পরিচয় ২৯২
পরিচয়(পর্ব-২৯২)(সিজন-১০)
আবির বলল, “মুরগীর ডাক!” অপু চমকে উঠলো, বলল, “মুরগীর ডাক! তার মানে কি আবির ওই খামারেই!” আবির বলল, “সম্ভাবনা প্রায় ৯৯ শতাংশ! আপনি লোকেশনটা জানেন না!” অপু বলল, “হ্যাঁ জানি তো, কিন্তু কোন জায়গায় যে সেটা! তা জানি না, কারণ মাঝপথ থেকেই আমি ফিরে এসেছি ।“ এমন সময় আবিরের মোবাইলে একটা মেসেজ এলো । তাতে লোকেশন দেয়া, কোথায় ডায়মন্ড দিতে হবে । লেখা, রাত ১২টায় কলাতলী বীচের ধারে ৩৪ নাম্বার শোবার জায়গাটা থেকে অয়নকে নিয়ে ডায়মন্ড দিয়ে যেতে! দূর থেকে ওরা গুলি তাক করে থাকবে, আবির আর অপু কোন চালাকি করার চেষ্টা করলে তারা গুলি ছুড়ে দেবে । আবির আর অপু অপেক্ষা করতে লাগলো রাত ১২টার । অপুকে হোটেলে রেখে আবির বাইরে গেলো । ফিরলো রাত ১০টার দিকে । অপু জিজ্ঞেস করলো, “কি করতে গিয়েছিলি?” আবির বলল, “একটু কাজ করতে ।” তারপর আবির অপু কানের কাছে এসে ফিসফিসিয়ে বলল, “এই ঘরে কিছু বলা যাবে না! পড়ে সব জানাচ্ছি!” এরপর আবির আর অপু করতে লাগলো সাড়ে ১১টার অপেক্ষা, তারপর ওরা যাবে কলাতলী বীচে ।
সাড়ে ১১টা বাজতেই আবির বেড়িয়ে পরলো । সৈকতের ধারে বিছানো রয়েছে সারি সারি বিছানা । তারই ৩৪ নাম্বার বেডে অয়নকে পাবার কথা আবিরদের । ঠিক ১১টা ৫৭ মিনিটে ওরা এখানে পৌঁছেছে । দূর থেকেই অয়ন আর অপু গুণতে গুণতে আসছিলো, যখনই দূর থেকেই ৩৪ নাম্বার বেডটা ওদের চোখে পড়লো, তখনই খেয়াল করলো, কেউ একজন চোখ মুখ বাঁধা কাউকে এনে সেই বেডে বসাচ্ছে । রাত হলেও বীচের ধারে লোকের সংখ্যা নগণ্য হলেও রয়েছে । কিন্তু অন্ধকারে কেউ হয়তো কিছু দেখছে না । এতো মানুষের মধ্যে কিডন্যাপাররা কোথায় আছে তা দেখা মুশকিল । আবির আর অয়ন গেলো বেডের কাছে । বসে অয়ন, পাশে দাড়িয়ে চোখে সানগ্লাস, মুখে মাস্ক পড়া এক লোক । সে নিজের কণ্ঠ বিক্রিত করে বলল, “ডায়মন্ড দিন!” আবির একটা ব্যাগ লোকটার হাতে দিলো । লোকটা ব্যাগ খুলে চেক করলো, ডায়মন্ড আছে কিনা । তারপর বলল, “এ! বোকা বানাচ্ছিস! কাচের টুকরো দিয়ে বলছিস ডায়মন্ড!” আবির বলল, “স্মেল নিয়ে দ্যাখো না, ডায়মন্ডের ঘ্রাণ লেবুর মতো হয় ।” লোকটা স্মেল নেবার চেষ্টা করতেই জ্ঞান হারালো । ঠিক তখন চারপাশে থাকা চারপাশে লোক গুলি তুলে তাক করলো আবির আর অপুর দিকে । এমন সময় ঘটলো আরেকটা অদ্ভুত ঘটনা । সে জায়গায় জড়ো হয়ে গেলো বেশ অনেক লোকজন । সেই লোকের ভীড়ে আবির অপু অয়ন কাউকেই দেখতে পেলো না গুলি তুলে দাড়িয়ে থাকা গুন্ডারা । নিচে একটু পর ভিড় কাটতেই ওরা বেডের দিকে এগিয়ে এসে দেখলো, ওদের যে সহযোগীকে অজ্ঞান করেছিলো আবির, সে-ও নেই ।
