পরিচয় পর্ব-৩১১
পরিচয়(পর্ব-৩১১)
(সিজন-১১: আত্মার সাক্ষাৎ)
(সিজন-১১: আত্মার সাক্ষাৎ)
অয়ন মাটির ওপর বসে আফসোস করতে লাগলো ।
সকালের খাওয়া দাওয়ার সময় সাবিত রজব মোল্লাকে জিজ্ঞেস করলো, ”তা দাদাই, এই এলাকায় ঘোরার মতো কোন জায়গা আছে কি?” রজব বলল, “আছে আছে! ম্যালা আছে! খাইয়া লও, দেইখবার লিয়ে যামুনে ।” আবির জিজ্ঞেস করলো, “আচ্ছা দাদাই, এই এলাকায় দোকান আছে কি কোন?” রজব বলল, “তেমন একটা নাই । তয় আছে, ওই যে মসজিদের ওইদিক গেছিলা, ওইদিকেই কয়েকডা আছে ।” সাবিত বলল, “আসলেই, আমার মোবাইলে একটু রিচার্জ করা দরকার ।” চয়নিকা বলল, “রিচার্জ করেই কি লাভ, নেটওয়ার্কই পায় না ঠিক মতো!” রজব বলল, “কি কও! তোমাগোরে ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড দেয় নাই খোকন?” সবাই অবাক হয়ে গেলো । এই অজপাড়া গায়ে ওয়াইফাই! রজব হালকা হেসে বলল, “আরে, খালি আমার বাড়িই আছে ।” তারপর খোকনকে বলল, “এই! সবাইরে পাসওয়ার্ডডা দিয়া দে ।” তারপর সবার দিকে তাকিয়ে “আমি আবার সবাইরে পাসওয়ার্ড কই না!” খোকন সবাইকে ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড দিয়ে দিলো ।
অয়ন তাড়াতাড়ি খেয়ে রুমের দিকে আসতে লাগলো । আসার সময় অয়ন মাঠের দিকে তাকিয়ে মাঠটা দেখতে দেখতে আসছিলো এমন সময় ওর নজরে একটা দৃশ্য আটকালো । মাঠের মধ্য দিয়ে এক বয়স্ক মহিলা, বছর প্রায় একশোর কাছাকাছিই হবে, মাঠের এপাশ থেকে ওপাশ যাচ্ছে । এই দালানটা থেকে মহিলাটা প্রায় দুশো মিটার মতো দূরে । চেহারা স্পষ্ট দেখা না গেলেও এটা বোঝা গেলো, মহিলাটা কেমন অদ্ভুত আচরণ করছে । কখনো নাচছে, কখনো হাত পা ছড়িয়ে অদ্ভুত অঙ্গভঙ্গি করছে, আবার কখনো এক পায়ে কুত কুত খেলছে, আর নানা অদ্ভুত আচরণ করতে করতে এপাশ থেকে ওপাশ যাচ্ছে । মনে হচ্ছে, যেনো মহিলাটা নেশা করেছে । কিন্তু এই বয়সে এই মহিলা নেশা কেনো করবে! যাই হোক, বুড়ো বয়সে ভীমরতি ধরেছে ভেবে অয়ন নিজের রুমে চলে গেলো ।
খাবার খেয়ে উঠে হাত ধুয়ে বেরোচ্ছিলো মিতু । রজব জিজ্ঞেস করল, “কিরে? যাইতাসোস কই?” মিতু বলল, “বাইরে ।” রজব জিজ্ঞেস করল, “তা তো বুঝসি, বাইরেই কই যাস?” মিতু কিছু না বলেই চলে গেলো । মনে হল, কি যেনো তাড়া আছে ওর ।
