পরিচয়-৩২১
পরিচয়(পর্ব-৩২১)
(সিজন-১১: আত্মার সাক্ষাৎ)
(সিজন-১১: আত্মার সাক্ষাৎ)
“আর এল্লা সাবধান হইতে কইছিলাম না? কইছিলাম যেইহানে সেইহানে না ফালাইতে?” খোকনকে ধমকের স্বরে বলল রজব মোল্লা । খোকন বলল, “আমি কি কমু! আমার কতা কি হোনে?” রজব মোল্লা বলল, “তোরে কইলাম সাদ্দামের কাছে লিয়ে যামুনে, পড়ে তোরেও পালটায় দেবে!” খোকন একবার অনুনয়ের সাথে বলল, “না বাবু! তা কইরেন না! কিন্তু আমি কি করমু? গেরামের লোকজন কতা না হুনলে সেইডা কি আমার দোষ?” খাটের নিচে শুয়ে সব শুনছিলো আবির । এতোক্ষণ ডানে ঠিকমতো তাকায় নি আবির । এখন হুট করে ডানে চোখ যেতেই কিছু একটা দেখে পিলে চমকে উঠলো আবিরের, হালকা কেঁপেও উঠলো ওর দেহ, আর সেই কম্পনের ধাক্কায় একটা কৌটোর সাথে ধাক্কা লাগলো একটা কাঠের । সেই আওয়াজ শুনলো রজব মোল্লা আর খোকন । রজব মোল্লা জিজ্ঞেস করলো, “খাটের নিচ থেইকা আওয়াজ আইলো না?” খোকন বলল, “চিকা মিকা মনে হয়!” রজব বলল, “দ্যাখ তো খাটের তলে! চিকার গুষ্টি উদ্ধার করি!” বলে খোকন খাটের দিকে আসতে লাগলো । আবির এবার প্রচণ্ড ভয় পেয়ে উঠলো । এখন কি হবে? শ্বাসও পড়ছে না ওর ভয়ে । খোকন প্রায় খাটের কাছাকাছি চলে এসেছে, এমন সময় কেউ একজন জোরে জোরে দরজা ধাক্কাতে লাগলো, “দাদাই! খোকন আঙ্কেল! বাচান!” চিৎকারের আওয়াজে খোকন আর রজব মোল্লা দরজার কাছে গেলো । দরজা খুলে দেখলো অয়ন দাড়িয়ে । রজব জিজ্ঞেস করলো, “কি হয়েছে?” অয়ন বলল, “মাইশার পা মচকে গেছে! প্রচণ্ড ব্যাথা পাচ্ছে! আপনাদের কাছে মলম টলম কিছু নাই?” রজব মোল্লা বলল, “হ আছে তো! এই খোকন! মলম টা লিয়ে আয়!” বলে অয়নের সাথে মাইশাকে দেখতে গেলো রজব মোল্লা । আর খোকনও একটা মলম নিয়ে বেড়িয়ে পড়লো । তারপর আবির বেড়িয়ে এলো বিছানার নিচ থেকে । রুমের দিকে না গিয়ে গেলো গাড়ির দিকে । । তারপর গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পড়লো । কল করলো অপুকে । কিন্তু ফোনের ওপাশ থেকে মহিলা কণ্ঠের আওয়াজ এলো, “আপনি যে নাম্বারে কল করেছেন, তা এই মুহূর্তে বন্ধ আছে, আপনি যদি তাকে ভয়েস মেসেজ পাঠাতে চান, তাহলে এক্ষুনি ১ প্রেস করে আপনার কথা রেকর্ড করে পাঠান ।” আবির ১ চেপে ভয়েস মেসেজ পাঠাল অপুকে, “হ্যা বন্ধু! তোকে আমি একটা ব্যাটারির খোসাসহ তার ভেতরে থাকা কিছু পাউডার জাতীয় পদার্থ শাপলা কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠাচ্ছি! তুই প্লিজ সেই গুড়োগুলো একটু ল্যাবে চেক করে আমাকে জানা কি জিনিস এগুলো ।”