আবির অপু আর অয়ন তখন বোরখা পরিহিত অবস্থায় এলো এক লোকের বাসায় । সে আর কেউ নয়, সুরুজ তালুকদার । আবির বোরখা খুলতে খুলতে বলল, “ভাই! ভাগ্যিস আপনার তিন বউ! হেলেনা ভাবি, মালেকা ভাবি আর সাবিনা ভাবি! তাই তো আমাদের তিনজনেরই বোরখা হয়ে গেলো!” সুরুজ তালুকদার বলল, “হাহাহা! দেখলেন তো, বেশি বউ থাকার উপকারিতা ।” আবির বলল, “হ্যাঁ! যা বলেছেন! আমারও যদি এমন ভাগ্য হতো” এমন সময় অপু আবিরকে ইশারা করে পেছনে তাকাতে বলল । আবির পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখলো কানে মোবাইল নিয়ে দাড়িয়ে অয়ন । আবির জিজ্ঞেস করলো, “আশা করি তুই তোর বোনের সাথে কথা বলছিস না!” অয়ন ওপর নিচে মাথা নাড়লো ।
খামারে দাঁড়িয়ে আফসোস করতে লাগলো অলোক । বার বার বলতে লাগলো, “কি করে মিস হয়ে গেলো! কি করে! এটা হতে পারে না! না! না! না!” তারপর অলোকের খেয়াল হলো, ও অয়নকে নিজের আসল রূপ দেখিয়েছে । মনে মনে সে বলল, “না! এক্ষুনি আমাকে পালাতে হবে!” বলে নিজের বাসায় ফিরে গেলো অলোক । তারপর ব্যাগ গোছানো শুরু করলো । একটু পর ওর মেয়ে এসে জিজ্ঞেস করলো, “বাবা! বাবা! কোথায় যাচ্ছো!” অলোক বলল, “বিদেশ যাচ্ছি মা!” মেয়ে তার বলল, “বাবা! আমার জন্য ওই বিদেশি চকলেটগুলা আইনো! যেইগুলা আমার বান্ধবীরা দিছিলো!” অলোক মেয়ের কপালে চুমু খেয়ে বলল, “নিশ্চয় আনবো!” যাবার সময় দরজার সামনে বউকে দেখলো অলোক । গম্ভীরভাবে বলল, “তোমার মুখ যেনো বন্ধ থাকে পুলিশ আসলে!”
“ভাই! অলোকই মনে হয় রিওকে গুম করেছে! এই অলোকই আমাকে কিডন্যাপ করিয়েছিলো!” বলল অয়ন । আবির বলল, “রিও-র ঘটনা সত্য না, তবে তোকে যে ও-ই কিডন্যাপ করেছে তা আমি জানি, সেজন্যই আমি ইনস্পেক্টর রাদিবকে জানিয়ে পুলিশ পাঠিয়েছি ওর বাড়িতে । ও এখন পালাবে আর তার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস আনতে ওকে বাসায় একবার যেতেই হবে ।” অয়ন বলল, “কিভাবে বুঝলা?” আবির বলল, “সেদিন আমি রেজিস্টার রুমে অলোক লোক্টার রেজিস্টার করা পাতায় উনার নাম্বার রেখেছিলাম, আজ উনি সেই নাম্বার দিয়েই কল দিয়েছিলেন । বেচারা বুঝতেই পারে নি, এই নাম্বার আমি মোবাইলে সেইভ করে রেখেছি!” অপু বলল, “ভাই তুই আমাকে বলতি! আমি গ্রেফতার করলে আমার প্রোমোশনটা হইতো!” আবির বলল, “আচ্ছা, তাহলে পরের কথা শুনলে আরও কষ্ট পাবি তুই, আমি আরেকজনকে গ্রেফতার করার কথা বলেছি ইনস্পেক্টর রাদিবকে ।” অপু জিজ্ঞেস করলো, “তুই দেখি সত্যিই আমার প্রোমোশন চাস না! কিন্তু কাকে গ্রেফতারের কথা বলেছিস?” আবির বলল, “কাদের মোল্লাকে!”
