পরিচয় ২৮৭
পরিচয়(পর্ব-২৮৭)(সিজন-১০)
আবির নিজের অজান্তেই বলে উঠলো, “হিসেব গুলিয়ে যাচ্ছে কেন!” অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “কিসের হিসাব?” আবির বলল, “এই পুরো কেসের হিসাব!” অপু জিজ্ঞেস করলো, “এই আবির, তুই হার মানবি না তো?” আবির বলল, “ইনশাআল্লাহ না! কিন্তু এখন আমি এটাই ভাবছি এই লোকটা কি করতে আসে আমাদের রুমে?” আবির কিছুক্ষণ ভাবলো । তারপর বিছানার ওপর চেয়ার তুলে বসে বলল, “শুরু থেকে হিসেব মেলানো যাক!” অয়ন আর অপু মেঝেতে দাড়িয়ে আবিরের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে লাগলো ।
“সম্ভাবনা ১, রিও একজন সাধারণ মানুষ, তার কারও কাছে বেশ চড়া মুল্যের ডায়মন্ড দেয়ার কথা ছিল, সে হয়তো চুরির ভয়ে এই কমদামী রেস্টুরেন্টে উঠেছে, রাতে তাকে কোনোরকমে কেউ ধরে নিয়ে গেছে, এই সম্ভাবনা সত্যি হলে ডায়মন্ড এখানে নেই, তখন প্রশ্ন জাগে এই কাদের মোল্লা এখানে কি করতে আসেন? সম্ভাবনা ২, রিও একজন স্মাগলার! যে ডায়মন্ড চুরি করতে গিয়ে এখানে এসে উঠেছে, যার কাছে চুরি করা ডায়মন্ড পৌঁছে দেবে তাকে এখানকার ঠিকানা দিয়ে হয়তো সে পালিয়েছে, এবং পরবর্তীতে যার আসার কথা সে আসে নি, অথবা সে আসার চেষ্টা করেছে কিন্তু আসতে পারে নি! তাহলে এখানে একটা যুক্তি খাটে, সেটা হল এই কাদের মোল্লা ডায়মন্ড খুজতেই হয়তো এখানে এসেছিলেন!” অপু জিজ্ঞেস করলো, “কিন্তু তাহলে প্রথম দিনের সেই কাগজ দিয়ে যাওয়া লোকটা কে? আর খালি কাগজ দিয়ে কি লাভটাই বা হয়েছিলো?” আবির বলল, “খালি কাগজ তো ছিলোই, আমি আরেকটা কাগজ পেয়েছি বারান্দায়, তাতে লেখা ছিল, সে আমাকে বিশ্বাস করে, আমার ওপর আস্থা-ও রাখে, সে যেটার ব্যাপারে বলছে সেটা আমি ধীরে ধীরে বুঝতে পারবো ।” অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “ভাই! ওটা কি তাহলে রিও ছিলো!” আবির বলল, “না! রিও যদি বাংলায় কথা বলতেও পারে, তাও না । কারণ এইদিকে এই হোটেলের লোকজন ছাড়া আর কেউই আসতে পারে না ।” অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “তুমি কি করে জানলে?” আবির বলল, “তোরা যেদিন বীচে ঘুরে এলি, সেদিন আমি এই হোটেলের ছাদে গিয়েছিলাম, তখন দেখেছি । চারপাশে কাটাতার দিয়ে বেড়া দেয়া । দূরে একটা বহুতল ফাইভস্টার হোটেল আছে যদিও, কিন্তু সেটা দিয়ে আসতে হলেও ছাদ থেকে লাফ দেয়া ছাড়া কোন উপায় আছে বলে আমার মনে হয় না ।” অপু জিজ্ঞেস করলো, “তাহলে এবার কি করবি?” আবির বলল, “আমাকে একটু সময় দে, আমি পাশের রেস্টুরেন্ট এর সিসিটিভি ফুটেজ থেকে কিছু সেদিনের কিছু ভিডিও নিয়েছি । ৩৬০ডিগ্রী ক্যামেরা হওয়ায় এই হোটেলের গেইটও সেখানে দেখা গেছে ।” বলে আবির মোবাইল হাতে নিয়ে ভিডিও দেখা শুরু করলো । তারপর ভিডিও দেখা শেষে বলল, “হুম! এটাই বোধ হয় ভেবেছিলাম!” অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “কি?” আবির বলল, “এখনই বলবো না । শিওর হয়ে নেই আগে ।”
