অ্যাসাইনমেন্ট
রম্যুৎপত্তি(পর্ব-৪)
অ্যাসাইনমেন্ট
অ্যাসাইনমেন্ট
আজ থেকে পাঁচশ বছর আগের কথা । সেকেলে বাস করতো এক নিরীহ ছেলে, নাম তার অ্যাসাইনমেন্ট কর্বোনামি । তার ছিলো পড়াশুনার খুব ইচ্ছে । কিন্তু তাকে পড়াশুনা করতে দিতো না তার মা বাবা । বলতো, এতো পড়ে কি হবে! তার চেয়ে প্রেম করে বেড়া! যদি কোন বড়লোকের বেটি খুঁজে পাস! অ্যাসাইনমেন্ট তবু হাল ছাড়ে না! মনে মনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়! জানি সব শেষ হয়ে যাবে! তবু আমি পড়াশুনা করেই ছাড়বো! অ্যাসাইনমেন্টের দেখা হয় এক মেয়ের, নাম জীনমনি । জীনমনির সাথে বন্ধুত্ব গভীর হলে পড়াশুনার ইচ্ছের কথা জীনমনিকে জানায় অ্যাসাইনমেন্ট । জীনমনি বড়লোকের বেটি হওয়ায় পড়াশুনা করতো । সে ওকে বলে, “কাইন্দো না! আমি তোমাকে সাহায্য করবো!” অ্যাসাইনমেন্ট জিজ্ঞেস করলো, “কি করে!” জীনমনি বলে, “দাড়াও! একটা বুদ্ধি বের করি!” কিছুক্ষণ পায়চারী করতে করতে ভাবলো কি করা যায় । তারপর মুখে ইয়া বড় একটা হাসি হেসে বলল, “আইডিয়া!” অ্যাসাইনমেন্ট বলল, “তুমি কতদিন ধরে দাঁত ব্রাশ করো না?” মেয়েটা বলল, “আমি জীবনেও দাঁত ব্রাশ করিনি । যাই হোক শোনো! আমি যা পড়বো, তা তোমাকে বলবো । সেগুলো তুমি সুন্দর কাগজে সুন্দর করে নোট করে রাখবে । বুঝেছো! পরবর্তীতে সেটাই হবে তোমার বই!” দুর্গন্ধ যুক্ত মুখওয়ালা জীনমনির এই আইডিয়া ভালো লাগে অ্যাসাইনমেন্টের । সে শুরু করে । যেদিন প্রথম ও ওর লেখাগুলো আনে, সেদিন জীনমনি বলে, “বাহ! দারুন! আজ থেকে এর নাম অ্যাসাইনমেন্ট”
কিন্তু ভায়া! কাহিনী এখানেই শেষ না! এতো অ্যাসাইনমেন্টের চক্করে অ্যাসাইনমেন্ট প্রেমে পড়ে যায় জীনমনির । কিন্তু জীনমনি অ্যাসাইনমেন্টকে কেবল ভাইয়ের চোখেই দেখতো । সে বলল, “আই মিন কি বলছো ব্রো! মানে তোমাকে আমি তো ব্রো এর চোখেই দেখতাম!” অ্যাসাইনমেন্ট তখন এতো ভেঙ্গে পড়ে যে সেই ভেঙ্গে পড়া নায়ক বাপ্পারাজের ভেঙ্গে পড়াকে হার মানিয়ে যাওয়ায় নায়ক বাপ্পারাজও ভেঙ্গে পড়ে । অ্যাসাইনমেন্ট তার লেখা অ্যাসাইনমেন্টগুলো দেখতে থাকে! আর জীনমনির কথা ভাবতে থাকে । তারপর একদিন সে বলে, “কি লাভ এ জীবন রেখে! যদি জীনমনি না হয় আমার!” তারপর সে হিরো আলমের গান শুনে সুইসাইড করে । (বাই দ্যা ওয়ে, পাঁচশ বছর আগে হিরো আলমের গান ক্যামনে শুনলো আমিও জানি না) পুলিশ তার অ্যাসাইমেন্ট খুঁজে পায় তার লাশের নিচে । সেটা পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পর্যন্ত পৌঁছে যায় । তখন তারা ভাবে, শিক্ষাক্ষেত্রে এই অ্যাসাইনমেন্টের পদ্ধতি সত্যিই খুব কাজের! পুলিশ কিন্তু একটা কাগজ খুযে পায় নি, কারণ সেটা লাশ দেখতে এসে আগেই খুঁজে পেয়ে ছিঁড়ে ফেলেছিলো জীনমনি । সেটায় লেখা ছিলো, “তোমার দুর্গন্ধ মুখের শপথ নিয়ে বলছি! তোমার দুর্গন্ধ মুখ থেকে বের হওয়া এই অ্যাসাইনমেন্টের আইডিয়াটা খুব বাজে ছিলো!”
[এটি কেবল বিনোদনের জন্য লিখিত কেউ এটিকে সিরিয়াসলি নিবেন না ।]
কিন্তু ভায়া! কাহিনী এখানেই শেষ না! এতো অ্যাসাইনমেন্টের চক্করে অ্যাসাইনমেন্ট প্রেমে পড়ে যায় জীনমনির । কিন্তু জীনমনি অ্যাসাইনমেন্টকে কেবল ভাইয়ের চোখেই দেখতো । সে বলল, “আই মিন কি বলছো ব্রো! মানে তোমাকে আমি তো ব্রো এর চোখেই দেখতাম!” অ্যাসাইনমেন্ট তখন এতো ভেঙ্গে পড়ে যে সেই ভেঙ্গে পড়া নায়ক বাপ্পারাজের ভেঙ্গে পড়াকে হার মানিয়ে যাওয়ায় নায়ক বাপ্পারাজও ভেঙ্গে পড়ে । অ্যাসাইনমেন্ট তার লেখা অ্যাসাইনমেন্টগুলো দেখতে থাকে! আর জীনমনির কথা ভাবতে থাকে । তারপর একদিন সে বলে, “কি লাভ এ জীবন রেখে! যদি জীনমনি না হয় আমার!” তারপর সে হিরো আলমের গান শুনে সুইসাইড করে । (বাই দ্যা ওয়ে, পাঁচশ বছর আগে হিরো আলমের গান ক্যামনে শুনলো আমিও জানি না) পুলিশ তার অ্যাসাইমেন্ট খুঁজে পায় তার লাশের নিচে । সেটা পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পর্যন্ত পৌঁছে যায় । তখন তারা ভাবে, শিক্ষাক্ষেত্রে এই অ্যাসাইনমেন্টের পদ্ধতি সত্যিই খুব কাজের! পুলিশ কিন্তু একটা কাগজ খুযে পায় নি, কারণ সেটা লাশ দেখতে এসে আগেই খুঁজে পেয়ে ছিঁড়ে ফেলেছিলো জীনমনি । সেটায় লেখা ছিলো, “তোমার দুর্গন্ধ মুখের শপথ নিয়ে বলছি! তোমার দুর্গন্ধ মুখ থেকে বের হওয়া এই অ্যাসাইনমেন্টের আইডিয়াটা খুব বাজে ছিলো!”
[এটি কেবল বিনোদনের জন্য লিখিত কেউ এটিকে সিরিয়াসলি নিবেন না ।]