0 %

Thanks a lot for being with us!
We are re-constructing our website!
Sorry for this temporary inconvenience
We are coming to you with a fresh look and design from 1 January 2022!
Till then! Stay connected!

সিলিং ফ্যান

রম্যুৎপত্তি(পর্ব-৬)
সিলিং ফ্যান
এক লোক ছিল যার নাম চিংচ্যাংচো । তার একটা সমস্যা ছিলো । অতিরিক্ত গরমে তার শরীরে অ্যালার্জি হতো । সারা শরীর চুলকাতে চুলকাতে লাল হয়ে যেতো । তাই তার গরম একদমই সহ্য হতো না । ভাগ্য ভালো তার বাপের টাকা পয়সার অভাব ছিল না । তাই তাকে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করার জন্য দুজন লোক রেখেছিল তার বাপ । একজন সকালে আরেকজন রাতে বাতাস করতো । এভাবে দিন কাটতে থাকে ।
একদিন চিংচ্যাংচো হেলিকপ্টারে উঠবার সুযোগ পায় । সে দেখলো, হেলিকপ্টারের পাখা ঘুরতেই দুর দুরান্তের গাছপালা বাতাসে নড়তে শুরু করে । ভাবলো, এরকম একটা হেলিকপ্টার যদি তার ঘরে উল্টো করে রাখা যেতো, তাহলে কতোই না ভালো হতো । সে তার বাপকে কথাটা জানায় কিন্তু তার বাপ এসব করতে নারাজ ।
বাপের মৃত্যুর পর বাপের কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয় চিংচ্যাংচো । সেই টাকা দিয়ে চিংচ্যাংচো কেনে একটা হেলিকপ্টার, ভাড়া করে একজন পাইলট । তারপর চিংচ্যাংচোর ঘরের ছাদে উলটো করে লাগানো হয় হেলিকপ্টারটি । তুমুল বাতাসে চিংচ্যাংচো এর লুঙ্গি আকাশে উড়ে যাবার মতো অবস্থা । সারা বিশ্বে সারা পড়ে যায় এই ঘটনা দেখে । কিন্তু চিংচ্যাংচো এর লুঙ্গি ওড়া বেশিদিন স্থায়ী হলো না । এক মাসের মাথায় রুমের ছাদ হেলিকপ্টারের‌ ওজন সইতে না পেরে ধপাস করে পড়ে যায় আর মারা যায় চিংচ্যাংচো ।
পরবর্তীতে তাঁর এই আইডিয়া কাজে লাগিয়ে হেলিকপ্টারের বাড়তি যন্ত্রাংশ খুলে ছোট করে ওজন কমিয়ে আবিষ্কৃত হয় সিলিং ফ্যান ।

[এই ঘটনাটি কেবলই বিনোদনের জন্য লিখিত কেউ ইহাকে সত্য ভাবিয়া জীবনটা বৃথা বানাইবেন না]