পরিচয় পর্ব-৩০৯
পরিচয়(পর্ব-৩০৯)
(সিজন-১১: আত্মার সাক্ষাৎ)
(সিজন-১১: আত্মার সাক্ষাৎ)
আবির বলল, “না না দাদাই, ঠিক আছে ।”
রাতের ডিনারের সময় রজব মোল্লার সবার সাথে মিতুর পরিচয় করিয়ে দিলো । চয়নিকা জিজ্ঞেস করলো, “তা মিতু! কোন ক্লাসে পড়ো তুমি মা?” মিতু বলল, “আমি এইচএসসি দিছি ২ বছর আগে, এহন কিছুই করি না ।” মিতুর মেজাজি গলা শুনে একটু ঘাবড়ে গেলো চয়নিকা । রজব মোল্লা বলল, “কিছু মনে লিও না মা! অয় এমনেই কতা কয় ।” চয়নিকা হালকা হেসে বলল, “না না! রাগ করার আছে!” একটা ব্যাপার মাইশাকে হালকা হাসালো । সেটা হচ্ছে, মিতুর দিকে অয়ন শুরু থেকেই তাকিয়ে ছিলো । যদিও সেটা ভালো লাগা নাকি কৌতূহল তা জানেনা মাইশা । কিন্তু অয়ন যখনই মিতুর গলা শুনলো, তারপর থেকেই সে আর অন্য কোন দিকে তাকালো না । এখন সবাই সামনে তো আর হাসা যায় না, তাই অনেক কষ্টে হাসিটা চাপিয়ে রাখলো মাইশা ।
খাওয়া দাওয়া শেষে সবাই রুমে চলে গেলেও আবির অয়ন আর মাইশা রজব মোল্লার সাথে বাড়িটা ঘুরে ঘুরে দেখছিলো আর হাটছিলো । রজব মোল্লার সাথে মিতু ছিলো, এটা মাইশা আসার একটা কারণ । আবির বলল, “আপনার ছেলে মেয়ে ক জন?” রজব মোল্লা বলল, “আমার পোলা, এক মাইয়া । পোলা থাহে সুইজারল্যান্ড । বউ বাচ্চা লিয়া থাহে! আমার খোজ লেয়ও না, গেরামের কতাওমানি ওর মনে পড়ে না ।” আবির জানতে চাইলো, “আর মেয়ে?” রজব একটা হতাশার শ্বাস ফেলে বলল, “মাইয়া বিয়ার চাইর দিন পর মইরা গেছে, হুন্ডা একসিডেন্ট ।” আবির বলল, “আমি দুঃখিত! আপনার হঠাৎ মন খারাপ করে দিলাম ।” রজব মোল্লা হালকা হেসে বলল, “না না, তা ক্যান । আমি তো এহনও আমার মাইয়ার লগে দেহা করি ।” এই কথাটা বলার সময় ওর ছিলো আবির আর চয়নিকার যে রুমটা সেটার সামনে । চয়নিকা মোবাইল চালাচ্ছিলো, কিন্তু কথাটা শুনে ও হঠাৎ চমকে উঠলো এবং মোবাইল রেখে রজবের কথায় কান দিলো । বারান্দায় রজবের কথা শুনে আবির জিজ্ঞেস করলো, “সেকি! কি করে?” রজব বলল, “ওই যে! পুটিয়া গেরামের কতা কইলাম না! ওই গেরামের সেই লোকের কাছে গেছিলাম । আমি যহনই চাই, আমার মাইয়ার লগে সাক্ষাৎ করি ।” আবির জানতে চাইলো, “সিরিয়াসলি দেখেছেন আপনি!” রজব মোল্লা বলল, “হ! হুবহু আমার মাইয়া! তয় আমার ঠিকঠাক খেয়াল থাহে না কি কইছি, কি আমার মাইয়া কি কইছে, সেই সময় আত্মাগো দুনিয়া আর আমাগো দুনিয়া এক হইয়া যায়! যার জন্যে মানুষের পক্ষে সেইহানে টিকা থাকা কষ্টকর হইয়া যায় ।” আবির জিজ্ঞেস