লাভ ডট কম (পর্ব-৮)

লাভ ডট কম (পর্ব-৮)
সোহান হেলমেট পড়ে গ্যারেজের দিকে এলো । হোস্টেলে আসতেই ইকবাল আর সাকিব দুজনেই সোহানকে জড়িয়ে ধরে ক্ষমা চাইলো আগের দিনের কাজের জন্য । ইকবাল বলল, “সরি ভাই! কিছু মনে করিস না! ভুল হইয়া গেছে ।” সাকিবও বলল, “সরি রে, মাইন্ড করিস না ।” সোহান বলল, “আরে ব্যাপার না, বন্ধুত্বের মাঝে এরকম একটু আধটু ঘটেই ।” তারপর সোহান টেবিলে যেয়ে বসতেই দেখল, ওর লাভ ডট কম গল্পের খাতাটা টেবিলে পড়ে আছে । সোহান সাকিব আর ইকবালের দিকে ঘুরে তাকাল । সোহান কেন তাকিয়েছে, তা বুঝতে পেরে সাকিব বলল, “সরি ফর দ্যাট টু, আসলে আমি আর ইকবাল একটু দেখছিলাম । ভালোই লিখেছিস, নতুন একটা ওয়েবসাইডও অ্যাড করেছিস দেখছি গল্পে, যা তোর জীবনে নেই । প্রেম ।” সোহান একটু হেসে বলল, “হুম । কেন, বাহুবালির ডিরেক্টর তো আর বাহুবালি ছিলেন না, তেমনি আমার জীবনেও তো প্রেম নেই । তাই বলে বানাতে বা লিখতে তো অসুবিধা নেই ।” ইকবাল তখন বলল, “কিন্তু প্রেমটা গড়তে কিন্তু খুব কষ্ট হয় ।” সোহান একটা হতাশার দম ফেলল ।
বিকেলের দিকে সোহান ঊর্মির সাহায্যে রাইসাকে ক্যাফেতে আনলো সোহান । তারপর ঊর্মি কিছুক্ষণ রাইসার সাথে কথা বলল । রাইসা জিজ্ঞেস করলো, “তুমি আমাকে এখানে আনলে কেন? কি বলার ছিল বলো, আমার তাড়া আছে ।” ঊর্মি একটু হেসে বলল, “হ্যাঁ বলবো । তোমাকে কয়েকটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করবো ।” রাইসা হালকা বিরক্তের সাথেই বলল, “কি জিজ্ঞেস করবে করো ।”
- “তোমার রাগ হলে কি করো?” জিজ্ঞেস করলো ঊর্মি ।
- “এ আবার কেমন প্রশ্ন!” ভ্রু কুঁচকে ঊর্মির দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো রাইসা ।
- “আহ! যা বলছি, তাই জবাব দাও না!”
- “কিছুই না, জিনিস ভাংচুর করি ।” আবারো বিরক্তের সাথে জবাব দিলো রাইসা ।
- “তারপর, ধরো আমি তোমার বোন, অনেক বড় একটা ভুল করে ফেললাম আমি, তুমি কি করবে?”
রাইসা বিরক্ত হয়ে মোবাইলে টাইমটা চেক করলো । তারপর জবাব দিলো, “কিছুই না, কিছুদিন রাগ করে থাকবো, পড়ে ঠিক হয়ে যাবে ।”
- “হুম, গুড । এবার বলো, আমি যদি তোমার বয়ফ্রেন্ডের মোবাইল দিয়ে তোমাকে গালিগালাজ করি, তোমার কেমন লাগবে?” প্রশ্ন করলো ঊর্মি । রাইসা ঊর্মির দিকে তাকিয়ে বলল, “এই তুমি কে বলতো! কখন থেকে এসব উল্টোপাল্টা প্রশ্ন করে যাচ্ছো! মতলব কি তোমার?”
