নীল পাখিটা
নীল রঙা এক পাখি মায়ের বারণ থাকা সত্ত্বেও খড়কুটো র ঘর ছেড়ে বেড়িয়ে পড়লো পৃথিবী দেখতে, কিন্তু তার ধারণার পৃথিবী আর বাস্তবে পৃথিবী একদম ভিন্ন
নীল পাখিটা
কৃষ্ণচূড়ার ওই গাছেতে
নীল রঙা এক পাখি,
একলা একা বসে ঘরে
করতো ডাকডাকি ।
মা করেছে বারণ তাকে
ঘরের বাইরে যেতে,
নয়তো বা সে হারিয়ে যাবে
ভুল হবে পথ পেতে ।
একদিন পাখি জোড় করেই
দিলো উড়াল আকশেই,
সরি না হয় বলবে মা-কে
বাড়ি ফিরে যেতেই ।
সুন্দর এই পৃথিবীটা
তাকে যে দেখতে হবে!
না দেখলে কেমন করে
মন সে জুড়াবে ।
কিন্তু একি! গাছপালা কই!
সব দালানকোঠায় ভরা!
গাড়ি আর গাড়ি নিচে কেবল
আর মানুষের মহরা!
একটু দুরেই দেখল পাখি
কালো কালো কি ওগুলো!
বাতাস, নাকি ধোঁয়া!
খারাপ নাকি ভালো?
যেতেই সেথা কষ্ট হল
দম নিতে পাখির,
মনে হল মা ডাকছে!
এবার ঘরে ফির!
কিন্তু পাখি হাল ছাড়েনা
উড়ে গেলো আরও দূরে!
ফিরলে বাড়ি এই দুনিয়া
সে দেখবে কেমন করে?
হঠাৎ পাখি হাফিয়ে গেলো
পেলো জল তেষ্টা
নেমে গেলো এক পুকুর পাড়ে
করলো পানের চেষ্টা ।
ওয়াক থু! এটা কি!
জল না পচা জল!
মরা মাছের দুর্গন্ধ,
আর বিশ্রী পোকার দল!
ততোক্ষণে মা তাকে
ফেলেছে প্রায় ধরে,
পাখি তখন বলল সরি!
মায়ের গলা ধরে ।
মা আর সে রওনা হল,
বাড়ির দিকে ফেরা,
আসার পথে দেখল পাখি
দূষণ ভরা ধরা ।
কিন্তু কোথায় তাদের বাড়ি!
কৃষ্ণচূড়া গাছ!
মাটির ওপর কিছু মানুষ
করছে কাটার কাজ ।
উপড়ে দিয়ে গাছটি তারা
ডালগুলো গেলো নিয়ে,
নীল পাখিটা ফেলল কেঁদে
ঘরটাও হারিয়ে ।
বলল সে মনে মনে
মানুষ, তৈরি থেকো!
প্রকৃতি বদলা ঠিকই নেবে!
এখনই ঠিকটা শেখো!