পরিচয় ৩০৪
পরিচয়(পর্ব-৩০৪)
(সিজন-১১; আত্মার সাক্ষাৎ)
(সিজন-১১; আত্মার সাক্ষাৎ)
আবির বলল, “এরকম কথা যেন আর কোনোদিন না শুনি!” চয়নিকা বলল, “ঠিক আছে!” কিছুক্ষণ দুজনেই চুপ । তারপর চয়নিকা বলল, “আচ্ছা শোনো! সাবিত ভাইকেও আমাদের সাথে নিয়ে চলো! উনারও একটু ভালো লাগবে ।” আবির বলল, “হুম, খারাপ বলোনি কথাটা!” রান্নাঘর থেকে জরিনার ডাক এলো । “খালা! একডু এইদিকে আহেন!” চয়নিকা “আচ্ছা! তাহলে তুমি ভাইকে কল করে একটু জানাও ।” বলে চলে গেলো রান্নাঘরের দিকে । আবির কল করলো সাবিতকে । “আসসালামু আলাইকুম ভাই! কেমন আছো?” সাবিত বলল, “এইতো, আছি আলহামদুলিল্লাহ । তুই?” সাবিতের কণ্ঠ শুনে মনে হল, হালকা চিন্তিত । আবির বলল, “জি আলহামদুলিল্লাহ ভালো । কিছু হয়েছে?”
“না, তেমন কিছু না । কেনো?” বলল সাবিত ।
“না, তোমার গলা শুনে মনে হচ্ছে যেনো তুমি চিন্তিত!” বলল আবির।
সাবিত একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, “কি আর বলবো, মা বাবা আমাকে জোর করে বিয়ে দিতে চাইছেন ।”
“ও, তুমি কি বললে?” বলল আবির ।
“কি আর বলবো, আমার জীবনের প্রথম ও শেষ স্ত্রী আঁখিই ছিলো! আর কাউকে আমি চাই না! বাকি জীবন একা-ই কাটাতে চাই!” বলল সাবিত ।
“ও, আচ্ছা ।”
“তুই-ই বলো আবির! এভাবে কি আরেকটা বিয়ে করা যায়?”
“দেখো ভাই, এটা তোমার জীবন আর তোমার পার্সোনাল ব্যাপার, তাই আমার কিছু বলার নেই । তোমার যা ভালো মনে হয় সেটাই করো ।”
“হুম ঠিকই বলেছিস, তোদের সাথে কাগজে কলমে কোন সম্পর্ক নেই তো, তাই এখন আমার লাইফ পার্সোনাল হয়ে গেছে, না?”
“আরে ভাই! রাগ করতেছো কেনো? কে বলেছে তোমার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নাই? আচ্ছা, চয়নিকার না হয় ভাই আছে । কিন্তু আমার তো জন্ম থেকে কেউ নেই । তুমিই তো আমার একমাত্র বড় ভাই, তাই না?”
সাবিত হালকা হেসে বলল, “আচ্ছা, বল, হঠাৎ এই বড় ভাইকে মনে পড়লো কেনো ।” আবির বলল, “চয়নিকার আর আমি ভাবছিলাম আমাদের ওপর দিয়ে যা ঝড় গেলো। সেটা রেশ কাটাতে একটু কোথাও ঘুরে আসতে । ভাবলাম তোমাকেও নিয়ে যাই ।” সাবিত বলল, “হুম, ভালো আইডিয়া । কিন্তু কোথায় যাবি কিছু ঠিক করেছিস?” আবির বলল, “না না, তা ঠিক করা হয় নি ।” সাবিত বলল, “আমার দাদু বাড়িতে পুরোনো একটা দালান আছে, পাবনার এক প্রত্যন্ত গ্রামে । আশেপাশে ৪-৫ কিলোমিটারের মধ্যে ওটাই একমাত্র পাকা দোতলা বাড়ি । ওই বাড়িতে এখন কেবল চাকর, আর আমার দাদুর খালাতো ভাই থাকে ।” আবির জিজ্ঞেস করল, “সেকি! পুরো