জোম্বী
ভুতদ্ভুত(পর্ব-২)
জোম্বী
জোম্বী
রাত ৮ টা বাজে ৷ রোগীও খুব একটা কম নয় ৷ ডাক্তাররাও রোগী দেখছিলেন ৷ খুব বড় হাসপাতাল ৷ প্রত্যেকটা ডাক্তারের আবার একটা করে পি এ রয়েছে ৷ ডাক্তাররা রোগী দেখায় আর পি এ রা ডাক্তারকে সাহায্য করায় ব্যস্ত ৷ রিসিপশনিস্টরা রোগীদের রিসিপশনে ব্যস্ত ৷ অপারেশন থিয়েটারে অপারেশন চলছিলো এক অপারেশনের রোগীর ৷ দারোয়ানরা যে যার কাজে ব্যস্ত ৷ নার্সরাও হাসপাতালের সরঞ্জাম আনা নেয়া, রোগী দেখা ইত্যাদি কাজে ব্যাস্ত ৷ নার্স সেলিনা তখন ট্রে তে করে কিছু সরঞ্জাম নিয়ে হাসপাতালের দিকে যাচ্ছিলেন ৷ যাওয়ায় পথে মর্গের পাশ দিয়ে যেতে হয় ৷ হঠাৎ সেলিনা খেয়াল করলো মর্গের দরজার সামনে তাজা রক্ত ৷ ভিতরে যেতে ভয় পাওয়ায় সে মর্গের কেয়ারটেকার কোরবান কে ডাকলো ৷ কোরবান হন্তদন্ত হয়ে এলো সেলিনার কাছে ৷
কোরবান: জী আফা, কন ৷
সেলিনা: কি ব্যাপার, মর্গ ছেড়ে গিয়েছিলেন কোথায়? দেখুন টাটকা রক্ত বেরোচ্ছে রুম থেকে?
কোরবান: টাটকা রক্ত? টাটকা রক্ত কন তে আইবো?
সেলিনা: কোথা থেকে এলো তা আমি কীভাবে বলবো ৷ আপনি ভেতরে যেয়ে দেখুন ৷
কোরবান: যাইতাছি ৷
কোরবান গেল মর্গের ভেতর ৷ সেলিনাও দেরি না করে হাটতে লাগলো ৷ কিন্তু দাঁড়িয়ে গেলো মর্গ থেকে আসা চিৎকারে ৷ সেলিনা পেছন ফিরে তাকালো ৷ দেখলো মর্গের ভেতর থেকে চোখে হাত দেয়া অবস্থায় বেড়িয়ে এলো কোরবান ৷ চোখ দিয়ে অঝোরে রক্ত পড়ছিলো ৷
সেলিনা: এ কি! কী হয়েছে আপনার?
কোরবান:(হাফাতে হাফাতে) আফা! আপনে পালান!
সেলিনা: কিন্ত আপনার কি হবে?
কোরবান: আপনে যান আফা! আপনে যান!
তাড়াতাড়ি যেতে গিয়ে হোচট খেয়ে পড়ে গেল সেলিনা ৷তাড়াতাড়ি করে উঠে পেছন দিকে তাকাতেই দেখলো একটা বিভৎস জিনিস ৷ মুখটা মানুষের মতো ৷ চোখ দুটে হলুদ ৷ চোখের পাঁপড়ি নেই ৷ এক কান থাকলেও অন্য কানটা নেই ৷ গর্ত হয়ে আছে ৷ পুরো শরীরে লোম ভরা ৷ হাঁটে চতুষ্পদী জন্তুর মতো ৷ এই অদ্ভুদ জিনিসটার পেছনে কোরবান গড়াগড়ি করছে আর শরীরের প্রায় ৯০% এই zombie টার মতো হয়ে গেছে ৷ সেলিনা এই দৃশ্য দেখে জ্ঞান হারালো ৷ zombie টা সেলিনার চোখটাও খামচি দিয়ে তুলে ফেললো ৷
অপারেশন থিয়েটারে ৫জন সহকারী ডাক্তারের সাথে অপারেশন করছিলেন ডাক্তার কবির ৷ সকলকে রোগী কে দেখে রাখতে বলে চলে গেলেন ওয়াশ রুমে ৷ ফিরে এসে যা দেখলেন, তা দেখার জন্য তিনি হয়তো প্রস্তত ছিলেন না ৷ কোনো মানুষ নেই ৷ ৯ টা zombie পালাবার রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে zombie গুলো ৷ ফলে ডাক্তারও শিকার হন পরিবর্তনের ৷ এর মধ্যেই ঘটনাটি সারা হাসপাতালে ছড়িয়ে যায় ৷ রোগী, ডাক্তার, রিসিপশনিস্ট, নার্স সবাই যে যার মতো জীবন নিয়ে পালাতে থাকলো ৷ ডাক্তার আলিফের কানে খবরটা এলেও তিনি এখনও পালাননি ৷ কারণ তার চিন্তা কীভাবে হাসপাতালটাকে Zombie মুক্ত করা যাবে ৷ হাসপাতালে zombie এর পুরোনো কোনো ইতিহাস আছে কিনা সেজন্য তিনি হাসপাতালের পুরোনো সংগ্রহশালায় গেলেন ৷ অনেক ঘাটাঘাটির পর খুজে পেলেন একটা পুরোনো বই ৷ তাতে লেখা "zombie problem solution of the hospital"
ভেতরটা পড়ে যা বুঝলেন সে অনুযায়ী তিনি কাজ করলেন ৷ কাজটা সহজ ছিলো ৷ শরীরের রক্ত ছিটাতে হবে ওইসব zombie দের ওপর ৷ তিনি সে অনুয়ায়ী কাজ করলেন এবং সফলও হলেন ৷ পরবর্তিতে জানা যায় হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা একটা zombie মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন ৷ কিন্তু মেয়েটা হাসপাতালে এসে মর্গের লাশ খেত যা ঐ প্রতিষ্ঠাতার পছন্দ হতো না ৷ পরবর্তীতে তিনি শরীরের রক্ত ছিটিয়ে zomnie টাতে শেষ করে দেন ৷
পরবর্তীতে হাসপাতালের কারও যেন সমস্যা না হয় সেজন্য এজন্য বইটি লিখে রেখে যান
কোরবান: জী আফা, কন ৷
সেলিনা: কি ব্যাপার, মর্গ ছেড়ে গিয়েছিলেন কোথায়? দেখুন টাটকা রক্ত বেরোচ্ছে রুম থেকে?
