0 %

Thanks a lot for being with us!
We are re-constructing our website!
Sorry for this temporary inconvenience
We are coming to you with a fresh look and design from 1 January 2022!
Till then! Stay connected!

পরিচয় ৩০৫

পরিচয়(পর্ব-৩০৫)
(সিজন-১১; আত্মার সাক্ষাৎ)
আবির হাসিমুখে বলল, “ঠিক আছে! কবে যাবে?” চয়নিকা বলল, “কাল তো শনিবার, পরশু রবিবার নিশানের স্কুল থেকে দু সপ্তাহের অগ্রীম ছুটি নিয়ে সোমবার যাই?” আবির চয়নিকার গালে হাত রেখে বলল, “ঠিক আছে ।”
রাতের কথা । রুমে ল্যাপটপে অফিসের কাজ করছিলো আবির । কোম্পানির কাজ । এমন সময় অয়ন এলো । বলল, “ভাই! তোমার গেঞ্জিটা জোস তো!” আবির ল্যাপটপ থেকে চোখ না সরিয়েই জবাব দিলো, “হেয়ালি না করে বল কি লাগবে তোর!” অয়ন হালকা হাসলো । তারপর বলল, “তেমন বেশি কিছু না ভাই! ছোটো একটা জিনিস! আমি জানি তুমি পারবা!” আবির বলল, “যদি নিশানের নামে কোন কমপ্লেইন করতে আসিস, তাহলে আগে তুই মাইর খাবি! তারপর ও ।” অয়ন এবার হালকা রাগ করে ভ্রু কুচকে বলল, “এই যে! কথা না শুইনাই রিয়েক্ট করলা! এমন করো কেনো? আমি কিন্তু আপুকে বলে দেবো!” আবির বলল, “তুই আর কি পারিস? আর বললে বল । তোর চাওয়াটাও পূরণ হবে না ।” আবির বলল, “না না ভাই! কি যে বলো আমি কিছুই বলবো না!” আবির এবার একবারের জন্য অয়নের দিকে তাকিয়ে বলল, “এবার বল না বাপ কি বলবি?” অয়ন বলল, “বলছিলাম যে, আমাদের সাথে মাইশাকেও নিয়ে যাই?” আবির কি যেন টাইপ করছিলো । অয়নের কথা শুনে আবির ফ্রিজ হয়ে গেলো । অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “যাই?” আবির ল্যাপটপের লিডটা হালকা নামিয়ে অয়নের দিকে ঘুরে বসলো । তারপর বলল, “তোদের কিন্তু বিয়ে হয়! বিয়ের আগে হানিমুনে গেলে কিন্তু বিয়েটা আর হবে না!” অয়ন বলল, “এহ! হানিমুন নাকি? তুমি আর চুনি আপু প্রেম করতা না? আমার প্রাইভেট শেষে?” আবির গলা খাখরে বলল, “আচ্ছা ঠিক আছে, পুরোনো কথা টানার কি দরকার । নিয়ে যাবি যা! না করেছে কে!” অয়ন খুশিতে “থাঙ্ক ইউ ভাই!” বলতে বলতে আবিরকে জড়িয়ে ধরে আবিরের গালে চুমু দিলো । আবির বলল, “এহ! গু ওয়ালা মুখে আমারে চুমু খায়!” অয়ন নিজের রুমে যেতে যেতে বলল, “মুখের ভাষা ঠিক করো! আপুকে বলে দেবো কিন্তু!”
সোমবারের কথা । আবির, অয়ন, চয়নিকা, নিশান আর জরিনা এসেছে মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে । বাসের টিকিট কাটাই ছিলো । সিটে বসে চিপ্স খাচ্ছে জরিনা আর নিশান । অয়ন সেলফি তোলায় ব্যাস্ত । আবির আর অয়নিকা একটু দূরে দাঁড়িয়ে দেখছে সাবিত ভাই কখন আসে । সে সময় চয়নিকা জিজ্ঞেস করলো, “অপুকে বললা না? রাগ করে যদি?” আবির বলল, “বলেছিলাম, তা ও তো পুলিশ মানুষ, বোঝোই তো, কতো ব্যাস্ততা ।” চয়নিকা বলল, “ও ।” একটু পর রিকশা নিয়ে একটা সাদা শার্ট গায়ে দিয়ে