পরিচয় ২৮৮
পরিচয়(পর্ব-২৮৮)(সিজন-১০)
সেই সময় আবির এলো ঘরে । অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “কি ব্যাপার? হোটেলের মালিককে সব বলে এলে বুঝি?” আবির মুখ হা করে বলল, “বা বা! তুই আবার মনের কথা জানা শিখলি কবে থেকে?” অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “তার মানে সত্যিই তুমি সব বলেছো!” আবির বলল, “বললাম! উনি শুনতে চাইলো, আমিও বললাম!” অপু তখন বলল, “এই আবির! এ ব্যাপারটা কিন্তু আমি মানতে পারছি না! তুই কি করে উনাকে সব বললি! যেখানে আমাদেরই তুই স্পষ্ট করে কিছু বলছিস না!” আবির বলল, “ভাবছি, কাল হিমছড়ি যাবো!” অয়ন বলল, “কথা ঘোরাচ্ছো!” আবির বলল, “তোর ওখানে গেলে ভালো লাগবে!” অপু বলল, “কিরে! কিছু বলছিস না কেন?” আবির বিছানায় শুয়ে বলল, “গুড নাইট! ঘুম পেয়েছে!” বলে ওপাশ ফিরলো । অয়ন আর অপু কিছু বলল না ।
পরদিন কিন্তু আবির আবিরের কথা রাখলো । সবাই মিলে ওরা গেলো হিমছড়ি । পাহাড় দেখল, ঝর্ণা দেখলো । যদিও বীচে দেখার মতো তেমন কিছু নেই । এখানে আরেকটা শামুকে মাইশার নাম লেখালো অয়ন । সেই সাথে আবার বালির ওপর “সরি মাইশা!” লিখে ভিডিও করে মাইশাকে সরি বলারও প্ল্যান করলো । কিন্তু ভেজা বালি ছাড়া সহজে লেখা যায় না, আবার লেখা শেষ হতে না হতেই দেখা যায় পানি এসে মুছে দেয় লেখাগুলো । তাই অয়নের বেশ কষ্টও হল বটে কাজটা করতে । আবির আবার এসব কিছুই করলো না । অয়ন করার সাজেশন দিলে আবির বলে, “আমার বউ তোর গার্লফ্রেন্ডের মতো ঠুনকো না! যে সহজেই রেগে যায় আর রাগ ভাঙ্গাতে এতো কিছু করতে হয়!” বীচের ধারে ছোটো ছোটো অনেক মৃত শামুকের খোলস পাওয়া যায় । প্রায় ১ পলিথিন ভরা শামুক কুড়ল অয়ন । আবির যখন জিজ্ঞেস করলো, “এতো শামুক দিয়ে করবি কি?” তখন অয়ন হালকা বিরক্তি নিয়ে বলল, “আমার জিএফরে ভাইজা খাওয়াবো! তোমার সমস্যা!” অপু তখন জিজ্ঞেস করলো, “তা জিএফ ভাইজা শামুকরে খাওয়াবি, নাকি শামুক ভাইজা জিএফরে খাওয়াবি?” অয়ন “আজাইরা!” বলে এই দুজনের কাছ থেকে দূরে সরে গিয়েছিলো । এরপর ইনানী সি বীচে যাবার পরিকল্পনা করলেও সেখানে আর গেলো না ওরা, কারণ দুপুরের খাবার সময়ও হয়ে এসেছে প্রায় ।
হোটেলে ফিরেই ওরা রুমে না ঢুকে গেলো ধনিয়া রেস্টুরেন্টে । খাওয়া দাওয়া শেষ করে হোটেলের দিকে ফিরছিলো ওরা, সে সময় আবির দেখলো, অন্ধকারে রিসিপশনে কি যেন করছে কাদের মোল্লা । আবির গেলো সেদিকে । অপু আর অয়ন এলো না সাথে, ওরা বেশ ক্লান্ত । আবির যেতেই কাদের মোল্লা বলে উঠলো, “আরে! আসসালামু আলাইকুম! কেমন কাটলো দিন?”
