0 %

Thanks a lot for being with us!
We are re-constructing our website!
Sorry for this temporary inconvenience
We are coming to you with a fresh look and design from 1 January 2022!
Till then! Stay connected!

লাভ ডট কম (পর্ব-৫)

লাভ ডট কম (পর্ব-৫)
দুজনে হাঁটতে হাঁটতে গল্প করতে লাগলো ।
এদেরকে একটু একা ছেড়ে দেই, দেখে আসি সাকিব আর ইকবালকে । সাকিব ক্লাস শেষ হবার পরও বেড়িয়ে এলো ইকবালের সাথে । তখনই দেখল সুমি দরজার সামনে দাড়িয়ে । সাকিব বলল, “দোস্ত, তুই যা তাইলে ।” ইকবাল কিন্তু গেলো না । সাকিব চলে গেলে অপেক্ষা করলো অপেক্ষা করলো রাইসার । রাইসা ওদেরই সেকশনে । “তারপর বলো , এই পরের সেমিস্টারেও এক সেকশনে আমাকে না পেলে কি হবে?”- সুমির প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলল, “উম, ভেবে দেখা যাবে তখন ।” সুমি আর সাকিব পুকুর পাড়ে একটা বটতলার চারপাশে ঘেরাও দেয়া ইটের ওপর বসে । এই যায়গাটা বটতলার চেয়ে প্রেমতলা নামেই বেশি পরিচিত । কারণ সব কাপলরা এই বটতলাতেই বেশিরভাগ সময় কাটায় । একেকজনের একেক ধরণ । কেউ কাঁধে মাথা রেখে প্রেম করে, কাউ হাতে হাত ধরে । কেউ আবার কথার মাঝে মারামারিও করে, জানা নেই বিয়ের পর এদের হাল কি হবে । সাকিব আর সুমির প্রেমটা আবার অন্যরকম । বেশিরভাগ দিনই ও সুমির সাথে এখানে পড়াশুনো করে । তবে আজ সেই বেশিরভাগ দিনের একটি নয় । আজ ওদের অনলি রোমান্স করার দিন । সুমি বলল, “আচ্ছা তুমি কি জেসিকে দেখেছো?” সাকিব জিজ্ঞেস করলো, “কোন জেসি? সোহানকে পছন্দ করে যে মেয়েটা?”
- “হ্যাঁ ” বলল সুমি ।
- “আমি ওকে দেখে কি করবো? আমি তো শুধু তোমাকে দেখি ।”
হেসে উঠলো সুমি । তারপর বলল, “ঢং, ক্লাসে কতো মেয়েকেই তো দ্যাখো ।” বলেই সুমি সাকিবের কাঁধে মাথা রাখল ।
- “তা হঠাৎ সুমির প্রসঙ্গ এলো কেন?”
- “আরে, ও তো প্রায়ই আমাদের সাথে কথা বলতো সোহানের ব্যাপারে জানতে চাইতো, কাল থেকে কেন যেন আর আসে না ।” বলল সুমি
- “ও, হয়তো সোহানকে ছেড়ে অন্য কাউকে ধরেছে ।”
- “আরে না, তা কেন হবে । ও তো সোহানের জন্য পাগল ছিল ।”
- “কি জানি, মেয়েদের কথাবার্তার তো কোন ঠিক ঠিকানা নেই ।” ইয়ার্কি করে বলল সাকিব ।
সুমি সাকিবের কাঁধ থেকে মাথা সরিয়ে রাগি দৃষ্টিতে সাকিবের দিকে তাকিয়ে মেজাজি গলায় বলল, “কি বললা তুমি!”
সাকিব হেসে বলল, “আরে, তোমাকে বলি নি । আমার বেবিটাতো সবার থেকে ডিফারেন্ট ।” সুমি খুশিতে গদ গদ হয়ে উঠলো । তারপর সাকিবের হাত ধরে সাকিবের কাঁধে মাথা রাখল । বলল, “আচ্ছা তোমার এই সোহান বন্ধুটা এমন কেন?”
“এমন কেন তা আমি কি করে বলবো?” বলে উঠলো ইকবাল । ওরা গিয়েছে রমনা পার্কে । বিস্ববিদ্যালয় থেকে খুব বেশি দূরে না । ওদেরও একই টপিক, জেসি আসছে না, তবে কি জেসি সোহানকে ছেড়ে দিলো নাকি । রাইসা আবার প্রশ্ন করলো, “তোমার এই ফ্রেন্ডটার মধ্যে কোন রস কস নাই ।”
