পরিচয় ২৯১
পরিচয়(পর্ব-২৯১)(সিজন-১০)
অয়ন অনেক কষ্টে সামনের দিকে তাকালো । দেখতে চেষ্টা করলো কে এই লোক, কিন্তু লোকটার পিছে, খামারের বাইরে বেশি আলো থাকায় ঠিক চেহারাটা বুঝতে পারলো না । অয়ন জোড়ে জোড়ে শ্বাস ফেলতে লাগলো । আর বলতে লাগলো, “কে আপনি! কে! কি চান!” লোকটা বলল, “কি আর চাবো, হীরে!” কণ্ঠটা বেশ পরিচিত লাগলো অয়নের । লোকটা আরও সামনে এলো । এবারেও চেহারা ঠিক বুঝতে পারলো না । খামারের বাইরে দাড়িয়ে থাকা এক লোক দরজা আটকে দিলো আর তখনই লোকটাকে চিনতে পেয়ে হতভম্ব হয়ে গেলো অয়ন । এ যে অলোক!
নামাজ শেষে অয়ন আর অপু বাইরে এলো । অপু জিজ্ঞেস করলো, “হ্যাঁ, এবার বল, কি তোর ধারণা ।” আবির বলল, “ওরা এখন জানতে চায় আমি ডায়মন্ড পেয়েছি কিনা । সম্ভবত কেউ এই রুমে তার ডায়মন্ড রেখে গিয়েছিলো এবং লোকটা খুব বুদ্ধিমান হওয়ায় লুকিয়ে রেখেছিলো । সেটাই হয়তো পেতে চায় কাদের মোল্লা, বা হোটেলের মালিক ।” অপু জিজ্ঞেস করলো, “হোটেলের মালিক এর মদ্ধে কোত্থেকে ঢুকল?” আবির জিজ্ঞেস করলো, “উনার হোটেলে এতো বড় ঝামেলা, আসার অথচ উনি এ পর্যন্ত আমাদের সাথে কয়বার দেখা করেছে বলতো?” অপু জিজ্ঞেস করলো, “সেদিনই তো ফোনে কথা বলল! আর তুই তো উনাকে সব বলে দিয়েছিলি!” আবির বলল, “না, উনাকে আমি কিছুই বলিনি ।” অপু জিজ্ঞেস করলো, “তাহলে?” আবির বলল, “এখন সেসব বলার মুড নেই । আগে অয়নকে খুঁজতে হবে!” অপু জিজ্ঞেস করলো, “কোথায় খুজবো?” আবির বলল, “আপাতত রুমে চল, আরও কাজ আছে । অয়নকে খুঁজতে হলে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে কলের, যেই কলে তারা ডায়মন্ডের হদিস জানতে চাইবে ।” অপু আর আবির হোটেলের দিকে গেলো ।
এদিকে অলোক লোকটা অয়নের সামনে এসে বলল, “কি চিনতে পারছো?” অয়ন বলল, “শয়তানরে সবাই চেনে ।” অলোক হো হো করে হেসে উঠলো । তারপর বলল, “সাব্বাস! ভালো মানুষ নিজেরে ভালো শুনতে পছন্দ করে, আর খারাপ মানুষ নিজেরে শয়তান!” অয়ন বলল, “আপনি আমাকে কেন ধরেছেন?” অলোক বলল, “এখনও বুঝতে পারিস নি? বল ডায়মন্ড কোথায়?” অয়ন বলল, “ডায়মন্ড আমি কোত্থেকে পাবো?” অলোক বলল, “তুই জানিস না, তোর দুলাভাই ঠিকই জানে!” অয়ন বলল, “তো আমাকে কেন ধরে এনেছেন?” অলোক বলল, “কারণ তোরে তোর দুলাভাই খুব ভালবাসে, সে যদি ডায়মন্ড পায়, তাইলে তোর মরার কথা শুইনা আমারে শিওর ডায়মন্ড দিয়া দেবে!” অয়ন এবার হো হো করে হেসে দিলো । তারপর বলল, “প্রথমত আমার দুলাভাইও এতক্ষণে বোধ হয় টের পেয়ে গেছে আপনি আমাকে আটকে রেখেছেন ডায়মন্ডের জন্য, আর আপনি আমাকে মারতে পারবেন না, কারণ, আমাকে মারলে আপনার হাত থেকে ডায়মন্ড হাতছাড়া হয়ে যাবে!” অলোক তখন বলল, “হেহে, তোরে মারা আমার জন্য ব্যাপার-ই না, তয় হ, ডায়মন্ড পাওয়াওই দরকার, তয়, উলটাপালটা কিছু করার চেষ্টা করলে তোরে মারতে আমার একটুও কষ্ট লাগবো না!” অয়ন তখন বলল, “আর আপনি একদিন না একদিন ধরা পড়বেনই, জেলে যাবেনই, মিডিয়ায় আপনার কথা প্রচার হবে, সেদিন বাচ্চা খুনির ছেলে আর আপনার স্ত্রী খুনির বউ বলে লাঞ্ছিত হবে, সেদিনও কি আপনার কষ্ট হবে না?” অলোক চুপ হয়ে গেলো । বোধ হয় কথাটা ওর মনে বেশ লাগলো! একটু পর সেখান থেকে বেড়িয়ে গেলো অলোক । তারপর পকেট থেকে মোবাইল বের করলো আবিরকে কল দেবার জন্য ।
