পরিচয় ২৮৬
পরিচয়(পর্ব-২৮৬)(সিজন-১০)
বলে উঠলো, “ডায়মন্ড!” অলোক বলল, “হ্যাঁ! ডায়মন্ড!”
“সে কি! রিও তো বিদেশি, বাংলা জানলো কি করে সে?” জিজ্ঞেস করলো আবির ।
“তা কি করে বলি বলুন তো!” বলল অলোক ।
“আপনি তো এর সাথে আপনার ইচ্ছে করে সেই রুমে যাওয়ার সম্পর্ক কি?” জিজ্ঞেস করলো আবির ।
লোকটা একটু হেসে বলল, “আমি গরীব মানুষ, ভেবেছিলাম একটু ডায়মন্ড দেখি! খুজতাম, ভেবেছিলাম আমি চাবি নিয়ে একাই ঢুকবো । তা সে হোটেল থেকে লোক পাঠাবে সেটা আমি বুঝতেই পারিনি । ইচ্ছে ছিলো শুধু ডায়মন্ডগুলো ছুঁয়ে দেখার, সে ইচ্ছা আর পূরণ হল না ।” অপু জিজ্ঞেস করলো, “আপনার কি মনে হয়, রিওকে কি ডায়মন্ডের জন্যই কেউ গায়েব করে দিয়েছে?” অলোক বলল, “আপাত দৃষ্টিতে তো তা-ই মনে হয়! কিন্তু এও তো হতে পারে, ছেলেটা ডায়মন্ড চুরি করে এনে কাউকে দেবার জন্য সেই রুমে রেখে গেছে, যাকে দেবে সে পড়ে এসে নিয়ে যাবে!” অপু আর আবির কিছু বলল না । অয়ন হঠাৎ জিজ্ঞেস করলো, “আপনি তো পাশের রুমেই ছিলেন, আপনি কি কোন আওয়াজ পাননি? মানে কেউ জোড় করে নিয়ে গেলে চিৎকার অন্তত শুনতে তো পেতেন!” অলোক বলল, “আসলে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম তো । ঘুমালে আবার আমার কিছুই খেয়াল থাকে না ।” আবির তারপর উঠে দাড়িয়ে বলল, “ঠিক আছে, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাদের সময় দেবার জন্য ।” অলোক বলল, “কিছু খাওয়া দাওয়া করলেন না?” আবির বলল, “না আজ থাক, অন্য কোনোদিন হবে , আসি ।” বলে বিদায় নিয়ে চলে এলো আবির অপু আর অয়ন । গাড়িতে করে আসার পথে হঠাৎ অয়ন হেসে উঠে বলল, “লোকটা কি কিপটা! খাবার এনে সামনে দিলেই হতো, তা না, শেষে কিছু খেয়ে যান বলেই শেষ ।” অপু তখন বলল, “আমার তো রিও বাংলা বলল কি করে সেটা ভেবেই অবাক লাগছে!” আবির বলল, “এই লোকটা-ই সত্য বলছে কিনা সেটা-ই তো বোঝা যাচ্ছে না ।” অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “কেন?”
“লোকটা ফোন কল শুনে জেগে উঠলো অথচ রিওকে কেউ নিয়ে গেলে উঠলো না কেন জিজ্ঞেস করতেই বলল সে ঘুমালে কিছুই খেয়াল থাকে না!” বলল আবির ।
“তাই তো! আমার মাথায়-ই আসে নি ব্যাপারটা!” বলল অয়ন ।
“সারাদিন মাইশা মাইশা করলে এমনই হয় । আমি নিশ্চিত অপু ধরতে পেরেছে, আফটার অল, ও ইনস্পেক্টর ।” বলল আবির ।
অপু বলল, “হ্যাঁ সত্যিই ব্যাপারটা আমার মাথায় এসেছে, আরেকটা ব্যাপার মাথায় এসেছে । কিপটে লোকেরা একটু লোভী হয়ে থাকে । তার ওপর অলোক নিম্ন মধ্যবিত্ত । সে ডায়মন্ড না নিয়ে শুধু ছুঁয়ে দেখার শখ করবে, এটা অবিশ্বাস্য ।”