করলো, “আমারও দেখছি যাওয়া লাগে একদিন!” রজব মোল্লা তখন জিজ্ঞেস করলো, “তোমাগো বাসে কোন লোক উঠে নাই?” আবির জানতে চাইলো, “লোক? কি রকম লোক?” রজব বলল, “কারিশ্মা দেহায়! অচেনা মাইনষের সব কতা কইয়া দেয়!” আবির বলল, ‘ও হ্যাঁ! উঠেছিলো । কিন্তু আমি সে সময় গান শুনছিলাম তো, আর চোখও বন্ধ ছিলো, তাই উনার কারিশ্মাও দেখা হয় নি ।” রজব বলল, “ও! এই লোকই ওই আত্মার সাক্ষাৎ করা লোকগুলার একজন ।” রুমের থাকা চয়নিকার মনে পড়লো, ও নাম্বার রেখেছিলো! এদিকে রজব মোল্লা বলল, “যাকগা! ম্যালা রাইত হইছে, ঘুম যাও গা! এবি ম্যালা কেলান্ত হইয়া গেছো!” অয়ন বলল, “আঙ্কেল, মাইশা কি একাই……” পুরোটা বলল না লজ্জায় । রজব মিতুকে বলল, “গেদি, ওর কাছে থাকবি?” মিতু বলল, “আমার আপত্তি নাই!” মাইশা অয়নের দিকে আড়চোখে তাকিয়ে মনে মনে বলল, “অয়ন এই মেয়েটাকে আমার রুমে পাঠানোর জন্য এমন করলো নাকি!” রজব মোল্লা সবার কাছে থেকে বিদায় নিয়ে নিচে চলে গেলো । আবির রুমে আসার আগে অয়ন একবার ডাকলো, বাসে যা হয়েছে তা জন্য সরি বলতে, কিন্তু আবির অয়নের ডাকে সাড়া দিলো না । মাইশা নিজের রুমে চলে গেছে, মিতু গেছে নিজের রুমে, মাইশা রুমে একটু পড়ে আসবে বলেছে । অয়নও নিজের রুমে চলে গেলো ।
বিছানায় শুয়ে শুয়ে মোবাইল চালাচ্ছিলো মাইশা, এমন সময় একটা বালিশ আর চাদর নিয়ে এলো মিতু । মাইশা কিছু বলল না । কিন্তু একটু পর মিতু মেঝেতে সেই চাদরটা বিছিয়ে বালিশ পেতে শুয়ে পড়লো । মাইশা ব্যাপারটা খেয়াল করে জিজ্ঞেস করলো, “একি, তুমি নিচে ঘুমোচ্ছ কেনো?” মিতুর কোন জবাব এলো না । মাইশাও আর কিছু জিজ্ঞেস না করে মোবাইল চালানোয় মন দিয়ে মনে মনে বলল, “এতো অদ্ভুত কেনো মেয়েটা?” কিছুক্ষণ মোবাইল চালানোর পর হঠাৎ মেয়েটা বলল, “রাতে আমাকে রুমে না পেলে ভয় পেয়ো না! আমার রাতে বাইরে যাওয়ার স্বভাব আছে!” মিতুর কথা শুনে মাইশা তো হালকা ভয় পেলোই, সেই সাথে মিতুর কণ্ঠ সেই ভয়টাকে গরম তেলে পানি ঢালার মতো শিহরণ জাগিয়ে দিলো । ভয়ে মাইশা মোবাইলে গান ছেড়ে কানে ইয়ারফোন দিয়ে ঘুমোলো ।
আগামী পর্বেঃ
অয়ন বলল, “ভাই! আমি খুব দুঃখিত গতকাল যা করেছি তার জন্য ভাই! আম সো সরি!” আবির কিছু বলল না । অয়ন পেছন থেকে আবিরের পা জড়িয়ে ধরলো । আবির “আরে! ছাড়!” বলে অয়নকে ফেলে দিলো । তারপর আবির রেগে গিয়ে বলল, “এতো ঢং করছিস কেনো এখন! যা তুই মাইশার কাছে! আমি তো তোদের দুজনের মাঝে ঝামেলা বাঁধাই, তাই না!”
