0 %

Thanks a lot for being with us!
We are re-constructing our website!
Sorry for this temporary inconvenience
We are coming to you with a fresh look and design from 1 January 2022!
Till then! Stay connected!

কে তুমি?

ভুতদ্ভুত(পর্ব-১)
কে তুমি?
রাত তখন ২ টা মতো বাজে। সেই রাত ১১ টা থেকে এখনও ফোন টিপছে মেহেদী । Clash of Clans ।
মেহেদী: ধুর, সেই ১১ টা থেকে খুজছি, অ্যাটাক দেয়ার মতো একটা ভালো বেজও খুজে পাচ্ছি না। নেটও এতো স্লো, যে এই তিন ঘন্টায় মাত্র ৯ টা বেজ দেখলাম । মনে হচ্ছে আছাড় মেড়ে ফোনটা ভেঙে ফেলি।
বলতে না বলতেই একটা ভালো অ্যাটাক পেয়ে গেলো । যেই অ্যটাক দেয়ার জন্য একটা Archer ছাড়লো, অমনি একটা কল এলো। তখন এমন রেগে গেলো, যে আরেকটু হলে হয়তো ফোনটাই ভেঙে ফেলতো। নাম্বার টা একটু আজব ছিল । 0000 । অতিরিক্ত রাগের কারণে কোছু মনে না করেই ফোনটা ধরলো। একটা বাচ্চা মেয়ের কন্ঠ ।
ফোনের ওপারে: এতো রাত জাগবেন না। মানসিকতা ও শারীরিক ক্ষতি হবে।
মেহেদী: এই,এই, কে তুমি?
কে আমি? কথাটি বলেই অট্টহাসি হাসতে লাগলো মেয়েটা।
পাগলের মতো হাসছো কেন?
তোমার সাথেই থাকি, আর তুমিই আমাকে চেনো না?
মানে? হ্যালো, হ্যালো....
ফোনটা কেটে গেলো। মেহেদীর কেমন যেনো লাগছিলো । হঠাৎ ওর বিছানা কেঁপে উইলো । কেউ বিছানায় ধাক্কা খেলে যেমন কেঁপে ওঠে ঠিক সেরকম । ভাবলো, বাবা বা মা হবে । কিন্তু না । হঠাৎ ওর হুঁশ এলো, ও তো এখন একটা হোস্টেলে একা শুয়ে আছে। বাতি জ্বালাতেই দেখলো বিদ্যুৎ নেই। ফোনের ফ্ল্যাশ লাইটটা জ্বালিয়ে বিছানা থেকে উঠলো। আলোটা দেয়ালের ওপর পড়তেই দেখলো, একটা বাচ্চা মেয়ের মতো দেখতে পুতুল । যেই মেহেদী বলল কে তুমি, অমনি পুতুল টার মুখটা কেমন বিকৃত হয়ে গেলো, আর মুখ দিয়ে রক্ত পড়তে লাগলো। এই ঘটনা দেখে অজ্ঞান হয়ে যায় মেহেদী । জ্ঞান ফিরতেই দেখলো ও বিছানায় শুয়ে । আশেপাশে অন্যান্য কর্মকর্তারা । মেহেদী কিছু না বলেই ওই হোসটেল থেকে চলে এলো। আসার সময় একজন কর্মকর্তা ওকে ধরলো। তার নাম বাবু।
বাবু: আপনি কি কোনো বাচ্চা মেয়ের মুখ দিয়ে বক্ত পড়ে দেখেছেন?
মেহেদী: আপনি কি করে জানলেন?
বাবু: আমি এর কারণও জানি।
মেহেদী : কি কারণ, আমায় বলুন।
বাবু বলতে লাগলো।
২বছর আগের কথা। বাবুর চরিত্র ভালো ছিল না? হোস্টেলের যারা থাকার জন্য আসতো, তাদের ঘরের টাকা পয়সা বা ছোট খাটো জিনিসপত্র চুরি করতো। এমন একদিন এক রুমে যায়। সেখানে এক মহিলা আর বাচ্চা মেয়ে থাকতো। মেয়েটা ঘুমাচ্ছিল। রুমে ঢোকার পর টের পেলো, কেউ আসছে এই রুমে । আর কিছু না ভেবে খাটের নিচে ঢুকে পড়লো । দেখলো, মায়েটার মা একটা ছুরি নিয়ে রুমে ঢুকলো। তারপর মেয়েটাকে মেরে কুটি কুটি করে কাটলো। তারপর টয়লেটের কমোডে তা ফেলে ফ্ল্যাশ দিলো। এই ঘটনা দেখে লোকটা প্রচুর অবাক হলো। তারপর মহিলাটা ব্যাগ গুছিয়ে চলে গেলো। বাবুও রুম থেকে চলে এলো ।
মেহেদী: আপনি কাউকে বলেননি কেন?
বাবু: বললে জিজ্ঞাসা করবে আমি কি করে দেখলাম । তখন তো আমি ধরা পড়ে যেতাম। কিন্তু ওই ঘটনা দেখার পর আমি আর কখনও চুরি করিনি। তবে যদি তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যান, তাহলে কিছুই হবে না।
মেহেদী: না বাবা। আর কোনোদিন ঐ রুমে কেনো, এই হোটেলেই আসবো না।
চলে গেলো মেহেদী চলে গেলো। এরপর আর কোনোদিন মেহেদী ঐ এলাকাতেই আসে নি
{সমাপ্ত}