আগামী পর্বেঃ
বউকে কথা বলে ব্যাগ নিয়ে দরজার কাছে এসে দরজা খুলতে যাবে অলোক, এমন সময় দরজায় নক করবার আওয়াজ । দরজা খুলতেই অলোকের বউ দেখলো, পুলিশ ।
আবির বলল, “মুরগীর ডাক!” অপু চমকে উঠলো, বলল, “মুরগীর ডাক! তার মানে কি আবির ওই খামারেই!” আবির বলল, “সম্ভাবনা প্রায় ৯৯ শতাংশ! আপনি লোকেশনটা জানেন না!” অপু বলল, “হ্যাঁ জানি তো, কিন্তু কোন জায়গায় যে সেটা! তা জানি না, কারণ মাঝপথ থেকেই আমি ফিরে এসেছি ।“ এমন সময় আবিরের মোবাইলে একটা মেসেজ এলো । তাতে লোকেশন দেয়া, কোথায় ডায়মন্ড দিতে হবে । লেখা, রাত ১২টায় কলাতলী বীচের ধারে ৩৪ নাম্বার শোবার জায়গাটা থেকে অয়নকে নিয়ে ডায়মন্ড দিয়ে যেতে! দূর থেকে ওরা গুলি তাক করে থাকবে, আবির আর অপু কোন চালাকি করার চেষ্টা করলে তারা গুলি ছুড়ে দেবে । আবির আর অপু অপেক্ষা করতে লাগলো রাত ১২টার । অপুকে হোটেলে রেখে আবির বাইরে গেলো । ফিরলো রাত ১০টার দিকে । অপু জিজ্ঞেস করলো, “কি করতে গিয়েছিলি?” আবির বলল, “একটু কাজ করতে ।” তারপর আবির অপু কানের কাছে এসে ফিসফিসিয়ে বলল, “এই ঘরে কিছু বলা যাবে না! পড়ে সব জানাচ্ছি!” এরপর আবির আর অপু করতে লাগলো সাড়ে ১১টার অপেক্ষা, তারপর ওরা যাবে কলাতলী বীচে ।
সাড়ে ১১টা বাজতেই আবির বেড়িয়ে পরলো । সৈকতের ধারে বিছানো রয়েছে সারি সারি বিছানা । তারই ৩৪ নাম্বার বেডে অয়নকে পাবার কথা আবিরদের । ঠিক ১১টা ৫৭ মিনিটে ওরা এখানে পৌঁছেছে । দূর থেকেই অয়ন আর অপু গুণতে গুণতে আসছিলো, যখনই দূর থেকেই ৩৪ নাম্বার বেডটা ওদের চোখে পড়লো, তখনই খেয়াল করলো, কেউ একজন চোখ মুখ বাঁধা কাউকে এনে সেই বেডে বসাচ্ছে । রাত হলেও বীচের ধারে লোকের সংখ্যা নগণ্য হলেও রয়েছে । কিন্তু অন্ধকারে কেউ হয়তো কিছু দেখছে না । এতো মানুষের মধ্যে কিডন্যাপাররা কোথায় আছে তা দেখা মুশকিল । আবির আর অয়ন গেলো বেডের কাছে । বসে অয়ন, পাশে দাড়িয়ে চোখে সানগ্লাস, মুখে মাস্ক পড়া এক লোক । সে নিজের কণ্ঠ বিক্রিত করে বলল, “ডায়মন্ড দিন!” আবির একটা ব্যাগ লোকটার হাতে দিলো । লোকটা ব্যাগ খুলে চেক করলো, ডায়মন্ড আছে কিনা । তারপর বলল, “এ! বোকা বানাচ্ছিস! কাচের টুকরো দিয়ে বলছিস ডায়মন্ড!” আবির বলল, “স্মেল নিয়ে দ্যাখো না, ডায়মন্ডের ঘ্রাণ লেবুর মতো হয় ।” লোকটা স্মেল নেবার চেষ্টা করতেই জ্ঞান হারালো । ঠিক তখন চারপাশে থাকা চারপাশে লোক গুলি তুলে তাক করলো আবির আর অপুর দিকে । এমন সময় ঘটলো আরেকটা অদ্ভুত ঘটনা । সে জায়গায় জড়ো হয়ে গেলো বেশ অনেক লোকজন । সেই লোকের ভীড়ে আবির অপু অয়ন কাউকেই দেখতে পেলো না গুলি তুলে দাড়িয়ে থাকা গুন্ডারা । নিচে একটু পর ভিড় কাটতেই ওরা বেডের দিকে এগিয়ে এসে দেখলো, ওদের যে সহযোগীকে অজ্ঞান করেছিলো আবির, সে-ও নেই ।