এদিকে আবির সেই কলম কিনে এনেছে যার পেছনের আলো ছাড়া কাগজের লেখা দেখা যায় না । আবির সেই আলো সেই ফাঁকা কাগজের ওপর ফেলে দেখল, সেখানে কি লেখা । সেখানে লেখা, “আমি হোটেলের মালিক সায়েম! আমার হোটেলের কাদের মোল্লার ওপর আমার সন্দেহ হচ্ছে, এজন্য হোটেলে আমার সেরকম যাওয়াও হবেনা বোধ হয়! আপনি সাবধানে থাকবেন! আর আমারও খারাপ লাগছে নিজের হোটেলেই চুরি করে আপনাকে এই চিঠি লিখেছি । আর এই কলমে লিখেছি কারণ, অন্য কারো হাতে পড়লে সে যেন ধরতে না পারে ।” অপু বলল, “এবার তো এনার ওপর থেকে সন্দেহটা চলে গেলো! কারণ কাগজ তো আরও আগে এসেছে! উনি আগেই আমাদের সাবধান করেছিলেন!” আবির বলল, “ঠিক! কিন্তু……।” কথা শেষ হতে না হতেই অপুর মোবাইলে কল এলো । কল ধরতেই ওপাশ থেকে কনস্টেবল বলল, “স্যার, এটা মুরগীর রক্ত । বোধ হয় খামারেরই কোন মুরগীর রক্ত ।” অপু বলল, “ঠিক আছে, ওই এলাকায় একটু নজরদারি রেখো ।” একটু পরই আবার আবিরের মোবাইলে কল এলো । কল ধরতেই ওপাশ থেকে আওয়াজ এলো, “অয়ন ছেলেটার ভালো চাস তো বল, ডায়মন্ড পেয়েছিস?” আবির বলল, “হ্যাঁ পেয়েছি!” অপু তো অবাক । আবির ডায়মন্ড পেয়েছে অথচ জানায়নি! ফোনের ওপাশ থেকে লোকটা বলল, “ভালো চাস তো সেই ডায়মন্ড আমাদের দিয়ে যা, লোকেশন মেসেজ করে দিচ্ছি ।” বলে কল কেটে গেলো । অপু রাগ করে বলল, “তুই ডায়মন্ড পেয়েছিস অথচ আমাদের জানাস নি!” আবির বলল, “তার চেয়েও বড় কথা যে লোক কল করেছিলো তার পেছনে আমি আর কিছু আওয়াজ পেয়েছি!” অপু জিজ্ঞেস করলো, “কিসের আওয়াজ?” আবির বলল, “মুরগীর ডাক!”
আগামী পর্বেঃ
আবির আর অয়ন গেলো বেডের কাছে । বসে অয়ন, পাশে দাড়িয়ে চোখে সানগ্লাস, মুখে মাস্ক পড়া এক লোক । সে নিজের কণ্ঠ বিক্রিত করে বলল, “ডায়মন্ড দিন!” আবির একটা ব্যাগ লোকটার হাতে দিলো । লোকটা ব্যাগ খুলে চেক করলো, ডায়মন্ড আছে কিনা । তারপর বলল, “এ! বোকা বানাচ্ছিস! কাচের টুকরো দিয়ে বলছিস ডায়মন্ড!” আবির বলল, “স্মেল নিয়ে দ্যাখো না, ডায়মন্ডের ঘ্রাণ লেবুর মতো হয় ।” লোকটা স্মেল নেবার চেষ্টা করতেই জ্ঞান হারালো । ঠিক তখন চারপাশে থাকা চারপাশে লোক গুলি তুলে তাক করলো আবির আর অপুর দিকে ।
অয়ন অনেক কষ্টে সামনের দিকে তাকালো । দেখতে চেষ্টা করলো কে এই লোক, কিন্তু লোকটার পিছে, খামারের বাইরে বেশি আলো থাকায় ঠিক চেহারাটা বুঝতে পারলো না । অয়ন জোড়ে জোড়ে শ্বাস ফেলতে লাগলো । আর বলতে লাগলো, “কে আপনি! কে! কি চান!” লোকটা বলল, “কি আর চাবো, হীরে!” কণ্ঠটা বেশ পরিচিত লাগলো অয়নের । লোকটা আরও সামনে এলো । এবারেও চেহারা ঠিক বুঝতে পারলো না । খামারের বাইরে দাড়িয়ে থাকা এক লোক দরজা আটকে দিলো আর তখনই লোকটাকে চিনতে পেয়ে হতভম্ব হয়ে গেলো অয়ন । এ যে অলোক!
