Etai Bastob
আজকাল মানুষের খোঁজ নিলেই ভাবে বোধ কোন দরকার পড়েছে আর খোঁজ নিচ্ছে । আবার সত্যি কথা বলতে আজকাল প্রয়োজন ছাড়া কেউ খোঁজ নেয়ও না ।
মানুষ একটু উচ্চ পর্যায়ে চলে গেলে সে আগে যে পর্যায়ে ছিলো সে পর্যায়ের মানুষের সাথে মিশতে বিরক্ত বোধ করে ।
নিজের চেয়ে অন্যের দোষ খুঁজতে মানুষ বেশি ভালোবাসে ।
প্রযুক্তি যতো উন্নত হচ্ছে মানুষ তত অলস এবং কর্মবিমুখ হচ্ছে । তার মানে এই নয় প্রযুক্তির উন্নতি খারাপ, অপব্যাবহার এবং অতিরিক্ত ব্যাবহার খারাপ ।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আপনি খেয়াল করবেন,যাকে আপনি বেশি ভালোবাসেন, সে আপনার খুব একটা পাত্তা দিতে চায় না, বাধ্য হয়ে সম্পর্কের খাতিরে দেয়। আবার ভালো করে খেয়াল করে দেখবেন, যাকে আপনি খুব একটা পাত্তা দিতে চান না, বাধ্য হয়ে সম্পর্কের খাতিরে দেন, সেই আপনাকে বেশি ভালোবাসে ।
কোনো সেলিব্রেটি কারো বাসায় এসে যদি হাগতেও চায় তাও মানুষ তা হাসিমুখে বরণ করে নেবে । কিন্তু একজন গরীব মানুষ এক গ্লাস পানি চাইলেও অনেকে দেয় না ।
ঝগড়া করতে দুজন লোকের দরকার হয় । একজন ঝগড়া শুরু করলে অপরজন চুপ থাকলে ঝগড়া আর সামনে এগোয় না । কিন্তু আফসোস! ঝগড়ার মধ্যেই মানুষ শান্তি খুঁজে পায় ।
আজকাল ভিক্ষা দিতে গেলেও দোটানায় পড়তে হয় যে এটা আসল ফকির না নকল । ফলস্বরূপ কখনো কখনো আসল ফকিরেরা বঞ্চিত হয় ।
খুব পপুলার পেইজ বা মানুষের একদম বাজে পোস্টও অনেক রিয়েক্ট, কমেন্ট, শেয়ার পায় কিন্তু পেইজ পপুলার না হলে পোস্ট অনেক ভালো হলেও তা শেয়ার পায় না ।
ফেকবুকের কমেন্ট বক্সে বহুত হুজুর দেখা যায় যাদের বেশিরভাগকেই মসজিদে আর দেখা যায় না ।
মৃত্যু যেকোন সময় হাজির হতে পারে, হয়তো আপনি এই লেখাটা পড়ার ১ সেকেন্ড পড়েও ।
আজ যদি বলা হতো, নামাজে গেলে বেতন ৫০% বাড়িয়ে দেয়া হবে, তাহলে মসজিদে ফাকা জায়গা পাওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে যেতো ।
নতুন বছর পদার্পন আমরা জাকজমকভাবে হাসিখুশির সাথে পালন করে থাকি । কিন্তু আমাদের এটা মাথায় রাখতে হবে, আমাদের জীবন থেকে আরও একটা বছর চলে গেলো এবং মৃত্যুর দিকে আমাদের জীবন আরও এক বছর এগিয়ে গেলো । কে বলতে পারে, হয়তো এটাই আমাদের মৃত্যুর বছর ।
ভাইরাল হতে আজকাল ট্যালেন্ট লাগে না । অশ্লীল কিছু নাম দিয়ে পেইজ খুললে কিংবা শার্টের বোতাম খুলে বুকের পশম দেখিয়ে নাচলে বা অদ্ভুত মার্কা গান গাইলেই আপনি ভাইরাল ।
মুখ চেনা খুব সহজ কিন্তু মুখোশ চেনা খুব কঠিন ।
ধর্ষণের জন বেপর্দা নারা কখনোই প্রধান কারণ নয়, তবে ধর্ষণের ক্ষেত্রে
বেপর্দা নারী একটা কারণ । কি করে, নিচের কথাটি ভালো করে পড়ুন ।
এক লোক হাতে করে একটা ডায়মন্ড নিয়ে হেটে বেড়াচ্ছেন । এমন সময়
এক চোর এসে সেই ডায়মন্ড চুরি করে নিয়ে গেলো । উনি কাঁদতে
লাগলেন । রাস্তার লোকেরা বলতে লাগলেন, “আপনি জানেন এভাবে দেখিয়ে বেড়ালে চোর চুরি করবেই । তাহলে এভাবে দেখিয়ে বেড়ানোর কি
দরকার ছিল? চোরকে আপনি আটকাতে পারবেন না, কিন্তু চোরের