বিছানায় শুয়ে কাঁদছে মাইশা । পাশে সাবিত, চয়নিকা, জরিনা, নিশান । খোকন মলমটা চয়নিকার হাতে দিলো । চয়নিকা সেটা দিয়ে মাইশার পা মালিশ করতে লাগলো । রজব মোল্লা বলল, “আহারে! কি থেইকা যে কি হইয়া যায়! আল্লাহ!” তারপর একটু আশেপাশে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো, “আবির গেছে কই?” অয়ন বলল, “ভাই তো বাহিরে কোথায় যেনো গেলো কাজে!” রজব মোল্লা বলল, “ও আইচ্ছা!” একটু পর সবাই যার যার রুমে চলে যাবার পর এই রুমে যখন অয়ন আর মাইশা একা ছিলো, তখন মাইশা জিজ্ঞেস করলো, “অভিনয়টা কেমন ছিলো?” অয়ন বলল, “একদম নায়িকা শাবানার মতো!” মাইশা জিজ্ঞেস করলো, “আবির ভাই কি রুম থেকে ঠিকঠাকভাবে বেরোতে পেরেছে?” অয়ন বলল, “হুম, পেরেছে মনে হয়, না হলে তো রজব মোল্লা আর খোকন আঙ্কেল কিছু ঘটাতো ।”
সন্ধ্যার পর মাগরিবের নামাজ শেষে বাসায় ফেরে আবির । রজব মোল্লা জিজ্ঞেস করলো, “বাবা, ঠিক আছো তো?” আবির বলল, “জি ঠিক আছি, কেনো?” রজব মোল্লা বলল, “না, এতক্ষণ ধইরা আছিলা না, তাই, চিন্তা হইতেছিলো ।” আবির বলল, “চিন্তা করবেন না দাদাই, সব ঠিকই আছে আর ঠিকই হবে ।” রজব মোল্লা জিজ্ঞেস করলো, “মানে?” আবির বলল, “এমনি, শুভ আকাঙ্ক্ষার কথা বললাম । সবাই তো ভালো কিছুই হোক তাই চায় তাই না?” বলে আবির নিজের রুমে চলে গেলো ।
রাতের কথা । জরিনা আর নিশান বারান্দায় দাড়িয়ে । আকাশে তারা । নিশান জিজ্ঞেস করলো, “আচ্ছা আপু, আমার নানা নানি ওই আকাশে চলে গেছে, না?” জরিনা বলল, “হ, খালা আর খালু ওইহানে গেছে গা । আল্লাহর বান্দা, আল্লাহই নিয়া গেছে । কি আর করার ।” নিশান বলল, “আচ্ছা, আত্মার সাক্ষাতের কথা বলছিলো রজব আঙ্কেল, ইজ ইট রিয়েলি পসিবল?” জরিনা বলল, “ওরে আল্লাহ! আবার ইংরেজি?” নিশান হালকা হেসে বলল, “ও সরি আপু! মানে বলছিলাম যে এটা কি আসলেই সম্ভব?” জরিনা বলল, “না না! এইগুলা কিছুই হয় না । সব ভুয়া কথা ।” নিশান বলল, “যদি সত্যি হয়?” এমন সময় রজব মোল্লা এলো সেখানে । বলল, “ক্যান সত্যি হবে না? এইগুলা আসলেই সত্যি!” নিশান জিজ্ঞেস করলো, “আমি কি আমার নানা নানির সাথে দেখা করতে পারি?” রজব মোল্লা বলল, “ক্যান পারবা না? আমার লগে গেলেই পারবা!” জরিনা তখন নিশানকে বলল, “চলো, ঘরে যাই ।” নিশান ঘরে গেলো জরিনা যেতে গিয়ে আবার পেছন ফিরে এসে রজব মোল্লাকে বলল, “দাদাই, পোলাডারে এইগুলা কইয়েন না, বড়ো হইতাছে ও!” রজব মোল্লা হঠাৎ তখন একটা অশ্রাব্য শব্দ ব্যাবহার করে বলল, “তোর এতো কথা কওয়া লাগবো না!” এরকম প্রায় শতবর্ষী একজন বৃদ্ধ লোকের কাছ থেকে এরকম একটা আচরণ দেখে একদম যেনো পাথর হয়ে গেলো জরিনা । নিজের কানকে বিশ্বাস হচ্ছিলো না ।
আগামী পর্বেঃ
জরিনা দেখলো, খোকন মুখটা কেমন বিকৃত করে পিশাচের মতো মুখে হাসি এনে জরিনার দিকে এগিয়ে আসছে । জরিনা, “কি করতাছেন!” বলে নিশানের সামনে দাঁড়িয়ে নিশানকে আড়াল করে দাড়ালো । কিন্তু পেছন থেকে কে যেনো নিশানকে কেড়ে নিলো । জরিনা পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখলো, আরেকটা অচেনা ভদ্রলোক নিশানকে কেড়ে নিয়েছে । একে জরিনা চেনে, এটা মিতু! তবে কি মিতু ছেলে!