হোটেলের কাছাকাছি আসতেই আবির অয়নকে বলল, “শোন, তুই আর অপু যা ওপরে, আর তালাটা একটু দেখিস, সোজা করে লাগানো, নাকি উলটো করে । আর ভিডিও-উ চেক করতে থাক । আমি একটু পর আসছি ।” অপু আর অয়ন ওপরে গেলো । আবির গেলো রিসিপশনে কাদের মোল্লার কাছে । “কেমন আছেন?” কাদের মোল্লার কাছে যেয়ে বলল আবির । কাদের মোল্লা বলল, “এইতো আছি! আলহামদুলিল্লাহ! আপনি?” আবির বলল, “সেদিনের ওই রেজিস্টার খাতাটা একটু দেখতে পারি?” কাদের মোল্লা, “নিশ্চয়ই!” বলে খাতা এগিয়ে দিলো । আবির সেটা উল্টে পাল্টে দেখতে লাগলো । আবিরের চশমায় একটু ময়লা লেগেছে । সেটা জামা দিয়ে মুছতে লাগলো । কাদের মোল্লা তখন জিজ্ঞেস করলো, “বলছি কি, খাতা দেখার কারণটা একটু জানতে পারি?” আবির চশমা চোখে দিয়ে বলল, “আসলে একটা নাম হঠাৎ সন্দেহের তালিকায় এসেছে । দেখছি, সে নামটা এই হোটেলে এসেছিলো কিনা ।” কাদের মোল্লা তখন একটা অদ্ভুত প্রশ্ন করে বসলো । “কিছু যদি মনে না করেন, একটা কথা জিজ্ঞেস করি, আমি আপনার সন্দেহের তালিকায় আছি কি?” আবির কাদের মোল্লার দিকে তাকাল । কাদের মোল্লার চোখে মুখে একটা অজানা ভয়, আবিরের চেহারায় একটা সন্দেহের তীর । গম্ভীর মুখ আবিরের । তারপর একদম গম্ভীরভাবে বলল, “হ্যাঁ!” তারপর একটা হাসি হেসে বলল, “সে আমি আমার বন্ধু অপু আর আমার শ্যালক অয়নকেও করি । অবার হবেন এও জেনে, সন্দেহের তালিকায় আমি নিজেকেও বাদ দেই না ।” কাদের মোল্লা একটা শ্বাস ফেলল । আবির রেজিস্টারের খাতা কাদের মোল্লাকে দিয়ে বলল, “নিন, আমার দেখা শেষ ।” কাদের মোল্লা জিজ্ঞেস করলো, “এসেছিলো আপনার সন্দেহ করা লোক?” আবির হালকা হেসে বলল, “সেটাও সময় এবং সুযোগ হলে জানতে পারবেন ।” বলে আবির রুমে না গিয়ে হোটেল থেকে বেরিয়ে ধনিয়া রেস্টুরেন্টে গেলো । তারপর সেখানকার ক্যাশকাউন্টারে থাকা লোকটাকে জিজ্ঞেস করলো, “সব রেডি?” অয়ন আর অপু হোটেলের রুমে কাছে যেয়ে দেখল, তালা যেদিকে ছিল, সেদিকেই আছে । কিন্তু তার মানে এই না কেউ ঢোকে নি । হতে পারে সে সোজা করেই লাগিয়ে গেছে । মোবাইলটা হাতে নিয়ে ভিডিও চেক করলো ওরা । এরপর যা দেখলো, তা দেখে ওদের চক্ষু চড়কগাছ!
মিনিট ১৫ পর আবির এলো রুমে । অয়ন আর অপু হন্তদন্ত হয়ে আবিরের কাছে ভিডিও এগিয়ে দিলো । আবিরও ভিডিও দেখলো । আবিরেরও চক্ষু চড়কগাছ! এটা কাদের মোল্লা! একটু আগের যার সাথে কথা বলছিল! একটু আগে যে আবিরকে জিজ্ঞেস করছিলো তাকে আবির সন্দেহ করে কিনা! হোটেলের রিসিপশনিস্ট, কাদের মোল্লা! আবির নিজের অজান্তেই বলে উঠলো, “হিসেব গুলিয়ে যাচ্ছে কেন!”
আগামী পর্বেঃ
“সম্ভাবনা ১, রিও একজন সাধারণ মানুষ, তার কারও কাছে বেশ চড়া মুল্যের ডায়মন্ড দেয়ার কথা ছিল, সে হয়তো চুরির ভয়ে এই কমদামী রেস্টুরেন্টে উঠেছে, রাতে তাকে কোনোরকমে কেউ ধরে নিয়ে গেছে, এই সম্ভাবনা সত্যি হলে ডায়মন্ড এখানে নেই, তখন প্রশ্ন জাগে এই কাদের মোল্লা এখানে কি করতে আসেন?”