- “আর একটু ওয়েট করো, সবটা জানতে পারবে । এবার জবাবটা দাও ।”
- “কিছুই না, শুধু তোমার সাথে আমি মিশবো না!” জবাব দিলো রাইসা ।
- “তোমার বয়ফ্রেন্ডকে কিছু বলবে না?” জিজ্ঞেস করলো ঊর্মি । রাইসা বিরক্ত হয়ে জবাব দিলো, “করেছো তো তুমি! তাহলে বয়ফ্রেন্ডকে কেন কিছু বলবো?
এমন সময় ইকবাল আর সোহান এলো রাইসার সামনে । সোহান এসেই বলল, “তাহলে কেন ওর সাথে কথা বলছো না!” রাইসা উঠে দাঁড়ালো । ঊর্মি উঠে রাইসার পাশে যেয়ে বলল, “আর রাগ কোরো না । তুমি জানো, ও আজকে ফাসি দিতে যাচ্ছিলো তোমার জন্য!” রাইসা কাঁদো কাঁদো হয়ে ইকবালের কাছে যেয়ে বলল, “হায় আল্লাহ! কি ইকবাল! কি এসব!” ইকবাল মাথা নিচু করে বলল, “তোমাকে ছাড়া আমার বেঁচে থেকে কি লাভ ।” ইকবাল আর রাইসা যখন কথা বলায় ব্যাস্ত, তখন সোহান গেলো ঊর্মির কাছে । ফিসফিস করে ঊর্মিকে বলল, “ও আবার কখন ফাসি দিলো!” ঊর্মি বলল, “আরে, এসব ব্রেকআপ রোগ সারানোর ওষুধ!” সোহান বলল, “ও আচ্ছা । আমার মনে হয় কি, এদের একটু একা ছাড়া উচিৎ । কি বলো?”
- “আমাদেরও একটু এখন একা হয়ে যাওয়া উচিৎ, কি বলো?” সোহানের দিকে তাকিয়ে বলল ঊর্মি । সোহান ঊর্মির কথা শুনে ঘাবড়ে গেলো । মেয়েটা এতো রোমান্টিক কথা বলে না, যে সোহান নিজেই কনফিউসড, মেয়েটা সোহানের প্রেমে পড়েছে নাকি পড়ে নি । ঊর্মি রাইসাকে বলল, “আচ্ছা, তোমরা কথা বলো তাহলে, আমরা যাই!” রাইসা ডানে মাথা কাত করলো । যাবার সময় সোহান ইকবালকে চিমটি কেটে ফিসফিসিয়ে বলল, “চালিয়ে যা মামা!” সোহান আর ঊর্মি চলে গেলে ইকবাল আর রাইসা টেবিলে বসে পড়লো । ইকবাল বলল, “সরি!” রাইসা বলল, “সরি তুমি বলবে কেন? যার বলার কথা সেই তো বলল না! কি বদমাইশ!” ইকবাল একটু দম ফেলে বলল, “আচ্ছা, বাদ দাও । তারপর বলো, তোমার কি খবর মহীয়সী!”
- “তোমাকে অনেক মিস করছিলাম ।” বলল রাইসা ।
- “আমিও । তোমার গলার আওয়াজ না শুনতে পেয়ে প্রায় অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলাম ।” বলল ইকবাল ।
- “ঠিক আছে, আজ আমরা তাহলে সারারাত একসাথে কাটাবো । রাত ১২টা-১টা পর্যন্ত ।
এদিকে ঊর্মির একই প্রশ্নের জবাবে অবাক হয়ে সোহান বলল, “রাত ১২টা! আর ইউ ক্রেইজি! কাল ক্লাস আছে! তারপর এতো দেরি করে বাইরে আমাদের দেখলে পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে ।” দুজনে বসে রমনা পার্কে কথা বলছিল । ঊর্মি বলল, “আচ্ছা, একসাথে আজ অনেকটা রাত কাটাই?”