রাতের ডিনারের সময় রজব মোল্লার সবার সাথে মিতুর পরিচয় করিয়ে দিলো । চয়নিকা জিজ্ঞেস করলো, “তা মিতু! কোন ক্লাসে পড়ো তুমি মা?” মিতু বলল, “আমি এইচএসসি দিছি ২ বছর আগে, এহন কিছুই করি না ।” মিতুর মেজাজি গলা শুনে একটু ঘাবড়ে গেলো চয়নিকা । রজব মোল্লা বলল, “কিছু মনে লিও না মা! অয় এমনেই কতা কয় ।” চয়নিকা হালকা হেসে বলল, “না না! রাগ করার আছে!” একটা ব্যাপার মাইশাকে হালকা হাসালো । সেটা হচ্ছে, মিতুর দিকে অয়ন শুরু থেকেই তাকিয়ে ছিলো । যদিও সেটা ভালো লাগা নাকি কৌতূহল তা জানেনা মাইশা । কিন্তু অয়ন যখনই মিতুর গলা শুনলো, তারপর থেকেই সে আর অন্য কোন দিকে তাকালো না । এখন সবাই সামনে তো আর হাসা যায় না, তাই অনেক কষ্টে হাসিটা চাপিয়ে রাখলো মাইশা ।
খাওয়া দাওয়া শেষে সবাই রুমে চলে গেলেও আবির অয়ন আর মাইশা রজব মোল্লার সাথে বাড়িটা ঘুরে ঘুরে দেখছিলো আর হাটছিলো । রজব মোল্লার সাথে মিতু ছিলো, এটা মাইশা আসার একটা কারণ । আবির বলল, “আপনার ছেলে মেয়ে ক জন?” রজব মোল্লা বলল, “আমার পোলা, এক মাইয়া । পোলা থাহে সুইজারল্যান্ড । বউ বাচ্চা লিয়া থাহে! আমার খোজ লেয়ও না, গেরামের কতাওমানি ওর মনে পড়ে না ।” আবির জানতে চাইলো, “আর মেয়ে?” রজব একটা হতাশার শ্বাস ফেলে বলল, “মাইয়া বিয়ার চাইর দিন পর মইরা গেছে, হুন্ডা একসিডেন্ট ।” আবির বলল, “আমি দুঃখিত! আপনার হঠাৎ মন খারাপ করে দিলাম ।” রজব মোল্লা হালকা হেসে বলল, “না না, তা ক্যান । আমি তো এহনও আমার মাইয়ার লগে দেহা করি ।” এই কথাটা বলার সময় ওর ছিলো আবির আর চয়নিকার যে রুমটা সেটার সামনে । চয়নিকা মোবাইল চালাচ্ছিলো, কিন্তু কথাটা শুনে ও হঠাৎ চমকে উঠলো এবং মোবাইল রেখে রজবের কথায় কান দিলো । বারান্দায় রজবের কথা শুনে আবির জিজ্ঞেস করলো, “সেকি! কি করে?” রজব বলল, “ওই যে! পুটিয়া গেরামের কতা কইলাম না! ওই গেরামের সেই লোকের কাছে গেছিলাম । আমি যহনই চাই, আমার মাইয়ার লগে সাক্ষাৎ করি ।” আবির জানতে চাইলো, “সিরিয়াসলি দেখেছেন আপনি!” রজব মোল্লা বলল, “হ! হুবহু আমার মাইয়া! তয় আমার ঠিকঠাক খেয়াল থাহে না কি কইছি, কি আমার মাইয়া কি কইছে, সেই সময় আত্মাগো দুনিয়া আর আমাগো দুনিয়া এক হইয়া যায়! যার জন্যে মানুষের পক্ষে সেইহানে টিকা থাকা কষ্টকর হইয়া যায় ।” আবির জিজ্ঞেস করলো, “আমারও দেখছি যাওয়া লাগে একদিন!” রজব মোল্লা তখন জিজ্ঞেস