সেদিন রাতের কথা । ডিনার করার জন্য রুম থেকে বেরোলো আবির, অপু আর অয়ন । বেরোনোর সময় কাদের মোল্লা আবিরকে বলল, “আপনার সাথে সায়েম স্যার একটু ফোনে কথা বলতে চায়!” আবির বলল, “আমাকে কল করলেই তো পারতেন!” কাদের মোল্লা বলল, “না না, মোবাইলে না, টেলিফোনে ।” আবির, “ঠিক আছে, আমি ডিনার করেই আসছি ।” বলে চলে গেলো ।
খাওয়া দাওয়া সেরে এসে আবির রিসিপশন রুমে বসলো । টেলিফোন করতেই হোটেল মালিক সায়েম কল ধরে জিজ্ঞেস করলো, “হ্যালো কে?”
“আপনি নাকি আমার খোঁজ করছিলেন?” বলল আবির ।
“হ্যাঁ! আসলে জানতে চাইছিলাম, কি অবস্থা?” বলল সায়েম ।
“যেরকম চলছে, সেরকমই, তবে ভাববেন না, কেস প্রায় সল্ভ হয়ে গেছে!”
“যাক! তাও ভালো । তা বলছি যে, আগামী সপ্তাহের মধ্যে কি রিওকে খুঁজতে পারবেন কি?”
“কেন?”
“না আসলে আগামী সপ্তাহের শেষে আমি ইউএস যাব দু মাসের জন্য, তাই বলছিলাম!”
“চিন্তা করবেন না, হয়ে যাবে কাজ, আরেকটু ধৈর্য রাখুন! তাহলেই পারবেন ।”
“কিছু বার করতে পারলেন কিনা, জানতে পারি কি?” জিজ্ঞেস করলো সায়েম ।
“আমি কি আপনাকে বিশ্বাস করতে পারি?” জিজ্ঞেস করলো আবির ।
রুমে শুয়ে অয়ন, আর বসে অপু । অয়ন বলে উঠলো, “ধুরু! আবির ভাই এতক্ষন কি যে এতো কথা বলছে!” অপু জিজ্ঞেস করলো, “আহারে, মাইশা আর কলই দেয় নাই?” অয়ন বলল, “নাহ! আর কি কল দেয়, ও যে আমায় ভুল বুঝেছে ।” অপু জ্ঞান গেয়ে উঠলো, “ছলো ছলো নয়নে! হাসিমাখা বদনে! ছলো ছলো নয়নে! হাসিমাখা বদনে!” অয়ন হালকা বিরক্তি নিয়ে বলে উঠলো, “খুব ভাল্লাগে না! এক তো ছিল আবির ভাই! আবার কপালে জুটলে তুমি! অসহ্য!” সেই সময় আবির এলো ঘরে ।
আগামী পর্বেঃ
অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “কি ব্যাপার? হোটেলের মালিককে সব বলে এলে বুঝি?” আবির মুখ হা করে বলল, “বা বা! তুই আবার মনের কথা জানা শিখলি কবে থেকে?” অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “তার মানে সত্যিই তুমি সব বলেছো!” আবির বলল, “বললাম! উনি শুনতে চাইলো, আমিও বললাম!” অপু তখন বলল, “এই আবির! এ ব্যাপারটা কিন্তু আমি মানতে পারছি না! তুই কি করে উনাকে সব বললি! যেখানে আমাদেরই তুই স্পষ্ট করে কিছু বলছিস না!”