বাড়িতে উনি একা থাকেন!” সাবিত বলল, “হ্যাঁ । উনি যেতে বলেন খুব এজন্য, কিন্তু যাওয়াই হয় না । তোদের ঘুরতে যাবার উছিলায় তাও যাওয়া যাবে । যাবি?” আবির বলল, “আমি তো এক পায়ে খাড়া! কিন্তু তাও চয়নিকার সাথে কথা বলে তোমাকে জানাচ্ছি!” সাবিত বলল, “আচ্ছা, জানা তাহলে ।” কথা বলা শেষে আবির গেলো চয়নিকাকে খুজতে । অয়নের রুমেই পেলো চয়নিকাকে । অয়নকে বলছে, “বল আর কোনোদিন করবি?” অয়ন বলল, “আরও করবো! যত ও জালাবে! ততোবার করবো!” কথা শুনে চয়নিকা অয়নের পিঠে কয়েকটা বারি মারলো । আবির জিজ্ঞেস করল, “কি হয়েছে?” চয়নিকা বলল, “এই দেখো না! দুই মামা ভাগ্নে আবার ঝামেলা শুরু করে দিয়েছে! নিশান একটু করেছে দেখে অয়ন আবার ওকে মেরেছে । নিশান ছোটো মানুষ না!” আবির বলল, “ওরে আল্লাহ! এই দুজনে আর থামবে না! আচ্ছা, সবাইকে বলি । আমরা ঘুরতে যাচ্ছি ।” অয়ন জিজ্ঞেস করল, “আমাকে বললা না তোমার অকালপক্ব ছেলেকে?” আবির বলল, “তোদের দুইটাই বলেছি! দুই অকালপক্ব!” নিশান বলল, “অয়ন মামা গেলে আমি যাবো না!” আবির বলল, “নাহ! তোকে ভালো ভেবেছিলাম! তুইও দেখছি সত্যি অকালপক্ব ।” নিশান বলল, “বাহ! একটু আগেই অয়ন মামার সাথে আমাকেও অকালপক্ব বললে, আর এখন বলছো তুমি আমাকে ভালো ভেবেছিলে! হাও রিডিকিউলাস!” আবির হালকা বিরক্ত হয়ে বলল, “ব্যাস আর একটা কথাও শুনতে চাই না! তোরা বল! যাবি কি যাবি না!” অয়ন আর নিশান চুপ । আবির ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করল, “কি ব্যাপার! আমি কিছু জিজ্ঞাসা করছি তো!” নিশান, “তুমিই তো বললা, আর একটা কোথাও শুনতে চাও না!” বলে খিল খিল করে হেসে উঠলো । হাসলো অয়নও । আবির বলল, “আল্লাহ! আমাকে শান্তি দাও! শোন! তোরা গেলে হ্যাঁ বলবি, ঠিক আছে?” অয়ন আর নিশান ডানে মাথা হালকা কাত করলো । আবির জিজ্ঞেস করল, “বল যাবি কিনা!” অয়ন আর নিশান একসাথে বলে উঠলো, “হ্যাঁ!” তারপর দুজনে দুজনের দিকে তাকিয়ে “হুহ!” আওয়াজ করে বিরক্তি প্রকাশ করে নিশান বেড়িয়ে গেলো আর অয়ন চোখ দিলো মনিটরে । আবির বলল, “যাক! আলহামদুলিল্লাহ! রাজি হয়েছে ।” তারপর চয়নিকা জিজ্ঞেস করলো, “সাবিত ভাইকে বলেছিলে?” আবির বলল, “হুম, বলেছিলাম । ইভেন উনি একটা ভালো জায়গা-ও সাজেস্ট করলেন ।” চয়নিকা জানতে চাইলো, “কোন জায়গা?” “উনার দাদুবাড়ির পুরোনো দোতলা দালান । পাবনার এক প্রত্যন্ত এলাকায় আছে সেটা ।” চয়নিকা বলল, “বাহ! ভালো তো । আমি রাজি!” আবির হাসিমুখে বলল, “ঠিক আছে! কবে যাবে?”
