, একটা চামড়ার মুখোশ, যেটা পড়লে মানুষের এক চোখ নেই এমন মনে হবে, একটা শাড়ি, আর একটা প্লাস্টিকের হাত! আবির আফসোস করে বলল, “ঝিকানার চাইতেও হিংস্র লোকের ঘরে থেকেও আমি যে কেনো বুঝতে পারলাম না সবটা! এখন আমি কি করি!” আবির আশেপাশে তাকিয়ে কিছু একটা খুজতে লাগলো যা দেখে সে কিছু একটা ক্লু পেতে পারে । কিন্তু পেলো না । কারণ, এটা কেবল সিনেমাতেই হয়, বাস্তবে না । আবির রুম থেকে বেড়িয়ে সিড়ি দিয়ে নিচে নামতে যাবে, এমন সময় আওয়াজ পেলো মিতু আর খোকনের । সিড়ি বেয়ে ওরা ওপরে উঠছে । আবির সিড়ির পাশে একটা রুমের যেয়ে নিজেকে আড়াল করলো । সেটুকু সময়ে আবির শুনলো মিতু আর খোকনের কথোপকথন ।
“পিচ্চিডা ম্যালা শয়তান! ভালো মতো লিয়ে গেলি হয়!” বলল খোকন ।
“হ । আর ওই পিচ্চির মাওয়ের কি হইলো?” জিজ্ঞেস করলো মিতু ।
“ওর ব্যাবস্থা তোমার ভাই কইরা দেবেনে ।“ বলল খোকন । পরবর্তী কথাগুলো শুনতে পারলেও সেগুলো বুঝতে পারলো না আবির । ওরা একটু দুরে গেলে আবির উকি দিয়ে দেখলো, মিতু ছেলেদের পোশাক পড়ে আছে! অথচ এতক্ষণও সে মেয়েদের মতো করে কথা বলতে বলতেই যাচ্ছিলো! ওরা দৃষ্টির আড়ালে গেলে আবির বেড়িয়ে এলো । গাড়ির চাবিটা ও নিজের পকেটেই রেখেছিলো । সেটা নিয়ে গাড়ি চালিয়ে চলে গেলো আবির ।
“হ্যাঁ! এইহানে নামো ।” একটা নির্জন জঙ্গলের ভেতর ভ্যানওয়ালা দাড়ালে অয়ন আর মাইশাকে বলল রজব মোল্লা । মাইশা জিজ্ঞেস করলো, “এখানে পুলিশ স্টেশন কোথায়?” রজব মোল্লা কিছু না বলে কি একটা ইশারা করতেই বোরখা পরিহিত কিছু লোক চলে এলো এবং অয়ন আর মাইশার হাত পা বেধে ফেলল । অয়ন বলল, “দাদাই! কি হচ্ছে এসব!” রজব মোল্লা বলল, “এহনও বুঝো নাই? দুদু খাও নাহি তোমরা?” মাইশা বলল, “ছি দাদাই! আপনি এতো নির্লজ্জ! এতো খারাপ!” রজব মোল্লা বলল, “কও কও! আরও কও! কোন লাভ ”হইবো না!”
পুলিশ ষ্টেশনে আসতে হলে নদীর ধার দিয়ে আসতে হবে আবিরকে । সেদিক দিয়ে আসার সময় আবিরের নজরে এলো সেই মালবাহী জাহাজটা, যাতে করে দিয়ে যাওয়া হয় হারুন ব্যাটারি । সেই দুইটা নৌকা যাচ্ছে নদীর অন্য দিকে, ঠিক আগের বারের মতো । আবিরের জানতে ইচ্ছে হলো কোথায় যায় এই নৌকো? রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা এক মাঝিকে দেখতে পেলো আবির । সে বোধ হয় মাছ ধরে জাল থেকে মাছ ছাড়াচ্ছে । আবির তার কাছে যেয়ে জিজ্ঞেস করলো, “ভাই, একটু কথা বলতে পারি?” লোকটা বলল, “জি ভাই কন!” আবির বলল, “আচ্ছা ভাই, ওই যে মালবাহী জাহাজটা, ওর থেকে হারুন ব্যাটারি সব তো এদিকেই এলো, কিন্তু শেষের দিকেও ওই ৬-৭টা বাক্স ওদিকে গেলো কেনো?” লোকটা বলল, “তা তো কইতে পারি না ভাই?” আবির বলল, “আচ্ছা ওইদিকে কি আছে নদীর?” মাঝি বলল, “ও আল্লাহ! ওইদিক দিয়া নদীর একখান শাখা গেছে! ওইডা ঝিকানা গেরামে একখান বাড়ির দিক গেছে! ওইদিক আমি জীবনেও যাই নাই বাবা! ওইদিক ম্যালা ভয়ঙ্কর!”
