ব্ল্যাক ম্যাজিক পুতুল
ভুতদ্ভুত(পর্ব-৭)
ব্ল্যাক ম্যাজিক পুতুল
ব্ল্যাক ম্যাজিক পুতুল
শিস বাজাতে বাজাতে গ্রামের ভেতর প্রবেশ করলো অন্তু । ওর খেয়ালই নেই রাত কটা বাজে এবং কোন পথ ধরে হাটছে । শহরের পথ ধরে এতো রাতে হাটলে তেমন কিছুই কাহিনী ছিলো, কিন্তু সে হাঁটছে নির্জন গ্রামের নির্জন পথ ধরে । হাতে ব্যাগ । ঢাকায় থাকে অন্তু । গ্রামের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ । ওর এতো সফলতা দেখে হিংসায় জ্বলেপুরে মরে গ্রামের চেয়ারম্যানের ছেলে, ঋষি । ইদানিং অন্তুর শরীরটা বেশ ভালো ঠেকছে না । গতবার যে গ্রামে এসেছিলো, তারপর ঢাকায় ফেরার পর থেকেই ওর এই হাল । সামনে পথটা ডান দিকে ঘুরে গেছে । এখানে একটা বটগাছ । সেই বটগাছের পাশ দিয়ে পথ ঘুরতে হয় । অন্তুও গেলো । কিন্তু বটগাছটার নিচে আস্তেই কেমন মনে হলো না! গাছের নিচে কে যেনো দাঁড়িয়ে! অন্তু বটগাছটার দিকে ঘুরে তাকালো । এ তো ঋষি! হাতে একটা পুতুল নিয়ে দাঁড়িয়ে পৈশাচিক হাসি ঠোঁটের কোণে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে । অন্তু জিজ্ঞেস করলো, “কিরে ঋষি? এতো রাতে এই পুতুল হাতে তুই এখানে কি করছিস?” ঋষি হেসে উঠে বলল, “পুতুল না! পুতুল না! এ হলো তুই!” অন্তু ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো, “মানে?” ঋষি বলল, “ব্ল্যাক ম্যাজিক বুঝিস? ব্ল্যাক ম্যাজিক? এটা সেটা ।
এই পুতুলে তোর আত্মা ঢুকিয়ে দিয়েছি আমি । এই যে তুই অসুস্থ হয়েছিস, ভাবিস না এটা এমনি এমনি হয়েছে, এটা হয়েছে ব্ল্যাক ম্যাজিকের কারণে, যেটা আগের বার তোর মাথা থেকে নেয়া একটা চুলের সাহায্যে করেছি আমি!” অন্তু জিজ্ঞেস করলো, “কিন্তু কেনো রে ভাই? আমি তোর কি ক্ষতি করেছি?” ঋষি বলল, “কি ক্ষতি করেছিস? ভিখিরির ছেলে, ভালো রেজাল্ট করিস, আর আমি চেয়ারম্যানের ছেলে হয়েই এখন সেভেন পাশই করতে পারলাম না! তাই তোর ওপর আমার অনেক ক্ষোভ ।” অন্তু বলল, “আমার ওপর ক্ষোভ না দেখিয়ে নিজের ওপর ক্ষোভ দেখা, কারণ তোর এই অবস্থার জন্য তুই নিজেই দায়ী, পড়াশুনা করলেই তো ভালো রেজাল্ট করিস নাকি, ভালো রেজাল্ট করি বলেই কি আমি দোষ করে ফেলেছি?” ঋষি অট্টহাসি হেসে বলল, “আমার চোখে করেছিস! তাই দ্যাখ! এবার আমি তোর কি করি!” ঋষি তখন পুতুলটার ডান হাতের তালুতে একটা সূচ ফুটিয়ে দিলো । সাথে সাথে অন্তুর মনে হলো, ডান হাতের তালুতে সুচের মতো কিছু বিধলো । ঋষি পুতুলের বাম হাত শরীর থেকে মচকে দিলো । অন্তুও বাম হাতে তীব্র ব্যাথা অনুভব করলো । অন্তু কষ্টে আর্তনাদ করে উঠলো, “থাম ভাই! থাম! এটা করিস না! আমার কষ্ট হচ্ছে!” ঋষি বলল, “কষ্টের কি বাকি আছে ভাই! এবার দ্যাখ, তোর চোখের সামনেই কি করে তোকে মারি!” এই বলে পকেট থেকে ম্যাচের কাঠি বের করে পুতুলটার গায়ে আগুন ধরিয়ে দিলো ঋষি, আর জোড়ে জোড়ে হাসতে লাগলো পৈশাচিক হাসি । আর অন্তুর মনে হচ্ছিলো, ওর পুরো শরীর যেনো পুরে যাচ্ছে! চিৎকার করতে করতে অন্তু জ্ঞান হারালো ।
জ্ঞান ফিরতেই অন্তু দেখলো, সে তার বাসায়ই শুয়ে আছে । পড়ে অন্তু জানতে পারে, অন্তুকে নাকি ওদের বাসার দরজার সামনে একজন পড়ে থাকতে দেখেছে । অন্তু আরও জানতে পারে, আগের দিন নাকি ঋষির আগুনে পোড়া দেহ বটগাছের নিচে পাওয়া গেছে । পুতুলের কথা জানতে চাইলে অন্তু কারও কাছে পুতুলের ব্যাপারে জানতে পারে নি । হয়তো পুতুলটাও ঋষির দেহের সাথে ছাই হয়ে গেছে । এ ঘটনা থেকে অন্তু একটা জিনিস বুঝতে পারে, অন্য কাউকে শুধু শুধু অভিশাপ দিলে সে অভিশাপ নিজের ওপরেই বর্তায় ।
জ্ঞান ফিরতেই অন্তু দেখলো, সে তার বাসায়ই শুয়ে আছে । পড়ে অন্তু জানতে পারে, অন্তুকে নাকি ওদের বাসার দরজার সামনে একজন পড়ে থাকতে দেখেছে । অন্তু আরও জানতে পারে, আগের দিন নাকি ঋষির আগুনে পোড়া দেহ বটগাছের নিচে পাওয়া গেছে । পুতুলের কথা জানতে চাইলে অন্তু কারও কাছে পুতুলের ব্যাপারে জানতে পারে নি । হয়তো পুতুলটাও ঋষির দেহের সাথে ছাই হয়ে গেছে । এ ঘটনা থেকে অন্তু একটা জিনিস বুঝতে পারে, অন্য কাউকে শুধু শুধু অভিশাপ দিলে সে অভিশাপ নিজের ওপরেই বর্তায় ।