লোলুপ দৃষ্টি থেকে নিজের দামী বপ্তটিকে আড়াল করতে পারতেন!” ঠিক তেমনি নারীদের দেখলে ধর্ষকদের লোলুপ দৃষ্টি তাকিয়ে থাকে ।
নারীরা যদি নিজেদের পর্দার ভেতর রাখতো, তবে এই ধর্ষণ অনেকাংশে
কমে যেত । অনেকাংশে বলার কারণ পর্দা করার পরেও অনেক ধর্ষক
ধর্ষণ করবেই জানা কথা, যেমন লুকিয়ে রাখার পরও অনেক জিনিস চুরি
হয়ে যায় । কিন্তু লুকিয়ে রাখা বস্তু চুরি সম্ভাবনা অনেক কম থাকে, তাই
নারীরা পর্দাশীল হলে ধর্ষণ হবার সম্ভাবনাও অনেক কমে যাবে। তবে তাই বলে কোন বেপর্দা নারী ধর্ষণের স্বীকার হলে ওই নারীকে দোষারোপ করা মোটেও উচিৎ নয় । কারণ মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদেরও চোখের পর্দা করাটাও কিন্তু ফরজ ।
আধুনিকতা আন্তরিকতার ব্যাস্তানুপাতিক । আধুনিকতা যতো বাড়ছে, আন্তরিকতা তত কমছে । উদাহরণ স্বরূপ, আগে আমরা কারো বাসায় গেলে তার সাথে কথা বলতাম, খোঁজ খবর নিতাম, আর এখন আমরা কারও বাসায় গেলে মোবাইল নিয়েই বসে থাকি ।
আমাদের জীবনে কত কিছুই না আমরা দেখি । কখনো বুঝি, কখনো বুঝি না । কখনো এই বোঝার ধরণও দুটো । কখনো ভুল বুঝি, কখনো সঠিকটাই বুঝি । তবে যদি এমন হয়, আমি কাউকে বুঝি, কিন্তু সে আমাকে বোঝে না?
হ্যাঁ । এটাই বাস্তবতা । আমাদের জিবনে অনেক মানুষ আছে । পরিবার, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, পাড়া প্রতিবেশী, আর কত মানুষ । এদের মধ্যে পরিবার আর বন্ধুবান্ধব-ই আমাদের কাছে সত্যিকার অর্থে বেশি আপন । আর এই ভুল বোঝাবোঝির ঘটনা এই বন্ধুবান্ধবদের সাথেই বেশি । বন্ধুদের মধ্যেও রয়েছে প্রকারভেদ । কিছু বন্ধু আছে, যাদের সাথে আমরা বেশি ঘনিষ্ঠ । তাদের সাথে সবসময় ঘোরাফেরা, যোগাযোগ করা সবটাই প্রতিদিন করা যায় । অন্যান্যরাও তাই বলে যে বন্ধু না, তা নয় । কেবল সময়ের অভাবে সবার সাথে যোগাযোগ করাটা ঠিক হয়ে ওঠে না । খুব প্রয়োজন হলে, কিংবা হঠাৎ তার কথা মনে পড়লে দেখা মাসে ২-১ বার কথা হয় । যারা আমাদের খুব ঘনিষ্ঠ, তাদের মাঝেও কিছু আছে, যারা একটু বেশি ভাব নিয়ে চলে । ম্যাসেজ দিলে সেটা দেখেও রিপ্লাই দেয় না, কিংবা কথা বললে কেবল নিজেরাই প্রশ্ন করে যাই, সে কোন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে না । এতে অনেক ক্ষেত্রে ভুল বোঝাবুঝি হতেই পারে । তবে আমাদের সকলকেই পজিটিভ চিন্তাটাই করা উচিত । হয়তো সে কোন কাজের ফাঁকে আমাকে রিপ্লাইটা দিতে পারে নি । এরকম চিন্তা করেই আমাদের তার সাথে সম্পর্কটা বজায় রাখা উচিত । কিন্তু এক্ষেত্রে যেটাই ভাবি, যদি এমন হয়, বাস্তবেই ওপাশের ঐ বন্ধুটা কোন কারণে আমাকে এড়িয়ে চলে, কারণ আমি দেখতে ভালো না, আমার সচ্ছলতা নেই, আমার আচরণ খারাপ না হলেও আর পাঁচটা ছেলের মতো না, কিংবা অন্য কিছু । ভাবুক, আমাদের তাই বলে এটাই হতে পারে এমনটা ভাবা উচিত নয় । এতে ভুল বোঝাবুঝিও হতে পারে । আর সে বাস্তবেই যদি আমাকে এড়িয়ে চলতে চায়, চলুক । আমার কি । বন্ধুত্বের মানটা সে না বুঝলেও আমি তো বুঝি । কিন্তু কেউ সেটা বোঝে না । আর এটাই বাস্তবতা ।