0 %

Thanks a lot for being with us!
We are re-constructing our website!
Sorry for this temporary inconvenience
We are coming to you with a fresh look and design from 1 January 2022!
Till then! Stay connected!

পরিচয় ২৮৯


পরিচয়(পর্ব-২৮৯)(সিজন-১০)

অপু তো অবাক । অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো, “হোয়াট! তুমি রিও! তুমি বাংলা জানো কি করে?” রিও বলল, “শুনুন! আমি বাংলাদেশী, তবে খ্রিস্টান । তবে আমার বাবার বাড়ি ইউএসএ-তে ।” অপু জিজ্ঞেস করলো, “কিন্তু কি করে বুঝবো তুমি রিও?” রিও তখন বলল, “আমার বিয়াল্লিশ হাজার কোটি টাকার ডায়মন্ড কোথায়!” অপু বুঝলো, এই-ই তবে রিও, কারণ ডায়মন্ডের কথা এরা আর অলোক নামের লোকটা ছাড়া তো কেউ জানেও না । কিন্তু এই-ই যদি অলোক হয়! বা অলোকের পরিচিত কেউ! অলোকের পক্ষে রিওর ঠিকানা জানা বা মনে রাখা সম্ভব না । তাই এই রিওকে অপু জিজ্ঞেস করলো, “ইউএসএ তে তোমার বাড়ির ঠিকানা…………।” পুরো কথা শেষ করার আগেই রিও গড়গড় করে বলে দিলো, “৯২৫ নং অ্যাপার্টমেন্ট, জনস স্ট্রিট, সান ফ্রান্সিস্কো!” অপু এবার শিওর হয়ে গেলো, এটাই তবে রিও! অপু এবার শিওর হয়ে গেলো, এটাই তবে রিও! অপু জিজ্ঞেস করলো, “তুমি কোথায়!” রিও বলল, “আমি লুকিয়ে আছি! একটা বিরাট গ্যাং আমার পিছে লেগেছে ডায়মন্ড ছিনিয়ে নেবার জন্য! ওরা আমার ফোন ট্রেস করতে পারে, তাই আমি কোথায় আছি, বা ডায়মন্ড কোথায় আছে তা বলতে পারবো না ।” অপু জিজ্ঞেস করলো, “ভয় নেই, তুমি আমাকে বলো! আমরা পুলিশ!” এমন সময় একটা গুলির আওয়াজ এলো ফোন থেকে । রিওকে বোধ হয় কেউ গুলি করেছে । মরার অপু বলল, “হ্যালো! হ্যালো! রিও ঠিক আছো!” রিও মরতে মরতে বলল, “আমা……র ডায়মন্ড পে…পেলে! হোটেল……এর মালিক! সা……সা……সায়েম আঙ্কেলকে দিয়েন! আর বইলেন, ইউএসএ তে, উনার আত্মীয়ের কা……ছে পাঠিয়ে দিতে । তারা আমা……র ম……মা বাবাকে এটা দি………দিয়ে দে………য়!” বলার পরপরই মোবাইল ভাঙ্গার আওয়াজ আর কল কেটে যাবার আওয়াজ । অপু ইতোমধ্যে ড্রেস চেঞ্জ করে ঘরে পড়ার ড্রেস পড়ে ফেলেছিলো, আমার ড্রেস চেঞ্জ করতে করতে ইনস্পেক্টর রাদিবকে কল করে বলল, “হ্যালো!.........আপনাকে একটা নাম্বার পাঠাচ্ছি!ইমিডিয়েট সেটার শেষ লোকেশন কোথায় ছিলো আমাকে জানান!............