“ভালোই তো কাটলো ।” বলল আবির ।
“ও যাক! ভালো কাটলেই ভালো!” বলল কাদের মোল্লা ।
“তা আপনি এই অন্ধকারে কি করছেন?” জিজ্ঞেস করলো আবির ।
“আর বইলেন না! মেয়ে আমাকে একটা কলম গিফট করেছে! এটা দিয়ে লিখলে এমনিতে কিছু দেখা যায় না, কিন্তু অন্যপাশে লাইট আছে, সেই লাইট ফেললে লেখা দেখা যায়!” বলল কাদের মোল্লা ।
“তাই নাকি! দেখিতো!” কাছে এগিয়ে গিয়ে আগ্রহের সাথে বলল আবির ।
“এই যে দ্যাখেন!” বলে প্রথমে মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইটের আলোতে কিছু লিখলো কাদের মোল্লা । তারপর বলল, “কিছু দেখা যায়?” আবির বলল, “না তো!” কাদের মোল্লা ফ্ল্যাশ লাইটের আলো নিভিয়ে “এবার দ্যাখেন!” বলে কলমের পেছনের লাইট জ্বেলে দেখালো । লেখা, কাদের মোল্লা । আবির হালকা হেসে উঠলো । তারপর বলল, “বাহ! দারুন তো!” লোকটা বলল, “হ্যাঁ, আসলেই দারুন ।” তারপর আবির, “ঠিক আছে, আসি তাহলে!” বলে বেড়িয়ে পড়লো । তবে রুমে নয়, বাইরে । বেরোনোর সময় মনে মনে বলল, “লোকটা আসলেই বাচ্চা!”
বাইরে এমনি এমনি আসে নি আবির, এসেছে সেই কলমটাই কিনতে । কারণ ওকে দেখতে হবে, সেই ফাঁকা কাগজে একই কলম দিয়ে কিছু লেখা নেই তো? বেশ অনেকগুলো দোকান খুঁজেও পেলো না আবির । তবুও খুঁজতে লাগলো ।
রুমে তখন অয়ন আর অপু । অপু জিজ্ঞেস করলো, “কি ব্যাপার! আবির কি আবার ওই লোকের সাথে গল্পে মজে উঠলো?” অয়ন বলল, “আল্লাহই জানেন! কি যে করে বুঝি না! তবে এনার সাথে ভাই যদি সবটা শেয়ার করে তাহলে কিন্তু খুব খারাপ হবে!” অপু বলল, “না না, আমার যদ্দুর মনে হয়, আবির সেটা করবে না ।” অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “এই কাদের মোল্লাকে ধরছে না কেন ভাই?” অপু বলল, “হয়তো আবিরের মাথায় অন্য কোন প্ল্যান আছে, আমিও হয়তো বুঝতে পারতাম তা যদি আবির সিসিটিভি ফুটেজ দেখে কি বুঝেছে তা আমাকে বলতো ।” এমন সময় অপুর মোবাইলে একটা কল এলো । অপু কল ধরে “হ্যালো, কে বলছেন?” বলতেই ওপাশ থেকে কেউ একজন অস্থিরভাবে বলে উঠলো, “হ্যালো! আমি রিও!” অপু তো অবাক ।
আগামী পর্বেঃ
দরজা খোলার আওয়াজ শুনলো । বুঝলো, আবির এসেছে । রাগ করে চোখ খুলে আবিরের দিকে তাকাল না । বলে বিরক্তি নিয়র বলল, “গেছিলা কই তুমি!” আবিরের কাছ থেকে কোন জবাব এলো না । জবাব না পেয়ে চোখ খুলতেই অয়ন দেখল, মুখ ঢাকা এক লোক ওর মুখের দিকে রুমাল এগিয়ে দিচ্ছে! অয়নের মুখে এই লোক রুমাল ধরতেই একটু পর অয়ন জ্ঞান হারালো ।