খাওয়া দাওয়া শেষে নিশান জোড় করল, “বাবা! ঘুরতে যাবো! চলো!” আবির বলল, “হ্যাঁ সোনা, আমরা যাবোতো!” দাদাই খোকনকে বলল, “এই খোকন! যা তো, একখান ভ্যান লিয়া আয়!” খোকন বেড়িয়ে গেলো । রজব বলল, “তোমারাও যাও, রেডি হইয়া আইসো ।” সবাই রুমে গেলো । সাবির মাইশাকে বলল, “মাইশা! তোর সেলফি স্টিকটা নিস!” মাইশা, “ওকে বলে চলে গেলো!” চয়নিকা, “যাই দেখি, আমার মোবাইলে কত পার্সেন্ট চার্জ হল!” নিশানও মায়ের সাথে তাল মিলিয়ে ইয়ার্কি করে বলল, “যাই দেখি! আমার অয়ন মামার কতো পার্সেন্ট চার্জ হলো!” জরিনা, “আইজকা আমার সবচেয়ে ফেবারিট ডেরেস পরমু!” বলে চলে গেলো । রইলো শুধু আবির আর সাবিত । রজব জিজ্ঞেস করল, “তোমরা রেডি হইবা না?” আবির বলল, “আমি তো রেডিই! সকালে হাটতে বেড়িয়েছিলাম তো!” আবিরের হাটতে বেরোনোর কথা শুনে খুব একটা খুশি হলো না রজব । বলল, “একা একা বাইর হইতে মানা করছিলাম!” আবির জিজ্ঞেস করল, “না দাদাই, সকাল তো প্রায় হয়েই গিয়েছিলো!” রজব বলল, “তাও! নির্জনতা তো তহনও আছিলো!” আবির কিছু বলল না । সাবিত বলল, “আমি রেডি হয়েই নেমেছিলাম, খাওয়া শেষ হলে মোবাইল রিচার্জ করতে বেরোবো বলে । কিন্তু এখন তো সবাই-ই বেরোচ্ছি!” রজব হালকা হাসলো । কিছু বলল না ।
ভ্যানে করে রওনা হল সবাই । এই ভ্যানওয়ালাই গতকাল আবিরকে নামাজে দিয়ে এসেছে, আবার নামাজ থেকে এনেওছে । সেই অন্ধ ভ্যানওয়ালা । রাতের অন্ধকারে বোঝা না গেলেও সকালে দেখে মনে হলো, লোকটা বেশ দুর্বল । মনে হয় মাতাল থাকে সর্বদা । যাই হোক, ব্যাপারটা স্বাভাবিকই ধরে নিলো আবির । যে পথ ধরে যাচ্ছিলো, সে পথে ঝিকানার গ্রামবাসীরা থাকে না এবং সে পথ ধরে গ্রামের বাইরে অন্য গ্রামে চলে যায় । আবির জিজ্ঞেস করলো, “আপনার এলাকার গ্রামবাসীরা তো এদিকে থাকে না, তাদের সাথে দেখা করবো না?” রজব মোল্লা শুনলো কি শুনলো না, তা বুঝলো আবির , যদি শুনে থাকে, তবে না শোনার ভান-ও ধরতে পারে ।
ভ্যানে করে ওরা গেলো নদীর ধারে । যমুনা নদী । এই নদীরই একটা শাখা গিয়েছে রজব মোল্লার বাড়ির পাশের ওই শাখা নদীটায় । ভ্যান থেকে নেমেই রজব মোল্লা মোবাইল কানে নিয়ে একটু দূরে চলে গেলো । কারও জরুরি কল হয়তো । জায়গাটা খারাপ না । আবার ঝিকানা গ্রামের মতো এই গ্রাম মোটেও নির্জন না । এই গ্রামটার নাম দাঙ্গা । এই দাঙ্গা গ্রামের তীরেই যমুনা নদীর পাড় । অন্যান্য নদীর পাড়ের মতো এখানে ঢালু ব্লক ফেলা । বর্ষার সময় হওয়ায় পানি এখন বেশি । নিচে মাটির যেখানে ব্লকগুলো মিশেছে, সেখানে পর্যন্ত পানি উঠে এসেছে । সাবিত বলল, “পানি