পরিচয় ২৯০
পরিচয়(পর্ব-২৯০)(সিজন-১০)
আবির বলে উঠলো, “রাবিশ!” কিছুক্ষণ কি ভাবলো । তারপর রুমে যেয়ে মোবাইলে যতোটুকুই চার্জ হয়েছে, সে চার্জেই কল করলো অপুকে ।
“হ্যালো অপু! কোথায় তুই!” জিজ্ঞেস করলো আবির ।
“সাংঘাতিক একটা কান্ড ঘটেছে! ফিরে তোকে বলছি!” বলল অপু ।
“তার চেয়েও সাংঘাতিক কিছু ঘটেছে এখানে! অয়নকে কেউ কিডন্যাপ করে নিয়ে গেছে! তুই তাড়াতাড়ি আয়!
“হোয়াট!”
“হ্যাঁ! আমি কি করবো বুঝতে পারছিলাম না! তাই তোকে কল দিলাম ।”
“আচ্ছা! ভালো করেছিস, আমি এখনই আসছি ।” বলে কল রাখলো অপু । তারপর ওর সাথে থাকা দুজন কনস্টেবলকে বলল, “আপনারা ইনস্পেক্টর রাদিবের দেয়া লোকেশনে যেয়ে ভালো করুন খোঁজ করুন আর আমি যা বলেছি তা করুন, আমাকে একটু ইমারজেন্সি ফিরে যেতে হচ্ছে!” বলে গাড়ি থেকে নেমে গেলো অন্য গাড়ি ধরে হোটেলের পথে ফিরে এলো ।
হোটেলের কাছাকাছি আসতেই আবির অপু নিয়ে দূরে চলে গেলো । হোটেলে থেকে অনেক দূর, একটা নির্জন মাঠের মাঝখানে । সন্ধ্যা তখন হবে হবে ভাব । অপু জিজ্ঞেস করলো, “কিরে, আমাকে এখানে নিয়ে এলি কেন?”
“শোন! তোকে কিছু বলতে চাইনি, কিন্তু এখন বলতে হচ্ছে কারণ অয়নের জীবন এখন আগে! আর হোটেলে থেকে এখানে আনার কারণ হোটেলে কেউ একজন আছে, যে আমাদের কথা আড়ি পেতে শোনে!” অপু জিজ্ঞেস করলো, “কি বলবি?”
জ্ঞান ফিরতেই অয়ন দেখল, সে একটা মুরগীর খামারে, মুরগীর বিষ্ঠার মারাত্মক দুর্গন্ধ । অয়নের হাত পা বাঁধা, ভেতরে কেবল পঞ্চাশ ওয়াটের বাল্ব জলছে । মুরগী ছাড়া আর কেউ নেই । অয়ন ডেকে উঠলো, “কেউ আছে!” ছোটো একটা বদ্ধ রুম হওয়ায় কথাটা অনুরণন হয়ে অয়নেরই কানে ফিরে এলো । অয়ন আবার ডেকে উঠলো, “আমাকে বাচান! কেউ আছেন!” কোন সাড়া এলো না । অয়নের পা-ও বাঁধা ছিলো । মেঝেতে এখানে ওখানে মুরগীর জন্য ধান গম, ইত্যাদি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে । অয়ন পা বাঁধা অবস্থায় উঠে দারাবার চেষ্টা করলো, কিন্তু আবার পড়ে গেলো । একটা মুরগী তখন অয়নের চুলে ঠোঁট দিয়ে আঘাত করতে লাগলো । হয়তো অয়নের চুলে কিছুটা গম লেগে গেছে সেটাই খাচ্ছিল ।
এদিকে অপুকে আবির বলল, “শোন! তুই অবাক হয়ে যাবি এটা শুনলে যে, রিও বলে আসলে কেউ নেই!” অপু অবাক হয়ে গেলো । জিজ্ঞেস করলো, “কি বলছিস কি তুই!” আবির বলল, “হ্যাঁ! একদম ঠিক বলছি! যেদিন এই ঘটনা ঘটেছে সেদিনের পাশের ধনিয়া রেস্টুরেন্টের সিসিটিভি ফুটেজ আমি নিয়েছিলাম, কিন্তু উনি এই ভিডিও ছাড়া আর কোন ভিডিও-ই দেন নি! ঠিক দেন নি বলতে দিতে চান নি!” অপু বলল, “চল! আমি এক্ষুনি ওখান থেকে ভিডিও নিয়ে আসছি!” আবির বলল, “না! আরও ঘটনা আছে শোন!” আবিরকে আবারও কথা বলতে না দিয়ে অপু বলে উঠলো, “১ মিনিট! আমার কাছে তাহলে কোন রিও কল করেছিলো!” আবির ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো, “কি! রিও কল করেছিলো তোকে?” অপু বলল, “হ্যাঁ! আমার কাছে জানতে চাইলো, ডায়মন্ড পেয়েছি কিনা, তারপর ওকে যে গ্যাং