ফুচকা
রম্যুৎপত্তি(পর্ব-৫)
ফুচকা
ফুচকা
আজ থেকে কয়েক বছর আগের কথা । এক ছেলে ছিলো, নাম ছিলো তার ফুচকা । সে ছিলো মোটা, গোল ফুটবলের মতো । তাকে দেখে সবাই ইয়ার্কি করতো । ওর সব বন্ধুর গার্লফ্রেন্ড ছিলো, কিন্তু ওর কোন গার্লফ্রেন্ড ছিলো না । তাই সে কষ্টে নিজেই নিজেকে চড় মেরে বেড়াতো । একদিন ওর প্রচণ্ড রাগ উঠতে লাগলো নিজের জীবনের প্রতি । এলাকা ছেড়ে সে চলে গেলো । বিরাট এক বালুকাময় স্থানে হাটতে হাটতে এসে সে হাফিয়ে গেলো । এমন সময় সে বালুর নিচে চকচকে কি একটা খুঁজে পেলো । দেখলো, আলাদীনের চেরাগ! ফুচকা সেটায় ঘষা দিতেই ভেতর থেকে জীন বেড়িয়ে এসে বলল, “বল তোর কি ইচ্ছা! আমি সবাই একটা ইচ্ছে পূরণ করি!” মনে মনে ফুচকা বলল, “এ তো কিপটা!” যাই হোক, ফুচকা জীনের কাছে একটা অদ্ভুত ইচ্ছা পেশ করলো । “আমি চাই! মেয়েরা আমাকে খাবে! মজা করে খাবে! ইভেন ছেলেরাও যেনো আমাকে খেতে পছন্দ করে ।” কথা শুনে জীন মাথা ঘুরে পড়ে গেলো । আশেপাশে পানি না থাকায় ফুচকা জীনের মুখে মুত্রত্যাগ করলো । জ্ঞান ফিরতেই জীন বলল, “মুখটা কেমন নোনতা নোনতা লাগছে! যাই হোক, সবাই তোমায় মশলা দিয়ে তোমার ভেতর জিনিস ভরে আরামসে খাক, এটা আমি পুরনের চেষ্টা করবো । কিন্তু পূরণ হবে কিনা জানি না ।” বলে জীন তার চেরাগে ঢুকে গেলো । ফুচকা জীনের চেরাগে একটা লাথি মেরে বলল, “এই! মশলা মাখানোর ব্যাপার আসলো কোত্থেকে! আর ইচ্ছে পূরণ হবে কিনা জানো না মানে কি!” জীন শুধু মাথাটা বের করে বলল, “কি জানি, তবে তোমার ইচ্ছা শুনে আগামী ৬ মাস আমি পাগল থাকবো ।” বলে জীন ঢুকে গেলো । বাড়ি ফিরে এলো ফুচকা । ইচ্ছা করলো আটা দিয়ে নাক মুখ ঢেকে শ্বাস বন্ধ করে মরার । কিন্তু ভুল করে একটা আটার দলা জ্বলন্ত তেলে পড়ে গেলো । তেলটা ওর মা গরম করতে দিয়ে অন্য রুমে গেছে । ফুচকা দেখলো, এগুলো ফুলে উঠছে! দেখতে ওর মতোই গোলগাল লাগছে । ফুচকে সেগুলো তেল থেকে তুললো । দেখলো, ভেতরটা ফাঁপা আর চাপলে পটাশ পটাশ করে ফুটছে! ফুচকা ওর ভেতর পাশেই থাকা কিছু ভর্তা টর্তা দিয়ে খেয়ে দেখলো, দারুণ লাগে খেতে! ফুচকা ভাবলো, এটার ব্যবসা শুরু করবে, আর এগুলোর নাম দেবে ফুচকা ।
এরপর ফুচকা খোলে তার আবিষ্কৃত ফুচকার দোকান । ভালোই বিক্রি হয় তার খাবার । প্রায়ই সে শুনতে পায় মেয়েরা মাঝে মাঝে ছেলেরাও বলে, “এই চল! ফুচকা খাই ।” গর্বে ফুচকার বুকের ছাতি ছাপ্পান্নো ইঞ্চি ফুলে ওঠে ।
[এটি কেবল বিনোদনের জন্য লিখিত কেউ এটিকে সিরিয়াসলি নিবেন না ।]