বেশি না থাকলে নিচে নেমে আরও প্রায় আধ কিলোমিটারের মতো মাটির ওপর হেটে যাওয়া যেতো ।” আবির বুঝলো, আধ কিলোমিটারের মধ্যে পানি খুব একটা বেশি না । তবে সেই বেশি না হওয়া অঞ্চলটা যে তারও বেশি, তা আবির বুঝল, প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে দাড় করিয়ে রাখা একটা মালবাহী ট্রলার দেখে । সেখান থেকে পণ্য নামিয়ে ছোটো ডিঙ্গি নৌকোয় করে আনা হচ্ছে । আবিরের দেখতে ইচ্ছে হল, এই এলাকায় আবার কি পণ্য আসে? পাড়ে দাড়িয়ে সেই ডিঙ্গি নৌকাওয়ালাদের সাথে চেচিয়ে চেচিয়ে কথা বলে যোগাযোগ করা এক লোককে দেখে তার কাছে যেয়ে আবির জিজ্ঞেস করল, “আচ্ছা এই পণ্যগুলো কিসের?” লোকটা বলল, “ব্যাটারি! আমাগো এই জেলার স্থানীয় কোম্পানি, হারুন ব্যাটারি ।” আবিরের মনে পড়লো, সকালে আবির হারুন ব্যাটারির খোসা পেয়েছিলো ।
আগামী পর্বেঃ
দোকানদার মাঝবয়স্ক এক ভদ্রলোক । লোকটা বেশ মিশুক প্রকৃতির । আবিরদের দেখে লোকটা বলল, “আপনেরা কি ঝিকানা গ্রাম থেইকা আইছেন?” অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “আপনি জানলেন কি করে?” দোকানদার হালকা হেসে রজব মোল্লাকে দেখিয়ে বলল, “ওই যে ওই লোকটা, উনারে কে না চেনে, ওই ভুতুরে গেরামে একমাত্র উনিই তো সুস্থ ।”
সকালের খাওয়া দাওয়ার সময় সাবিত রজব মোল্লাকে জিজ্ঞেস করলো, ”তা দাদাই, এই এলাকায় ঘোরার মতো কোন জায়গা আছে কি?” রজব বলল, “আছে আছে! ম্যালা আছে! খাইয়া লও, দেইখবার লিয়ে যামুনে ।” আবির জিজ্ঞেস করলো, “আচ্ছা দাদাই, এই এলাকায় দোকান আছে কি কোন?” রজব বলল, “তেমন একটা নাই । তয় আছে, ওই যে মসজিদের ওইদিক গেছিলা, ওইদিকেই কয়েকডা আছে ।” সাবিত বলল, “আসলেই, আমার মোবাইলে একটু রিচার্জ করা দরকার ।” চয়নিকা বলল, “রিচার্জ করেই কি লাভ, নেটওয়ার্কই পায় না ঠিক মতো!” রজব বলল, “কি কও! তোমাগোরে ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড দেয় নাই খোকন?” সবাই অবাক হয়ে গেলো । এই অজপাড়া গায়ে ওয়াইফাই! রজব হালকা হেসে বলল, “আরে, খালি আমার বাড়িই আছে ।” তারপর খোকনকে বলল, “এই! সবাইরে পাসওয়ার্ডডা দিয়া দে ।” তারপর সবার দিকে তাকিয়ে “আমি আবার সবাইরে পাসওয়ার্ড কই না!” খোকন সবাইকে ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড দিয়ে দিলো ।
