0 %

Thanks a lot for being with us!
We are re-constructing our website!
Sorry for this temporary inconvenience
We are coming to you with a fresh look and design from 1 January 2022!
Till then! Stay connected!

৬৬৬

ভুতদ্ভুত(পর্ব-৫)
৬৬৬
আমাদের নতুন বাসাটা দেখতে বেশ সুন্দর । এতো অল্প দামে এরকম একটা দারুণ বাসা বাবা পেয়েছে ভাবতেই আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম । কিন্তু পড়ে আমি বুঝতে পারি, কেনো এতো দারুণ দেখতে একটা বাড়ি এতো অল্প দামে আমরা পাই ।
আমাদের এই বাড়ি মোট তিন তলা । এর তৃতীয় তলায় আমার রুম । আমার রুমে দুটো জানালা । একটা জানালা দিয়ে সামনের রাস্তা দেখা যায়, অন্য রাস্তা দিয়ে পাশের খোলা আকাশ দেখা যায় । নিচে ফাকা মাঠ । কিন্তু বাড়িওয়ালা প্রথম দিন থেকেই আমার রুমের যে জানালাটা দিয়ে খোলা আকাশ দেখা যায়, সেটা রাতের বেলা খুলতে নিষেধ করে দিয়েছেন । কারণ হিসেবে উনি বলেছেন, কি একটা বিষাক্ত পোকা আছে, সেগুলো এই জানালা দিয়ে উড়ে আসে এবং তার কামড়ে মানুষ মারা-ও যায় পর্যন্ত । আমি এগুলো ভয় পেতাম না, কিন্তু তবু মা বাবার কথায় জানালা বন্ধই রাখতাম ।
ঘটনা যেদিন ঘটে সেদিন প্রচন্ড গরম । খবরে দেখছিলাম, আজ নাকি সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে । সেদিন রাতে ফ্যান দিয়েও যেনো গরম যাচ্ছিলো না । ঘুমোনোর সময় আমি খালি গায়ে আর লুঙ্গি পড়ে ছিলাম, তবুও গরমে ভিজে যাচ্ছিলাম পুরো । কিন্তু কপালটা এতো খারাপ, মাঝ রাতে কারেন্ট গেলো চলে । আমি এখন কি করি! উঠে দাঁড়ালাম । হাতপাখা দিয়ে কতক্ষণই বা বাতাস করা যায় । তবে হ্যাঁ, আমার রুমের যে জানালাটা বন্ধ থেকে, সেদিক থেকে মিহি বাতাস আসে সবসময় । কিন্তু রাতে যে বন্ধ করার আদেশ দেয়া । আমি ভাবলাম ধুরু! কি না কি পোকা, ও আসলে এপাশের জানালা দিয়েও তো আস্তে পারে । আমি যেয়ে সেই জানালাটা খুলে দিলাম । মিহি বাতাস আসা শুরু করলো । আমির জানালার পাশেই দাঁড়িয়ে রইলাম । ভাবলাম কারেন্ট না আসা পর্যন্ত এখানে একটু দাঁড়িয়ে থাকি, কিন্তু অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও কারেন্ট আসার কোনও লক্ষন না দেখে আমি আবার বিছানায় শুয়ে পড়লাম । জানালাটা খোলাই রইলো । মোবাইল চালাচ্ছিলাম, এমন সময় মনে হলো, জানালাটা কেপে উথলো । বাতাসেও এরকমটা হয় কিন্তু ওরকমটা হয় নি, আর আমার মনে ওরকম চিন্তা হঠার উদয় হয় নি বিধায় আমি জানালার দিকে তাকালাম । দেখলাম! একটা মেয়ে জানালা দিয়ে ভেতরে ঢুকছে! মেয়েটার পুরো শরীর লোম দিয়ে ঢাকা! শুধু লোক আর লোম! সেটা জানালার গ্রিল দিয়ে ভেতরে ঢুকলো । আমিও যেনো কেমন অসার হয়ে গেলাম! নড়তে চড়তে পারলাম না! সেই মেয়েটা জানালার গ্রিল দিয়ে ভেতরে ঢুকলো! তারপর হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে আমার ওপর এসে ভাসতে লাগলো! তারপর সে আমার বুকের ওপর খামচি দিলো । অনেক কষ্টে আমি একটা চিৎকার দিলাম আর চিৎকার দিতেই আমি জ্ঞান হারালাম ।
জ্ঞান ফিরতেই আমি দেখি আমি বিছানায়ই শুয়ে, পাশের জানালাটাও লাগানো, বাইরের আলোয় রুম আলোকিতো হয়ে গেছে, ওপরে ফ্যানও চলছে । রাতে তাহলে বোধহয় আমি দুঃস্বপ্ন দেখেছি ভেবে নিজেকে শান্ত করতে যেই না বুকের ওপর হাত রাখলাম, অমনি দেখি, আমার বুকের ওপর রক্ত আর বুক জলছে । উঠে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখি, আমার বুকের ওপর খামচি দিয়ে লেখা 666 । এলাকার একজনের কাছে পড়ে জানতে পেরেছিলাম, আমার ওই রুমটা তখন তৈরি হচ্ছিলো, জানালার গ্রিল, কাচ কিচ্ছু লাগানো হয় নি, তখন একটা মেয়ে সেই জানালাটা দিয়ে পড়ে নিজের আত্মা উৎসর্গ করে দিয়েছিলো শয়তানের কাছে । তারপর থেকে প্রতি রাতে ওই জানালা খোলা থাকলেই ওই মেয়ে ভেতরে আসে, আর মানুষ দেখলে মানুষের শরীরে খামচি দিয়ে লিখে দেয় 666 ।