- “ঠিক আছে ।” জবাব দিলো সোহান ।
আগামী পর্বেঃ
সোহান উঠে বসলো । জিজ্ঞেস করলো, “কয়টা বাজে?” ছেলেটা বলল, “১২ টার বেশি বাজে মামা ।” সোহান একটা হাই তুলে জিজ্ঞেস করলো, “তুই কে?” - “টোকাই মামা, দিনের বেলায় লোকজন যা ফালায় থুইয়া যায়, রাইতে সেইগুলা কুড়াইয়া নিয়া যাই । আপ্নেরে দেখলাম শুইয়া আছেন তাই ডাকলাম ।” জবাব দিলো ছেলেটা । সোহান কিছু বলল না । ছেলেটা তখন জিজ্ঞেস করলো, “মামার কি শত্রু আছে?” সোহান ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বলল, “কেন?” ছেলেটা বলল, “জানি না, তয় খেয়াল করতেছিলাম, কেডায় জানি আপনেরে আড়াল থেইকা দেখতেছিল ।”
বিকেলের দিকে সোহান ঊর্মির সাহায্যে রাইসাকে ক্যাফেতে আনলো সোহান । তারপর ঊর্মি কিছুক্ষণ রাইসার সাথে কথা বলল । রাইসা জিজ্ঞেস করলো, “তুমি আমাকে এখানে আনলে কেন? কি বলার ছিল বলো, আমার তাড়া আছে ।” ঊর্মি একটু হেসে বলল, “হ্যাঁ বলবো । তোমাকে কয়েকটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করবো ।” রাইসা হালকা বিরক্তের সাথেই বলল, “কি জিজ্ঞেস করবে করো ।”
- “তোমার রাগ হলে কি করো?” জিজ্ঞেস করলো ঊর্মি ।
- “এ আবার কেমন প্রশ্ন!” ভ্রু কুঁচকে ঊর্মির দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো রাইসা ।
- “আহ! যা বলছি, তাই জবাব দাও না!”
- “কিছুই না, জিনিস ভাংচুর করি ।” আবারো বিরক্তের সাথে জবাব দিলো রাইসা ।
- “তারপর, ধরো আমি তোমার বোন, অনেক বড় একটা ভুল করে ফেললাম আমি, তুমি কি করবে?”
রাইসা বিরক্ত হয়ে মোবাইলে টাইমটা চেক করলো । তারপর জবাব দিলো, “কিছুই না, কিছুদিন রাগ করে থাকবো, পড়ে ঠিক হয়ে যাবে ।”
- “হুম, গুড । এবার বলো, আমি যদি তোমার বয়ফ্রেন্ডের মোবাইল দিয়ে তোমাকে গালিগালাজ করি, তোমার কেমন লাগবে?” প্রশ্ন করলো ঊর্মি । রাইসা ঊর্মির দিকে তাকিয়ে বলল, “এই তুমি কে বলতো! কখন থেকে এসব উল্টোপাল্টা প্রশ্ন করে যাচ্ছো! মতলব কি তোমার?”
- “আর একটু ওয়েট করো, সবটা জানতে পারবে । এবার জবাবটা দাও ।”
- “কিছুই না, শুধু তোমার সাথে আমি মিশবো না!” জবাব দিলো রাইসা ।
- “তোমার বয়ফ্রেন্ডকে কিছু বলবে না?” জিজ্ঞেস করলো ঊর্মি । রাইসা বিরক্ত হয়ে জবাব দিলো, “করেছো তো তুমি! তাহলে বয়ফ্রেন্ডকে কেন কিছু বলবো?
