সেকালের ভালোবাসা একালের ভালোবাসা
সেকালের ভালোবাসা একালের ভালোবাসা
১২১০ সাল ৷ পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধের শ্যামলি রাজ্য ৷ রাজার একমাত্র মেয়ে আলেয়া আক্তার ৷ বয়স ১৯ বছর ৷ বারান্দায় দাড়িয়ে আছে কবুতরের অপেক্ষায় ৷ কখন যে ছেলেটার চিঠি আসবে ৷ সেদিন বাবার সাথে জঙ্গল ঘুরতে গিয়ে দেখা হয়েছিলো ছেলেটার সাথে ৷ বাবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে ছেলেটার সাথে কথাও বলেছিলো ৷ ছেলেটার নাম সোলায়মান ৷ গরীব পরিবারের ছেলে ৷ বয়স ২০ ৷ ছেলেটার মা বাবা কেউ নেই ৷ নিজে জঙ্গলের কাজ কব়ে খায় ৷ মেয়েটা তাকে ভালোবাসার প্রস্তাব জানালে ছেলেটা তা প্রত্যাখ্যান করে ৷ কারণ ওর নিজেরই থাকার জায়গা নেই ৷ বিয়ের পর মেয়েটাকে রাখবে কোথায় ৷ ছেলেটা ঘর জামাই হতে রাজি না ৷ আবার কারও কাছে হাতও পাতে না ৷ সুতরাং তার পক্ষে এটা সম্ভব নয়৷
কিন্তু মেয়েটি নাছোরবান্দা ৷ তাই আরেকবার প্রস্তাব জানিয়ে ছেলে টার কাছে তার কবুতরের পায়ে চিঠি লিখে প্রস্তাব জানিয়েছে ৷ কিন্তু কবুতর টা কোথায়? কিছুক্ষণ পরই চিঠি নিয়ে হাজির হয় কবুতরটি ৷ চিঠি টা নিয়ে আলেয়া পড়া শুরু করলো৷
"প্রিয় রাজকন্যা, আমার সালাম নেবেন ৷ আমি আমার অক্ষমতা গুলো আপনাকে জানিয়েছি ৷ আমার পক্ষে এটা সম্ভব না ৷ আশা করি পরবর্তিতে আপনার কবুতর আর আসবে না ৷ ইতি সোলায়মান ৷"
ছেলেটা গরীব হলেও পড়তে লিখতে জানতো ৷ কিন্তু আলেয়ার মনটা খুবই খারাপ হয়ে গেল ৷
পরদিন ফজরের নামাজ পড়ে প্রহরীর চোখ এড়িয়ে প্রাসাদ থেকে বেড়িয়ে গেল আলেয়া ৷ উদ্দেশ্য, ছেলেটাকে এনে তার বাবার কাছে হাজির করবে ৷ পথ চিনতে সহায়তা করলো আলেয়ার কবুতর ৷ যেই কথা, সেই কাজ ৷ আলেয়া সোলায়মান কে নিয়ে বাবার কাছে এলো ৷ আলেয়া মেয়ে বলে খুব একটা জোর করে না যাওয়ার চেষ্টা করতে পারে নি সোলায়মান ৷
আলেয়া: পিতা?