আগামী পর্বেঃ
আবির সেখান থেকে একটু দূরে সরে এসে কল করলো অপুকে । এবারে কল ধরলো অপু । কল ধরতেই অপু অস্থিরভাবে বলল, “মাত্রই তোকে কল করতে যাচ্ছিলাম! কই পেয়েছিস এই গুড়ো?” আবির বলল, “ভাই! বিস্তারিত ফোনে বলা সম্ভব না! তুই আমাকে বল এগুলো কি?” অপু বলল, “এগুলো তো ভয়ানক মাদক দ্রব্য! এগুলো এলএসডি!” কথা শুনে আবিরের চোখ কপালে ওঠার মতো অবস্থা । এলএসডি!
সিড়ি বেয়ে নিচে নামলো চয়নিকা । চয়নিকাকে দেখেই কাহরামান বলে উঠলো, “মুতলুওল! মুতলুওল!” চয়নিকার ঠোঁটের কোণে হালকা হাসি ফুটলো । বলল, “বাবা! আমার বোনের আত্মা কি সাড়া দিয়েছে?” কাহরামান বলল, ”হ্যাঁ! তা তো দেবারই ছিলো! কিন্তু আজ তোকে আমরা আত্মার কাছে নিয়ে যাবো ন!” চয়নিকার ঠোঁটের হাসি চলে গেলো । জিজ্ঞেস করলো, “কেনো?” কাহরামান তখন সবাই দিকে তাকিয়ে বলল, “বেনি ইয়ালনিজ বিরাক্কন!” এ কথার বাংলা “আমাকে একা থাকতে দাও!” কথা শুনে বোরখা পরিহিত সবাই চলে গেলো সেখান থেকে । কাহরামান চোখে মুখে একটা অদ্ভুত হাসি দিতে দিতে চয়নিকার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো । চয়নিকা ভয়ে ভয়ে বলতে লাগলো, “কি করছেন আপনি! দুরে যান!” কাহরামান বলল, “দুরে যাবো বলে তো কাছে আসছি না মামনি! আজ তো তোমাকে আমি স্পর্শ করবো! আর এটাই তো আমার কাজ!” চয়নিকা বলল, ”কি বলছেন এসব!” কাহরামান এগিয়ে এলো । চয়নিকার ব্যাগে তখন একটা মোটা সেফটিপিন ছিলো । কাহরামান যখন চয়নিকার দিকে হাত বাড়িয়ে দিলো, চয়নিকা সেই সেফটিপিনের পিনটা ঢাকনার ভেতর থেকে বের করে তা ঢুকিয়ে দিলো কাহরামানের ভুড়িতে । কাহরামান যখন ভুড়িতে নিজের হাত দিলো, চয়নিকা তখন সেখান থেকে বেড়িয়ে এলো । নক করলো, কিন্তু দরজা কেউ খুলল না । বোধহয় দোকানে কেউ কিছু কিনতে এসেছে । চয়নিকা অনেকক্ষণ ধরে নক করলো । কাহরামানও ততক্ষণে চলে এসেছে । চয়নিকার দু হাত পেছন থেকে ধরে কানের কাছে মুখ বাড়িয়ে হিংস্রতার সাথে বলল, “তুই যে দুঃসাহসটা দেখালি! এর ফল কি হতে চলেছে তুই নিজেও জানিস না!” ঠিক সেই সময় দোকানদার ঢাকনা খুলল । চয়নিকা আর কাহরামানকে একসাথে দেখলো । চয়নিকা বলল, “ভাই! আমাকে বাচান! ভাই! বাচান!” কিন্তু কি লাভ, দোকানদারও তো কাহরামানেরই লোক । কাহরামানের চোখের ইশারায় দোকানদার ঢাকনা লাগিয়ে চলে গেলো । কাহরামান চয়নিকাকে নিচে নামিয়ে বাকিদের ডেকে বলল, “প্রস্তুত করো একে!”