করলো, “তোমাগো বাসে কোন লোক উঠে নাই?” আবির জানতে চাইলো, “লোক? কি রকম লোক?” রজব বলল, “কারিশ্মা দেহায়! অচেনা মাইনষের সব কতা কইয়া দেয়!” আবির বলল, ‘ও হ্যাঁ! উঠেছিলো । কিন্তু আমি সে সময় গান শুনছিলাম তো, আর চোখও বন্ধ ছিলো, তাই উনার কারিশ্মাও দেখা হয় নি ।” রজব বলল, “ও! এই লোকই ওই আত্মার সাক্ষাৎ করা লোকগুলার একজন ।” রুমের থাকা চয়নিকার মনে পড়লো, ও নাম্বার রেখেছিলো! এদিকে রজব মোল্লা বলল, “যাকগা! ম্যালা রাইত হইছে, ঘুম যাও গা! এবি ম্যালা কেলান্ত হইয়া গেছো!” অয়ন বলল, “আঙ্কেল, মাইশা কি একাই……” পুরোটা বলল না লজ্জায় । রজব মিতুকে বলল, “গেদি, ওর কাছে থাকবি?” মিতু বলল, “আমার আপত্তি নাই!” মাইশা অয়নের দিকে আড়চোখে তাকিয়ে মনে মনে বলল, “অয়ন এই মেয়েটাকে আমার রুমে পাঠানোর জন্য এমন করলো নাকি!” রজব মোল্লা সবার কাছে থেকে বিদায় নিয়ে নিচে চলে গেলো । আবির রুমে আসার আগে অয়ন একবার ডাকলো, বাসে যা হয়েছে তা জন্য সরি বলতে, কিন্তু আবির অয়নের ডাকে সাড়া দিলো না । মাইশা নিজের রুমে চলে গেছে, মিতু গেছে নিজের রুমে, মাইশা রুমে একটু পড়ে আসবে বলেছে । অয়নও নিজের রুমে চলে গেলো ।
বিছানায় শুয়ে শুয়ে মোবাইল চালাচ্ছিলো মাইশা, এমন সময় একটা বালিশ আর চাদর নিয়ে এলো মিতু । মাইশা কিছু বলল না । কিন্তু একটু পর মিতু মেঝেতে সেই চাদরটা বিছিয়ে বালিশ পেতে শুয়ে পড়লো । মাইশা ব্যাপারটা খেয়াল করে জিজ্ঞেস করলো, “একি, তুমি নিচে ঘুমোচ্ছ কেনো?” মিতুর কোন জবাব এলো না । মাইশাও আর কিছু জিজ্ঞেস না করে মোবাইল চালানোয় মন দিয়ে মনে মনে বলল, “এতো অদ্ভুত কেনো মেয়েটা?” কিছুক্ষণ মোবাইল চালানোর পর হঠাৎ মেয়েটা বলল, “রাতে আমাকে রুমে না পেলে ভয় পেয়ো না! আমার রাতে বাইরে যাওয়ার স্বভাব আছে!” মিতুর কথা শুনে মাইশা তো হালকা ভয় পেলোই, সেই সাথে মিতুর কণ্ঠ সেই ভয়টাকে গরম তেলে পানি ঢালার মতো শিহরণ জাগিয়ে দিলো । ভয়ে মাইশা মোবাইলে গান ছেড়ে কানে ইয়ারফোন দিয়ে ঘুমোলো ।
আগামী পর্বেঃ
অয়ন বলল, “ভাই! আমি খুব দুঃখিত গতকাল যা করেছি তার জন্য ভাই! আম সো সরি!” আবির কিছু বলল না । অয়ন পেছন থেকে আবিরের পা জড়িয়ে ধরলো । আবির “আরে! ছাড়!” বলে অয়নকে ফেলে দিলো । তারপর আবির রেগে গিয়ে বলল, “এতো ঢং করছিস কেনো এখন! যা তুই মাইশার কাছে! আমি তো তোদের দুজনের মাঝে ঝামেলা বাঁধাই, তাই না!”