অয়ন তাড়াতাড়ি খেয়ে রুমের দিকে আসতে লাগলো । আসার সময় অয়ন মাঠের দিকে তাকিয়ে মাঠটা দেখতে দেখতে আসছিলো এমন সময় ওর নজরে একটা দৃশ্য আটকালো । মাঠের মধ্য দিয়ে এক বয়স্ক মহিলা, বছর প্রায় একশোর কাছাকাছিই হবে, মাঠের এপাশ থেকে ওপাশ যাচ্ছে । এই দালানটা থেকে মহিলাটা প্রায় দুশো মিটার মতো দূরে । চেহারা স্পষ্ট দেখা না গেলেও এটা বোঝা গেলো, মহিলাটা কেমন অদ্ভুত আচরণ করছে । কখনো নাচছে, কখনো হাত পা ছড়িয়ে অদ্ভুত অঙ্গভঙ্গি করছে, আবার কখনো এক পায়ে কুত কুত খেলছে, আর নানা অদ্ভুত আচরণ করতে করতে এপাশ থেকে ওপাশ যাচ্ছে । মনে হচ্ছে, যেনো মহিলাটা নেশা করেছে । কিন্তু এই বয়সে এই মহিলা নেশা কেনো করবে! যাই হোক, বুড়ো বয়সে ভীমরতি ধরেছে ভেবে অয়ন নিজের রুমে চলে গেলো ।
খাবার খেয়ে উঠে হাত ধুয়ে বেরোচ্ছিলো মিতু । রজব জিজ্ঞেস করল, “কিরে? যাইতাসোস কই?” মিতু বলল, “বাইরে ।” রজব জিজ্ঞেস করল, “তা তো বুঝসি, বাইরেই কই যাস?” মিতু কিছু না বলেই চলে গেলো । মনে হল, কি যেনো তাড়া আছে ওর ।
খাওয়া দাওয়া শেষে নিশান জোড় করল, “বাবা! ঘুরতে যাবো! চলো!” আবির বলল, “হ্যাঁ সোনা, আমরা যাবোতো!” দাদাই খোকনকে বলল, “এই খোকন! যা তো, একখান ভ্যান লিয়া আয়!” খোকন বেড়িয়ে গেলো । রজব বলল, “তোমারাও যাও, রেডি হইয়া আইসো ।” সবাই রুমে গেলো । সাবির মাইশাকে বলল, “মাইশা! তোর সেলফি স্টিকটা নিস!” মাইশা, “ওকে বলে চলে গেলো!” চয়নিকা, “যাই দেখি, আমার মোবাইলে কত পার্সেন্ট চার্জ হল!” নিশানও মায়ের সাথে তাল মিলিয়ে ইয়ার্কি করে বলল, “যাই দেখি! আমার অয়ন মামার কতো পার্সেন্ট চার্জ হলো!” জরিনা, “আইজকা আমার সবচেয়ে ফেবারিট ডেরেস পরমু!” বলে চলে গেলো । রইলো শুধু আবির আর সাবিত । রজব জিজ্ঞেস করল, “তোমরা রেডি হইবা না?” আবির বলল, “আমি তো রেডিই! সকালে হাটতে বেড়িয়েছিলাম তো!” আবিরের হাটতে বেরোনোর কথা শুনে খুব একটা খুশি হলো না রজব । বলল, “একা একা বাইর হইতে মানা করছিলাম!” আবির জিজ্ঞেস করল, “না দাদাই, সকাল তো প্রায় হয়েই গিয়েছিলো!” রজব বলল, “তাও! নির্জনতা তো তহনও আছিলো!” আবির কিছু বলল না । সাবিত বলল, “আমি রেডি হয়েই নেমেছিলাম, খাওয়া শেষ হলে মোবাইল রিচার্জ করতে বেরোবো বলে । কিন্তু এখন তো সবাই-ই বেরোচ্ছি!” রজব হালকা হাসলো । কিছু বলল না ।
