পরিচয়-৩২২
পরিচয়(পর্ব-৩২২)
(সিজন-১১: আত্মার সাক্ষাৎ)
(সিজন-১১: আত্মার সাক্ষাৎ)
“আসমু?” আবিরের দরজার কাছে এসে বলল জরিনা । আবির শুয়ে ছিলো, উঠে বসে বলল, “জি আপু! আসেন!” জরিনা ভেতরে এলো । জরিনার মন ভেঙ্গে আছে । আবির জিজ্ঞেস করলো, “কি হয়েছে আপু? আপনার মন খারাপ কেনো?” জরিনা বলল, “আইচ্ছা, রজব মোল্লা লোকডারে দেইহা কি মনে হয়, সে মাইয়া মানুষরে অশ্লীল কথাবার্তা কইতে পারে?” আবির বলল, “উম, কেনো?” জরিনা তখন খুলে বলল সবটা “আমি আর নিশান ভাইয়া বারান্দায় দাড়াইয়া আছিলাম । সেই সময় ওই কি সব আত্মার সাক্ষাতের কথা কইতেছিলো নিশান । আমি ওরে কইলাম এইগুলা কিছু হয় না, অথচ রজব মোল্লা লোকটা আইসা ওরে কইলো উনি নিশানরে দেহা করাইতে পারবো ওর মরা নানা নানির লগে । আমি নিশানরে রুমে পাঠাইয়া রজব মোল্লারে আদবের লগে কইলাম, ছোটো মানুশ্ম এইগুলা না কইতে, আর রজব মোল্লা আমারে একখান অশ্লীল গালি দিয়া কয়, আমি যেন বেশি কতা না কই!” আবির কথা শুনে অবাক হয়ে গেলো । কিছুক্ষণ চুপ থেকে আবির বলল, “আচ্ছা আপু, আমি রজব মোল্লা লোকটার সাথে কথা বলবো । এমনিতে এখানে আপনার আর কোন সমস্যা হচ্ছে না তো?” জরিনা বলল, “না, তয় আরেকখান কথা!” আবির জিজ্ঞেস করলো, “কি?” জরিনা বলল, “গতকাইল রাইতে আমি শুইয়া আছিলাম, সেই সময় চুনি আপা কি জানি আত্মার সাক্ষাতের কতা ঘুমের ঘোরে কইতাছিলো, এমন ছিলো মা! তোমারে কাইল দেখমু! মা! তোমাকে কাইল দেখমু!” আবির বলল, “হুম! সত্যিই এখানে এসে আমরা একটা অদ্ভুত প্যাচে পড়ে গেছি!” জরিনা জিজ্ঞেস করলো, “মানে?” আবির হালকা হাসিমুখে বলল, “চিন্তা করবেন না আপু, আমি সবটা সামনে নেবো । শুধু আপনার একটা সাহায্য লাগবে । করবেন?” জরিনা জিজ্ঞেস করলো, “কি?”