কোরবান: টাটকা রক্ত? টাটকা রক্ত কন তে আইবো?
সেলিনা: কোথা থেকে এলো তা আমি কীভাবে বলবো ৷ আপনি ভেতরে যেয়ে দেখুন ৷
কোরবান: যাইতাছি ৷
কোরবান গেল মর্গের ভেতর ৷ সেলিনাও দেরি না করে হাটতে লাগলো ৷ কিন্তু দাঁড়িয়ে গেলো মর্গ থেকে আসা চিৎকারে ৷ সেলিনা পেছন ফিরে তাকালো ৷ দেখলো মর্গের ভেতর থেকে চোখে হাত দেয়া অবস্থায় বেড়িয়ে এলো কোরবান ৷ চোখ দিয়ে অঝোরে রক্ত পড়ছিলো ৷
সেলিনা: এ কি! কী হয়েছে আপনার?
কোরবান:(হাফাতে হাফাতে) আফা! আপনে পালান!
সেলিনা: কিন্ত আপনার কি হবে?
কোরবান: আপনে যান আফা! আপনে যান!
তাড়াতাড়ি যেতে গিয়ে হোচট খেয়ে পড়ে গেল সেলিনা ৷তাড়াতাড়ি করে উঠে পেছন দিকে তাকাতেই দেখলো একটা বিভৎস জিনিস ৷ মুখটা মানুষের মতো ৷ চোখ দুটে হলুদ ৷ চোখের পাঁপড়ি নেই ৷ এক কান থাকলেও অন্য কানটা নেই ৷ গর্ত হয়ে আছে ৷ পুরো শরীরে লোম ভরা ৷ হাঁটে চতুষ্পদী জন্তুর মতো ৷ এই অদ্ভুদ জিনিসটার পেছনে কোরবান গড়াগড়ি করছে আর শরীরের প্রায় ৯০% এই zombie টার মতো হয়ে গেছে ৷ সেলিনা এই দৃশ্য দেখে জ্ঞান হারালো ৷ zombie টা সেলিনার চোখটাও খামচি দিয়ে তুলে ফেললো ৷
অপারেশন থিয়েটারে ৫জন সহকারী ডাক্তারের সাথে অপারেশন করছিলেন ডাক্তার কবির ৷ সকলকে রোগী কে দেখে রাখতে বলে চলে গেলেন ওয়াশ রুমে ৷ ফিরে এসে যা দেখলেন, তা দেখার জন্য তিনি হয়তো প্রস্তত ছিলেন না ৷ কোনো মানুষ নেই ৷ ৯ টা zombie পালাবার রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে zombie গুলো ৷ ফলে ডাক্তারও শিকার হন পরিবর্তনের ৷ এর মধ্যেই ঘটনাটি সারা হাসপাতালে ছড়িয়ে যায় ৷ রোগী, ডাক্তার, রিসিপশনিস্ট, নার্স সবাই যে যার মতো জীবন নিয়ে পালাতে থাকলো ৷ ডাক্তার আলিফের কানে খবরটা এলেও তিনি এখনও পালাননি ৷ কারণ তার চিন্তা কীভাবে হাসপাতালটাকে Zombie মুক্ত করা যাবে ৷ হাসপাতালে zombie এর পুরোনো কোনো ইতিহাস আছে কিনা সেজন্য তিনি হাসপাতালের পুরোনো সংগ্রহশালায় গেলেন ৷ অনেক ঘাটাঘাটির পর খুজে পেলেন একটা পুরোনো বই ৷ তাতে লেখা "zombie problem solution of the hospital"
ভেতরটা পড়ে যা বুঝলেন সে অনুযায়ী তিনি কাজ করলেন ৷ কাজটা সহজ ছিলো ৷ শরীরের রক্ত ছিটাতে হবে ওইসব zombie দের ওপর ৷ তিনি সে অনুয়ায়ী কাজ করলেন এবং সফলও হলেন ৷ পরবর্তিতে জানা যায় হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা একটা zombie মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন ৷ কিন্তু মেয়েটা হাসপাতালে এসে মর্গের লাশ খেত যা ঐ প্রতিষ্ঠাতার পছন্দ হতো না ৷ পরবর্তীতে তিনি শরীরের রক্ত ছিটিয়ে zomnie টাতে শেষ করে দেন ৷
পরবর্তীতে হাসপাতালের কারও যেন সমস্যা না হয় সেজন্য এজন্য বইটি লিখে রেখে যান