ভ্যানে করে রওনা হল সবাই । এই ভ্যানওয়ালাই গতকাল আবিরকে নামাজে দিয়ে এসেছে, আবার নামাজ থেকে এনেওছে । সেই অন্ধ ভ্যানওয়ালা । রাতের অন্ধকারে বোঝা না গেলেও সকালে দেখে মনে হলো, লোকটা বেশ দুর্বল । মনে হয় মাতাল থাকে সর্বদা । যাই হোক, ব্যাপারটা স্বাভাবিকই ধরে নিলো আবির । যে পথ ধরে যাচ্ছিলো, সে পথে ঝিকানার গ্রামবাসীরা থাকে না এবং সে পথ ধরে গ্রামের বাইরে অন্য গ্রামে চলে যায় । আবির জিজ্ঞেস করলো, “আপনার এলাকার গ্রামবাসীরা তো এদিকে থাকে না, তাদের সাথে দেখা করবো না?” রজব মোল্লা শুনলো কি শুনলো না, তা বুঝলো আবির , যদি শুনে থাকে, তবে না শোনার ভান-ও ধরতে পারে ।
ভ্যানে করে ওরা গেলো নদীর ধারে । যমুনা নদী । এই নদীরই একটা শাখা গিয়েছে রজব মোল্লার বাড়ির পাশের ওই শাখা নদীটায় । ভ্যান থেকে নেমেই রজব মোল্লা মোবাইল কানে নিয়ে একটু দূরে চলে গেলো । কারও জরুরি কল হয়তো । জায়গাটা খারাপ না । আবার ঝিকানা গ্রামের মতো এই গ্রাম মোটেও নির্জন না । এই গ্রামটার নাম দাঙ্গা । এই দাঙ্গা গ্রামের তীরেই যমুনা নদীর পাড় । অন্যান্য নদীর পাড়ের মতো এখানে ঢালু ব্লক ফেলা । বর্ষার সময় হওয়ায় পানি এখন বেশি । নিচে মাটির যেখানে ব্লকগুলো মিশেছে, সেখানে পর্যন্ত পানি উঠে এসেছে । সাবিত বলল, “পানি বেশি না থাকলে নিচে নেমে আরও প্রায় আধ কিলোমিটারের মতো মাটির ওপর হেটে যাওয়া যেতো ।” আবির বুঝলো, আধ কিলোমিটারের মধ্যে পানি খুব একটা বেশি না । তবে সেই বেশি না হওয়া অঞ্চলটা যে তারও বেশি, তা আবির বুঝল, প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে দাড় করিয়ে রাখা একটা মালবাহী ট্রলার দেখে । সেখান থেকে পণ্য নামিয়ে ছোটো ডিঙ্গি নৌকোয় করে আনা হচ্ছে । আবিরের দেখতে ইচ্ছে হল, এই এলাকায় আবার কি পণ্য আসে? পাড়ে দাড়িয়ে সেই ডিঙ্গি নৌকাওয়ালাদের সাথে চেচিয়ে চেচিয়ে কথা বলে যোগাযোগ করা এক লোককে দেখে তার কাছে যেয়ে আবির জিজ্ঞেস করল, “আচ্ছা এই পণ্যগুলো কিসের?” লোকটা বলল, “ব্যাটারি! আমাগো এই জেলার স্থানীয় কোম্পানি, হারুন ব্যাটারি ।” আবিরের মনে পড়লো, সকালে আবির হারুন ব্যাটারির খোসা পেয়েছিলো ।
আগামী পর্বেঃ
দোকানদার মাঝবয়স্ক এক ভদ্রলোক । লোকটা বেশ মিশুক প্রকৃতির । আবিরদের দেখে লোকটা বলল, “আপনেরা কি ঝিকানা গ্রাম থেইকা আইছেন?” অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “আপনি জানলেন কি করে?” দোকানদার হালকা হেসে রজব মোল্লাকে দেখিয়ে বলল, “ওই যে ওই লোকটা, উনারে কে না চেনে, ওই ভুতুরে গেরামে একমাত্র উনিই তো সুস্থ ।”