ওর পিছু নিয়েছে, সে গ্যাং গুলি করলো, ও মারা যেতে যেতে বলল ডায়মন্ডগুলো পেলে যেন হোটেলের মালিক সায়েমকে দেই!” আবির বলল, “তোর মাথায় কি এটুকু আসে নি তখন, যে ওকে গুলি করে মাস্তানরা তোকে এসব কথা বলতে দিলো এতক্ষন ধরে?” অপু বলল, “আসলেই তো! আমার মাথাতেই ছিলো না!” আবির বলল, “আল্লাহ! অপুকে যে কোত্থেকে পাই!” অপু জিজ্ঞেস করলো, “আচ্ছা, তাহলে সেই কাগজ, কাদের মোল্লা, এরা সব কি!” আবির বলল, “এরা সবাই সাজানো! রিও নামের কেউ আছে সেটা আমাদের বোঝানো, রিও নামক একটা ছেলের সাথে যে ঝামেলা হয়েছে সেটা আমদের জানানো! কিন্তু আসলে তো রিও বলে কেউ নেই!” অপু জিজ্ঞেস করলো, “আর ডায়মন্ড?” আবির বলল, “সেটা আছে, কিন্তু ঘটনাটা অন্য! অন্য কিছু ঘটেছে এই রেস্টুরেন্টে!” অপু মোবাইলে একটা কল এলো । সেই দুজন কনস্টেবলের একজনের কল, যাদের অপু ইনস্পেক্টর রাদিবের দেয়া ঠিকানায় পাঠিয়েছে । অপু কল ধরে জিজ্ঞেস করলো, “কিছু পেয়েছো তোমরা?” কনস্টেবল বলল, “জি স্যার, এখানে আমরা রক্ত দেখতে পাচ্ছি স্যার, একটা মুরগীর খামারের পাশেই লোকেশনটা!” অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “রক্তটা কি মানুষের?” কনস্টেবল বলল, “না স্যার! দেখে তো তা মনে হচ্ছে না! আমরা ব্লাড স্যাম্পল থানায় পাঠাচ্ছি, ওখান থেকে ল্যাবে পরীক্ষার জন্য ।” অপু বলল, “ওকে! তাড়াতাড়ি আমাকে জানাও!” বলে কল কাটলো অপু । আবির জিজ্ঞেস করলো, “কি হয়েছে?” অপু জানালো বিস্তারিত । আবির বলল, “ঠিক আছে, রিপোর্ট আসুক, চল নামাজ পড়ে আছি, আর আমি যেটা ভাবছি সেটা যদি হয়, তবে মনে হয় না ওরা অয়নের তেমন কোন ক্ষতি করবে ।” অপু জিজ্ঞেস করলো, “কি সন্দেহ করছিস?” আবির বলল, “আগে নামাজ পড়ে আসি চল ।” আবির আর অপু নামাযে গেলো । অয়ন সেভাবেই শুয়ে ছিল । মুরগীর গম খাওয়া শেষ বিধায় চলে গেছে । অয়নের শরীর বেশ দুর্বল লাগছিলো, তাই শুয়েই রইলো । একটু পর দরজা খোলার আওয়াজ । অয়ন অনেক কষ্টে সামনের দিকে তাকালো ।
আগামী পর্বেঃ
দরজা খোলার আওয়াজ । অয়ন অনেক কষ্টে সামনের দিকে তাকালো । দেখতে চেষ্টা করলো কে এই লোক, কিন্তু লোকটার পিছে, খামারের বাইরে বেশি আলো থাকায় ঠিক চেহারাটা বুঝতে পারলো না । অয়ন জোড়ে জোড়ে শ্বাস ফেলতে লাগলো । আর বলতে লাগলো, “কে আপনি! কে! কি চান!” লোকটা বলল, “কি আর চাবো, হীরে!” কণ্ঠটা বেশ পরিচিত লাগলো অয়নের । লোকটা আরও সামনে এলো । এবারেও চেহারা ঠিক বুঝতে পারলো না । খামারের বাইরে দাড়িয়ে থাকা এক লোক দরজা আটকে দিলো আর তখনই লোকটাকে চিনতে পেয়ে হতভম্ব হয়ে গেলো অয়ন ।
আবির বলে উঠলো, “রাবিশ!” কিছুক্ষণ কি ভাবলো । তারপর রুমে যেয়ে মোবাইলে যতোটুকুই চার্জ হয়েছে, সে চার্জেই কল করলো অপুকে ।
“হ্যালো অপু! কোথায় তুই!” জিজ্ঞেস করলো আবির ।
“সাংঘাতিক একটা কান্ড ঘটেছে! ফিরে তোকে বলছি!” বলল অপু ।
“তার চেয়েও সাংঘাতিক কিছু ঘটেছে এখানে! অয়নকে কেউ কিডন্যাপ করে নিয়ে গেছে! তুই তাড়াতাড়ি আয়!