রজব মোল্লার বাড়ি এসে কাউকে দেখতে পেলো না আবির । খোকন, মিতু, নিশান, জরিনা কেউ নেই । রজব মোল্লার ঘরে গেলো আবির । তারপর আবির খাটের নিচ থেকে বের করলো সেই জিনিসটা, যেটা সে গতকাল পেয়েছে, একটা চামড়ার মুখোশ, যেটা পড়লে মানুষের এক চোখ নেই এমন মনে হবে, একটা শাড়ি, আর একটা প্লাস্টিকের হাত! আবির আফসোস করে বলল, “ঝিকানার চাইতেও হিংস্র লোকের ঘরে থেকেও আমি যে কেনো বুঝতে পারলাম না সবটা! এখন আমি কি করি!” আবির আশেপাশে তাকিয়ে কিছু একটা খুজতে লাগলো যা দেখে সে কিছু একটা ক্লু পেতে পারে । কিন্তু পেলো না । কারণ, এটা কেবল সিনেমাতেই হয়, বাস্তবে না । আবির রুম থেকে বেড়িয়ে সিড়ি দিয়ে নিচে নামতে যাবে, এমন সময় আওয়াজ পেলো মিতু আর খোকনের । সিড়ি বেয়ে ওরা ওপরে উঠছে । আবির সিড়ির পাশে একটা রুমের যেয়ে নিজেকে আড়াল করলো । সেটুকু সময়ে আবির শুনলো মিতু আর খোকনের কথোপকথন ।
“পিচ্চিডা ম্যালা শয়তান! ভালো মতো লিয়ে গেলি হয়!” বলল খোকন ।
“হ । আর ওই পিচ্চির মাওয়ের কি হইলো?” জিজ্ঞেস করলো মিতু ।
“ওর ব্যাবস্থা তোমার ভাই কইরা দেবেনে ।“ বলল খোকন । পরবর্তী কথাগুলো শুনতে পারলেও সেগুলো বুঝতে পারলো না আবির । ওরা একটু দুরে গেলে আবির উকি দিয়ে দেখলো, মিতু ছেলেদের পোশাক পড়ে আছে! অথচ এতক্ষণও সে মেয়েদের মতো করে কথা বলতে বলতেই যাচ্ছিলো! ওরা দৃষ্টির আড়ালে গেলে আবির বেড়িয়ে এলো । গাড়ির চাবিটা ও নিজের পকেটেই রেখেছিলো । সেটা নিয়ে গাড়ি চালিয়ে চলে গেলো আবির ।
“হ্যাঁ! এইহানে নামো ।” একটা নির্জন জঙ্গলের ভেতর ভ্যানওয়ালা দাড়ালে অয়ন আর মাইশাকে বলল রজব মোল্লা । মাইশা জিজ্ঞেস করলো, “এখানে পুলিশ স্টেশন কোথায়?” রজব মোল্লা কিছু না বলে কি একটা ইশারা করতেই বোরখা পরিহিত কিছু লোক চলে এলো এবং অয়ন আর মাইশার হাত পা বেধে ফেলল । অয়ন বলল, “দাদাই! কি হচ্ছে এসব!” রজব মোল্লা বলল, “এহনও বুঝো নাই? দুদু খাও নাহি তোমরা?” মাইশা বলল, “ছি দাদাই! আপনি এতো নির্লজ্জ! এতো খারাপ!” রজব মোল্লা বলল, “কও কও! আরও কও! কোন লাভ ”হইবো না!”
পুলিশ ষ্টেশনে আসতে হলে নদীর ধার দিয়ে আসতে হবে আবিরকে । সেদিক দিয়ে আসার সময় আবিরের নজরে এলো সেই মালবাহী জাহাজটা, যাতে করে দিয়ে যাওয়া হয় হারুন ব্যাটারি । সেই দুইটা নৌকা যাচ্ছে নদীর অন্য দিকে, ঠিক আগের বারের মতো । আবিরের জানতে ইচ্ছে হলো কোথায় যায় এই নৌকো? রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা এক মাঝিকে দেখতে পেলো আবির । সে বোধ হয় মাছ ধরে জাল থেকে মাছ ছাড়াচ্ছে । আবির তার কাছে যেয়ে জিজ্ঞেস করলো, “ভাই, একটু কথা বলতে পারি?” লোকটা বলল, “জি ভাই কন!” আবির বলল, “আচ্ছা ভাই, ওই যে মালবাহী জাহাজটা, ওর থেকে হারুন ব্যাটারি সব তো এদিকেই এলো, কিন্তু শেষের দিকেও ওই ৬-৭টা বাক্স ওদিকে গেলো কেনো?” লোকটা বলল, “তা তো কইতে পারি না ভাই?” আবির বলল, “আচ্ছা ওইদিকে কি আছে নদীর?” মাঝি বলল, “ও আল্লাহ! ওইদিক দিয়া নদীর একখান শাখা গেছে! ওইডা ঝিকানা গেরামে একখান বাড়ির দিক গেছে! ওইদিক আমি জীবনেও যাই নাই বাবা! ওইদিক ম্যালা ভয়ঙ্কর!”
আগামী পর্বেঃ
আবির সেখান থেকে একটু দূরে সরে এসে কল করলো অপুকে । এবারে কল ধরলো অপু । কল ধরতেই অপু অস্থিরভাবে বলল, “মাত্রই তোকে কল করতে যাচ্ছিলাম! কই পেয়েছিস এই গুড়ো?” আবির বলল, “ভাই! বিস্তারিত ফোনে বলা সম্ভব না! তুই আমাকে বল এগুলো কি?” অপু বলল, “এগুলো তো ভয়ানক মাদক দ্রব্য! এগুলো এলএসডি!” কথা শুনে আবিরের চোখ কপালে ওঠার মতো অবস্থা । এলএসডি!