0 %

Thanks a lot for being with us!
We are re-constructing our website!
Sorry for this temporary inconvenience
We are coming to you with a fresh look and design from 1 January 2022!
Till then! Stay connected!

Jarif

 
×

নির্দেশনাঃ shot-1: তোর সামনে ক্যামেরা এমনভাবে রাখবি যেন কারো সাথে ভিডিও কলে কথা বলতেসিস আর একটা ভিডিওতেই সব ডাইলোগ দিয়ে দিস, সমস্যা নেই । তবে হ্যাঁ, একটা ডাইলোগের পর আরেকটা ডাইলোগ বলার আগে কিছুক্ষণ থেমে থাকিস, যেনো কাট করে নিতে সুবিধা হয় ।

L.E : ভিডিও তে এল.ই. লেখা অংশের পর আমার কিছু এক্সপ্রেশন দেখবি যেখানে আমি শুধু কথা শুনছি, হেন তেন করছি, মানে এক কথায় এই ফুটেজ গুলো সেক্ষেত্রে কাজে লাগবে, ধর কেউ একজন কথা বলতেসে বাকি সবাই শুনতেসে, সেই তুই যে শুনতেসিস এরকম ৩০ সেকেন্ডের মতো ভিডিও দিস ।

T.E : ভিডিও তে টি.ই. লেখা অংশের পর আমি শুনতেসি কিন্তু খুব অবাক হয়ে এবং একটা ভয় আর দুশ্চিন্তা সাথে নিয়ে । এরকম কিছুও ভিডিও করে দিস আমি যেরকম দিসি ওরকম করে, ৩০ সেকেন্ডের মতো ডিউরেশন নিয়ে ।

(তোর ডাইলোগগুলো বোল্ড করা আছে)

রাফিঃ কিরে কি অবস্থা জারিফ?
জারিফঃ কি আর অবস্থা, ভাল্লাগেনা রে ভাই, আর কয়দিন এই পেন্টাগনের ভয়ে ঘরের মধ্যে থাকমু।
রাফিঃ আমারও ভাল্লাগে না । তোর ভাবির সাথে কতদিন যে দেখা করিনা রে ভাই!
জারিফঃ এহ! আমরা না খেইল্লা মইরা যাইতেসি আর তুমি আসো ভাবি নিয়া!
তমিকঃ আরে মামা, কি অবস্থা ।
জারিফঃ এইযে আরেকজন আইছে । গতকাল রাইত তিনডা পর্যন্ত আমরা পাবজি খেলসি, তুই আসোস নাই ক্যান?
তমিকঃ আর বইলো না রে দাদা, দিনকাল যা যাইতেসে, নেট লাইনে সমস্যা হইছিলো, আইজকা ঠিক কইরা দিয়া গেলো ।
রাফিঃ আর কে কে বাকি? ওয়াসিফ আর প্রতীক!
জারিফঃ ভাই, মন খারাপ করায় দিলি । প্রতীকের কোন খোজ পাইসোস?
রাফিঃ নাহ, সেই দুই মাস আগে শেষ আমাদের সাথে কথা বলসিলো গ্রুপ কলে, আর খবর নাই ওর ।
তমিকঃ এই, ও শুনলাম আগে যে মেসে থাকে ওইখানে থেইকা গেসিলোগা?
জারিফঃ হ, ওই মেস থেইকা বাসায় যাওয়ার কথা বইলে বাইর হইছিলো, আর বাসায় যায় নাই । এখন অয় কই আছে না আছে কেউ জানে না ।
রাফিঃ কোয়ারেন্টাইনের জন্য ওর খোঁজ ও ঠিক মতো করতে পারতেছে না । তাও পুলিশ চেষ্টা চালাইতেসে, দেখা যাক ।
ওয়াসিফঃ আয় দোস্ত চইলা আসছি । তমিকঃ কিরে দাদা, তুমি এতো লেইট করলা ক্যান?
ওয়াসিফঃ আরেহ , গতকাল বাসায় বিরিয়ানি খাইয়া পেট খারাপ হইছে, এতক্ষন বাথরুমেই ছিলাম ।
জারিফঃ খা আরও না দিয়া, আরও বেশি পেট খারাপ হইবো।
ওয়াসিফঃ আরে, কোয়ারেন্টাইন না থাকলে ঠিকই দিতাম ।
তমিকঃ এই কোয়ারেন্টাইন যে যাবে কবে আল্লাহ জানেন ।
ওয়াসিফঃ পেন্টাগনের নাকি নতুন মিউটেশন হইছে শুনলাম?
রাফিঃ হ দেখলাম, অবস্থা খুব খারাপ । তোরা সচেতন থাকিস ভাই ।
জারিফঃ নতুন মিউটেশনের বিশিষ্ট কি রে?
ওয়াসিফঃ একবার এবার নাকি কিডনির সাথে ফুসফুসকেও আক্রান্ত করতেসে ।
রাফিঃ হইছে, আর এইসব না কই, মিউটেশন শুনলেই প্রতীকের কথা মনে পড়তাসে ।
তমিকঃ হ অয় তো এগ্লা নিয়াই কাজ করতো, না?
জারিফঃ হ ।
ওয়াসিফঃ ভাল্লাগে না রে ভাই। ভার্সিটি যামু ।
তমিকঃ হ রে ভাই । টং এর দোকানে না বইসা শান্তি পাইতেসি না ।
জারিফঃ এই! তোরা একটা জিনিস দ্যাখ!
রাফিঃ কি?
জারিফঃ প্রতীক আমাদের মেসেজ সিন করসে!
ওয়াসিফঃ আরে! জয়েন ও করছে কলে!
তমিকঃ হ্যালো! আসোস!
জারিফঃ স্ক্রিন কালা ক্যান?
রাফিঃ প্রতীক আসোস!!
প্রতীকঃ হ্যালো………………।
রাফিঃ কিরে ভাই! তুই কই?
জারিফঃ রাফি! আমি আঙ্কেল আন্টিরে কল দিতেছি!
প্রতীকঃ না! প্লিজ! কল দিস না!
তমিকঃ তুই আসোস কই? আর তোর এই অবস্থা ক্যান!
প্রতীকঃ সব বলবো । কিন্তু শুন । যা বলবো এটা কেউ রেকর্ড কর!
ওয়াসিফঃ আমি করতেছি । তুই কিছুক্ষন পর পর এমন করতেছিস ক্যান!
প্রতীকঃ আমার হাতে বেশি সময় নাই! তাই তোদের প্রশ্নের জবাব দেয়ারও সময় নাই । শুন! আমি পেন্টাগন ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলাম, যেদিন আমার মধ্যে লক্ষনগুলো আমি বুঝতে পারি, আমি মেস থেকে বাসায় যাচ্ছি বলে চলে আসি । আশ্রয় নেয় একটি পরিত্যাক্ত স্থানে । কোথায়, সেটা আমি বলবো না । কারন এখানে এলে অনেক বড় বিপদ হয়ে যাবে । আমি চেয়েছিলাম পেন্টাগন ভাইরাসের একটা মিউটেশন করে এটাকে রিভার্স মিউটেশনের মাধ্যমে একে দুর্বল বানিয়ে ফেলবো । কিন্তু আমি একটা ভুল করে ফেলেছি । আমি কিছু ডকুমেন্টস তোদের দিচ্ছি এটা গবেষকদের কাজে লাগবে যদি কোনো বিপদ হয় সেটা থেকে বাচার উপায় বের করার জন্য । ভুলটা হচ্ছে, আমার এই নতুন মিউটেশন করা ভাইরাস ঘন্টা তিনেকের মধ্যে মানুষের মস্তিষ্কের কন্ট্রোল নিয়ে নেয় এবং মানুষকে পরিপূর্ণ শয়তানে পরিণত করে ফেলে, যে মানুশকে খেতে পছন্দ করে । ভাবিস না এটা যম্বির মতো, যম্বি তো মানুষকে কামড়ালে ছড়ায়, আর এই ভাইরাস ছড়াতে বাতাসই যথেষ্ট ।
জারিফঃ কি বলোস ভাই! তুই কি রুপকথার গল্প শুনাইতেসস?
প্রতীকঃ না! আমি সত্যি বলতেসি । কিছুক্ষণ পর পর আমার এরকম অদ্ভুত আচরণের কারণ এটাই । এটা আমার মস্তিষ্কের কন্ট্রোল নিয়ে নিচ্ছে । আমার হাতে সময় নেই, এই ভাইরাসকে ছড়াতে দেয়া যাবে না । এই ভাইরাসকে মারার একটাই উপায়, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা ।
রাফিঃ মানে কি! তুই কি নিজেকে………।
প্রতীকঃ হ্যাঁ, আমি অলরেডি এই এলাকার আশপাশ সহ আমার আশপাশেও কেরোসিন দিয়েছি । ওগুলো সাথে করেই এনেছিলাম, কাজে লাগবে ভাবিনি । আমি তোদের সাথে কোন ভুল করে থাকলে ক্ষমা করে দিস ।
তমিকঃ জারিফ! তুই দেরি না করে পুলিশরে খবর দে!
প্রতীকঃ লাভ নেই! দেরি হয়ে গেছে, আমার পর্যন্ত আসতে আসতে আমি পুড়ে ছাই ।
ওয়াসিফঃ ভাই তুই পাগলামি করিস না! তুই আজাইরা পেচাল বাদ দিয়া বল কই আসোস!
প্রতীকঃ আলবিদা!
[বলে ম্যাচের কাঠি জালাবে, কিন্তু তারপর প্রতীক অদ্ভুত আচরন করতে করতে জ্ঞান হারাবে । তারপর স্ক্রিনের সামনে হাজির হবে ভিন্ন চেহারার প্রতীক কর্কশ গলায় বলবে]
প্রতীকঃ দেরি! দেরি হয়ে গেছে! অনেক দেরি হয়ে গেছে! প্রতীক আর প্রতীক নেই, পেন্টাগন ভাইরাসের কন্ট্রোলে আসা প্রথম মানুষ হয়ে গেছে! তোমরাও প্রস্তুত থাকো! আমি আসছি! হাহাহাহাহাহাহাহা!!!!!!