পরিচয় ২৯৪
পরিচয়(পর্ব-২৯৪)(সিজন-১০)
খারাপ কোন সংবাদ হয়তো তা চেহারা দেখেই বোঝা গেলো । আবিরের কথা শেষ হতেই অপু জিজ্ঞেস করলো, “কি হয়েছে?” আবির বলল, “আর বলিস না! অলোককে নাকি ধরা যায় নি । পালিয়েছে পুলিশের চোখ ফাকি দিয়ে ।”
“তোমাকে কে জানালো?” জিজ্ঞেস করল অয়ন ।
“ইন্সপেক্টর রাদিব । উনি অলোককে ধাওয়া করেছেন ।” বলল আবির ।
“উনি আবার অলোককে পেলেন কোথায়?” জিজ্ঞেস করলো অয়ন ।
“অলোক বিল্ডিং থেকে লাফ দেয়ার সময় পুলিশ দেখেছে ।” বলল আবির ।
“তাহলে আবার পুলিশের চোখ ফাকি দিলো কিভাবে?” জিজ্ঞেস করল অপু ।
“ওরে ভাই তুই থাম! মুখ ফসকে বেড়িয়ে গেছে!” হালকা বিরক্ত হয়ে বলল আবির ।
“তুই থাম! পারলে এইরকম গোয়েন্দাগিরি চোর ধরায় করিস ।” অয়নকে বলল অপু ।
“ও! সবসময় আমি দোষী! আপুকে আমি বিচার দেবোই!” বলল অয়ন ।
”দিস! যা খুশি করিস! এখন খা!” বলল আবির ।
সুরুজ তালুকদার বলল, “হ্যাঁ, আপনারা খান । শান্তি মতো খেতেও পারছেন না ঝামেলাগুলোর জন্য ।” আবির অপু আর অয়ন খাওয়া দাওয়া শেষ করে বাইরের রুমে বসলো । কাদের মোল্লা ধরা পড়ার কোনো কল এখনও আবিরের কাছে আসে নি । সুরুজ তালুকদার বলল, “এলাকাটা কিসব বিদেশী গ্যাং ট্যাং দিয়ে ভরে গেছে ।” অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “কিন্তু কাউকে ধরা যায় না?” সুরুজ তালুকদার বলল, “তা তো চাইলেই ধরতে পারে, কিন্তু কে টুরিস্ট আর কে টেরোরিস্ট তাই তো বোঝা কষ্টকর । কেউ তো আর গায়ে নিজের উদ্দেশ্য লিখে নিয়ে বেড়োয় না । আর সেখানে দেশেরই লোকের হস্তক্ষেপ যদি থাকে, তাহলে তাদের সুবিধে তো আর বহুগুণ বেড়ে যায় ।” আবির বলল, “হতে পারে এই কাদের মোল্লা আর এই অলোক এই দুজন সেরকমই গ্যাঙের সাথে জড়িত । সেটা ওই কাদের মোল্লাকে গ্রেফতার করলেই জানা যায়, কিন্তু ওই কাদের মোল্লার গ্রেফতারের খবর এখনও আসছে না কেন?” অপু জিজ্ঞেস করলো, “ভালো হইছে! পালায় যাক, তারপর আমি ধরমু, আর প্রমোশন নিমু!” অয়ন বলল, “ইশ! পুলিশের কি চিন্তা ভাবনা রে বাবা!” অয়ন বলল, “তোমার বউকে কিন্তু বলে দেবো!” অপু বলল, “এহ, বল গিয়া, আমার বউ আমার কথায় উঠে আর বসে ।” আবির তখন অপুকে বলল, “কিরে, তোর প্যান্টের পকেটে লাইট জ্বলে কিসের?” অপু প্যান্টের পকেট থেকে মোবাইল বের করলো । দেখলো, ওর বউ কল দিয়েছিলো, হাতের চাপ লেগে হয়তো রিসিভ হয়ে গেছে আর অয়নকে বলা কথাটা শুনে ফেলেছে অপুর বউ, তিন্নি ।
