0 %

Thanks a lot for being with us!
We are re-constructing our website!
Sorry for this temporary inconvenience
We are coming to you with a fresh look and design from 1 January 2022!
Till then! Stay connected!

পরিচয় ২৯৩


পরিচয়(পর্ব-২৯৩)(সিজন-১০)

আবির বলল, “কাদের মোল্লাকে!” অয়ন বলল, “দেখছো ভাই! আমি শুরু থেকে বলছিলাম! এই কেসের সাথে কাদের মোল্লা ওতপ্রোতভাবে জড়িত!” আবির বলল, “হতে পারে, কিন্তু কাদের মোল্লাই যে মূল আসামী তা কিন্তু না, আমার মনে কেউ এই কেসে আরোও কেউ একজন আছে, যাকে আমরা এখনও খুজে পাইনি!” অপু জিজ্ঞেস করলো, “কি করে বুঝলি?” আবির বলল, “কারণ কাদের মোল্লা কেবল একজন রিসিপশনিস্ট, উনার সেই ডায়মন্ডের কথা কিছুতেই জানার কথা না, কারণ এতো টাকার ডায়মন্ডের কথা কেউ নিশ্চয় সবাইকে বলে বেড়াবে না ।” অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “তাহলে ওই অলোক লোকটা মূল আসামী হল না কেন তোমার চোখে?” আবির বলল, “অলোক তো সেদিনই একটা মিথ্যে কথা বলেছে, রিও বলে তো আসলে কেউ ছিলোই না! তাহলে এই লোকটা কি করে ডায়মন্ডের কথা জানতে পারবে? আরেকটা জিনিস রেজিস্টার খাতায় দেখেছিলাম । অলোক লোকটা যেদিন যে রুমে চেক করার ডেট দেয়া, ঠিক সেদিন একই রুমে অন্য আরেকটা লোকেট চেক ইন রেজিস্টার করা । খাতার ওপরে ডেটটা যদিও চেঞ্জ করেছে ফ্লুয়িড দিয়ে, কিন্তু সিগনেচারের যায়গায় ডেট ওরাই খেয়াল করেনি ।” অপু বলল, “ভাই! তোর তো সেই বুদ্ধি! যা সব দিকে খেয়াল রাখিস!” আবির বলল, “কথায় আছে না, যেখানেই দ্যাখো ছাই, উড়াইয়া দেখো তাই, আমি কেন সবাই যদি সব কিছু ভালো করে খেয়াল করে, তাহলেই অনেক কিছু পাওয়া সম্ভব । চোখের সামনে গু দেখলে সেই গু-ও চেখে দেখলে অনেক কিছু পাওয়া গেলেও পাওয়া যেতে পারে!” অয়ন বলল, “ছি! ডিটেক্টিভ আবিরের কি মুখের ভাষা! তোমার অনুপ্রেরণার উৎস ফেলুদা, ব্যোমকেশ বক্সি, বা শার্লক হোমস তো এরকমভাবে কথা বলতো না?” আবির বলল, “বলতো, একটু শুদ্ধভাবে মলমুত্র এভাবে আরকি, আমি না একটু বেশি খাটি বাঙ্গালীর মতো বললাম!” অয়ন বলল, “ও তাই! দাড়াও, বাসায় ফিরি, আপুকে বিচার দিতে হবে!” আবির বলল, “আচ্ছা তুই এ ছাড়া আর কি পারিস বলতো! খালি আপুরে বিচার দেবো দেবো করিস! অলরেডি তো একটা ঝামেলা বাধিয়েছিসই!” সুরুজ তালুকদার বলল, “আপনার ঝগড়ার মাঝে একটু ঢুকলাম, আসলে খাওয়া দাওয়া রেডি, আপনারা খেতে আসেন!” আবির অয়ন আর অপু খেতে গেলো । যেতে যেতে প্রায় ফিসফিসিয়ে অয়নের কানে কানে বলল, “খুশি থাক এখনও তোর মাইশাকে নিয়ে কিছু করিনি!”