“হোয়াট!”
“হ্যাঁ! আমি কি করবো বুঝতে পারছিলাম না! তাই তোকে কল দিলাম ।”
“আচ্ছা! ভালো করেছিস, আমি এখনই আসছি ।” বলে কল রাখলো অপু । তারপর ওর সাথে থাকা দুজন কনস্টেবলকে বলল, “আপনারা ইনস্পেক্টর রাদিবের দেয়া লোকেশনে যেয়ে ভালো করুন খোঁজ করুন আর আমি যা বলেছি তা করুন, আমাকে একটু ইমারজেন্সি ফিরে যেতে হচ্ছে!” বলে গাড়ি থেকে নেমে গেলো অন্য গাড়ি ধরে হোটেলের পথে ফিরে এলো ।
হোটেলের কাছাকাছি আসতেই আবির অপু নিয়ে দূরে চলে গেলো । হোটেলে থেকে অনেক দূর, একটা নির্জন মাঠের মাঝখানে । সন্ধ্যা তখন হবে হবে ভাব । অপু জিজ্ঞেস করলো, “কিরে, আমাকে এখানে নিয়ে এলি কেন?”
“শোন! তোকে কিছু বলতে চাইনি, কিন্তু এখন বলতে হচ্ছে কারণ অয়নের জীবন এখন আগে! আর হোটেলে থেকে এখানে আনার কারণ হোটেলে কেউ একজন আছে, যে আমাদের কথা আড়ি পেতে শোনে!” অপু জিজ্ঞেস করলো, “কি বলবি?”
জ্ঞান ফিরতেই অয়ন দেখল, সে একটা মুরগীর খামারে, মুরগীর বিষ্ঠার মারাত্মক দুর্গন্ধ । অয়নের হাত পা বাঁধা, ভেতরে কেবল পঞ্চাশ ওয়াটের বাল্ব জলছে । মুরগী ছাড়া আর কেউ নেই । অয়ন ডেকে উঠলো, “কেউ আছে!” ছোটো একটা বদ্ধ রুম হওয়ায় কথাটা অনুরণন হয়ে অয়নেরই কানে ফিরে এলো । অয়ন আবার ডেকে উঠলো, “আমাকে বাচান! কেউ আছেন!” কোন সাড়া এলো না । অয়নের পা-ও বাঁধা ছিলো । মেঝেতে এখানে ওখানে মুরগীর জন্য ধান গম, ইত্যাদি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে । অয়ন পা বাঁধা অবস্থায় উঠে দারাবার চেষ্টা করলো, কিন্তু আবার পড়ে গেলো । একটা মুরগী তখন অয়নের চুলে ঠোঁট দিয়ে আঘাত করতে লাগলো । হয়তো অয়নের চুলে কিছুটা গম লেগে গেছে সেটাই খাচ্ছিল ।
এদিকে অপুকে আবির বলল, “শোন! তুই অবাক হয়ে যাবি এটা শুনলে যে, রিও বলে আসলে কেউ নেই!” অপু অবাক হয়ে গেলো । জিজ্ঞেস করলো, “কি বলছিস কি তুই!” আবির বলল, “হ্যাঁ! একদম ঠিক বলছি! যেদিন এই ঘটনা ঘটেছে সেদিনের পাশের ধনিয়া রেস্টুরেন্টের সিসিটিভি ফুটেজ আমি নিয়েছিলাম, কিন্তু উনি এই ভিডিও ছাড়া আর কোন ভিডিও-ই দেন নি! ঠিক দেন নি বলতে দিতে চান নি!” অপু বলল, “চল! আমি এক্ষুনি ওখান থেকে ভিডিও নিয়ে আসছি!” আবির বলল, “না! আরও ঘটনা আছে শোন!” আবিরকে আবারও কথা বলতে না দিয়ে অপু বলে উঠলো, “১ মিনিট! আমার কাছে তাহলে কোন রিও কল করেছিলো!” আবির ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো, “কি! রিও কল করেছিলো তোকে?” অপু বলল, “হ্যাঁ! আমার কাছে জানতে চাইলো, ডায়মন্ড পেয়েছি কিনা, তারপর ওকে যে গ্যাং ওর পিছু নিয়েছে, সে