নামাজ শেষে অয়ন আর অপু বাইরে এলো । অপু জিজ্ঞেস করলো, “হ্যাঁ, এবার বল, কি তোর ধারণা ।” আবির বলল, “ওরা এখন জানতে চায় আমি ডায়মন্ড পেয়েছি কিনা । সম্ভবত কেউ এই রুমে তার ডায়মন্ড রেখে গিয়েছিলো এবং লোকটা খুব বুদ্ধিমান হওয়ায় লুকিয়ে রেখেছিলো । সেটাই হয়তো পেতে চায় কাদের মোল্লা, বা হোটেলের মালিক ।” অপু জিজ্ঞেস করলো, “হোটেলের মালিক এর মদ্ধে কোত্থেকে ঢুকল?” আবির জিজ্ঞেস করলো, “উনার হোটেলে এতো বড় ঝামেলা, আসার অথচ উনি এ পর্যন্ত আমাদের সাথে কয়বার দেখা করেছে বলতো?” অপু জিজ্ঞেস করলো, “সেদিনই তো ফোনে কথা বলল! আর তুই তো উনাকে সব বলে দিয়েছিলি!” আবির বলল, “না, উনাকে আমি কিছুই বলিনি ।” অপু জিজ্ঞেস করলো, “তাহলে?” আবির বলল, “এখন সেসব বলার মুড নেই । আগে অয়নকে খুঁজতে হবে!” অপু জিজ্ঞেস করলো, “কোথায় খুজবো?” আবির বলল, “আপাতত রুমে চল, আরও কাজ আছে । অয়নকে খুঁজতে হলে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে কলের, যেই কলে তারা ডায়মন্ডের হদিস জানতে চাইবে ।” অপু আর আবির হোটেলের দিকে গেলো ।
এদিকে অলোক লোকটা অয়নের সামনে এসে বলল, “কি চিনতে পারছো?” অয়ন বলল, “শয়তানরে সবাই চেনে ।” অলোক হো হো করে হেসে উঠলো । তারপর বলল, “সাব্বাস! ভালো মানুষ নিজেরে ভালো শুনতে পছন্দ করে, আর খারাপ মানুষ নিজেরে শয়তান!” অয়ন বলল, “আপনি আমাকে কেন ধরেছেন?” অলোক বলল, “এখনও বুঝতে পারিস নি? বল ডায়মন্ড কোথায়?” অয়ন বলল, “ডায়মন্ড আমি কোত্থেকে পাবো?” অলোক বলল, “তুই জানিস না, তোর দুলাভাই ঠিকই জানে!” অয়ন বলল, “তো আমাকে কেন ধরে এনেছেন?” অলোক বলল, “কারণ তোরে তোর দুলাভাই খুব ভালবাসে, সে যদি ডায়মন্ড পায়, তাইলে তোর মরার কথা শুইনা আমারে শিওর ডায়মন্ড দিয়া দেবে!” অয়ন এবার হো হো করে হেসে দিলো । তারপর বলল, “প্রথমত আমার দুলাভাইও এতক্ষণে বোধ হয় টের পেয়ে গেছে আপনি আমাকে আটকে রেখেছেন ডায়মন্ডের জন্য, আর আপনি আমাকে মারতে পারবেন না, কারণ, আমাকে মারলে আপনার হাত থেকে ডায়মন্ড হাতছাড়া হয়ে যাবে!” অলোক তখন বলল, “হেহে, তোরে মারা আমার জন্য ব্যাপার-ই না, তয় হ, ডায়মন্ড পাওয়াওই দরকার, তয়, উলটাপালটা কিছু করার চেষ্টা করলে তোরে মারতে আমার একটুও কষ্ট লাগবো না!” অয়ন তখন বলল, “আর আপনি একদিন না একদিন ধরা পড়বেনই, জেলে যাবেনই, মিডিয়ায় আপনার কথা প্রচার হবে, সেদিন বাচ্চা খুনির ছেলে আর আপনার স্ত্রী খুনির বউ বলে লাঞ্ছিত হবে, সেদিনও কি আপনার কষ্ট হবে না?” অলোক চুপ হয়ে গেলো । বোধ হয় কথাটা ওর মনে বেশ লাগলো! একটু পর সেখান থেকে বেড়িয়ে গেলো অলোক । তারপর পকেট থেকে মোবাইল বের করলো আবিরকে কল দেবার জন্য ।