আলেয়ার বাবা মহারাজ হাকিম কবির ছেলেটাকে দেখে অবাক হলেন ৷ কিন্তু কিছু বললেন না ৷
আলেয়া : পিতা, ১৯ টা বছর আমি আপনার কাছে কিছু চাই নি ৷ আজ চাইছি ৷ আমি এই ছেলেকে বিবাহ করতে চাই ৷
তখন রাজা হাকিম সব কথা শুনলেন ৷
রাজা: আমি তোমার কথা রাখলাম কন্যা ৷ আমি তোমাদের জন্য আলাদা প্রাসাদ বানিয়ে দেব ৷
সোলায়মান: মার্জনা করবেন মহারাজ, আমি কারও দান গ্রহন করতে রাজি নই ৷
হাকিম: ঠিক আছে ৷ আমার রাজ্যের মহামন্ত্রীর বয়স হয়েছে ৷ তার বদৌলতে আমি তোমাকে মহামন্ত্রী আসন দেব ৷ আজ থেকে তুমি হলে আমার মহা মন্ত্রী ৷ আর তোমার সাথেই বিয়ে হবে আমার মেয়ের এরপর তোমার উপার্জিত অর্থে তুমি সংসার করবে ৷
অবশেষে তারা দুজনেই খুব খুশি হয় এবং তাদের বিয়ে হয় ও সাংসারিক জীবন সুখে-শান্তিতে কাটতে থাকে ৷
Writer
২০১৯ সাল ৷ ১৪ ফেব্রুয়ারি ৷মেসেঞ্জারে বয়ফ্রেন্ড কে এত্তগুলা মেসেজ দিসে অথচ বয়ফ্রেন্ড এর রিপ্লাই নাই ৷ মেয়েটার নাম জেসিকা ৷ ওর বয়ফ্রেন্ড এর নাম তুফান ৷
জেসিকা: কীরে, হালায় তো রিপ্লাই দিতাসে না ৷ ফাঁকি টাকি দিল না তো? না ৷ হালারে বিশ্বাস কইরা ২লাখ ট্যাকা দেয়া ভুল হইয়ে গেসে ৷
জেসিকা লাখপতির মেয়ে ৷ কলেজ থেকে আসার পথে প্রোপোজ করে তুফান ৷ তুফানের স্বভাব, স্টাইল দেখে পছন্দ করে ফেলে ৷ তুফান মেয়েটাকে কোটিপতির ছেলে বলে পরিচয় দিলেও আসলে তুফান নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবাবের ছেলে ৷ ওর যেসব বড়লোক বন্ধু আছে, তাদের কাছ থেকে পোশাক, বাইক ধার নিয়ে মেয়ে পটায় আর ওই মেয়েদের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে তাদের ঠকায় আর অন্যত্র পালিয়ে যায় ৷ বাবার কোম্পানি নিলামে উঠেছে বলে ২ লাখ টাকা ধার নিয়েছিলো৷ এখন আর পাত্তা নেই জেসিকা ছিলো ৭ নাম্বার মেয়ে ৷ কিন্তু জেসিকা ছিলো খুবই চালাক ৷ ফোন নাম্বার দিয়ে গুগল ম্যাপে যেয়ে লোকেশন বের করলো জেসিকা ৷ তারপর বোরখা পড়ে গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পড়লো ৷ লোকেশনটা ছিলো গুলশানের একটা রেস্টুরেন্ট ৷ জেসিকা হিজাব দিয়ে মুখ ঢেকে ভেতরে ঢুকলো ৷ দেখলো, একটা টেবিলে বসে তুফান আর একটা মেয়ে চাইনিজ খাচ্ছে আর কথা বলছে ৷ কথা শোনার জন্য পাশের টেবিলে গিয়ে বসলো জেসিকা ৷
তুফান: আর বোলো না বাবার যে এত টাকা বাবার শত্রু কম না ৷ তাইতো চক্রান্ত করে বাবার কোম্পানী টা নিলামে তুলে দিলো ৷ এখন সব টাকা জোগাড় করেও এখনও ২ লাখ বাকি ৷
মেয়েটা: তোমার বাবা কোটিপতি হয়েও এখনও ২ লাখ বাকি?