আবির নিজের অজান্তেই বলে উঠলো, “হিসেব গুলিয়ে যাচ্ছে কেন!” অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “কিসের হিসাব?” আবির বলল, “এই পুরো কেসের হিসাব!” অপু জিজ্ঞেস করলো, “এই আবির, তুই হার মানবি না তো?” আবির বলল, “ইনশাআল্লাহ না! কিন্তু এখন আমি এটাই ভাবছি এই লোকটা কি করতে আসে আমাদের রুমে?” আবির কিছুক্ষণ ভাবলো । তারপর বিছানার ওপর চেয়ার তুলে বসে বলল, “শুরু থেকে হিসেব মেলানো যাক!” অয়ন আর অপু মেঝেতে দাড়িয়ে আবিরের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে লাগলো ।
“সম্ভাবনা ১, রিও একজন সাধারণ মানুষ, তার কারও কাছে বেশ চড়া মুল্যের ডায়মন্ড দেয়ার কথা ছিল, সে হয়তো চুরির ভয়ে এই কমদামী রেস্টুরেন্টে উঠেছে, রাতে তাকে কোনোরকমে কেউ ধরে নিয়ে গেছে, এই সম্ভাবনা সত্যি হলে ডায়মন্ড এখানে নেই, তখন প্রশ্ন জাগে এই কাদের মোল্লা এখানে কি করতে আসেন? সম্ভাবনা ২, রিও একজন স্মাগলার! যে ডায়মন্ড চুরি করতে গিয়ে এখানে এসে উঠেছে, যার কাছে চুরি করা ডায়মন্ড পৌঁছে দেবে তাকে এখানকার ঠিকানা দিয়ে হয়তো সে পালিয়েছে, এবং পরবর্তীতে যার আসার কথা সে আসে নি, অথবা সে আসার চেষ্টা করেছে কিন্তু আসতে পারে নি! তাহলে এখানে একটা যুক্তি খাটে, সেটা হল এই কাদের মোল্লা ডায়মন্ড খুজতেই হয়তো এখানে এসেছিলেন!” অপু জিজ্ঞেস করলো, “কিন্তু তাহলে প্রথম দিনের সেই কাগজ দিয়ে যাওয়া লোকটা কে? আর খালি কাগজ দিয়ে কি লাভটাই বা হয়েছিলো?” আবির বলল, “খালি কাগজ তো ছিলোই, আমি আরেকটা কাগজ পেয়েছি বারান্দায়, তাতে লেখা ছিল, সে আমাকে বিশ্বাস করে, আমার ওপর আস্থা-ও রাখে, সে যেটার ব্যাপারে বলছে সেটা আমি ধীরে ধীরে বুঝতে পারবো ।” অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “ভাই! ওটা কি তাহলে রিও ছিলো!” আবির বলল, “না! রিও যদি বাংলায় কথা বলতেও পারে, তাও না । কারণ এইদিকে এই হোটেলের লোকজন ছাড়া আর কেউই আসতে পারে না ।” অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “তুমি কি করে জানলে?” আবির বলল, “তোরা যেদিন বীচে ঘুরে এলি, সেদিন আমি এই হোটেলের ছাদে গিয়েছিলাম, তখন দেখেছি । চারপাশে কাটাতার দিয়ে বেড়া দেয়া । দূরে একটা বহুতল ফাইভস্টার হোটেল আছে যদিও, কিন্তু সেটা দিয়ে আসতে হলেও ছাদ থেকে লাফ দেয়া ছাড়া কোন উপায় আছে বলে আমার মনে হয় না ।” অপু জিজ্ঞেস করলো, “তাহলে এবার কি করবি?” আবির বলল, “আমাকে একটু সময় দে, আমি পাশের রেস্টুরেন্ট এর সিসিটিভি ফুটেজ থেকে কিছু সেদিনের কিছু ভিডিও নিয়েছি । ৩৬০ডিগ্রী ক্যামেরা হওয়ায় এই হোটেলের গেইটও সেখানে দেখা গেছে ।” বলে আবির মোবাইল হাতে নিয়ে ভিডিও দেখা শুরু করলো । তারপর ভিডিও দেখা শেষে বলল, “হুম! এটাই বোধ হয় ভেবেছিলাম!” অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “কি?” আবির বলল, “এখনই বলবো না । শিওর হয়ে নেই আগে ।”