এদিকে আবির সেই কলম কিনে এনেছে যার পেছনের আলো ছাড়া কাগজের লেখা দেখা যায় না । আবির সেই আলো সেই ফাঁকা কাগজের ওপর ফেলে দেখল, সেখানে কি লেখা । সেখানে লেখা, “আমি হোটেলের মালিক সায়েম! আমার হোটেলের কাদের মোল্লার ওপর আমার সন্দেহ হচ্ছে, এজন্য হোটেলে আমার সেরকম যাওয়াও হবেনা বোধ হয়! আপনি সাবধানে থাকবেন! আর আমারও খারাপ লাগছে নিজের হোটেলেই চুরি করে আপনাকে এই চিঠি লিখেছি । আর এই কলমে লিখেছি কারণ, অন্য কারো হাতে পড়লে সে যেন ধরতে না পারে ।” অপু বলল, “এবার তো এনার ওপর থেকে সন্দেহটা চলে গেলো! কারণ কাগজ তো আরও আগে এসেছে! উনি আগেই আমাদের সাবধান করেছিলেন!” আবির বলল, “ঠিক! কিন্তু……।” কথা শেষ হতে না হতেই অপুর মোবাইলে কল এলো । কল ধরতেই ওপাশ থেকে কনস্টেবল বলল, “স্যার, এটা মুরগীর রক্ত । বোধ হয় খামারেরই কোন মুরগীর রক্ত ।” অপু বলল, “ঠিক আছে, ওই এলাকায় একটু নজরদারি রেখো ।” একটু পরই আবার আবিরের মোবাইলে কল এলো । কল ধরতেই ওপাশ থেকে আওয়াজ এলো, “অয়ন ছেলেটার ভালো চাস তো বল, ডায়মন্ড পেয়েছিস?” আবির বলল, “হ্যাঁ পেয়েছি!” অপু তো অবাক । আবির ডায়মন্ড পেয়েছে অথচ জানায়নি! ফোনের ওপাশ থেকে লোকটা বলল, “ভালো চাস তো সেই ডায়মন্ড আমাদের দিয়ে যা, লোকেশন মেসেজ করে দিচ্ছি ।” বলে কল কেটে গেলো । অপু রাগ করে বলল, “তুই ডায়মন্ড পেয়েছিস অথচ আমাদের জানাস নি!” আবির বলল, “তার চেয়েও বড় কথা যে লোক কল করেছিলো তার পেছনে আমি আর কিছু আওয়াজ পেয়েছি!” অপু জিজ্ঞেস করলো, “কিসের আওয়াজ?” আবির বলল, “মুরগীর ডাক!”
আগামী পর্বেঃ
আবির আর অয়ন গেলো বেডের কাছে । বসে অয়ন, পাশে দাড়িয়ে চোখে সানগ্লাস, মুখে মাস্ক পড়া এক লোক । সে নিজের কণ্ঠ বিক্রিত করে বলল, “ডায়মন্ড দিন!” আবির একটা ব্যাগ লোকটার হাতে দিলো । লোকটা ব্যাগ খুলে চেক করলো, ডায়মন্ড আছে কিনা । তারপর বলল, “এ! বোকা বানাচ্ছিস! কাচের টুকরো দিয়ে বলছিস ডায়মন্ড!” আবির বলল, “স্মেল নিয়ে দ্যাখো না, ডায়মন্ডের ঘ্রাণ লেবুর মতো হয় ।” লোকটা স্মেল নেবার চেষ্টা করতেই জ্ঞান হারালো । ঠিক তখন চারপাশে থাকা চারপাশে লোক গুলি তুলে তাক করলো আবির আর অপুর দিকে ।