পরিচয় ৩০২
পরিচয়(পর্ব-৩০২)
তখনও ওরা বুঝতে পারে নি, সামনে আরও কি হতে চলেছে ।
বিল্ডিঙের সামনে এসে আবির ওপরে উঠলো । অয়নের সাহায্যে চয়নিকার বাবাকে নিয়ে নিচে নামলো । ইতোমধ্যে আশেপাশের লোকেদের ভিড়ও জমে গেছে, পাড়া-প্রতিবেশীদের । গাড়িতে তুলে আবির আর অয়ন রওনা হলো হাস্পাতালের দিকে ।
“হ্যাঁ!......আচ্ছা……আচ্ছা মা!.........জি সিগমা হাসপাতালে ।……জি……হ্যালো! হ্যালো!” বলে মোবাইল কান থেকে সরালো সাবিত । চয়নিকা জিজ্ঞেস করল, “কি হয়েছে?” সাবিত বলল, “না, তেমন কিছু না । আম্মা ফোন দিয়েছিলেন, মানে তোমার মা । বললেন বেঙ্গলজ বিমানের ফ্লাইটের টিকিট পেয়ে আসছেন , আমার সাথে যখন কথা বলছিলেন তখন বিমান প্রায় টেকঅফ করবে করবে সময় । বোধ হয় টেকঅফ করে ফেলেছে, তাই লাইনটা কেটে গেছে ।” চয়নিকা বলল, “ওওও ।” সাবিতের মা বাবা তখন এলো সেখানে । চয়নিকা সালাম দিলো উনাদের । সাবিতের মা বলল, “ওয়ালাইকুমুস সালাম মা! কেঁদো না! আল্লাহ সব ঠিক করে দেবেন । আর বাস্তবতা মানতে হবেই মা!” চয়নিকা আবার কাঁদতে শুরু করল । সাবিতের মা চয়নিকাকে বসিয়ে জড়িয়ে শান্তনা দিতে লাগলো । সাবিতের বাবা সাবিতের কাধে হাত রেখে বলল, “কষ্ট পাস না বাবা, আল্লাহ ভরসা ।” সাবিত কেবল ওপর নিচ মাথা নাড়লো । একবার অপারেশন থিয়েটারের দিকে তাকিয়ে সাবিত বলল, “বাবা, আরেকটা অঘটন ঘটে গেছে ।” সাবিতের বাবা জিজ্ঞেস করল, “কি?” সাবিত বলল, “আব্বা, মানে আঁখির বাবা-ও হার্ট অ্যাটাক করেছেন । আবির গেছে উনাকে আনতে ।” সাবিতের বাবা ভয় পেয়ে গেলো । “ইয়া আল্লাহ! সেকি!” বলল সাবিতের বাবা । সাবিত বলল, “হ্যাঁ ।” সাবিতের বাবা বলল, “কি যে হচ্ছে আজ! আল্লাহ!” একটু পর চয়নিকা, আখি আর অয়নের বাবাকে নিয়ে হাজির হল আবির । উনাকে আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হল । অয়ন কাদছে । সাবিতের কাছে এসে অয়ন জিজ্ঞেস করল, “আপু কেমন আছে?” সাবিত বলল, “শেষ খবর আসা পর্যন্ত ভালো না রে । এরপর ডাক্তার আর কিছু বলেন নি ।” অয়ন চয়নিকার কাছে যেয়ে চয়নিকার কোলে মাথা রেখে কান্নাকাটি শুরু করলো । একটু পর ডাক্তার এলেন । আবির কাছে যেয়ে জিজ্ঞেস করলো, “ডাক্তার! বাবার কি অবস্থা এখন?” ডাক্তার হালকা রাগ নিয়েই বলল, “এতো দেরি করেছেন কেনো আপনারা! দেখে মনে হচ্ছে প্রায় ১ ঘণ্টা আগে হার্ট অ্যাটাক করেছেন! আপনাদের বাসা থেকে এখানে আসতে তো ১৫মিনিটের বেশি লাগে না!” চয়নিকা জিজ্ঞেস করলো, “বাবা সুস্থ হবে তো ডাক্তার?” ডাক্তার মাথা নিচু করলো । আবির জিজ্ঞেস করলো, “কি হলো, কিছু বলুন!” ডাক্তার বলল, “উনি পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন ।” সবাই কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো । হাসপাতালে কান্নার রোল পড়ে গেলো । চয়নিকা আর অয়নকে শান্তনা দিতে লাগলো সাবিতের মা । সাবিতের বাবাও পাশে দাঁড়িয়ে । আবিরও কাদছে । একটু পর অপারেশন থিয়েটারের লাইটও বন্ধ হয়ে গেলো । ভেতর থেকে ডাক্তার এলো । ডাক্তারের চেহারা দেখে আন্দাজ করা যাচ্ছে, খবর খুব একটা ভালো না । তাও আশা নিয়ে সাবিত জিজ্ঞেস করলো, “ডাক্তার! আমার স্ত্রী কেমন আছে? আমার বাচ্চা কেমন আছে?” ডাক্তার বলল, “আ’ম সো সরি ভাই, মা বাচ্চা কাউকেই বাচানো সম্ভব হয় নি ।“ চয়নিকা আর অয়ন আরও জোরে কান্নাকাটি শুরু করল । এবার সাবিতও যুক্ত হল কান্নাকাটির দলে । সাবিতের বাবা এসে সাবিতকে জড়িয়ে ধরে শান্তনা দেবার চেষ্টা করলো । আবিরও কাদছে । কিন্তু তবুও ধৈর্য হারাচ্ছে না । মনে মনে বলছে, “আল্লাহ! আমাকে শক্তি দাও! আমাকে ধৈর্য দাও!” আবিরের মনে পড়তে লাগলো পুরনো কথাগুলো । এই আঁখি আপু এক সময় আবির আর চয়নিকার সম্পর্ক মেনে নিতে চান নি । আবার উনিই আবির আর চয়নিকার বিয়ে ভাঙতে চাননি । এই চয়নিকার বাবা, উনার হাত থেকে নিজেদের সম্পর্ক ঢাকতে কত কিছুই না সেজেছে আবির । আর আজ, কেউ নেই । সবাইকে চলে যেতে হয় । এনাদেরও হয়েছে । সেই সময় একজন নার্স এলো । আবিরের কাছে এসে বলল, “দেখুন, আপনাদের অবস্থা বুঝতে পারছি, কিন্তু আপনাকে একটু শক্ত মনে হচ্ছে বলে বলছি, হাসপাতালের কিছু ফর্মালিটিস আর পেমেন্ট এর ব্যাপার আছে, সেগুলো একটু প্লিজ আপনি পালন করে আসুন ।” আবির ওপর নিচ মাথা নেড়ে গেলো রিসিপশনে । দুটো ফর্ম পূরণ করে বিল পরিশোধ করলো আবির ।
চয়নিকা কাঁদতে কাঁদতে প্রায় অসুস্থ হয়ে গেছে । সাবিতের মা বলল, “মা! শান্ত হও! কিছু করার নেই মা! এর ওপর মানুষের হাত নেই, যিনি জন্ম দেন, তিনিই তো নিয়ে যান! কেঁদো না মা, এসো, আমার সাথে একটু ওয়াশরুমে চলো । চোখ মুখ ধুয়ে নাও ।” চয়নিকা ওপর নিচ হালকা মাথা নেড়ে উঠলো । অয়ন এক দৃষ্টিতে কিছু একটার দিকে তাকিয়ে নিঃশব্দে কাঁদছে । আবির এসে ওর কাধে হাত রেখে ওকে একটু সান্ত্বনা দেবার চেষ্টা করল ।
ওয়াশরুম থেকে চোখমুখ ধুয়ে ফিরছিলো চয়নিকা । এমন সময় ওর চোখ গেলো একটা রুমে চলে টিভির দিকে । টিভিটা খুব বেশি দূরে না হওয়ায় স্পষ্ট শব্দ শোনা যাচ্ছে ।
সাবিতের মোবাইলে হঠাৎ একটা কল এলো । কল ধরতেই ওপাশ থেকে কেউ একজন বলে উঠলো, “স্যার, আপনি কি ৮৯৪৪ লাস্টে এই ৪ ডিজিটের নাম্বারের কাউকে চেনেন?” সাবিত বলল, “উনি আমার শাশুড়ি, কেনো?”