সেদিন রাতের কথা । ডিনার করার জন্য রুম থেকে বেরোলো আবির, অপু আর অয়ন । বেরোনোর সময় কাদের মোল্লা আবিরকে বলল, “আপনার সাথে সায়েম স্যার একটু ফোনে কথা বলতে চায়!” আবির বলল, “আমাকে কল করলেই তো পারতেন!” কাদের মোল্লা বলল, “না না, মোবাইলে না, টেলিফোনে ।” আবির, “ঠিক আছে, আমি ডিনার করেই আসছি ।” বলে চলে গেলো ।
খাওয়া দাওয়া সেরে এসে আবির রিসিপশন রুমে বসলো । টেলিফোন করতেই হোটেল মালিক সায়েম কল ধরে জিজ্ঞেস করলো, “হ্যালো কে?”
“আপনি নাকি আমার খোঁজ করছিলেন?” বলল আবির ।
“হ্যাঁ! আসলে জানতে চাইছিলাম, কি অবস্থা?” বলল সায়েম ।
“যেরকম চলছে, সেরকমই, তবে ভাববেন না, কেস প্রায় সল্ভ হয়ে গেছে!”
“যাক! তাও ভালো । তা বলছি যে, আগামী সপ্তাহের মধ্যে কি রিওকে খুঁজতে পারবেন কি?”
“কেন?”
“না আসলে আগামী সপ্তাহের শেষে আমি ইউএস যাব দু মাসের জন্য, তাই বলছিলাম!”
“চিন্তা করবেন না, হয়ে যাবে কাজ, আরেকটু ধৈর্য রাখুন! তাহলেই পারবেন ।”
“কিছু বার করতে পারলেন কিনা, জানতে পারি কি?” জিজ্ঞেস করলো সায়েম ।
“আমি কি আপনাকে বিশ্বাস করতে পারি?” জিজ্ঞেস করলো আবির ।
রুমে শুয়ে অয়ন, আর বসে অপু । অয়ন বলে উঠলো, “ধুরু! আবির ভাই এতক্ষন কি যে এতো কথা বলছে!” অপু জিজ্ঞেস করলো, “আহারে, মাইশা আর কলই দেয় নাই?” অয়ন বলল, “নাহ! আর কি কল দেয়, ও যে আমায় ভুল বুঝেছে ।” অপু জ্ঞান গেয়ে উঠলো, “ছলো ছলো নয়নে! হাসিমাখা বদনে! ছলো ছলো নয়নে! হাসিমাখা বদনে!” অয়ন হালকা বিরক্তি নিয়ে বলে উঠলো, “খুব ভাল্লাগে না! এক তো ছিল আবির ভাই! আবার কপালে জুটলে তুমি! অসহ্য!” সেই সময় আবির এলো ঘরে ।
আগামী পর্বেঃ
অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “কি ব্যাপার? হোটেলের মালিককে সব বলে এলে বুঝি?” আবির মুখ হা করে বলল, “বা বা! তুই আবার মনের কথা জানা শিখলি কবে থেকে?” অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “তার মানে সত্যিই তুমি সব বলেছো!” আবির বলল, “বললাম! উনি শুনতে চাইলো, আমিও বললাম!” অপু তখন বলল, “এই আবির! এ ব্যাপারটা কিন্তু আমি মানতে পারছি না! তুই কি করে উনাকে সব বললি! যেখানে আমাদেরই তুই স্পষ্ট করে কিছু বলছিস না!”