রাত ১২টার দিকের কথা । নিজের রুমে শুয়ে ছিলো সাবিত । এমন সময় দরজায় টোকা মারার আওয়াজ । সাবিত উঠে গিয়ে দরজা খুলে দেখলো, খোকন দাড়িয়ে । সাবিত জিজ্ঞেস করলো, “কি হয়েছে?” খোকন বলল, “রজব মোল্লা আপনেরে ডাকতেছে!” সাবিত খোকনের সাথে গেলো রজব মোল্লার রুমে ।
পরদিন সকালের কথা । চয়নিকা বেড়িয়েছে বান্ধবীর সাথে দেখে করতে । আবিরও বেড়িয়েছে কি একটা কাজে । বাসে উঠে রওনা হলো চয়নিকা পুটিয়া গ্রামের উদ্দেশ্যে । চয়নিকার সিটের দুই সিট পিছে বসে আছে বোরখা পড়া এক মহিলা । ঠিক মহিলা না, বোরখার আড়ালে রয়েছে একজন পুরুষ, সে আর কেউ না, আবির । গতকাল জরিনার কাছ থেকে এই বোরখাই চেয়েছিলো আবির । চয়নিকার পিছু নিয়ে দেখবে, কোথায় যায় চয়নিকা সেজন্য ।
বাগানে নিশান, জরিনা, অয়ন আর মাইশা । নিশান একটা আম খাচ্ছে । জরিনা গাছের দিকে তাকিয়ে আছে । মাইশা আর অয়ন একটু দুরে দাড়িয়ে গল্প করছে । মাইশা বলল, “আচ্ছা, আমাদের বিয়ে যদি এরকম একটা জায়গায় হতো!” অয়ন বলল, “না! এরকম বোলো না! বলো এরকম সুন্দর জায়গা! কারণ এই জায়গা দেখতেই সুন্দর, কিন্তু এর আড়ালে একটা অসুন্দর রহস্য আছে!” মাইশা বলল, “হুম, সেটাই তো । আচ্ছা, সকাল থেকে সাবিত ভাইকে দেখছি না! ব্যাপার কি?” অয়ন বলল, “কি জানি, এখনও কি ঘুমাচ্ছে?” মাইশা বলল, “এতোক্ষণ ঘুমোনোর কথা তো না । তুমি একটু দেখে আসো না!” অয়ন কিছু একটা বলতে যাবে এমন সময় “সর্বনাশ!” বলতে বলতে ওদের দিকেই আসতে লাগলো রজব মোল্লা । মাইশা জিজ্ঞেস করলো, “কি হয়েছে?” রজব মোল্লা বলল, “কেডা জানি ফোন দিছিলো! সাবিতরে কারা জানি কিডন্যাপ কইরা নিয়া গেছে!” সবার চোখেমুখে আতঙ্ক আর চিন্তার ছাপ । অয়ন অস্থির হয়ে বলে উঠলো, “কি! কিভাবে?” রজব মোল্লা বলল, “আমি কিচ্ছুই তো বুঝতে পারতেছি না! লোকজন ভরা বাড়ির মইধ্যে থেইকা লিয়ে যায় ক্যামনে!” মাইশা বলল, “আমাদের পুলিশ ষ্টেশনে যাওয়া উচিৎ!” রজব মোল্লা বলল, “হ! সেইডাই! আমি খোকনরে পাঠাইয়া দিছি ভ্যান ডাকতে!” একটু পর খোকন ভ্যান নিয়ে এলো । অয়ন বলল, “দাদাই, আমি যাবো আপনার সাথে ।” মাইশা বলল, “আমিও যাবো!” রজব মোল্লা বলল, “আইচ্ছা চলো!” যাবার ভ্যানে উঠতে উঠতে অয়ন জরিনাকে বলল, “আপু, সাবধানে থেকো!” জরিনা বলল, “আইচ্ছা ।” রজব মোল্লা থাকলে হয়তো জরিনা একটু ভয় পেতো, কিন্তু রজব মোল্লাও চলে যাচ্ছে দেখে একটু নিশ্চিন্ত হলো জরিনা । নিশানকে বলল, “চলো নিশান, আমরা ঘরে জাইগা!” এমন সময় জরিনা দেখলো, খোকন মুখটা কেমন বিকৃত করে পিশাচের মতো মুখে হাসি এনে জরিনার দিকে এগিয়ে আসছে । জরিনা, “কি করতাছেন!” বলে নিশানের সামনে দাঁড়িয়ে নিশানকে আড়াল করে দাড়ালো । কিন্তু পেছন থেকে কে যেনো নিশানকে কেড়ে নিলো । জরিনা পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখলো, আরেকটা অচেনা ভদ্রলোক নিশানকে কেড়ে নিয়েছে । একে জরিনা চেনে, এটা মিতু! তবে কি মিতু ছেলে! কিন্তু বেশিক্ষণ ভাবতে পারলো না জরিনা । হুট করে পেছন থেকে এসে ওর মুখে গামছা বেধে ওর দু হাত পা বেধে ফেললো খোকন । তারপর জরিনাকে কোলে তুলে খোকন আর মিতু নিশান আর জরিনাকে নিয়ে গেলো বাড়ির দিকে । নিশান বার বার চেচাচ্ছে, “ছাড়ো! ছাড়ো! লেট আস গো! হোয়াট ডু ইউ ওয়ান্ট? লেট আস গো!”