তুফান: কীকরব বলোতো ৷ বাবার ব্যাংকের কার্ডটাও ব্লক করে দিয়েছে ৷ ভেবেছিলাম তোমায় বিয়ে করে ধানমন্ডির বাড়িটায় একসাথে থাকবো ৷ তা বোধ হয় আর হবে না ৷ মেয়েটা: আমি তোমাকে টাকা দেব ৷ চিন্তা কোরো না ৷
তুফান: দেবে বলছো? দিও ৷ আমি বিয়ের পর সব শোধ করে দেব ৷
হঠাৎ জেসিকা উঠে দাড়িয়ে তুফানের চুল টেনে ধরে বলল, তার আগে আমি তোরে শুধরাইয়া দেব ৷
এই বলে জুতা খুলে হাতে নিয়ে তুফানের চুল টেনে ধরা অবস্থায়েই ঠাস্ ঠাস্ করে মারতে লাগলো ৷
কিছুক্ষণ পর তুফান দৌঁড় দিলো আর ওর মাথা থেকে চুল খুলে জেসিকার হাতে চলে আসলো ৷ জেসিকা দেখলো, তুফান আসলে টাক ৷ এতদিন আলগা চুল পড়তো ৷ হাতে চুল টা ফেলে দিয়ে দিলো তুফানের পেছনে দৌড় ৷ অন্য মেয়েটা খালি হা করে তাকিয়ে রইলো ৷ কিছু বুঝে উঠতে পরলো না ৷
কিন্তু মেয়েটি নাছোরবান্দা ৷ তাই আরেকবার প্রস্তাব জানিয়ে ছেলে টার কাছে তার কবুতরের পায়ে চিঠি লিখে প্রস্তাব জানিয়েছে ৷ কিন্তু কবুতর টা কোথায়? কিছুক্ষণ পরই চিঠি নিয়ে হাজির হয় কবুতরটি ৷ চিঠি টা নিয়ে আলেয়া পড়া শুরু করলো৷
"প্রিয় রাজকন্যা, আমার সালাম নেবেন ৷ আমি আমার অক্ষমতা গুলো আপনাকে জানিয়েছি ৷ আমার পক্ষে এটা সম্ভব না ৷ আশা করি পরবর্তিতে আপনার কবুতর আর আসবে না ৷ ইতি সোলায়মান ৷"
ছেলেটা গরীব হলেও পড়তে লিখতে জানতো ৷ কিন্তু আলেয়ার মনটা খুবই খারাপ হয়ে গেল ৷
পরদিন ফজরের নামাজ পড়ে প্রহরীর চোখ এড়িয়ে প্রাসাদ থেকে বেড়িয়ে গেল আলেয়া ৷ উদ্দেশ্য, ছেলেটাকে এনে তার বাবার কাছে হাজির করবে ৷ পথ চিনতে সহায়তা করলো আলেয়ার কবুতর ৷ যেই কথা, সেই কাজ ৷ আলেয়া সোলায়মান কে নিয়ে বাবার কাছে এলো ৷ আলেয়া মেয়ে বলে খুব একটা জোর করে না যাওয়ার চেষ্টা করতে পারে নি সোলায়মান ৷
আলেয়া: পিতা?
আলেয়ার বাবা মহারাজ হাকিম কবির ছেলেটাকে দেখে অবাক হলেন ৷ কিন্তু কিছু বললেন না ৷
আলেয়া : পিতা, ১৯ টা বছর আমি আপনার কাছে কিছু চাই নি ৷ আজ চাইছি ৷ আমি এই ছেলেকে বিবাহ করতে চাই ৷
তখন রাজা হাকিম সব কথা শুনলেন ৷
রাজা: আমি তোমার কথা রাখলাম কন্যা ৷ আমি তোমাদের জন্য আলাদা প্রাসাদ বানিয়ে দেব ৷
সোলায়মান: মার্জনা করবেন মহারাজ, আমি কারও দান গ্রহন করতে রাজি নই ৷
হাকিম: ঠিক আছে ৷ আমার রাজ্যের মহামন্ত্রীর বয়স হয়েছে ৷ তার বদৌলতে আমি তোমাকে মহামন্ত্রী আসন দেব ৷ আজ থেকে তুমি হলে আমার মহা মন্ত্রী ৷ আর তোমার সাথেই বিয়ে হবে আমার মেয়ের এরপর তোমার উপার্জিত অর্থে তুমি সংসার করবে ৷