হাজির হল সাবিত । আবির আর চয়নিকা সালাম দিলো সাবিত । সাবিত বলল, “ওয়ালাইকুমুস সালাম! বাহ! দুজনেই দেখছি ম্যাচ করে জামা পড়েছিস!” আবির বলল, “জি ভাই! চয়নিকার সাধ হলো একটু আরকি!” সাবিত একটা হতাশার শ্বাস ফেলে বলল, “আমার এরকম ইচ্ছে পূরণ করার মতো কেউ নেই! যে ছিলো, চলেও গেলো ।” সবার মন খারাপ হয়ে গেলো । আবির বলল, “আচ্ছা ভাই! এখন ওসব কথা বাদ! কোথাও ঘুরতে যাচ্ছি হাসিখুশি থাকি ।” সাবিত বলল, “হ্যাঁ! ঠিক বলেছিস । চল দেখি, বাসের কাছে যাই, আমার এই লাগেজটা বক্সে তোলা লাগবে ।” আবির, চয়নিকা আর সাবিত বাসের দিকে গেলো ।
বাসের পাশেই সেলফি তুলতে তুলতে কি যেনো দেখে হা হয়ে সামনের দিকে তাকালো অয়ন । চোখ যেনো সেদিক থেকে সরছেই না! নিশান ইয়ার্কি করে একটা চিপস ছুড়ে মারলো । সেটা অয়নের মাথায় যেয়ে পড়লো, তবু অয়ন টের পেলো না । সামনে আর কেউ না, মাইশা । মাইশাকে দেখেই এরকম হা হয়ে তাকিয়ে ছিলো অয়ন । মাইশা কাছে এসে অয়নের মাথা থেকে চিপসটা নিয়ে অয়নের মুখে ঢুকিয়ে দিলো । তারপর বলল, “এখন চিপস ঢুকেছে, আর একটু হা করে থাকলে মাছি ঢুকে যাবে ।” অয়ন মুখ বন্ধ করলো । আবির এসে ওর মাথায় একটা হালকা করে আঘাত করতেই হুশ ফিরলো অয়নের । আবির জিজ্ঞেস করলো, “কিরে কি হয়েছে?” অয়ন বলল, “না! তেমন কিছু না!” মাইশা ওর কাধ ব্যাগ নিয়েছে একটা । আবির বলল, “এটা বক্সে ঢোকানোর দরকার নেই, সিটের ওপরে জায়গা আছে, ওখানে রেখো ।”
সকাল ৯টার দিকে বাস ছাড়লো । প্রথম থেকে তিন নম্বর সারির ডানদিকের সিটগুলোতে বসেছে ওরা । প্রথমে জানালার পাশে মাইশা, তার পাশে জরিনা । তার পেছনে চয়নিকা আর জানালার পাশে নিশান, চয়নিকা । তার পেছনে সাবিত আর অয়ন । তার পেছনে জানালার পাশে আবির । পাশে একটা অচেনা মধ্যবয়স্ক লোক । অয়ন মাইশার সাথে চ্যাটিং করছিলো । অয়ন লিখলো, “দেখেছো! আবির ভাই তোমার থেকে আমাকে কতো দূরে রাখলো!” মাইশা রিপ্লাই দিলো, “খুশি থাকো তোমাকে একা রাখে নি! ভাইয়া নিজের তো একা বসেছে । আর তাছাড়া জরিনা আপুর সাথে অনেক ভালো লাগছে! উনি খুব মজার মানুষ!” অয়ন হঠাৎ পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখলো, আবির ওর মেসেজ পড়ছে । অয়ন মোবাইল লক করে দিলো । আবির বলল, “বাহ! শুরু আমার নামে উলটা পালটা কথা বলা!

আগামী পর্বেঃ
মাইশাকে জড়িয়ে ধরলো অয়ন । মাইশা বলল, “কেউ দেখে ফেলবে তো!” অয়ন বলল, “সবাইকে দেখাবো! দরকার হলে ওই আবির বজ্জাতটার সামনেও ধরবো!” এমন সময় “আব্বু! তুমি এখানে!” কথাটা শুনে মাইশাকে ছেড়ে সোজা হয়ে বসলো অয়ন । পেছনের দিকে তাকিয়ে দেখলো আবির দাঁড়িয়ে ।
…………………………………………………………………………………
লোকটা তখন অয়নকে বলল, “শোন, তোকে একটা ভবিষ্যৎবাণী দিয়ে যাই! তোর দ্বিতীয় প্রেম কিন্তু মোটেও ভালো হবে না!” অয়ন তাকিয়ে দেখলো, ওর দিকে রাগ নিয়ে তাকিয়ে আছে মাইশা ।