বউকে কথা বলে ব্যাগ নিয়ে দরজার কাছে এসে দরজা খুলতে যাবে অলোক, এমন সময় দরজায় নক করবার আওয়াজ । অলোক বউয়ের কানে কানে ফিসফিসিয়ে বলল, “শোনো, পুলিশ হলে বলবে আপনারা কারা এবং কেনো এসেছেন । আর অন্য কেউ হলে একি আপনি, বুঝলি!” বউ বলল, “পুলিশ হলে বারান্দা দিয়ে লাফ দেবে, তাই না!” অলোক জবাব না দিয়ে চলে গেলো । দরজা খুলতেই অলোকের বউ দেখলো, পুলিশ । ইনস্পেক্টর রাদিব । বলে উঠলো, “আপনারা কারা এবং কেনো এসেছেন!” কথা শুনেই অলোক বারান্দা দিয়ে লাফ দিলো । নিচে একটু দুরেই দুজন পুলিশ দাঁড়িয়ে ছিল । একজন চেচিয়ে উঠলো, “এই এটা ওই লোক না!” আরেকজন, “তুই ওর পিছু নে! আমি স্যারকে আর বাকিদের নিয়ে আসছি!” বলে একজন ওপরে উঠলো, আরেকজন অলোকের পিছু নিলো । রাদিব জিজ্ঞেস করলো, “এখানে অলোক নামের কেউ আছেন?” অলোকের বউ বলল, “উনি আমার স্বামী ।” রাদিব আবারও কিছু একটা বলতে যাবে, এমন সময় সেই পুলিশ এসে বলল, “স্যার! অলোক বারান্দা দিয়ে লাফ দিয়ে পালিয়েছে! আমাদের একজন পুলিশ অলরেডি ওর পিছু নিয়েছে! আপনিও তাড়াতাড়ি আসুন!” রাদিব একজন কনস্টেবলকে বলল, “এই মহিলাকে গ্রেফতার করুন!” বলে নিচে গেলো । অলোকের বউ কান্নাকাটি শুরু করে দিলো । “স্যার! এটা করবেন না স্যার! আমার বাচ্চা আছে স্যার! ওরে কে দেখবে! এটা করবেন না!” কিন্তু অলোকের বউয়ের কথাক কেউ শুনলো না । বাচ্চাটাকে একা ঘরে ফেলে রেখে অলোকের বউকে নিয়ে চলে গেলো । বাচ্চাটা মাকে ধরে কান্নাকাটি করলো, কিন্তু পুলিশ ওকে জোড় করে বাসায় রেখে এলো ।
ডাইনিং টেবিলে বসলো আবির, অপু, অয়ন । কতো রকমের রান্না! শুটকি ভর্তা, টুর্না মাছ ভাজা, রূপচাঁদা মাছের দোপেয়াজা, ইলিশের তরকারি, গরুর মাংস, মুরগীর মাংস । সাথে সালাদ পোলাও তো আছেই । আবির বলল, “হায়রে! কত কষ্ট করেছেন আপনারা!” মালেকা বলল, “কষ্ট ক্যান! আপনেরা আসছেন! এইটাই তো কতো!” সাবিনা বলল, “ইউ আর রাইট মালেকা! এটা তেমন কিছুই না, খেতে পারেন কিন্তু টেল দ্যাট ফার্স্ট!” অপু বলল, “উহ! সেই স্বাদ! আচ্ছা, রান্না কার জানতে পারি?” সুরুজ তালুকদার বলল, “শুটকি ভর্তা আর মুরগীর মাংস হেলেনা করেছে, রূপচাঁদা আর টুর্না সাবিনা করেছে, আর মালেকা করেছে গরুর মাংস আর ইলিশের তরকারি ।” অয়ন জানতে চাইলো, “পোলাও আর সালাদ?” সুরুজ তালুকদার বলল, “ওটা আমি করেছি! বউকে সাহায্য করা উচিত জামাইয়ের!” অয়ন বলল, “ভাই! দ্যাখো! শেখো কিছু শেখো!” আবির বলল, “তুই শেখ! মাইশাকে ইম্প্রেস করতে পারবি ।” এমন সময় আবিরের মোবাইলে একটা কল এলো । কল ধরলো আবির । “হ্যালো……হোয়াট!” কথা শুনে দাঁড়িয়ে গেলো আবির । খারাপ কোন সংবাদ হয়তো তা চেহারা দেখেই বোঝা গেলো ।

আগামী পর্বেঃ
আবিরঃ কি!.........আচ্ছা………আমি আসছি!
অয়নঃ কি হইছে ভাই?
আবিরঃ অলোক হোটেলের মালিক সায়েমকে ঘরের ভেতর জিম্মি করে রেখেছে!