টিভিতে খবরে সাংবাদিক বলছে, “যাত্রীবাহি রয়েলজ বিমান লন্ডন থেকে আসার পথে উত্তর অ্যাটলান্টিক সমুদ্রে স্পেইনের কাছাকাছি বিদ্ধস্ত হয়েছে । যতদুর খবর পাওয়া গেছে এই দুর্ঘটনায় বিমানের পাইলট এবং দুজন কো-পাইলট সহ কেউ বেচে নেই ।” এই খবর দেখে চয়নিকা “না!” বলে চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলো ।
সাবিতকে ফোনের ওপাশে থাকা লোকটি বলল, “আপনার শাশুড়ির ছিন্নবিচ্ছিন্ন লাশ পাওয়া গেছে, আমি স্পেনের বাংলাদেশী এমব্যাসির একজন সদস্য বলছি ।” সাবিতের হাত থেকে মোবাইলটা পড়ে গেলো । সাবিতও নিজেকে সামলাতে পারলো না, প্রায় পড়ে যাবে যাবে অবস্থা, কিন্তু পড়ে যাবার আগে আবির সাবিতকে ধরলো । জিজ্ঞেস করল, “কি হয়েছে ভাই?” সাবিত বলল, “আম্মা মারা গেছেন!”
আগামী পর্বেঃ
আবির বলল, “বলছি কি, আমাদের একটু প্রশান্তির দরকার, এর জন্য ভালো হয় যদি আমরা কোথাও ঘুরে আসি । অয়ন, নিশান, ওদেরও ভালো লাগবে ।” চয়নিকা তখন হালকা লজ্জার আর কষ্টের সাথে বলল, “একটা কথা বলবো?” আবির জিজ্ঞেস করল, “হ্যাঁ বলো, কি বলবে?” চয়নিকা বলল, “বাবা মারা যাবার পর আমার ভাইয়ের সমস্ত দায়িত্ব তোমার ঘাড়ে এসে পড়লো!”
তখনও ওরা বুঝতে পারে নি, সামনে আরও কি হতে চলেছে ।
বিল্ডিঙের সামনে এসে আবির ওপরে উঠলো । অয়নের সাহায্যে চয়নিকার বাবাকে নিয়ে নিচে নামলো । ইতোমধ্যে আশেপাশের লোকেদের ভিড়ও জমে গেছে, পাড়া-প্রতিবেশীদের । গাড়িতে তুলে আবির আর অয়ন রওনা হলো হাস্পাতালের দিকে ।
“হ্যাঁ!......আচ্ছা……আচ্ছা মা!.........জি সিগমা হাসপাতালে ।……জি……হ্যালো! হ্যালো!” বলে মোবাইল কান থেকে সরালো সাবিত । চয়নিকা জিজ্ঞেস করল, “কি হয়েছে?” সাবিত বলল, “না, তেমন কিছু না । আম্মা ফোন দিয়েছিলেন, মানে তোমার মা । বললেন বেঙ্গলজ বিমানের ফ্লাইটের টিকিট পেয়ে আসছেন , আমার সাথে যখন কথা বলছিলেন তখন বিমান প্রায় টেকঅফ করবে করবে সময় । বোধ হয় টেকঅফ করে ফেলেছে, তাই লাইনটা কেটে গেছে ।” চয়নিকা বলল, “ওওও ।” সাবিতের মা বাবা তখন এলো সেখানে । চয়নিকা সালাম দিলো উনাদের । সাবিতের মা বলল, “ওয়ালাইকুমুস সালাম মা! কেঁদো না! আল্লাহ সব ঠিক করে দেবেন । আর বাস্তবতা মানতে হবেই মা!” চয়নিকা আবার কাঁদতে শুরু করল । সাবিতের মা চয়নিকাকে বসিয়ে জড়িয়ে শান্তনা দিতে লাগলো । সাবিতের বাবা সাবিতের কাধে হাত রেখে বলল, “কষ্ট পাস না বাবা, আল্লাহ ভরসা ।” সাবিত কেবল ওপর নিচ মাথা নাড়লো । একবার অপারেশন থিয়েটারের দিকে তাকিয়ে সাবিত