আবির অপু আর অয়ন তখন বোরখা পরিহিত অবস্থায় এলো এক লোকের বাসায় । সে আর কেউ নয়, সুরুজ তালুকদার । আবির বোরখা খুলতে খুলতে বলল, “ভাই! ভাগ্যিস আপনার তিন বউ! হেলেনা ভাবি, মালেকা ভাবি আর সাবিনা ভাবি! তাই তো আমাদের তিনজনেরই বোরখা হয়ে গেলো!” সুরুজ তালুকদার বলল, “হাহাহা! দেখলেন তো, বেশি বউ থাকার উপকারিতা ।” আবির বলল, “হ্যাঁ! যা বলেছেন! আমারও যদি এমন ভাগ্য হতো” এমন সময় অপু আবিরকে ইশারা করে পেছনে তাকাতে বলল । আবির পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখলো কানে মোবাইল নিয়ে দাড়িয়ে অয়ন । আবির জিজ্ঞেস করলো, “আশা করি তুই তোর বোনের সাথে কথা বলছিস না!” অয়ন ওপর নিচে মাথা নাড়লো ।
খামারে দাঁড়িয়ে আফসোস করতে লাগলো অলোক । বার বার বলতে লাগলো, “কি করে মিস হয়ে গেলো! কি করে! এটা হতে পারে না! না! না! না!” তারপর অলোকের খেয়াল হলো, ও অয়নকে নিজের আসল রূপ দেখিয়েছে । মনে মনে সে বলল, “না! এক্ষুনি আমাকে পালাতে হবে!” বলে নিজের বাসায় ফিরে গেলো অলোক । তারপর ব্যাগ গোছানো শুরু করলো । একটু পর ওর মেয়ে এসে জিজ্ঞেস করলো, “বাবা! বাবা! কোথায় যাচ্ছো!” অলোক বলল, “বিদেশ যাচ্ছি মা!” মেয়ে তার বলল, “বাবা! আমার জন্য ওই বিদেশি চকলেটগুলা আইনো! যেইগুলা আমার বান্ধবীরা দিছিলো!” অলোক মেয়ের কপালে চুমু খেয়ে বলল, “নিশ্চয় আনবো!” যাবার সময় দরজার সামনে বউকে দেখলো অলোক । গম্ভীরভাবে বলল, “তোমার মুখ যেনো বন্ধ থাকে পুলিশ আসলে!”
“ভাই! অলোকই মনে হয় রিওকে গুম করেছে! এই অলোকই আমাকে কিডন্যাপ করিয়েছিলো!” বলল অয়ন । আবির বলল, “রিও-র ঘটনা সত্য না, তবে তোকে যে ও-ই কিডন্যাপ করেছে তা আমি জানি, সেজন্যই আমি ইনস্পেক্টর রাদিবকে জানিয়ে পুলিশ পাঠিয়েছি ওর বাড়িতে । ও এখন পালাবে আর তার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস আনতে ওকে বাসায় একবার যেতেই হবে ।” অয়ন বলল, “কিভাবে বুঝলা?” আবির বলল, “সেদিন আমি রেজিস্টার রুমে অলোক লোক্টার রেজিস্টার করা পাতায় উনার নাম্বার রেখেছিলাম, আজ উনি সেই নাম্বার দিয়েই কল দিয়েছিলেন । বেচারা বুঝতেই পারে নি, এই নাম্বার আমি মোবাইলে সেইভ করে রেখেছি!” অপু বলল, “ভাই তুই আমাকে বলতি! আমি গ্রেফতার করলে আমার প্রোমোশনটা হইতো!” আবির বলল, “আচ্ছা, তাহলে পরের কথা শুনলে আরও কষ্ট পাবি তুই, আমি আরেকজনকে গ্রেফতার করার কথা বলেছি ইনস্পেক্টর রাদিবকে ।” অপু জিজ্ঞেস করলো, “তুই দেখি সত্যিই আমার প্রোমোশন চাস না! কিন্তু কাকে গ্রেফতারের কথা বলেছিস?” আবির বলল, “কাদের মোল্লাকে!”
আগামী পর্বেঃ
বউকে কথা বলে ব্যাগ নিয়ে দরজার কাছে এসে দরজা খুলতে যাবে অলোক, এমন সময় দরজায় নক করবার আওয়াজ । দরজা খুলতেই অলোকের বউ দেখলো, পুলিশ ।