আগামী পর্বেঃ
সাবিত বলল, “ওয়ালাইকুমুস সালাম! বাহ! দুজনেই দেখছি ম্যাচ করে জামা পড়েছিস!” আবির বলল, “জি ভাই! চয়নিকার সাধ হলো একটু আরকি!” সাবিত একটা হতাশার শ্বাস ফেলে বলল, “আমার এরকম ইচ্ছে পূরণ করার মতো কেউ নেই! যে ছিলো, চলেও গেলো ।”
…………………………
বাসের পাশেই সেলফি তুলতে তুলতে কি যেনো দেখে হা হয়ে সামনের দিকে তাকালো অয়ন । চোখ যেনো সেদিক থেকে সরছেই না! নিশান ইয়ার্কি করে একটা চিপস ছুড়ে মারলো । সেটা অয়নের মাথায় যেয়ে পড়লো, তবু অয়ন টের পেলো না । সামনে আর কেউ না, মাইশা ।
“না, তেমন কিছু না । কেনো?” বলল সাবিত ।
“না, তোমার গলা শুনে মনে হচ্ছে যেনো তুমি চিন্তিত!” বলল আবির।
সাবিত একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, “কি আর বলবো, মা বাবা আমাকে জোর করে বিয়ে দিতে চাইছেন ।”
“ও, তুমি কি বললে?” বলল আবির ।
“কি আর বলবো, আমার জীবনের প্রথম ও শেষ স্ত্রী আঁখিই ছিলো! আর কাউকে আমি চাই না! বাকি জীবন একা-ই কাটাতে চাই!” বলল সাবিত ।
“ও, আচ্ছা ।”
“তুই-ই বলো আবির! এভাবে কি আরেকটা বিয়ে করা যায়?”
“দেখো ভাই, এটা তোমার জীবন আর তোমার পার্সোনাল ব্যাপার, তাই আমার কিছু বলার নেই । তোমার যা ভালো মনে হয় সেটাই করো ।”
“হুম ঠিকই বলেছিস, তোদের সাথে কাগজে কলমে কোন সম্পর্ক নেই তো, তাই এখন আমার লাইফ পার্সোনাল হয়ে গেছে, না?”
“আরে ভাই! রাগ করতেছো কেনো? কে বলেছে তোমার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নাই? আচ্ছা, চয়নিকার না হয় ভাই আছে । কিন্তু আমার তো জন্ম থেকে কেউ নেই । তুমিই তো আমার একমাত্র বড় ভাই, তাই না?”
সাবিত হালকা হেসে বলল, “আচ্ছা, বল, হঠাৎ এই বড় ভাইকে মনে পড়লো কেনো ।” আবির বলল, “চয়নিকার আর আমি ভাবছিলাম আমাদের ওপর দিয়ে যা ঝড় গেলো। সেটা রেশ কাটাতে একটু কোথাও ঘুরে আসতে । ভাবলাম তোমাকেও নিয়ে যাই ।” সাবিত বলল, “হুম, ভালো আইডিয়া । কিন্তু কোথায় যাবি কিছু ঠিক করেছিস?” আবির বলল, “না না, তা ঠিক করা হয় নি ।” সাবিত বলল, “আমার দাদু বাড়িতে পুরোনো একটা দালান আছে, পাবনার এক প্রত্যন্ত গ্রামে । আশেপাশে ৪-৫ কিলোমিটারের মধ্যে ওটাই একমাত্র পাকা দোতলা বাড়ি । ওই বাড়িতে এখন কেবল চাকর, আর আমার দাদুর খালাতো ভাই থাকে ।” আবির জিজ্ঞেস করল, “সেকি! পুরো বাড়িতে উনি একা থাকেন!” সাবিত বলল, “হ্যাঁ । উনি যেতে বলেন খুব এজন্য, কিন্তু যাওয়াই হয় না । তোদের ঘুরতে যাবার উছিলায় তাও যাওয়া যাবে । যাবি?” আবির বলল, “আমি তো এক পায়ে খাড়া! কিন্তু তাও চয়নিকার সাথে কথা বলে তোমাকে জানাচ্ছি!” সাবিত বলল, “আচ্ছা, জানা তাহলে ।” কথা বলা শেষে আবির গেলো চয়নিকাকে খুজতে । অয়নের রুমেই