0 %

Thanks a lot for being with us!
We are re-constructing our website!
Sorry for this temporary inconvenience
We are coming to you with a fresh look and design from 1 January 2022!
Till then! Stay connected!

পরিচয় ২৯৫


পরিচয়(পর্ব-২৯৫)(সিজন-১০)

আবির বলল, “অলোক হোটেলের মালিক সায়েমকে ঘরের ভেতর জিম্মি করে রেখেছে!” অপু বলল, “চল, আমার মনে হয় আমাদের বেরোনো উচিৎ!” আবির বলল ,”হ্যাঁ, আমাদেরকে সায়েমের বাড়িতে যেতে হবে । পুলিশ ঘেরাও করে রেখেছে সায়েম যে বিল্ডিং-এ থাকে, সে বিল্ডিং ।” তারপর আবির সুরুজ তালুকদারকে বলল, “আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ! আপনাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ছোট করবো না!” সুরুজ তালুকদার বলল, “আরে না না! কি যে বলেন না! আপনারা এসেছেন, আমি যে কি খুশি হয়েছি!” আবির বলল, “ভাবিরা, আপনাদের একই কথাই বলবো, আপনারা ঢাকায় গেলে অবশ্যই বাসায় আসবেন কিন্তু!” সুরুজ তালুকদার বলল, “আচ্ছা ঠিক আছে । আর একটা কথা বলি । বিশেষ করে আবির আর অপুকে, অয়নেরও কাজে লাগবে আর কদিন পর, বউদের সাথে খারাপ ব্যাবহার কোরো না । যে পারে, সে ৩-৪টে বিয়ে করেও সুখে থাকতে পারে । আর যে পারে না, সে ১টা বিয়ে করেও সুখে থাকতে পারে না ।” অপু বলল, “ধন্যবাদ আঙ্কেল, পরের বার বড় ভাইদের সাথে ছোটো ভাইদের আচরণ কেমন হওয়া উচিৎ সেটা নিয়ে একটা উপদেশ দেবেন প্লিজ!” অপু শেষ বাক্যটা একটু আস্তে বলায় বুঝতে পারে নি সুরুজ তালুকদার । জিজ্ঞেস করলো, “হ্যাঁ! কিছু বললে?” অপু বলল, “না, মানে যেতে হবে, দেরি হয়ে যাচ্ছে!” তারপর ওরা সুরুজ তালুকদার আর তার তিন বউয়ের কাছে বিদায় নিয়ে বেড়িয়ে পড়লো ।
সায়েমের বিল্ডিং-এর কাছে আসতেই আবির অপু আর অয়নের দেখা হল ইন্সপেক্টর রাদিবের সাথে । চারপাশে আরও পুলিশ ঘিরে আছে ওদের । একটা ছোটখাটো ভিড়ও জমে গেছে বিল্ডিং-এর আশেপাশে । আবিরকে দেখেই ইন্সপেক্টর রাদিব বলল, “কি করি এখন বলোতো? শয়তানটা তো সায়েম সাহেবকে জিম্মি করে রেখেছে, আটকাতে গেলে মেরে ফেলতে পারে । কি করে রক্ষা করি বলতো?” আবির বলল, “কেনো, ওর চাওয়া পূরণ করে ।” রাদিব জিজ্ঞেস করলো, “কিন্তু ডায়মন্ড কি আপনার কাছে আছে?” আবির বলল, “আছে ।” তারপর ফোনে কিছু কাজ করে ইন্সপেক্টর রাদিবকে বলল, “আপনি এখানেই থাকুন, ও আবার যোগাযোগ করলে বলবেন, ওর ডায়মন্ড ও সময় মতো পেয়ে যাবে ।” বলে চলে গেলো আবির । হোটেলে এলো । যে পুলিশের দল এখানে এসে কাদের মোল্লাকে গ্রেফতার করার কথা, তারা দাঁড়িয়ে । আবির জিজ্ঞেস করলো, “কি হয়েছে?” একজন কনস্টেবল বলল, “কাদের মোল্লাকে কেউ খুন করেছে!”