গ্যাং গুলি করলো, ও মারা যেতে যেতে বলল ডায়মন্ডগুলো পেলে যেন হোটেলের মালিক সায়েমকে দেই!” আবির বলল, “তোর মাথায় কি এটুকু আসে নি তখন, যে ওকে গুলি করে মাস্তানরা তোকে এসব কথা বলতে দিলো এতক্ষন ধরে?” অপু বলল, “আসলেই তো! আমার মাথাতেই ছিলো না!” আবির বলল, “আল্লাহ! অপুকে যে কোত্থেকে পাই!” অপু জিজ্ঞেস করলো, “আচ্ছা, তাহলে সেই কাগজ, কাদের মোল্লা, এরা সব কি!” আবির বলল, “এরা সবাই সাজানো! রিও নামের কেউ আছে সেটা আমাদের বোঝানো, রিও নামক একটা ছেলের সাথে যে ঝামেলা হয়েছে সেটা আমদের জানানো! কিন্তু আসলে তো রিও বলে কেউ নেই!” অপু জিজ্ঞেস করলো, “আর ডায়মন্ড?” আবির বলল, “সেটা আছে, কিন্তু ঘটনাটা অন্য! অন্য কিছু ঘটেছে এই রেস্টুরেন্টে!” অপু মোবাইলে একটা কল এলো । সেই দুজন কনস্টেবলের একজনের কল, যাদের অপু ইনস্পেক্টর রাদিবের দেয়া ঠিকানায় পাঠিয়েছে । অপু কল ধরে জিজ্ঞেস করলো, “কিছু পেয়েছো তোমরা?” কনস্টেবল বলল, “জি স্যার, এখানে আমরা রক্ত দেখতে পাচ্ছি স্যার, একটা মুরগীর খামারের পাশেই লোকেশনটা!” অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “রক্তটা কি মানুষের?” কনস্টেবল বলল, “না স্যার! দেখে তো তা মনে হচ্ছে না! আমরা ব্লাড স্যাম্পল থানায় পাঠাচ্ছি, ওখান থেকে ল্যাবে পরীক্ষার জন্য ।” অপু বলল, “ওকে! তাড়াতাড়ি আমাকে জানাও!” বলে কল কাটলো অপু । আবির জিজ্ঞেস করলো, “কি হয়েছে?” অপু জানালো বিস্তারিত । আবির বলল, “ঠিক আছে, রিপোর্ট আসুক, চল নামাজ পড়ে আছি, আর আমি যেটা ভাবছি সেটা যদি হয়, তবে মনে হয় না ওরা অয়নের তেমন কোন ক্ষতি করবে ।” অপু জিজ্ঞেস করলো, “কি সন্দেহ করছিস?” আবির বলল, “আগে নামাজ পড়ে আসি চল ।” আবির আর অপু নামাযে গেলো । অয়ন সেভাবেই শুয়ে ছিল । মুরগীর গম খাওয়া শেষ বিধায় চলে গেছে । অয়নের শরীর বেশ দুর্বল লাগছিলো, তাই শুয়েই রইলো । একটু পর দরজা খোলার আওয়াজ । অয়ন অনেক কষ্টে সামনের দিকে তাকালো ।
আগামী পর্বেঃ
দরজা খোলার আওয়াজ । অয়ন অনেক কষ্টে সামনের দিকে তাকালো । দেখতে চেষ্টা করলো কে এই লোক, কিন্তু লোকটার পিছে, খামারের বাইরে বেশি আলো থাকায় ঠিক চেহারাটা বুঝতে পারলো না । অয়ন জোড়ে জোড়ে শ্বাস ফেলতে লাগলো । আর বলতে লাগলো, “কে আপনি! কে! কি চান!” লোকটা বলল, “কি আর চাবো, হীরে!” কণ্ঠটা বেশ পরিচিত লাগলো অয়নের । লোকটা আরও সামনে এলো । এবারেও চেহারা ঠিক বুঝতে পারলো না । খামারের বাইরে দাড়িয়ে থাকা এক লোক দরজা আটকে দিলো আর তখনই লোকটাকে চিনতে পেয়ে হতভম্ব হয়ে গেলো অয়ন ।