“আপনার স্বামী কোথায় গেছে?” পুলিশ স্টেশনে অলোকের বউকে জিজ্ঞাসাবাদ করলো একজন মহিলা কনস্টেবল নাম মাধবী। অলোকের বউ বলল, “জানি না, আমি কিচ্ছু জানি না!” মাধবী জিজ্ঞেস করলো, “আপনার নামটা যেনো কি?” অলোকের বউ বলল, “জায়েদা ।” মাধবী জিজ্ঞেস করলো, “গুড মিসেস জায়েদা, আপনার তো একটা ছোট মেয়েও আছে, তাই না?” জায়েদা ওপর নিচে মাথা নাড়লো । মাধবী বলল, “আপনার স্বামীর নামে খুব শীঘ্রই সংবাদ মাধ্যম গুলো সোচ্চার হয়ে উঠবে, আপনার স্বামী একজন অপরাধী, সে খবর দুনিয়া দেখবে, আপনি কি চান, আপনার মেয়ে অপরাধীর মেয়ে উপাধি নিয়ে বেড়ে উঠুক? বা আপনি কি চান একজন অপরাধীর স্ত্রী উপাধি নিয়ে বাঁচতে?” জায়েদা কিছু বলল না । মাধবী একটু নড়ে বসে বলল, “আচ্ছা, আপনার কথা না হয় বাদ-ই দিলাম, কিন্তু আপনার মেয়ে? যে কিনা এখনও এই দুনিয়ার অপরাধ নামক জগৎটার নাম-ও শোনেনি, সে হবে অপরাধীর মেয়ে । স্কুলে ওকে সহপাঠীরা ক্ষ্যাপাবে, মিশবেই কিনা তাই-তো সন্দেহ, মেয়ের বিয়ের বয়স হলে কেউ বিয়ে করতে চাইবে না, অবশ্য সে তো বহু দুরের কথা, তার আগেই আপনার মেয়ে আবার হতাশায় আত্মহত্যা………” মাধবীর কথা শেষ করতে না করতেই জায়েদা বলে উঠলো, “না! এরকম কথা বলবেন না!” মাধবী বলল, “তাহলে আপনিই ভেবে দেখুন, কি করবেন ।”
এদিকে ইন্সপেক্টর রাদিব অলোককে একটা বাজারে এসে হারিয়ে ফেললো । গাড়ি থেকে বের হয়ে “শিট!” বলে গাড়ির ওপর একটা জোরে আঘাত করলো । একটু পর তার কাছে একটা কল এলো । কল ধরে বলল, “হ্যালো!” ফোনের ওপাশে অলোকের গলা । “হোটেলের মালিককে যদি বাচাতে চান, তাহলে ডায়মন্ড দিয়ে যান! সে এখন জিম্মি আমার কাছে, আপনার হাতে অল্প সময় আছে!” বলে কল কেটে দিলো অলোক । রাদিব রাগ দেখিয়ে বলে উঠলো, “শালা! আবার ইংলিশ মারায়!”
“আপনি ডায়ালকৃত নাম্বারটিতে এই মুহূর্তে সংযোগ প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না………।” তিন্নিকে কল করার চেষ্টা করছিলো অপু । কিন্তু তিন্নি মোবাইল অফ করে রেখেছে । আবির অপুকে বলল, “এই তোর জন্য আমাদের দুজনেরই বউ রাগ করে বসে আছে! তোরে যে কি করতে ইচ্ছা করতেছে!” অয়ন বলল, “আমার কি দোষ! নিজেরা বউয়ের সম্মান করে না!” আবির আরও কিছু বলতে যাবে এমন সময় আবিরের কাছে কল এলো । ইন্সপেক্টর রাদিবের কল । আবির কল ধরে বলল, “কি!.........আচ্ছা………আমি আসছি!” অয়ন জিজ্ঞেস করলো, ”কি হইছে ভাই?” আবির বলল, “অলোক হোটেলের মালিক সায়েমকে ঘরের ভেতর জিম্মি করে রেখেছে!”
আগামী পর্বেঃ
চলে গেলো আবির । হোটেলে এলো । যে পুলিশের দল এখানে এসে কাদের মোল্লাকে গ্রেফতার করার কথা, তারা দাঁড়িয়ে । আবির জিজ্ঞেস করলো, “কি হয়েছে?” একজন কনস্টেবল বলল, “কাদের মোল্লাকে কেউ খুন করেছে!”