ওকে ।” অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “কোথায় যাচ্ছো?” অপু বলল, “আমাকে যেতে হবে রে! তুই থাক! আবির থাকলে আবিরকেও নিয়ে যেতাম!” অয়ন বলল, “আল্লাহ! আমাকে এখন একা থাকতে হবে!” “তুই বাচ্চা না!” বলে রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো অপু । অয়ন বিছানায় শুয়ে পড়লো । তারপর “ফালতু একখান লাইফ!” বলে চোখ বন্ধ করলো । কিছুক্ষণ চুপচাপ শুয়ে রইলো ও । হঠাৎ দরজা খোলার আওয়াজ শুনলো । বুঝলো, আবির এসেছে । রাগ করে চোখ খুলে আবিরের দিকে তাকাল না । বলে বিরক্তি নিয়র বলল, “গেছিলা কই তুমি!” আবিরের কাছ থেকে কোন জবাব এলো না । জবাব না পেয়ে চোখ খুলতেই অয়ন দেখল, মুখ ঢাকা এক লোক ওর মুখের দিকে রুমাল এগিয়ে দিচ্ছে! লোকটার চোখদুটোই কেবল দেখা যাচ্ছিলো, অয়ন বাচার জন্য হাত দিয়ে আঘাত করতে যাবে, কিন্তু তার আগেই আরেকটা লোক ওর হাত শক্ত করে ধরলো । অয়নের মুখে এই লোক রুমাল ধরতেই একটু পর অয়ন জ্ঞান হারালো ।
দুপুর সাড়ে তিনটের দিকে আবির এলো রুমে । দরজা খোলা, রুমে কেউ নেই । আবির ভাবলো, অপু আর অয়ন আবিরকে বাইরে খুঁজতে গিয়েছে আর সেই ফাঁকে কেউ ঢুকে পড়লো না তো? আবির সাবধানে সমস্ত ঘর খুঁজল, কিন্তু পেলো না । হাত থেকে মোবাইল নিয়ে মোবাইল চার্জে দিলো । চার্জ শেষ হয়ে গেছে । তারপর অয়নের বিছানার কাছে আসতেই আবির অবাক! একটা কাগজ, কাগজে লেখা, “ভালো চাস তো ডায়মন্ড দিয়ে যা, আর এই ছেলেরে নিয়া যা! নাইলে এই ছেলের মাংস দিয়া রান্না করা তরকারি যাবে তোর রুমে!” আবিরের প্রচণ্ড ভয় হলো এই মুহূর্তে । মনে মনে বলল, “আল্লাহ! রক্ষা করো!” মোবাইলে চার্জ নেই । তাই আবির নিরুপায় হয়ে গেলো রিসিপশন রুমে । কাদের মোল্লাকে অস্থিরতার সাথে জিজ্ঞেস করলো, “আমার রুম থেকে আমার শ্যালককে কেউ তুলে নিয়ে গেছে, আর আপনারা কিছু টের পান নি!” কাদের মোল্লা উঠে দাড়িয়ে জিজ্ঞেস করলো, “কি বলছেন এসব!” আবির বলল, “কি বলছি মানে!” আপনারা কি কিছুই দ্যাখেন নি! কাদের মোল্লা বলল , ”একটু আগে দুজন লোক চেকআউট করে চলে গেলো, একটা বড় লাগেজ নিয়ে! ওর মধ্যেই কি তবে………।” কাদের মোল্লা থেমে গেলো । আবির বলল, “রেজিস্টার খাতা দিন! দেখুন কারা তারা!” কাদের মোল্লা, “হ্যাঁ দিচ্ছি!” বলে রেজিস্টার খাতা খুঁজতে লাগলো । একটু পর খুজে না পেয়ে বলে উঠলো, “কোথায় গেলো!” আবির জিজ্ঞেস করলো, “কোথায় গেলো মানে?” কাদের মোল্লা বলল, “খুজে পাচ্ছি না!” আবির বলে উঠলো, “রাবিশ!”

আগামী পর্বেঃ
আবিরঃ “হ্যালো অপু! কোথায় তুই!”
অপুঃ সাংঘাতিক একটা কান্ড ঘটেছে! ফিরে তোকে বলছি!
আবিরঃ তার চেয়েও সাংঘাতিক কিছু ঘটেছে এখানে! অয়নকে কেউ কিডন্যাপ করে নিয়ে গেছে! তুই তাড়াতাড়ি আয়!
অপুঃ হোয়াট!