সেই সময় আবির এলো ঘরে । অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “কি ব্যাপার? হোটেলের মালিককে সব বলে এলে বুঝি?” আবির মুখ হা করে বলল, “বা বা! তুই আবার মনের কথা জানা শিখলি কবে থেকে?” অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “তার মানে সত্যিই তুমি সব বলেছো!” আবির বলল, “বললাম! উনি শুনতে চাইলো, আমিও বললাম!” অপু তখন বলল, “এই আবির! এ ব্যাপারটা কিন্তু আমি মানতে পারছি না! তুই কি করে উনাকে সব বললি! যেখানে আমাদেরই তুই স্পষ্ট করে কিছু বলছিস না!” আবির বলল, “ভাবছি, কাল হিমছড়ি যাবো!” অয়ন বলল, “কথা ঘোরাচ্ছো!” আবির বলল, “তোর ওখানে গেলে ভালো লাগবে!” অপু বলল, “কিরে! কিছু বলছিস না কেন?” আবির বিছানায় শুয়ে বলল, “গুড নাইট! ঘুম পেয়েছে!” বলে ওপাশ ফিরলো । অয়ন আর অপু কিছু বলল না ।
পরদিন কিন্তু আবির আবিরের কথা রাখলো । সবাই মিলে ওরা গেলো হিমছড়ি । পাহাড় দেখল, ঝর্ণা দেখলো । যদিও বীচে দেখার মতো তেমন কিছু নেই । এখানে আরেকটা শামুকে মাইশার নাম লেখালো অয়ন । সেই সাথে আবার বালির ওপর “সরি মাইশা!” লিখে ভিডিও করে মাইশাকে সরি বলারও প্ল্যান করলো । কিন্তু ভেজা বালি ছাড়া সহজে লেখা যায় না, আবার লেখা শেষ হতে না হতেই দেখা যায় পানি এসে মুছে দেয় লেখাগুলো । তাই অয়নের বেশ কষ্টও হল বটে কাজটা করতে । আবির আবার এসব কিছুই করলো না । অয়ন করার সাজেশন দিলে আবির বলে, “আমার বউ তোর গার্লফ্রেন্ডের মতো ঠুনকো না! যে সহজেই রেগে যায় আর রাগ ভাঙ্গাতে এতো কিছু করতে হয়!” বীচের ধারে ছোটো ছোটো অনেক মৃত শামুকের খোলস পাওয়া যায় । প্রায় ১ পলিথিন ভরা শামুক কুড়ল অয়ন । আবির যখন জিজ্ঞেস করলো, “এতো শামুক দিয়ে করবি কি?” তখন অয়ন হালকা বিরক্তি নিয়ে বলল, “আমার জিএফরে ভাইজা খাওয়াবো! তোমার সমস্যা!” অপু তখন জিজ্ঞেস করলো, “তা জিএফ ভাইজা শামুকরে খাওয়াবি, নাকি শামুক ভাইজা জিএফরে খাওয়াবি?” অয়ন “আজাইরা!” বলে এই দুজনের কাছ থেকে দূরে সরে গিয়েছিলো । এরপর ইনানী সি বীচে যাবার পরিকল্পনা করলেও সেখানে আর গেলো না ওরা, কারণ দুপুরের খাবার সময়ও হয়ে এসেছে প্রায় ।
হোটেলে ফিরেই ওরা রুমে না ঢুকে গেলো ধনিয়া রেস্টুরেন্টে । খাওয়া দাওয়া শেষ করে হোটেলের দিকে ফিরছিলো ওরা, সে সময় আবির দেখলো, অন্ধকারে রিসিপশনে কি যেন করছে কাদের মোল্লা । আবির গেলো সেদিকে । অপু আর অয়ন এলো না সাথে, ওরা বেশ ক্লান্ত । আবির যেতেই কাদের মোল্লা বলে উঠলো, “আরে! আসসালামু আলাইকুম! কেমন কাটলো দিন?”