বিছানায় শুয়ে কাঁদছে মাইশা । পাশে সাবিত, চয়নিকা, জরিনা, নিশান । খোকন মলমটা চয়নিকার হাতে দিলো । চয়নিকা সেটা দিয়ে মাইশার পা মালিশ করতে লাগলো । রজব মোল্লা বলল, “আহারে! কি থেইকা যে কি হইয়া যায়! আল্লাহ!” তারপর একটু আশেপাশে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো, “আবির গেছে কই?” অয়ন বলল, “ভাই তো বাহিরে কোথায় যেনো গেলো কাজে!” রজব মোল্লা বলল, “ও আইচ্ছা!” একটু পর সবাই যার যার রুমে চলে যাবার পর এই রুমে যখন অয়ন আর মাইশা একা ছিলো, তখন মাইশা জিজ্ঞেস করলো, “অভিনয়টা কেমন ছিলো?” অয়ন বলল, “একদম নায়িকা শাবানার মতো!” মাইশা জিজ্ঞেস করলো, “আবির ভাই কি রুম থেকে ঠিকঠাকভাবে বেরোতে পেরেছে?” অয়ন বলল, “হুম, পেরেছে মনে হয়, না হলে তো রজব মোল্লা আর খোকন আঙ্কেল কিছু ঘটাতো ।”
সন্ধ্যার পর মাগরিবের নামাজ শেষে বাসায় ফেরে আবির । রজব মোল্লা জিজ্ঞেস করলো, “বাবা, ঠিক আছো তো?” আবির বলল, “জি ঠিক আছি, কেনো?” রজব মোল্লা বলল, “না, এতক্ষণ ধইরা আছিলা না, তাই, চিন্তা হইতেছিলো ।” আবির বলল, “চিন্তা করবেন না দাদাই, সব ঠিকই আছে আর ঠিকই হবে ।” রজব মোল্লা জিজ্ঞেস করলো, “মানে?” আবির বলল, “এমনি, শুভ আকাঙ্ক্ষার কথা বললাম । সবাই তো ভালো কিছুই হোক তাই চায় তাই না?” বলে আবির নিজের রুমে চলে গেলো ।
রাতের কথা । জরিনা আর নিশান বারান্দায় দাড়িয়ে । আকাশে তারা । নিশান জিজ্ঞেস করলো, “আচ্ছা আপু, আমার নানা নানি ওই আকাশে চলে গেছে, না?” জরিনা বলল, “হ, খালা আর খালু ওইহানে গেছে গা । আল্লাহর বান্দা, আল্লাহই নিয়া গেছে । কি আর করার ।” নিশান বলল, “আচ্ছা, আত্মার সাক্ষাতের কথা বলছিলো রজব আঙ্কেল, ইজ ইট রিয়েলি পসিবল?” জরিনা বলল, “ওরে আল্লাহ! আবার ইংরেজি?” নিশান হালকা হেসে বলল, “ও সরি আপু! মানে বলছিলাম যে এটা কি আসলেই সম্ভব?” জরিনা বলল, “না না! এইগুলা কিছুই হয় না । সব ভুয়া কথা ।” নিশান বলল, “যদি সত্যি হয়?” এমন সময় রজব মোল্লা এলো সেখানে । বলল, “ক্যান সত্যি হবে না? এইগুলা আসলেই সত্যি!” নিশান জিজ্ঞেস করলো, “আমি কি আমার নানা নানির সাথে দেখা করতে পারি?” রজব মোল্লা বলল, “ক্যান পারবা না? আমার লগে গেলেই পারবা!” জরিনা তখন নিশানকে বলল, “চলো, ঘরে যাই ।” নিশান ঘরে গেলো জরিনা যেতে গিয়ে আবার পেছন ফিরে এসে রজব মোল্লাকে বলল, “দাদাই, পোলাডারে এইগুলা কইয়েন না, বড়ো হইতাছে ও!” রজব মোল্লা হঠাৎ তখন একটা অশ্রাব্য শব্দ ব্যাবহার করে বলল, “তোর এতো কথা কওয়া লাগবো না!” এরকম প্রায় শতবর্ষী একজন বৃদ্ধ লোকের কাছ থেকে এরকম একটা আচরণ দেখে একদম যেনো পাথর হয়ে গেলো জরিনা । নিজের কানকে বিশ্বাস হচ্ছিলো না ।
আগামী পর্বেঃ
জরিনা দেখলো, খোকন মুখটা কেমন বিকৃত করে পিশাচের মতো মুখে হাসি এনে জরিনার দিকে এগিয়ে আসছে । জরিনা, “কি করতাছেন!” বলে নিশানের সামনে দাঁড়িয়ে নিশানকে আড়াল করে দাড়ালো । কিন্তু পেছন থেকে কে যেনো নিশানকে কেড়ে নিলো । জরিনা পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখলো, আরেকটা অচেনা ভদ্রলোক নিশানকে কেড়ে নিয়েছে । একে জরিনা চেনে, এটা মিতু! তবে কি মিতু ছেলে!