বলে উঠলো, “ডায়মন্ড!” অলোক বলল, “হ্যাঁ! ডায়মন্ড!”
“সে কি! রিও তো বিদেশি, বাংলা জানলো কি করে সে?” জিজ্ঞেস করলো আবির ।
“তা কি করে বলি বলুন তো!” বলল অলোক ।
“আপনি তো এর সাথে আপনার ইচ্ছে করে সেই রুমে যাওয়ার সম্পর্ক কি?” জিজ্ঞেস করলো আবির ।
লোকটা একটু হেসে বলল, “আমি গরীব মানুষ, ভেবেছিলাম একটু ডায়মন্ড দেখি! খুজতাম, ভেবেছিলাম আমি চাবি নিয়ে একাই ঢুকবো । তা সে হোটেল থেকে লোক পাঠাবে সেটা আমি বুঝতেই পারিনি । ইচ্ছে ছিলো শুধু ডায়মন্ডগুলো ছুঁয়ে দেখার, সে ইচ্ছা আর পূরণ হল না ।” অপু জিজ্ঞেস করলো, “আপনার কি মনে হয়, রিওকে কি ডায়মন্ডের জন্যই কেউ গায়েব করে দিয়েছে?” অলোক বলল, “আপাত দৃষ্টিতে তো তা-ই মনে হয়! কিন্তু এও তো হতে পারে, ছেলেটা ডায়মন্ড চুরি করে এনে কাউকে দেবার জন্য সেই রুমে রেখে গেছে, যাকে দেবে সে পড়ে এসে নিয়ে যাবে!” অপু আর আবির কিছু বলল না । অয়ন হঠাৎ জিজ্ঞেস করলো, “আপনি তো পাশের রুমেই ছিলেন, আপনি কি কোন আওয়াজ পাননি? মানে কেউ জোড় করে নিয়ে গেলে চিৎকার অন্তত শুনতে তো পেতেন!” অলোক বলল, “আসলে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম তো । ঘুমালে আবার আমার কিছুই খেয়াল থাকে না ।” আবির তারপর উঠে দাড়িয়ে বলল, “ঠিক আছে, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাদের সময় দেবার জন্য ।” অলোক বলল, “কিছু খাওয়া দাওয়া করলেন না?” আবির বলল, “না আজ থাক, অন্য কোনোদিন হবে , আসি ।” বলে বিদায় নিয়ে চলে এলো আবির অপু আর অয়ন । গাড়িতে করে আসার পথে হঠাৎ অয়ন হেসে উঠে বলল, “লোকটা কি কিপটা! খাবার এনে সামনে দিলেই হতো, তা না, শেষে কিছু খেয়ে যান বলেই শেষ ।” অপু তখন বলল, “আমার তো রিও বাংলা বলল কি করে সেটা ভেবেই অবাক লাগছে!” আবির বলল, “এই লোকটা-ই সত্য বলছে কিনা সেটা-ই তো বোঝা যাচ্ছে না ।” অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “কেন?”
“লোকটা ফোন কল শুনে জেগে উঠলো অথচ রিওকে কেউ নিয়ে গেলে উঠলো না কেন জিজ্ঞেস করতেই বলল সে ঘুমালে কিছুই খেয়াল থাকে না!” বলল আবির ।
“তাই তো! আমার মাথায়-ই আসে নি ব্যাপারটা!” বলল অয়ন ।
“সারাদিন মাইশা মাইশা করলে এমনই হয় । আমি নিশ্চিত অপু ধরতে পেরেছে, আফটার অল, ও ইনস্পেক্টর ।” বলল আবির ।
অপু বলল, “হ্যাঁ সত্যিই ব্যাপারটা আমার মাথায় এসেছে, আরেকটা ব্যাপার মাথায় এসেছে । কিপটে লোকেরা একটু লোভী হয়ে থাকে । তার ওপর অলোক নিম্ন মধ্যবিত্ত । সে ডায়মন্ড না নিয়ে শুধু ছুঁয়ে দেখার শখ করবে, এটা অবিশ্বাস্য ।”