“ভালোই তো কাটলো ।” বলল আবির ।
“ও যাক! ভালো কাটলেই ভালো!” বলল কাদের মোল্লা ।
“তা আপনি এই অন্ধকারে কি করছেন?” জিজ্ঞেস করলো আবির ।
“আর বইলেন না! মেয়ে আমাকে একটা কলম গিফট করেছে! এটা দিয়ে লিখলে এমনিতে কিছু দেখা যায় না, কিন্তু অন্যপাশে লাইট আছে, সেই লাইট ফেললে লেখা দেখা যায়!” বলল কাদের মোল্লা ।
“তাই নাকি! দেখিতো!” কাছে এগিয়ে গিয়ে আগ্রহের সাথে বলল আবির ।
“এই যে দ্যাখেন!” বলে প্রথমে মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইটের আলোতে কিছু লিখলো কাদের মোল্লা । তারপর বলল, “কিছু দেখা যায়?” আবির বলল, “না তো!” কাদের মোল্লা ফ্ল্যাশ লাইটের আলো নিভিয়ে “এবার দ্যাখেন!” বলে কলমের পেছনের লাইট জ্বেলে দেখালো । লেখা, কাদের মোল্লা । আবির হালকা হেসে উঠলো । তারপর বলল, “বাহ! দারুন তো!” লোকটা বলল, “হ্যাঁ, আসলেই দারুন ।” তারপর আবির, “ঠিক আছে, আসি তাহলে!” বলে বেড়িয়ে পড়লো । তবে রুমে নয়, বাইরে । বেরোনোর সময় মনে মনে বলল, “লোকটা আসলেই বাচ্চা!”
বাইরে এমনি এমনি আসে নি আবির, এসেছে সেই কলমটাই কিনতে । কারণ ওকে দেখতে হবে, সেই ফাঁকা কাগজে একই কলম দিয়ে কিছু লেখা নেই তো? বেশ অনেকগুলো দোকান খুঁজেও পেলো না আবির । তবুও খুঁজতে লাগলো ।
রুমে তখন অয়ন আর অপু । অপু জিজ্ঞেস করলো, “কি ব্যাপার! আবির কি আবার ওই লোকের সাথে গল্পে মজে উঠলো?” অয়ন বলল, “আল্লাহই জানেন! কি যে করে বুঝি না! তবে এনার সাথে ভাই যদি সবটা শেয়ার করে তাহলে কিন্তু খুব খারাপ হবে!” অপু বলল, “না না, আমার যদ্দুর মনে হয়, আবির সেটা করবে না ।” অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “এই কাদের মোল্লাকে ধরছে না কেন ভাই?” অপু বলল, “হয়তো আবিরের মাথায় অন্য কোন প্ল্যান আছে, আমিও হয়তো বুঝতে পারতাম তা যদি আবির সিসিটিভি ফুটেজ দেখে কি বুঝেছে তা আমাকে বলতো ।” এমন সময় অপুর মোবাইলে একটা কল এলো । অপু কল ধরে “হ্যালো, কে বলছেন?” বলতেই ওপাশ থেকে কেউ একজন অস্থিরভাবে বলে উঠলো, “হ্যালো! আমি রিও!” অপু তো অবাক ।
আগামী পর্বেঃ
দরজা খোলার আওয়াজ শুনলো । বুঝলো, আবির এসেছে । রাগ করে চোখ খুলে আবিরের দিকে তাকাল না । বলে বিরক্তি নিয়র বলল, “গেছিলা কই তুমি!” আবিরের কাছ থেকে কোন জবাব এলো না । জবাব না পেয়ে চোখ খুলতেই অয়ন দেখল, মুখ ঢাকা এক লোক ওর মুখের দিকে রুমাল এগিয়ে দিচ্ছে! অয়নের মুখে এই লোক রুমাল ধরতেই একটু পর অয়ন জ্ঞান হারালো ।