পরিচয় ৩০৬
পরিচয়(পর্ব-৩০৬)
(সিজন-১১: আত্মার সাক্ষাৎ)
(সিজন-১১: আত্মার সাক্ষাৎ)
আবির বলল, “বাহ! শুরু আমার নামে উলটা পালটা কথা বলা!
কিছুদুর যাবার পর পথে একটা ফিলিং ষ্টেশনে বাস থামালো । সবাই বাস থেকে নামলেও নামলো না অয়ন আর মাইশা । সবাই নেমে যেতেই অয়ন এসে বসলো মাইশার পাশে । মাইশা বলল, “কি করছো!” অয়ন মাইশার কাধে মাথা রেখে বলল, “তোমার স্পর্শ নিচ্ছি!” মাইশা বলল, “আরে! কেউ দেখে ফেললে কিন্তু ভালো হবে না!” অয়ন বলল, “কে দেখবে! শুধু তুমি আর আমি ।” মাইশা বলল, “তাই না? তা আমাকে এতো দেখে কি লাভ? আর এখনই এতো প্রেম দেখালে বিয়ের পর তো প্রেমের অভাব হয়ে যাবে ।” অয়ন বলল, “কিচ্ছু হবে না! তোমার জন্য আমার প্রেম ইউটিউবের স্টোরেজের থেকেও বড়!” বলে মাইশার হাত ধরলো অয়ন । মাইশা হাত ছাড়িয়ে নিয়ে বলল, “এবার কিন্তু বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে!” অয়ন বলল, “তাই নাকি! দাড়াও!” বলে মাইশাকে জড়িয়ে ধরলো অয়ন । মাইশা বলল, “আহ অয়ন ছাড়ো!” অয়ন বলল, “না ছাড়বো না! কি করবে?” মাইশা বলল, “কেউ দেখে ফেলবে তো!” অয়ন বলল, “সবাইকে দেখাবো! দরকার হলে ওই আবির বজ্জাতটার সামনেও ধরবো!” মাইশা বলল, “ছি! এগুলো কি বলছো!” অয়ন কিছু একটা বলতে যাবে, এমন সময় “আব্বু! তুমি এখানে!” কথাটা শুনে মাইশাকে ছেড়ে সোজা হয়ে বসলো অয়ন । তাকিয়ে দেখলো, এই কথা বলে বাসের পেছনের দিকে যাচ্ছে নিশান । অয়নের ভ্রু কুচকে গেলো । আব্বু! মানে তো আবির ভাই! পেছনের দিকে তাকিয়ে দেখলো আবির দাঁড়িয়ে । ওর দিকেই তাকিয়ে অয়নের কথাটা শুনে কষ্ট পেয়েছে চেহারা দেখেই বুঝতে পারলো । সিট ছেড়ে আসার সময় পেছন ফিরে দেখে নেয়া উচিৎ ছিলো পেছনে কেউ আছে কিনা । নিশান আবিরকে জিজ্ঞেস করলো, “তুমি বাইরে যাও নি কেনো?” আবির জবাব দিলো, “তেমন কিছু না বাবা, আমার ফোনটা পড়ে গিয়েছিলো, বাসের গতিতে সেটা পেছনে চলে এসে, সেটাই নিতে এসেছিলাম ।” নিশান বলল, “ও আচ্ছা ।”
বাস মিনিট পাচেকের মধ্যেই ছাড়লো । সবাই বাসে উঠেছে । মাইশা আর অয়নের খারাপ লাগছে খুব আবিরের জন্য । আবির কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে চোখ বুজে গান শুনছে । একটু পর বাসে একটা লোক উঠলো । মাথায় কোঁকড়ানো দেড় হাত লম্বা সাদা চুল । মুখে একহাত লম্বা সাদা দাড়ি । গায়ে গেরুয়া রঙের চাদর জড়ানো, আর গেরুয়া রঙের ধুতি । লোকটা উঠেই কর্কশ গলায় বলল, “সবাইকে জানাই আদাব! আসলে এখানে বেশিরভাগ মুসলমান, কিন্তু আমি হিন্দু, তাই আদাবই বললাম । আজ এখানে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি, আপনাদের কারিশ্মা দেখাতে । কিসের কারিশ্মা? দাঁড়ান দেখাচ্ছি!” বলে লোকটা এক মহিলার দিকে আঙ্গুল তুলে বলল, “আপনি অসুস্থ মায়ের কাছে যাচ্ছেন তাকে দেখতে, তাই না?” মহিলাটা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো, “আপনে জাইনলেন ক্যামনে?” লোকটা হালকা হেসে বলল, “হুম, সেটাই আমার কারিশ্মা ।