বলল, “বাবা, আরেকটা অঘটন ঘটে গেছে ।” সাবিতের বাবা জিজ্ঞেস করল, “কি?” সাবিত বলল, “আব্বা, মানে আঁখির বাবা-ও হার্ট অ্যাটাক করেছেন । আবির গেছে উনাকে আনতে ।” সাবিতের বাবা ভয় পেয়ে গেলো । “ইয়া আল্লাহ! সেকি!” বলল সাবিতের বাবা । সাবিত বলল, “হ্যাঁ ।” সাবিতের বাবা বলল, “কি যে হচ্ছে আজ! আল্লাহ!” একটু পর চয়নিকা, আখি আর অয়নের বাবাকে নিয়ে হাজির হল আবির । উনাকে আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হল । অয়ন কাদছে । সাবিতের কাছে এসে অয়ন জিজ্ঞেস করল, “আপু কেমন আছে?” সাবিত বলল, “শেষ খবর আসা পর্যন্ত ভালো না রে । এরপর ডাক্তার আর কিছু বলেন নি ।” অয়ন চয়নিকার কাছে যেয়ে চয়নিকার কোলে মাথা রেখে কান্নাকাটি শুরু করলো । একটু পর ডাক্তার এলেন । আবির কাছে যেয়ে জিজ্ঞেস করলো, “ডাক্তার! বাবার কি অবস্থা এখন?” ডাক্তার হালকা রাগ নিয়েই বলল, “এতো দেরি করেছেন কেনো আপনারা! দেখে মনে হচ্ছে প্রায় ১ ঘণ্টা আগে হার্ট অ্যাটাক করেছেন! আপনাদের বাসা থেকে এখানে আসতে তো ১৫মিনিটের বেশি লাগে না!” চয়নিকা জিজ্ঞেস করলো, “বাবা সুস্থ হবে তো ডাক্তার?” ডাক্তার মাথা নিচু করলো । আবির জিজ্ঞেস করলো, “কি হলো, কিছু বলুন!” ডাক্তার বলল, “উনি পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন ।” সবাই কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো । হাসপাতালে কান্নার রোল পড়ে গেলো । চয়নিকা আর অয়নকে শান্তনা দিতে লাগলো সাবিতের মা । সাবিতের বাবাও পাশে দাঁড়িয়ে । আবিরও কাদছে । একটু পর অপারেশন থিয়েটারের লাইটও বন্ধ হয়ে গেলো । ভেতর থেকে ডাক্তার এলো । ডাক্তারের চেহারা দেখে আন্দাজ করা যাচ্ছে, খবর খুব একটা ভালো না । তাও আশা নিয়ে সাবিত জিজ্ঞেস করলো, “ডাক্তার! আমার স্ত্রী কেমন আছে? আমার বাচ্চা কেমন আছে?” ডাক্তার বলল, “আ’ম সো সরি ভাই, মা বাচ্চা কাউকেই বাচানো সম্ভব হয় নি ।“ চয়নিকা আর অয়ন আরও জোরে কান্নাকাটি শুরু করল । এবার সাবিতও যুক্ত হল কান্নাকাটির দলে । সাবিতের বাবা এসে সাবিতকে জড়িয়ে ধরে শান্তনা দেবার চেষ্টা করলো । আবিরও কাদছে । কিন্তু তবুও ধৈর্য হারাচ্ছে না । মনে মনে বলছে, “আল্লাহ! আমাকে শক্তি দাও! আমাকে ধৈর্য দাও!” আবিরের মনে পড়তে লাগলো পুরনো কথাগুলো । এই আঁখি আপু এক সময় আবির আর চয়নিকার সম্পর্ক মেনে নিতে চান নি । আবার উনিই আবির আর চয়নিকার বিয়ে ভাঙতে চাননি । এই চয়নিকার বাবা, উনার হাত থেকে নিজেদের সম্পর্ক ঢাকতে কত কিছুই না সেজেছে আবির । আর