ল্যাংড়া আম
রম্যুৎপত্তি(পর্ব-১)
ল্যাংড়া আম
ল্যাংড়া আম
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ইহা কেবলই বিনোদনের জন্য নির্মিত এবং কাল্পনিক! তাই ইহাকে সত্যি ভাবিয়া জীবনটাকে বৃথা বানাইবেন না! জাস্ট এনজয়!
একখান ল্যাংটা লোক………থুক্কু ল্যাংড়া লোক একদা খোড়াইতে খোড়াইতে যাইতেছিলো । এমন সময় সে একখানা আম গাছ দেখিলো । এই জাতের আম সে পূর্বে দ্যাখে নাই । ইচ্ছা করিলো খাইয়া দেখিতে কেমন লাগে । বেশ খিদাও লাগিয়াছে! গাছে একখানা টসটসে পাকা আম যেন তাহার দিকে তাকাইয়া বলিতেছে, “খা! খা! খা! আমায় চুইশে চুইশে খা! আমায় গিলে গিলে খা! খা না!” ল্যাংটা…থুক্কু ল্যাংড়া লোকটার হাতের কাছে আম! তবে একখান লাফ দিলে মধ্যাঙ্গুলের নাগাল পাইলেও পাইতে পারে । সে দিল একখান লাফ । আমের পাছায় তাহার হাতের স্পর্শ লাগিলো বটে, তবে আম তাহার হাতে আইলো না । সে ধপাস করিয়া পড়িয়া গেলো মাটিতে । ওপরে আমের দিকে তাকাইতেই তার মনে হইল আম তাহাকে দেখিয়া হাসিতেছে আর বলিতেছে, “জানো সব শেষ হয়ে যাবে, তবু একটা শেষ চেষ্টা করে দ্যাখো!” লোকটা আবার লাফাইলো! আবার পড়িলো! আবার লাফাইলো! আবার পড়িলো! তবু হার মানিতে চাইলো না । এমন সময় একখান পথচারী সেদিক দিয়াই যাইতেছিলো । তার মোবাইলে আওয়াজ এলো, “দামে কম! মানে ভালো! কাকলী ফার্নিচার!” লোকটা কাকলী ফার্নিচারের দোকানে গিয়া একখানা চেয়ার নিয়া আসিলো যদিও দাম একটু বেশি পড়িলো, তারপর তাহাতে চড়িয়া যেই না আমখানা পারিতে যাইবে, সেই সময় আরেকজন পথচারী তাহার চেয়ার দেখিয়া বলিলো, “ভাইজান! আপনি তো কাকলী না! ব্রোকলি ফার্নিচার কিনছেন!” সঙ্গে সঙ্গে লোকটার খেয়াল হইলো, এইজন্যই চেয়ারের দাম বেশি লইয়াছে! লোকটার মাথায় প্রশ্ন জাগিলো! এটা তো কাকলী ফার্নিচার নহে! এটা মান তো তাহা হইলে ভালো না! সঙ্গে সঙ্গে ল্যাংড়া……থুক্কু ল্যাংটা……না ঠিকই তো আছিলো! যাই হোক! সেই লোক পড়িয়া গেলো! তাহার পোস্টমর্টেম রিপোর্টে তাহার বুকে ডান পাশে জামার ভেতর চামড়ার ওপর একখানা আম পাওয়া গেলো । বিজ্ঞানীগণ দেখিলেন! ইহা আমের একখানা নতুন জাত! সেই ল্যাংড়া লোকের নাম অজ্ঞাত থাকায় সে ল্যাংড়া……না ঠিক আছে, ল্যাংড়া বলিয়াই উদ্ভাবিত আমের নাম রাখা হইলো ল্যাংড়া আম! আর এভাবেই ল্যাংড়া আমের রম্য+উৎপত্তি=রম্যুৎপত্তি । ভাগ্যিস আমি বিজ্ঞানী ছিলাম না সেকেলে! নয়তো আজ সকলকেই ল্যাংড়া আমকে ল্যাংটা আম ডাকা লাগিতো!
একখান ল্যাংটা লোক………থুক্কু ল্যাংড়া লোক একদা খোড়াইতে খোড়াইতে যাইতেছিলো । এমন সময় সে একখানা আম গাছ দেখিলো । এই জাতের আম সে পূর্বে দ্যাখে নাই । ইচ্ছা করিলো খাইয়া দেখিতে কেমন লাগে । বেশ খিদাও লাগিয়াছে! গাছে একখানা টসটসে পাকা আম যেন তাহার দিকে তাকাইয়া বলিতেছে, “খা! খা! খা! আমায় চুইশে চুইশে খা! আমায় গিলে গিলে খা! খা না!” ল্যাংটা…থুক্কু ল্যাংড়া লোকটার হাতের কাছে আম! তবে একখান লাফ দিলে মধ্যাঙ্গুলের নাগাল পাইলেও পাইতে পারে । সে দিল একখান লাফ । আমের পাছায় তাহার হাতের স্পর্শ লাগিলো বটে, তবে আম তাহার হাতে আইলো না । সে ধপাস করিয়া পড়িয়া গেলো মাটিতে । ওপরে আমের দিকে তাকাইতেই তার মনে হইল আম তাহাকে দেখিয়া হাসিতেছে আর বলিতেছে, “জানো সব শেষ হয়ে যাবে, তবু একটা শেষ চেষ্টা করে দ্যাখো!” লোকটা আবার লাফাইলো! আবার পড়িলো! আবার লাফাইলো! আবার পড়িলো! তবু হার মানিতে চাইলো না । এমন সময় একখান পথচারী সেদিক দিয়াই যাইতেছিলো । তার মোবাইলে আওয়াজ এলো, “দামে কম! মানে ভালো! কাকলী ফার্নিচার!” লোকটা কাকলী ফার্নিচারের দোকানে গিয়া একখানা চেয়ার নিয়া আসিলো যদিও দাম একটু বেশি পড়িলো, তারপর তাহাতে চড়িয়া যেই না আমখানা পারিতে যাইবে, সেই সময় আরেকজন পথচারী তাহার চেয়ার দেখিয়া বলিলো, “ভাইজান! আপনি তো কাকলী না! ব্রোকলি ফার্নিচার কিনছেন!” সঙ্গে সঙ্গে লোকটার খেয়াল হইলো, এইজন্যই চেয়ারের দাম বেশি লইয়াছে! লোকটার মাথায় প্রশ্ন জাগিলো! এটা তো কাকলী ফার্নিচার নহে! এটা মান তো তাহা হইলে ভালো না! সঙ্গে সঙ্গে ল্যাংড়া……থুক্কু ল্যাংটা……না ঠিকই তো আছিলো! যাই হোক! সেই লোক পড়িয়া গেলো! তাহার পোস্টমর্টেম রিপোর্টে তাহার বুকে ডান পাশে জামার ভেতর চামড়ার ওপর একখানা আম পাওয়া গেলো । বিজ্ঞানীগণ দেখিলেন! ইহা আমের একখানা নতুন জাত! সেই ল্যাংড়া লোকের নাম অজ্ঞাত থাকায় সে ল্যাংড়া……না ঠিক আছে, ল্যাংড়া বলিয়াই উদ্ভাবিত আমের নাম রাখা হইলো ল্যাংড়া আম! আর এভাবেই ল্যাংড়া আমের রম্য+উৎপত্তি=রম্যুৎপত্তি । ভাগ্যিস আমি বিজ্ঞানী ছিলাম না সেকেলে! নয়তো আজ সকলকেই ল্যাংড়া আমকে ল্যাংটা আম ডাকা লাগিতো!