হোটেলের কাছাকাছি আসতেই আবির অয়নকে বলল, “শোন, তুই আর অপু যা ওপরে, আর তালাটা একটু দেখিস, সোজা করে লাগানো, নাকি উলটো করে । আর ভিডিও-উ চেক করতে থাক । আমি একটু পর আসছি ।” অপু আর অয়ন ওপরে গেলো । আবির গেলো রিসিপশনে কাদের মোল্লার কাছে । “কেমন আছেন?” কাদের মোল্লার কাছে যেয়ে বলল আবির । কাদের মোল্লা বলল, “এইতো আছি! আলহামদুলিল্লাহ! আপনি?” আবির বলল, “সেদিনের ওই রেজিস্টার খাতাটা একটু দেখতে পারি?” কাদের মোল্লা, “নিশ্চয়ই!” বলে খাতা এগিয়ে দিলো । আবির সেটা উল্টে পাল্টে দেখতে লাগলো । আবিরের চশমায় একটু ময়লা লেগেছে । সেটা জামা দিয়ে মুছতে লাগলো । কাদের মোল্লা তখন জিজ্ঞেস করলো, “বলছি কি, খাতা দেখার কারণটা একটু জানতে পারি?” আবির চশমা চোখে দিয়ে বলল, “আসলে একটা নাম হঠাৎ সন্দেহের তালিকায় এসেছে । দেখছি, সে নামটা এই হোটেলে এসেছিলো কিনা ।” কাদের মোল্লা তখন একটা অদ্ভুত প্রশ্ন করে বসলো । “কিছু যদি মনে না করেন, একটা কথা জিজ্ঞেস করি, আমি আপনার সন্দেহের তালিকায় আছি কি?” আবির কাদের মোল্লার দিকে তাকাল । কাদের মোল্লার চোখে মুখে একটা অজানা ভয়, আবিরের চেহারায় একটা সন্দেহের তীর । গম্ভীর মুখ আবিরের । তারপর একদম গম্ভীরভাবে বলল, “হ্যাঁ!” তারপর একটা হাসি হেসে বলল, “সে আমি আমার বন্ধু অপু আর আমার শ্যালক অয়নকেও করি । অবার হবেন এও জেনে, সন্দেহের তালিকায় আমি নিজেকেও বাদ দেই না ।” কাদের মোল্লা একটা শ্বাস ফেলল । আবির রেজিস্টারের খাতা কাদের মোল্লাকে দিয়ে বলল, “নিন, আমার দেখা শেষ ।” কাদের মোল্লা জিজ্ঞেস করলো, “এসেছিলো আপনার সন্দেহ করা লোক?” আবির হালকা হেসে বলল, “সেটাও সময় এবং সুযোগ হলে জানতে পারবেন ।” বলে আবির রুমে না গিয়ে হোটেল থেকে বেরিয়ে ধনিয়া রেস্টুরেন্টে গেলো । তারপর সেখানকার ক্যাশকাউন্টারে থাকা লোকটাকে জিজ্ঞেস করলো, “সব রেডি?” অয়ন আর অপু হোটেলের রুমে কাছে যেয়ে দেখল, তালা যেদিকে ছিল, সেদিকেই আছে । কিন্তু তার মানে এই না কেউ ঢোকে নি । হতে পারে সে সোজা করেই লাগিয়ে গেছে । মোবাইলটা হাতে নিয়ে ভিডিও চেক করলো ওরা । এরপর যা দেখলো, তা দেখে ওদের চক্ষু চড়কগাছ!
মিনিট ১৫ পর আবির এলো রুমে । অয়ন আর অপু হন্তদন্ত হয়ে আবিরের কাছে ভিডিও এগিয়ে দিলো । আবিরও ভিডিও দেখলো । আবিরেরও চক্ষু চড়কগাছ! এটা কাদের মোল্লা! একটু আগের যার সাথে কথা বলছিল! একটু আগে যে আবিরকে জিজ্ঞেস করছিলো তাকে আবির সন্দেহ করে কিনা! হোটেলের রিসিপশনিস্ট, কাদের মোল্লা! আবির নিজের অজান্তেই বলে উঠলো, “হিসেব গুলিয়ে যাচ্ছে কেন!”
আগামী পর্বেঃ
“সম্ভাবনা ১, রিও একজন সাধারণ মানুষ, তার কারও কাছে বেশ চড়া মুল্যের ডায়মন্ড দেয়ার কথা ছিল, সে হয়তো চুরির ভয়ে এই কমদামী রেস্টুরেন্টে উঠেছে, রাতে তাকে কোনোরকমে কেউ ধরে নিয়ে গেছে, এই সম্ভাবনা সত্যি হলে ডায়মন্ড এখানে নেই, তখন প্রশ্ন জাগে এই কাদের মোল্লা এখানে কি করতে আসেন?”