“ তারপর লোকটা আরেকটা লোককে বলল, “আপনার আইফোন গতপরশু ছাদ থেকে পড়ে ভেঙ্গে গেছে, তাই না?” লোকটা হালকা হেসে উঠলো । বলল, “এইডা কেবা কইরে জাইনলেন আপনে!” লোকটা বলল, “কারিশ্মারে বৎস! কারিশ্মা!” বলে লোকটা এবার এলো আবিরের পাশে । আবির তখনও চোখ বুজে গান শুনছে । তারপরই একটু পেছনে ফিরে অয়নের সামনে এসে বলল, “তোর জন্য বেচারা ছেলেটা কষ্ট পাচ্ছে, সেই কষ্টে আমাকে আমার মতো থাকতে দাও গান শুনছে!” অয়ন সিট থেকে উঠে আবিরের মোবাইল চেক করে দেখলো, ও আসলেই এই গান শুনছে । অয়নের কারনে চোখ খুলল আবির । কান থেকে ইয়ারফোন সরালো । লোকটাকে দেখতে পেলো । সাবিত বলল, “আবির! লোকটা তুই কি গান শুনছিলি তা বলল! আসলেই তো দেখছি তুই এক গান শুনছিলি!” আবির শুধু, “ও আচ্ছা!” ছাড়া আর কিছু বলল না । লোকটা তখন অয়নকে বলল, “শোন, তোকে একটা ভবিষ্যৎবাণী দিয়ে যাই! তোর দ্বিতীয় প্রেম কিন্তু মোটেও ভালো হবে না!” অয়ন তাকিয়ে দেখলো, ওর দিকে রাগ নিয়ে তাকিয়ে আছে মাইশা । লোকটা আরও অনেকের অনেক কথা বলল, সবই সত্যি হলো । তারপর লোকটা বলল, “আপনারা এখন এই কারিশ্মার জন্য মন থেকে যদি এই গরীবকেক কিছু দিতে চান তো দিতে পারেন । আর আমার কোন দরকার পড়লে আমার নাম্বার রেখে দিন, পাবনাতেই আমাকে খুজে পাবেন । আমার কারিশ্মা সর্বদা প্রস্তুত আপনাকে সাহায্য করার জন্য ।” সবাই যে যা পারলো দিলো । আবিরও দিলো । অয়ন দিলো না । আবির দিয়েই চোখ বন্ধ করে আবার গান শোনায় মনোনিবেশ করলো । চয়নিকা বলল, “আপনার নাম্বারটা পেতে পারি?” লোকটা ওর নাম্বার চয়নিকাকে দিলো । চয়নিকা লোকটাকে টাকাও দিলো । লোকটা মাইশার কাছে আসতেই মাইশা ৫০০টাকার নোট লোকটার হাতে দিয়ে বলল, “এবার একটু ওঅ ছেলেটার সম্পর্কে বলুন তো! ওর দ্বিতীয় প্রেমিকা কে! আমি ওর প্রথম প্রেমিকা!” লোকটা হালকা হেসে বলল, “জানি রে মা! জানি । তবে চিন্তা করিস না, ও দ্বিতীয় প্রেমে না পড়লেই হলো । তুই ওকে সামলে রাখিস । আর আমি এতো টাকা নেই না । পাচ, দশ, বিশ হলে দে, নাহলে কোন সমস্যা নেই ।” মাইশা ২০টাকা দিলো । তারপর লোকটা বাস থেকে নেমে গেলো ।
আগামী পর্বেঃ
রজব চাকরকে বলল, “যাও তো! মিতুরে দ্যাহো তো কনে গেলো!” সাবিত জিজ্ঞেস করলো, “দাদাই! মিতু কে?” রজব বলল, “একখান গেদি, বেচারি কোন জানি অনাথ আশ্রম থেইকা পলাইয়া এই গেরামে আইছে । তা বেচারি একা! আমার বাড়িত থাইকবার চাইলো, আমি ওরে আমার মাইয়ার মতো পাইলতেছি ।” তারপর রজব আলি অয়নের দিকে ইশারা করে বলল, “ওইযে! বয়সে ওর মতোই হবে ।”