অবশেষে তারা দুজনেই খুব খুশি হয় এবং তাদের বিয়ে হয় ও সাংসারিক জীবন সুখে-শান্তিতে কাটতে থাকে ৷
জেসিকা: কীরে, হালায় তো রিপ্লাই দিতাসে না ৷ ফাঁকি টাকি দিল না তো? না ৷ হালারে বিশ্বাস কইরা ২লাখ ট্যাকা দেয়া ভুল হইয়ে গেসে ৷
জেসিকা লাখপতির মেয়ে ৷ কলেজ থেকে আসার পথে প্রোপোজ করে তুফান ৷ তুফানের স্বভাব, স্টাইল দেখে পছন্দ করে ফেলে ৷ তুফান মেয়েটাকে কোটিপতির ছেলে বলে পরিচয় দিলেও আসলে তুফান নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবাবের ছেলে ৷ ওর যেসব বড়লোক বন্ধু আছে, তাদের কাছ থেকে পোশাক, বাইক ধার নিয়ে মেয়ে পটায় আর ওই মেয়েদের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে তাদের ঠকায় আর অন্যত্র পালিয়ে যায় ৷ বাবার কোম্পানি নিলামে উঠেছে বলে ২ লাখ টাকা ধার নিয়েছিলো৷ এখন আর পাত্তা নেই জেসিকা ছিলো ৭ নাম্বার মেয়ে ৷ কিন্তু জেসিকা ছিলো খুবই চালাক ৷ ফোন নাম্বার দিয়ে গুগল ম্যাপে যেয়ে লোকেশন বের করলো জেসিকা ৷ তারপর বোরখা পড়ে গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পড়লো ৷ লোকেশনটা ছিলো গুলশানের একটা রেস্টুরেন্ট ৷ জেসিকা হিজাব দিয়ে মুখ ঢেকে ভেতরে ঢুকলো ৷ দেখলো, একটা টেবিলে বসে তুফান আর একটা মেয়ে চাইনিজ খাচ্ছে আর কথা বলছে ৷ কথা শোনার জন্য পাশের টেবিলে গিয়ে বসলো জেসিকা ৷
তুফান: আর বোলো না বাবার যে এত টাকা বাবার শত্রু কম না ৷ তাইতো চক্রান্ত করে বাবার কোম্পানী টা নিলামে তুলে দিলো ৷ এখন সব টাকা জোগাড় করেও এখনও ২ লাখ বাকি ৷
মেয়েটা: তোমার বাবা কোটিপতি হয়েও এখনও ২ লাখ বাকি?
তুফান: কীকরব বলোতো ৷ বাবার ব্যাংকের কার্ডটাও ব্লক করে দিয়েছে ৷ ভেবেছিলাম তোমায় বিয়ে করে ধানমন্ডির বাড়িটায় একসাথে থাকবো ৷ তা বোধ হয় আর হবে না ৷ মেয়েটা: আমি তোমাকে টাকা দেব ৷ চিন্তা কোরো না ৷
তুফান: দেবে বলছো? দিও ৷ আমি বিয়ের পর সব শোধ করে দেব ৷
হঠাৎ জেসিকা উঠে দাড়িয়ে তুফানের চুল টেনে ধরে বলল, তার আগে আমি তোরে শুধরাইয়া দেব ৷
এই বলে জুতা খুলে হাতে নিয়ে তুফানের চুল টেনে ধরা অবস্থায়েই ঠাস্ ঠাস্ করে মারতে লাগলো ৷
কিছুক্ষণ পর তুফান দৌঁড় দিলো আর ওর মাথা থেকে চুল খুলে জেসিকার হাতে চলে আসলো ৷ জেসিকা দেখলো, তুফান আসলে টাক ৷ এতদিন আলগা চুল পড়তো ৷ হাতে চুল টা ফেলে দিয়ে দিলো তুফানের পেছনে দৌড় ৷ অন্য মেয়েটা খালি হা করে তাকিয়ে রইলো ৷ কিছু বুঝে উঠতে পরলো না ৷