এমন সময় ইকবাল আর সোহান এলো রাইসার সামনে । সোহান এসেই বলল, “তাহলে কেন ওর সাথে কথা বলছো না!” রাইসা উঠে দাঁড়ালো । ঊর্মি উঠে রাইসার পাশে যেয়ে বলল, “আর রাগ কোরো না । তুমি জানো, ও আজকে ফাসি দিতে যাচ্ছিলো তোমার জন্য!” রাইসা কাঁদো কাঁদো হয়ে ইকবালের কাছে যেয়ে বলল, “হায় আল্লাহ! কি ইকবাল! কি এসব!” ইকবাল মাথা নিচু করে বলল, “তোমাকে ছাড়া আমার বেঁচে থেকে কি লাভ ।” ইকবাল আর রাইসা যখন কথা বলায় ব্যাস্ত, তখন সোহান গেলো ঊর্মির কাছে । ফিসফিস করে ঊর্মিকে বলল, “ও আবার কখন ফাসি দিলো!” ঊর্মি বলল, “আরে, এসব ব্রেকআপ রোগ সারানোর ওষুধ!” সোহান বলল, “ও আচ্ছা । আমার মনে হয় কি, এদের একটু একা ছাড়া উচিৎ । কি বলো?”
- “আমাদেরও একটু এখন একা হয়ে যাওয়া উচিৎ, কি বলো?” সোহানের দিকে তাকিয়ে বলল ঊর্মি । সোহান ঊর্মির কথা শুনে ঘাবড়ে গেলো । মেয়েটা এতো রোমান্টিক কথা বলে না, যে সোহান নিজেই কনফিউসড, মেয়েটা সোহানের প্রেমে পড়েছে নাকি পড়ে নি । ঊর্মি রাইসাকে বলল, “আচ্ছা, তোমরা কথা বলো তাহলে, আমরা যাই!” রাইসা ডানে মাথা কাত করলো । যাবার সময় সোহান ইকবালকে চিমটি কেটে ফিসফিসিয়ে বলল, “চালিয়ে যা মামা!” সোহান আর ঊর্মি চলে গেলে ইকবাল আর রাইসা টেবিলে বসে পড়লো । ইকবাল বলল, “সরি!” রাইসা বলল, “সরি তুমি বলবে কেন? যার বলার কথা সেই তো বলল না! কি বদমাইশ!” ইকবাল একটু দম ফেলে বলল, “আচ্ছা, বাদ দাও । তারপর বলো, তোমার কি খবর মহীয়সী!”
- “তোমাকে অনেক মিস করছিলাম ।” বলল রাইসা ।
- “আমিও । তোমার গলার আওয়াজ না শুনতে পেয়ে প্রায় অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলাম ।” বলল ইকবাল ।
- “ঠিক আছে, আজ আমরা তাহলে সারারাত একসাথে কাটাবো । রাত ১২টা-১টা পর্যন্ত ।
এদিকে ঊর্মির একই প্রশ্নের জবাবে অবাক হয়ে সোহান বলল, “রাত ১২টা! আর ইউ ক্রেইজি! কাল ক্লাস আছে! তারপর এতো দেরি করে বাইরে আমাদের দেখলে পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে ।” দুজনে বসে রমনা পার্কে কথা বলছিল । ঊর্মি বলল, “আচ্ছা, একসাথে আজ অনেকটা রাত কাটাই?”
- “ঠিক আছে ।” জবাব দিলো সোহান ।
আগামী পর্বেঃ
সোহান উঠে বসলো । জিজ্ঞেস করলো, “কয়টা বাজে?” ছেলেটা বলল, “১২ টার বেশি বাজে মামা ।” সোহান একটা হাই তুলে জিজ্ঞেস করলো, “তুই কে?” - “টোকাই মামা, দিনের বেলায় লোকজন যা ফালায় থুইয়া যায়, রাইতে সেইগুলা কুড়াইয়া নিয়া যাই । আপ্নেরে দেখলাম শুইয়া আছেন তাই ডাকলাম ।” জবাব দিলো ছেলেটা । সোহান কিছু বলল না । ছেলেটা তখন জিজ্ঞেস করলো, “মামার কি শত্রু আছে?” সোহান ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বলল, “কেন?” ছেলেটা বলল, “জানি না, তয় খেয়াল করতেছিলাম, কেডায় জানি আপনেরে আড়াল থেইকা দেখতেছিল ।”