“আমি যতোটুকু জানি সেটুকু আপনাকে জানালে হবে?” কনস্টেবল মাধবীকে বলল জায়েদা । জায়েদা বলল, “ঠিক আছে, বলুন ।” জায়েদা বলা শুরু করলো, “আমার স্বামী অত্যন্ত গরীব পরিবারে বড় হওয়া মানুষ । তার সারাটাজীবন অভাব অনটনে কেটেছে । কিন্তু একদিন তার জীবন বদলে যায় এক লোকের কারণে । সেই লোক বাংলাদেশে বংশোদ্ভূত ইউএসএর একটা মাফিয়া গ্যাঙের লিডার তার নাম মুকিব । আমাদের বিয়েরই পরের ঘটনা । সেই মুকিব লোকটা একটা অ্যাকসিডেন্ট করেন । রাস্তায় সে সময় আমার স্বামী ছাড়া আর কেউ ছিলো না । আমার স্বামী সেই লোককে ঘরে এনে সেবা করে । আমার পেটে তখন আমার মেয়ে । সেই লোক সুস্থ হয়ে গেলে আমার স্বামীর ওপর সন্তুষ্ট হন । তারপর অনেক টাকা দেন । সেই সাথে ড্রাগ পাচারকারীদের সাথে আমার স্বামীকে যুক্ত করান । সেই থেকে আমার স্বামী একজন ড্রাগ ডিলার । গত দু’মাস আগে সেই মুকিব নামের লোকটা আমার স্বামীকে বলে এবার ড্রাগ নয়, ডায়মন্ড ছিন্তায় করতে হবে । আমার স্বামী সেজন্যই ঘুরে বেড়াচ্ছেন! এটুকুই আমি জানি ম্যাম! এর বেশি কিছুই আমি আর জানি না ।” মাধবী মোবাইলে এতক্ষণ সব রেকর্ড করেছে । সেটা পাঠিয়ে দিলো ইন্সপেক্টর রাদিবকে । তারপর একটা ভয়ের মেসেজ, “স্যার! অলোকের বউয়ের জবানবন্দি আপনাকে পাঠালাম, সময় হলে একটু শুনবেন ।” জায়েদা জানতে চাইলো, “আমার মেয়ে কোথায় আর কেমন আছে?” মাধবী বলল, “ভালো আছে । আর আপনার বোনের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে ওকে । সব স্বীকার করে নেবার জন্য আমিও কথা দিচ্ছি, স্যার আপনার মেয়ের ভবিষ্যতের কোন ক্ষতি হতে দেবেন না ।”
“হোয়াট! কি করে সম্ভব এটা!” কনস্টেবলকে জিজ্ঞেস করলো আবির । কনস্টেবল বলল, “স্যার, গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে যদ্দুর মনে হচ্ছে । পোস্ট মর্টেম করলে হয়তো আরও স্পষ্ট হওয়া যাবে ।” আবির জিজ্ঞেস করলো, “লাশটা কোথায়?” কনস্টেবল আবিরকে লাশের কাছে নিয়ে গেলো । হোটেলেরই একটা রুমে লাশটাকে মারা হয়েছে । রুমের আশে পাশে সব ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে দেখে বোঝা যাচ্ছে, যে মেরেছে তার সাথে কাদের মোল্লার ধস্তাধস্তি হয়েছে । আবির লাশটার কাছে গেল । এটা গন্ধ পেল আবির লাশের গলার দিকটা থেকে । আবির নাক আরও এগিয়ে দিল । বেশ পরিচিত একটা গন্ধ এটা!

আগামী পর্বেঃ
আবির কল করে ইন্সপেক্টর রাদিবকে । কল ধরতেই রাদিব জিজ্ঞেস করলো, “হ্যাঁ! ও কল করেছিলো, ও অপেক্ষা ডায়মন্ডের, আপনি কোথায়?” আবির বলল, “আমি এখানে লাশের সাথে টেনশন করছি ।” রাদিব অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো, “মানে?”