আজ, কেউ নেই । সবাইকে চলে যেতে হয় । এনাদেরও হয়েছে । সেই সময় একজন নার্স এলো । আবিরের কাছে এসে বলল, “দেখুন, আপনাদের অবস্থা বুঝতে পারছি, কিন্তু আপনাকে একটু শক্ত মনে হচ্ছে বলে বলছি, হাসপাতালের কিছু ফর্মালিটিস আর পেমেন্ট এর ব্যাপার আছে, সেগুলো একটু প্লিজ আপনি পালন করে আসুন ।” আবির ওপর নিচ মাথা নেড়ে গেলো রিসিপশনে । দুটো ফর্ম পূরণ করে বিল পরিশোধ করলো আবির ।
চয়নিকা কাঁদতে কাঁদতে প্রায় অসুস্থ হয়ে গেছে । সাবিতের মা বলল, “মা! শান্ত হও! কিছু করার নেই মা! এর ওপর মানুষের হাত নেই, যিনি জন্ম দেন, তিনিই তো নিয়ে যান! কেঁদো না মা, এসো, আমার সাথে একটু ওয়াশরুমে চলো । চোখ মুখ ধুয়ে নাও ।” চয়নিকা ওপর নিচ হালকা মাথা নেড়ে উঠলো । অয়ন এক দৃষ্টিতে কিছু একটার দিকে তাকিয়ে নিঃশব্দে কাঁদছে । আবির এসে ওর কাধে হাত রেখে ওকে একটু সান্ত্বনা দেবার চেষ্টা করল ।
ওয়াশরুম থেকে চোখমুখ ধুয়ে ফিরছিলো চয়নিকা । এমন সময় ওর চোখ গেলো একটা রুমে চলে টিভির দিকে । টিভিটা খুব বেশি দূরে না হওয়ায় স্পষ্ট শব্দ শোনা যাচ্ছে ।
সাবিতের মোবাইলে হঠাৎ একটা কল এলো । কল ধরতেই ওপাশ থেকে কেউ একজন বলে উঠলো, “স্যার, আপনি কি ৮৯৪৪ লাস্টে এই ৪ ডিজিটের নাম্বারের কাউকে চেনেন?” সাবিত বলল, “উনি আমার শাশুড়ি, কেনো?”
টিভিতে খবরে সাংবাদিক বলছে, “যাত্রীবাহি রয়েলজ বিমান লন্ডন থেকে আসার পথে উত্তর অ্যাটলান্টিক সমুদ্রে স্পেইনের কাছাকাছি বিদ্ধস্ত হয়েছে । যতদুর খবর পাওয়া গেছে এই দুর্ঘটনায় বিমানের পাইলট এবং দুজন কো-পাইলট সহ কেউ বেচে নেই ।” এই খবর দেখে চয়নিকা “না!” বলে চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলো ।
সাবিতকে ফোনের ওপাশে থাকা লোকটি বলল, “আপনার শাশুড়ির ছিন্নবিচ্ছিন্ন লাশ পাওয়া গেছে, আমি স্পেনের বাংলাদেশী এমব্যাসির একজন সদস্য বলছি ।” সাবিতের হাত থেকে মোবাইলটা পড়ে গেলো । সাবিতও নিজেকে সামলাতে পারলো না, প্রায় পড়ে যাবে যাবে অবস্থা, কিন্তু পড়ে যাবার আগে আবির সাবিতকে ধরলো । জিজ্ঞেস করল, “কি হয়েছে ভাই?” সাবিত বলল, “আম্মা মারা গেছেন!”
আগামী পর্বেঃ
আবির বলল, “বলছি কি, আমাদের একটু প্রশান্তির দরকার, এর জন্য ভালো হয় যদি আমরা কোথাও ঘুরে আসি । অয়ন, নিশান, ওদেরও ভালো লাগবে ।” চয়নিকা তখন হালকা লজ্জার আর কষ্টের সাথে বলল, “একটা কথা বলবো?” আবির জিজ্ঞেস করল, “হ্যাঁ বলো, কি বলবে?” চয়নিকা বলল, “বাবা মারা যাবার পর আমার ভাইয়ের সমস্ত দায়িত্ব তোমার ঘাড়ে এসে পড়লো!”