খারাপ কোন সংবাদ হয়তো তা চেহারা দেখেই বোঝা গেলো । আবিরের কথা শেষ হতেই অপু জিজ্ঞেস করলো, “কি হয়েছে?” আবির বলল, “আর বলিস না! অলোককে নাকি ধরা যায় নি । পালিয়েছে পুলিশের চোখ ফাকি দিয়ে ।”
“তোমাকে কে জানালো?” জিজ্ঞেস করল অয়ন ।
“ইন্সপেক্টর রাদিব । উনি অলোককে ধাওয়া করেছেন ।” বলল আবির ।
“উনি আবার অলোককে পেলেন কোথায়?” জিজ্ঞেস করলো অয়ন ।
“অলোক বিল্ডিং থেকে লাফ দেয়ার সময় পুলিশ দেখেছে ।” বলল আবির ।
“তাহলে আবার পুলিশের চোখ ফাকি দিলো কিভাবে?” জিজ্ঞেস করল অপু ।
“ওরে ভাই তুই থাম! মুখ ফসকে বেড়িয়ে গেছে!” হালকা বিরক্ত হয়ে বলল আবির ।
“তুই থাম! পারলে এইরকম গোয়েন্দাগিরি চোর ধরায় করিস ।” অয়নকে বলল অপু ।
“ও! সবসময় আমি দোষী! আপুকে আমি বিচার দেবোই!” বলল অয়ন ।
”দিস! যা খুশি করিস! এখন খা!” বলল আবির ।
সুরুজ তালুকদার বলল, “হ্যাঁ, আপনারা খান । শান্তি মতো খেতেও পারছেন না ঝামেলাগুলোর জন্য ।” আবির অপু আর অয়ন খাওয়া দাওয়া শেষ করে বাইরের রুমে বসলো । কাদের মোল্লা ধরা পড়ার কোনো কল এখনও আবিরের কাছে আসে নি । সুরুজ তালুকদার বলল, “এলাকাটা কিসব বিদেশী গ্যাং ট্যাং দিয়ে ভরে গেছে ।” অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “কিন্তু কাউকে ধরা যায় না?” সুরুজ তালুকদার বলল, “তা তো চাইলেই ধরতে পারে, কিন্তু কে টুরিস্ট আর কে টেরোরিস্ট তাই তো বোঝা কষ্টকর । কেউ তো আর গায়ে নিজের উদ্দেশ্য লিখে নিয়ে বেড়োয় না । আর সেখানে দেশেরই লোকের হস্তক্ষেপ যদি থাকে, তাহলে তাদের সুবিধে তো আর বহুগুণ বেড়ে যায় ।” আবির বলল, “হতে পারে এই কাদের মোল্লা আর এই অলোক এই দুজন সেরকমই গ্যাঙের সাথে জড়িত । সেটা ওই কাদের মোল্লাকে গ্রেফতার করলেই জানা যায়, কিন্তু ওই কাদের মোল্লার গ্রেফতারের খবর এখনও আসছে না কেন?” অপু জিজ্ঞেস করলো, “ভালো হইছে! পালায় যাক, তারপর আমি ধরমু, আর প্রমোশন নিমু!” অয়ন বলল, “ইশ! পুলিশের কি চিন্তা ভাবনা রে বাবা!” অয়ন বলল, “তোমার বউকে কিন্তু বলে দেবো!” অপু বলল, “এহ, বল গিয়া, আমার বউ আমার কথায় উঠে আর বসে ।” আবির তখন অপুকে বলল, “কিরে, তোর প্যান্টের পকেটে লাইট জ্বলে কিসের?” অপু প্যান্টের পকেট থেকে মোবাইল বের করলো । দেখলো, ওর বউ কল দিয়েছিলো, হাতের চাপ লেগে হয়তো রিসিভ হয়ে গেছে আর অয়নকে বলা কথাটা শুনে ফেলেছে অপুর বউ, তিন্নি ।