কিছুদুর যাবার পর পথে একটা ফিলিং ষ্টেশনে বাস থামালো । সবাই বাস থেকে নামলেও নামলো না অয়ন আর মাইশা । সবাই নেমে যেতেই অয়ন এসে বসলো মাইশার পাশে । মাইশা বলল, “কি করছো!” অয়ন মাইশার কাধে মাথা রেখে বলল, “তোমার স্পর্শ নিচ্ছি!” মাইশা বলল, “আরে! কেউ দেখে ফেললে কিন্তু ভালো হবে না!” অয়ন বলল, “কে দেখবে! শুধু তুমি আর আমি ।” মাইশা বলল, “তাই না? তা আমাকে এতো দেখে কি লাভ? আর এখনই এতো প্রেম দেখালে বিয়ের পর তো প্রেমের অভাব হয়ে যাবে ।” অয়ন বলল, “কিচ্ছু হবে না! তোমার জন্য আমার প্রেম ইউটিউবের স্টোরেজের থেকেও বড়!” বলে মাইশার হাত ধরলো অয়ন । মাইশা হাত ছাড়িয়ে নিয়ে বলল, “এবার কিন্তু বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে!” অয়ন বলল, “তাই নাকি! দাড়াও!” বলে মাইশাকে জড়িয়ে ধরলো অয়ন । মাইশা বলল, “আহ অয়ন ছাড়ো!” অয়ন বলল, “না ছাড়বো না! কি করবে?” মাইশা বলল, “কেউ দেখে ফেলবে তো!” অয়ন বলল, “সবাইকে দেখাবো! দরকার হলে ওই আবির বজ্জাতটার সামনেও ধরবো!” মাইশা বলল, “ছি! এগুলো কি বলছো!” অয়ন কিছু একটা বলতে যাবে, এমন সময় “আব্বু! তুমি এখানে!” কথাটা শুনে মাইশাকে ছেড়ে সোজা হয়ে বসলো অয়ন । তাকিয়ে দেখলো, এই কথা বলে বাসের পেছনের দিকে যাচ্ছে নিশান । অয়নের ভ্রু কুচকে গেলো । আব্বু! মানে তো আবির ভাই! পেছনের দিকে তাকিয়ে দেখলো আবির দাঁড়িয়ে । ওর দিকেই তাকিয়ে অয়নের কথাটা শুনে কষ্ট পেয়েছে চেহারা দেখেই বুঝতে পারলো । সিট ছেড়ে আসার সময় পেছন ফিরে দেখে নেয়া উচিৎ ছিলো পেছনে কেউ আছে কিনা । নিশান আবিরকে জিজ্ঞেস করলো, “তুমি বাইরে যাও নি কেনো?” আবির জবাব দিলো, “তেমন কিছু না বাবা, আমার ফোনটা পড়ে গিয়েছিলো, বাসের গতিতে সেটা পেছনে চলে এসে, সেটাই নিতে এসেছিলাম ।” নিশান বলল, “ও আচ্ছা ।”
বাস মিনিট পাচেকের মধ্যেই ছাড়লো । সবাই বাসে উঠেছে । মাইশা আর অয়নের খারাপ লাগছে খুব আবিরের জন্য । আবির কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে চোখ বুজে গান শুনছে । একটু পর বাসে একটা লোক উঠলো । মাথায় কোঁকড়ানো দেড় হাত লম্বা সাদা চুল । মুখে একহাত লম্বা সাদা দাড়ি । গায়ে গেরুয়া রঙের চাদর জড়ানো, আর গেরুয়া রঙের ধুতি । লোকটা উঠেই কর্কশ গলায় বলল, “সবাইকে জানাই আদাব! আসলে এখানে বেশিরভাগ মুসলমান, কিন্তু আমি হিন্দু, তাই আদাবই বললাম । আজ এখানে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি, আপনাদের কারিশ্মা দেখাতে । কিসের কারিশ্মা? দাঁড়ান দেখাচ্ছি!” বলে লোকটা এক মহিলার দিকে আঙ্গুল তুলে বলল, “আপনি অসুস্থ মায়ের কাছে যাচ্ছেন তাকে দেখতে, তাই না?” মহিলাটা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো, “আপনে জাইনলেন ক্যামনে?” লোকটা হালকা হেসে বলল, “হুম, সেটাই আমার কারিশ্মা ।