- “কে বলছে? আমাদের সাথে তো ভালোভাবেই মেশে ।”
রাইসা বলল, “আচ্ছা, ছেলেটার কোন সমস্যা নাই তো?”
- “সমস্যা মানে?” প্রশ্ন করলো ইকবাল ।
- “মানে ও আবার গে না তো?”-প্রশ্ন করলো রাইসা ।
ওদিকে সুমিরও একই প্রশ্নে অট্টহাসি হেসে উঠলো সাকিব । তারপর বলল, “আরে না, কি সব যে বলো না । না ও ওরকম না মোটেও ।”
- “তারপরও সাবধানে থেকো । এ যুগে কতো অদ্ভুত জিনিস দেখি বাবা!”-একপ্রকার সোহানের প্রতি বিরক্ত প্রকাশ করেই কথাটা বলল সুমি ।
- “আচ্ছা বাদ দাও তো এসব উল্টো পাল্টা কথা । রোমান্সের কথায় আসো ।”
ইকবালের একই কথায় ইকবালের কাঁধে মাথা রাখল রাইসা । বলল, “আচ্ছা যাও বাদ দিলাম । আচ্ছা তুমি আমাকে বিয়ে কবে করবে?”
এবার আসি সোহানের কাছে । ওদের মধ্যে এখনও সম্পর্কটা সেরকম গভীরে যায়নি । দুজনে একটা মাটিতে চিত হয়ে পড়ে থাকা নারকেল গাছের ডালের ওপর বসলো । দুজনের মধ্যে দূরত্ব প্রায় ১ হাত । ঊর্মি সোহানকে বলল, “আচ্ছা, এই নারকেল গাছটার কি হয়েছিলো? আগের সেমিস্টারেও তো দেখেছিলাম ।”
- “ঝড়ে পড়ে গেছে সপ্তাহ দুয়েক আগে ।”- জবাব দিলো সোহান
- “ও । আচ্ছা ।”
- “একটা প্রশ্ন করবো?”
- “হ্যাঁ অবশ্যই বলো ।”
- “গতকাল তুমি বললে হল পাওনি দেখে কোন আত্মীয়ের বাসা থেকে আসতে তোমার দেরি হয়ে গিয়েছিলো । তাহলে ১ম সেমিস্টার কোথায় ছিলে?”
ঊর্মি হালকা হেসে বলল, “ও, এই কথা । ১ম সেমিস্টারে আমি এখানে একটা বাসায় ভাড়া ছিলাম । কিন্তু একটু বেশিই ভাড়া ছিল, তার ওপর ছিলো বুয়ার ঝামেলাও । এজন্য এই সেমিস্টারে হলের জন্য অ্যাপ্লাই করেছিলাম ।”
সোহান আর কিছু বলল না । ঊর্মি তখন উঠে দাড়িয়ে বলল, “আচ্ছা, আমি তাহলে যাই? অনেকক্ষণ গল্প করলাম ।” সোহানও উঠে দাঁড়ালো হাসিমুখে জবাব দিলো, “ঠিক আছে ।” যাবার আগে মেয়েটা বলল, “তোমার আমার পরিচয়ের শুরুটা কতো অদ্ভুত, তাই না?”
- “কেন?”-প্রশ্ন করলো সোহান ।
- “এইযে, সবার পরিচয়ের শুরু হয় আপনি দিয়ে, আর আমাদের তুমি দিয়ে ।”- কথাটি বলেই মেয়েটা ওখান থেকে চলে গেলো । সোহান মেয়েটার দিকে অপলক দৃষ্টিতে আবার তাকিয়ে রইল । শেষ কথাটা বলার সময় মেয়েটা কেমন লজ্জা পেলো না? তবে কি মেয়েটাও সোহানক……… । ধুর! কি সব ভাবছে । সবই কেবল নিজের সাহিত্যিক মনের কল্পনা ভেবে সেখান থেকে হোস্টেলের দিকে ফিরতে লাগলো সোহান ।

আগামী পর্বেঃ
ইকবাল সোহানের দিকে ফিরে তাকাতে যাচ্ছিলো, এমন সময় রাইসা বলল, “এই, কে কথা বলল, সিঙ্গেল সোহান না?” ফোনটা লাউড স্পিকারে না থাকলেও কথা কিছুটা শোনা যায় । সোহান সেটা শুনতে পেরে পেছন ফিরে তাকাল । ইকবাল কিছু বুঝে ওঠার আগেই সোহান ইকবালের হাত থেকে ফোন কেড়ে নিয়ে কানে নিয়ে রাগ দেখিয়ে এক দমে বলল, “হ্যাঁ আমি সিঙ্গেল সমস্যা তোমার? ফাজিল মেয়ে কোথাকার, ভদ্রতা সভ্যতা কিচ্ছু নাই?