“আপনার স্বামী কোথায় গেছে?” পুলিশ স্টেশনে অলোকের বউকে জিজ্ঞাসাবাদ করলো একজন মহিলা কনস্টেবল নাম মাধবী। অলোকের বউ বলল, “জানি না, আমি কিচ্ছু জানি না!” মাধবী জিজ্ঞেস করলো, “আপনার নামটা যেনো কি?” অলোকের বউ বলল, “জায়েদা ।” মাধবী জিজ্ঞেস করলো, “গুড মিসেস জায়েদা, আপনার তো একটা ছোট মেয়েও আছে, তাই না?” জায়েদা ওপর নিচে মাথা নাড়লো । মাধবী বলল, “আপনার স্বামীর নামে খুব শীঘ্রই সংবাদ মাধ্যম গুলো সোচ্চার হয়ে উঠবে, আপনার স্বামী একজন অপরাধী, সে খবর দুনিয়া দেখবে, আপনি কি চান, আপনার মেয়ে অপরাধীর মেয়ে উপাধি নিয়ে বেড়ে উঠুক? বা আপনি কি চান একজন অপরাধীর স্ত্রী উপাধি নিয়ে বাঁচতে?” জায়েদা কিছু বলল না । মাধবী একটু নড়ে বসে বলল, “আচ্ছা, আপনার কথা না হয় বাদ-ই দিলাম, কিন্তু আপনার মেয়ে? যে কিনা এখনও এই দুনিয়ার অপরাধ নামক জগৎটার নাম-ও শোনেনি, সে হবে অপরাধীর মেয়ে । স্কুলে ওকে সহপাঠীরা ক্ষ্যাপাবে, মিশবেই কিনা তাই-তো সন্দেহ, মেয়ের বিয়ের বয়স হলে কেউ বিয়ে করতে চাইবে না, অবশ্য সে তো বহু দুরের কথা, তার আগেই আপনার মেয়ে আবার হতাশায় আত্মহত্যা………” মাধবীর কথা শেষ করতে না করতেই জায়েদা বলে উঠলো, “না! এরকম কথা বলবেন না!” মাধবী বলল, “তাহলে আপনিই ভেবে দেখুন, কি করবেন ।”
এদিকে ইন্সপেক্টর রাদিব অলোককে একটা বাজারে এসে হারিয়ে ফেললো । গাড়ি থেকে বের হয়ে “শিট!” বলে গাড়ির ওপর একটা জোরে আঘাত করলো । একটু পর তার কাছে একটা কল এলো । কল ধরে বলল, “হ্যালো!” ফোনের ওপাশে অলোকের গলা । “হোটেলের মালিককে যদি বাচাতে চান, তাহলে ডায়মন্ড দিয়ে যান! সে এখন জিম্মি আমার কাছে, আপনার হাতে অল্প সময় আছে!” বলে কল কেটে দিলো অলোক । রাদিব রাগ দেখিয়ে বলে উঠলো, “শালা! আবার ইংলিশ মারায়!”
“আপনি ডায়ালকৃত নাম্বারটিতে এই মুহূর্তে সংযোগ প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না………।” তিন্নিকে কল করার চেষ্টা করছিলো অপু । কিন্তু তিন্নি মোবাইল অফ করে রেখেছে । আবির অপুকে বলল, “এই তোর জন্য আমাদের দুজনেরই বউ রাগ করে বসে আছে! তোরে যে কি করতে ইচ্ছা করতেছে!” অয়ন বলল, “আমার কি দোষ! নিজেরা বউয়ের সম্মান করে না!” আবির আরও কিছু বলতে যাবে এমন সময় আবিরের কাছে কল এলো । ইন্সপেক্টর রাদিবের কল । আবির কল ধরে বলল, “কি!.........আচ্ছা………আমি আসছি!” অয়ন জিজ্ঞেস করলো, ”কি হইছে ভাই?” আবির বলল, “অলোক হোটেলের মালিক সায়েমকে ঘরের ভেতর জিম্মি করে রেখেছে!”
আগামী পর্বেঃ
চলে গেলো আবির । হোটেলে এলো । যে পুলিশের দল এখানে এসে কাদের মোল্লাকে গ্রেফতার করার কথা, তারা দাঁড়িয়ে । আবির জিজ্ঞেস করলো, “কি হয়েছে?” একজন কনস্টেবল বলল, “কাদের মোল্লাকে কেউ খুন করেছে!”