পেলো চয়নিকাকে । অয়নকে বলছে, “বল আর কোনোদিন করবি?” অয়ন বলল, “আরও করবো! যত ও জালাবে! ততোবার করবো!” কথা শুনে চয়নিকা অয়নের পিঠে কয়েকটা বারি মারলো । আবির জিজ্ঞেস করল, “কি হয়েছে?” চয়নিকা বলল, “এই দেখো না! দুই মামা ভাগ্নে আবার ঝামেলা শুরু করে দিয়েছে! নিশান একটু করেছে দেখে অয়ন আবার ওকে মেরেছে । নিশান ছোটো মানুষ না!” আবির বলল, “ওরে আল্লাহ! এই দুজনে আর থামবে না! আচ্ছা, সবাইকে বলি । আমরা ঘুরতে যাচ্ছি ।” অয়ন জিজ্ঞেস করল, “আমাকে বললা না তোমার অকালপক্ব ছেলেকে?” আবির বলল, “তোদের দুইটাই বলেছি! দুই অকালপক্ব!” নিশান বলল, “অয়ন মামা গেলে আমি যাবো না!” আবির বলল, “নাহ! তোকে ভালো ভেবেছিলাম! তুইও দেখছি সত্যি অকালপক্ব ।” নিশান বলল, “বাহ! একটু আগেই অয়ন মামার সাথে আমাকেও অকালপক্ব বললে, আর এখন বলছো তুমি আমাকে ভালো ভেবেছিলে! হাও রিডিকিউলাস!” আবির হালকা বিরক্ত হয়ে বলল, “ব্যাস আর একটা কথাও শুনতে চাই না! তোরা বল! যাবি কি যাবি না!” অয়ন আর নিশান চুপ । আবির ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করল, “কি ব্যাপার! আমি কিছু জিজ্ঞাসা করছি তো!” নিশান, “তুমিই তো বললা, আর একটা কোথাও শুনতে চাও না!” বলে খিল খিল করে হেসে উঠলো । হাসলো অয়নও । আবির বলল, “আল্লাহ! আমাকে শান্তি দাও! শোন! তোরা গেলে হ্যাঁ বলবি, ঠিক আছে?” অয়ন আর নিশান ডানে মাথা হালকা কাত করলো । আবির জিজ্ঞেস করল, “বল যাবি কিনা!” অয়ন আর নিশান একসাথে বলে উঠলো, “হ্যাঁ!” তারপর দুজনে দুজনের দিকে তাকিয়ে “হুহ!” আওয়াজ করে বিরক্তি প্রকাশ করে নিশান বেড়িয়ে গেলো আর অয়ন চোখ দিলো মনিটরে । আবির বলল, “যাক! আলহামদুলিল্লাহ! রাজি হয়েছে ।” তারপর চয়নিকা জিজ্ঞেস করলো, “সাবিত ভাইকে বলেছিলে?” আবির বলল, “হুম, বলেছিলাম । ইভেন উনি একটা ভালো জায়গা-ও সাজেস্ট করলেন ।” চয়নিকা জানতে চাইলো, “কোন জায়গা?” “উনার দাদুবাড়ির পুরোনো দোতলা দালান । পাবনার এক প্রত্যন্ত এলাকায় আছে সেটা ।” চয়নিকা বলল, “বাহ! ভালো তো । আমি রাজি!” আবির হাসিমুখে বলল, “ঠিক আছে! কবে যাবে?”
আগামী পর্বেঃ
সাবিত বলল, “ওয়ালাইকুমুস সালাম! বাহ! দুজনেই দেখছি ম্যাচ করে জামা পড়েছিস!” আবির বলল, “জি ভাই! চয়নিকার সাধ হলো একটু আরকি!” সাবিত একটা হতাশার শ্বাস ফেলে বলল, “আমার এরকম ইচ্ছে পূরণ করার মতো কেউ নেই! যে ছিলো, চলেও গেলো ।”
…………………………
বাসের পাশেই সেলফি তুলতে তুলতে কি যেনো দেখে হা হয়ে সামনের দিকে তাকালো অয়ন । চোখ যেনো সেদিক থেকে সরছেই না! নিশান ইয়ার্কি করে একটা চিপস ছুড়ে মারলো । সেটা অয়নের মাথায় যেয়ে পড়লো, তবু অয়ন টের পেলো না । সামনে আর কেউ না, মাইশা ।