পুটিয়া গ্রামের সেই স্টেশনে এসে দাঁড়ালো বাস, যেখানে ঢালু বেয়ে নামলে সেই দোকান । চয়নিকার সাথে সাথে আবিরও নামলো । সেই দোকানের দিকে গেলো । চয়নিকা দোকানের সামনে গেলেও আবির সামনে গেলো না । আড়াল থেকে শুনলো । চয়নিকা যেয়ে বলল, “মুতলুওল!” দোকানদার বলল, “হ আসেন ভেতরে!”
আগামী পর্বেঃ
কাহরামান তখন সবাই দিকে তাকিয়ে বলল, “বেনি ইয়ালনিজ বিরাক্কন!” এ কথার বাংলা “আমাকে একা থাকতে দাও!” কথা শুনে বোরখা পরিহিত সবাই চলে গেলো সেখান থেকে । কাহরামান চোখে মুখে একটা অদ্ভুত হাসি দিতে দিতে চয়নিকার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো । চয়নিকা ভয়ে ভয়ে বলতে লাগলো, “কি করছেন আপনি! দুরে যান!” কাহরামান বলল, “দুরে যাবো বলে তো কাছে আসছি না মামনি! আজ তো তোমাকে আমি স্পর্শ করবো! আর এটাই তো আমার কাজ!”
রাত ১২টার দিকের কথা । নিজের রুমে শুয়ে ছিলো সাবিত । এমন সময় দরজায় টোকা মারার আওয়াজ । সাবিত উঠে গিয়ে দরজা খুলে দেখলো, খোকন দাড়িয়ে । সাবিত জিজ্ঞেস করলো, “কি হয়েছে?” খোকন বলল, “রজব মোল্লা আপনেরে ডাকতেছে!” সাবিত খোকনের সাথে গেলো রজব মোল্লার রুমে ।
পরদিন সকালের কথা । চয়নিকা বেড়িয়েছে বান্ধবীর সাথে দেখে করতে । আবিরও বেড়িয়েছে কি একটা কাজে । বাসে উঠে রওনা হলো চয়নিকা পুটিয়া গ্রামের উদ্দেশ্যে । চয়নিকার সিটের দুই সিট পিছে বসে আছে বোরখা পড়া এক মহিলা । ঠিক মহিলা না, বোরখার আড়ালে রয়েছে একজন পুরুষ, সে আর কেউ না, আবির । গতকাল জরিনার কাছ থেকে এই বোরখাই চেয়েছিলো আবির । চয়নিকার পিছু নিয়ে দেখবে, কোথায় যায় চয়নিকা সেজন্য ।
বাগানে নিশান, জরিনা, অয়ন আর মাইশা । নিশান একটা আম খাচ্ছে । জরিনা গাছের দিকে তাকিয়ে আছে । মাইশা আর অয়ন একটু দুরে দাড়িয়ে গল্প করছে । মাইশা বলল, “আচ্ছা, আমাদের বিয়ে যদি এরকম একটা জায়গায় হতো!” অয়ন বলল, “না! এরকম বোলো না! বলো এরকম সুন্দর জায়গা! কারণ এই জায়গা দেখতেই সুন্দর, কিন্তু এর আড়ালে একটা অসুন্দর রহস্য আছে!” মাইশা বলল, “হুম, সেটাই তো । আচ্ছা, সকাল থেকে সাবিত ভাইকে দেখছি না! ব্যাপার কি?” অয়ন বলল, “কি জানি, এখনও কি ঘুমাচ্ছে?” মাইশা বলল, “এতোক্ষণ ঘুমোনোর কথা তো না । তুমি একটু দেখে আসো না!” অয়ন কিছু একটা বলতে যাবে এমন সময় “সর্বনাশ!” বলতে বলতে ওদের দিকেই আসতে লাগলো রজব মোল্লা । মাইশা জিজ্ঞেস করলো, “কি হয়েছে?” রজব মোল্লা বলল, “কেডা জানি ফোন দিছিলো! সাবিতরে কারা জানি কিডন্যাপ কইরা নিয়া গেছে!” সবার চোখেমুখে আতঙ্ক আর চিন্তার ছাপ । অয়ন অস্থির হয়ে বলে উঠলো, “কি! কিভাবে?” রজব মোল্লা বলল, “আমি কিচ্ছুই তো বুঝতে পারতেছি না! লোকজন ভরা বাড়ির মইধ্যে থেইকা লিয়ে যায় ক্যামনে!” মাইশা বলল, “আমাদের পুলিশ ষ্টেশনে যাওয়া উচিৎ!” রজব মোল্লা বলল, “হ! সেইডাই! আমি খোকনরে পাঠাইয়া দিছি ভ্যান ডাকতে!” একটু পর খোকন ভ্যান নিয়ে এলো । অয়ন বলল, “দাদাই, আমি যাবো আপনার সাথে ।” মাইশা বলল, “আমিও যাবো!” রজব মোল্লা বলল, “আইচ্ছা চলো!” যাবার ভ্যানে উঠতে উঠতে অয়ন জরিনাকে বলল, “আপু, সাবধানে থেকো!” জরিনা বলল, “আইচ্ছা ।” রজব মোল্লা থাকলে হয়তো জরিনা একটু ভয় পেতো, কিন্তু রজব মোল্লাও চলে যাচ্ছে দেখে একটু নিশ্চিন্ত হলো জরিনা । নিশানকে বলল, “চলো নিশান, আমরা ঘরে জাইগা!” এমন সময় জরিনা দেখলো, খোকন মুখটা কেমন বিকৃত করে পিশাচের মতো মুখে হাসি এনে জরিনার দিকে এগিয়ে আসছে । জরিনা, “কি করতাছেন!” বলে নিশানের সামনে দাঁড়িয়ে নিশানকে আড়াল করে দাড়ালো । কিন্তু পেছন থেকে কে যেনো নিশানকে কেড়ে নিলো । জরিনা পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখলো, আরেকটা অচেনা ভদ্রলোক নিশানকে কেড়ে নিয়েছে । একে জরিনা চেনে, এটা মিতু! তবে কি মিতু ছেলে! কিন্তু বেশিক্ষণ ভাবতে পারলো না জরিনা । হুট করে পেছন থেকে এসে ওর মুখে গামছা বেধে ওর দু হাত পা বেধে ফেললো খোকন । তারপর জরিনাকে কোলে তুলে খোকন আর মিতু নিশান আর জরিনাকে নিয়ে গেলো বাড়ির দিকে । নিশান বার বার চেচাচ্ছে, “ছাড়ো! ছাড়ো! লেট আস গো! হোয়াট ডু ইউ ওয়ান্ট? লেট আস গো!”
পুটিয়া গ্রামের সেই স্টেশনে এসে দাঁড়ালো বাস, যেখানে ঢালু বেয়ে নামলে সেই দোকান । চয়নিকার সাথে সাথে আবিরও নামলো । সেই দোকানের দিকে গেলো । চয়নিকা দোকানের সামনে গেলেও আবির সামনে গেলো না । আড়াল থেকে শুনলো । চয়নিকা যেয়ে বলল, “মুতলুওল!” দোকানদার বলল, “হ আসেন ভেতরে!”
আগামী পর্বেঃ
কাহরামান তখন সবাই দিকে তাকিয়ে বলল, “বেনি ইয়ালনিজ বিরাক্কন!” এ কথার বাংলা “আমাকে একা থাকতে দাও!” কথা শুনে বোরখা পরিহিত সবাই চলে গেলো সেখান থেকে । কাহরামান চোখে মুখে একটা অদ্ভুত হাসি দিতে দিতে চয়নিকার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো । চয়নিকা ভয়ে ভয়ে বলতে লাগলো, “কি করছেন আপনি! দুরে যান!” কাহরামান বলল, “দুরে যাবো বলে তো কাছে আসছি না মামনি! আজ তো তোমাকে আমি স্পর্শ করবো! আর এটাই তো আমার কাজ!”