“ তারপর লোকটা আরেকটা লোককে বলল, “আপনার আইফোন গতপরশু ছাদ থেকে পড়ে ভেঙ্গে গেছে, তাই না?” লোকটা হালকা হেসে উঠলো । বলল, “এইডা কেবা কইরে জাইনলেন আপনে!” লোকটা বলল, “কারিশ্মারে বৎস! কারিশ্মা!” বলে লোকটা এবার এলো আবিরের পাশে । আবির তখনও চোখ বুজে গান শুনছে । তারপরই একটু পেছনে ফিরে অয়নের সামনে এসে বলল, “তোর জন্য বেচারা ছেলেটা কষ্ট পাচ্ছে, সেই কষ্টে আমাকে আমার মতো থাকতে দাও গান শুনছে!” অয়ন সিট থেকে উঠে আবিরের মোবাইল চেক করে দেখলো, ও আসলেই এই গান শুনছে । অয়নের কারনে চোখ খুলল আবির । কান থেকে ইয়ারফোন সরালো । লোকটাকে দেখতে পেলো । সাবিত বলল, “আবির! লোকটা তুই কি গান শুনছিলি তা বলল! আসলেই তো দেখছি তুই এক গান শুনছিলি!” আবির শুধু, “ও আচ্ছা!” ছাড়া আর কিছু বলল না । লোকটা তখন অয়নকে বলল, “শোন, তোকে একটা ভবিষ্যৎবাণী দিয়ে যাই! তোর দ্বিতীয় প্রেম কিন্তু মোটেও ভালো হবে না!” অয়ন তাকিয়ে দেখলো, ওর দিকে রাগ নিয়ে তাকিয়ে আছে মাইশা । লোকটা আরও অনেকের অনেক কথা বলল, সবই সত্যি হলো । তারপর লোকটা বলল, “আপনারা এখন এই কারিশ্মার জন্য মন থেকে যদি এই গরীবকেক কিছু দিতে চান তো দিতে পারেন । আর আমার কোন দরকার পড়লে আমার নাম্বার রেখে দিন, পাবনাতেই আমাকে খুজে পাবেন । আমার কারিশ্মা সর্বদা প্রস্তুত আপনাকে সাহায্য করার জন্য ।” সবাই যে যা পারলো দিলো । আবিরও দিলো । অয়ন দিলো না । আবির দিয়েই চোখ বন্ধ করে আবার গান শোনায় মনোনিবেশ করলো । চয়নিকা বলল, “আপনার নাম্বারটা পেতে পারি?” লোকটা ওর নাম্বার চয়নিকাকে দিলো । চয়নিকা লোকটাকে টাকাও দিলো । লোকটা মাইশার কাছে আসতেই মাইশা ৫০০টাকার নোট লোকটার হাতে দিয়ে বলল, “এবার একটু ওঅ ছেলেটার সম্পর্কে বলুন তো! ওর দ্বিতীয় প্রেমিকা কে! আমি ওর প্রথম প্রেমিকা!” লোকটা হালকা হেসে বলল, “জানি রে মা! জানি । তবে চিন্তা করিস না, ও দ্বিতীয় প্রেমে না পড়লেই হলো । তুই ওকে সামলে রাখিস । আর আমি এতো টাকা নেই না । পাচ, দশ, বিশ হলে দে, নাহলে কোন সমস্যা নেই ।” মাইশা ২০টাকা দিলো । তারপর লোকটা বাস থেকে নেমে গেলো ।
আগামী পর্বেঃ
রজব চাকরকে বলল, “যাও তো! মিতুরে দ্যাহো তো কনে গেলো!” সাবিত জিজ্ঞেস করলো, “দাদাই! মিতু কে?” রজব বলল, “একখান গেদি, বেচারি কোন জানি অনাথ আশ্রম থেইকা পলাইয়া এই গেরামে আইছে । তা বেচারি একা! আমার বাড়িত থাইকবার চাইলো, আমি ওরে আমার মাইয়ার মতো পাইলতেছি ।” তারপর রজব আলি অয়নের দিকে ইশারা করে বলল, “ওইযে! বয়সে ওর মতোই হবে ।”