পরিচয় ২৮৪
পরিচয়(পর্ব-২৮৪)(সিজন-১০)
অপু শুধু বলল, “হুম ।” এমন সময় অপুর মোবাইলে একটা কল এলো মেসেঞ্জারে । চয়নিকার কল । ভিডিও কল দেয়ায় অটো লাউডস্পিকার হয়ে গেলো । কল ধরতেই কড়া গলায় চয়নিকা জিজ্ঞেস করলো, “আবির কই!’
এদিকে আবির আর অয়ন তখন রেস্টুরেন্টে সকালের নাস্তা করছে । দুজনেরই মোবাইল টেবিলে । খেতে খেতে অয়ন বলল, “ভাই! ফোন অফ কইরা রাখার আইডিয়াটা কি ঠিক হইলো!” আবির বলল, “অবশ্যই ঠিক হইল, কিছুই হবে না, চিল ।” অয়ন হালকা বিরক্ত হয়ে বলল, “কিছুই হবে না মানে! তোমার বউ তো বিয়া করা! আর আমার তো গার্লফ্রেন্ড! ছাইড়া যাইতে এক মিনিটও লাগবো না!”
“এমন লোকের সাথে সম্পর্ক করিস কেন যে অল্পেতেই ছেড়ে চলে যায়!” খেতে খেতে বলল আবির ।
“ভাই! তুমি এটা বলতে পারলা!” বলল অয়ন ।
আবির অয়নের কাধে হাত রেখে শান্তনা দিয়ে বলল, “খা খা! চিন্তা করিস না! তোর বউকে বিয়ে করার দায়িত্ব আমার!” অয়ন বলে উঠল, “কি বল্লা!” আবির বলল, “ও ভুল বলছি! স্লিপ অব টাং! তোর বউকে তোর সাথে বিয়ে দেয়ায় দায়িত্ব আমার ।” অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “সত্যি?” আবির বলল, “হুম, সত্যি! এবার খা! দ্যাখ আমার খাওয়া শেষ! আর তোর অর্ধেকেরও বেশি বাকি!” অয়ন খাওয়া শুরু করলো । আবির অয়নকে, “তুই একটু বোস, আমি আসছি ।” বলে ক্যাশকাউন্টারে এসে কিছুক্ষণ সেখানে থাকা এক লোকের সাথে আবির কি যেন কথাবার্তা বলল । তারপর অয়নের খাওয়া শেষ হলে আবির টাকা দিয়ে হোটেলের দিকে রওনা হল । আসতে আসতে অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “আচ্ছা ভাই, আমাদের মোবাইলে না পেয়ে যদি অপু ভাইকে কল দেয়!”
“দিলে দিলো, ঝাড়ি টা না হয় অপু খেলো । আর চুনিই তো দেবে, তোর মাইশা আর কাকে দেবে!” বলল আবির ।
“মাইশার সাথে অপু ভাইয়ের ফেসবুকে অ্যাড আছে!” বলল অয়ন । আবির আড়চোখে অয়নের দিকে তাকালো ।
চয়নিকার কথার জবাবে অপু বলল, “জি ভাবি, আমি আসলে বাইরে আছি তো!” চয়নিকা প্রচণ্ড রাগ নিয়ে জোড়ে জোড়ে বলল, “শুনেন! বাসায় গেলে একটু কল দিয়েন! হারামজাদাটা মোবাইল অফ কইরা রাখছে না! আমি ওকে ভয় পাই! কত্ত বড় সাহস! ও আসুক! ওর একদিন কি আমার একদিন!” বলেই চয়নিকা কল কেটে দিলো । অপু ফোন থেকে চোখ সরিয়ে দেখল পুলিশ ষ্টেশনের সবাই ওর দিকে তাকিয়ে আছে । অপু গলা খাখরে উঠলে সবাই যে যার কাজে লেগে গেলো । পকেটে মোবাইল রাখতেই আবার একটা কল এলো অপুর মোবাইলে । মাইশার কল । কল ধরতেই মাইশা জিজ্ঞাসা করলো, “অয়ন কই?” পুলিশ ষ্টেশনের সবাই আবার অপুর দিকে তাকাল ।
রুমের কাছাকাছি আসার পর অয়ন যখনই তালা খুলতে যাবে, এমন সময় আবির অয়নকে বলল, “থাম!” অয়ন থেমে গেলো । তালাতে হাত-ও লাগায় নি অয়ন । আবির তখন তালাটা ভালো করে দেখে অয়নকে জিজ্ঞেস করলো, “কিছু ঘাপলা দেখতে পাচ্ছিস?” অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “কিসের ঘাপলা?” আবির বলল, “ভালো করে দ্যাখ!” অয়ন বিরক্তি নিয়ে বলল, “তুমি ঘাপলা বাঁধাও, তাই তুমি-ই ভালো ঘাপলা ধরতে পারো!” আবির বলল, “আরে শালাবাবু রে! দ্যাখ! তালায় থাকা কোম্পানির লোগোটা আমরা লাগানোর সময় সামনে রেখে লাগিয়েছিলাম, আর এখন ওপাশে চলে গেছে! তুই-ই তো তালাটা লাগালি!” অয়ন চমকে উঠলো । জিজ্ঞেস করলো, “সত্যি! কি জানি বাবা, আমার তো অতো খেয়াল নেই!” আবির কিছুক্ষণ কি ভেবে বলল, “একটু দাড়া!” বলে আবির নিচে চলে গেলো । অয়ন বিরক্ত হয়ে নিজেও নিজেকে বলল, “ধুর বাবা! খালি আমাকে একা রেখে চলে যায়!” কিছুক্ষণ পায়চারী করে আবার অয়ন নিজেই নিজেকে বলল, “মোবাইলটা একটু ওপেন করবো? না বাবা! ঝাড়ি খাওয়ার ইচ্ছে নাই!” আবার কিছুক্ষণ পায়চারী করলো অয়ন । প্রায় মিনিট দশেক পর আবির এলো । একটা স্যার্জিক্যাল গ্লাভস পড়ে । তারপর তালাটা খুলে একটা টিসুতে পেচিয়ে রাখল । ভেতরে যেয়ে আবির আগে সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা দেখে নিলো অয়ন তখন জিজ্ঞেস করলো, “ভাই! তার মানে কি এই হোটেলের কেউ আমাদের রুমে ঢুকেছিল!” আবির বলল, “তাই তো মনে হচ্ছে, যদিও অন্য কেউও হতে পারে, এমন কেউ যে রিওকে ধরে নিয়ে গেছে, কারণ রিও-র কাছেও তো রুমের একটা চাবি থাকার কথা, যদিও নকল চাবি বানানো এতো কঠিনও না ।” অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “তুমি এখন তালা দিয়ে কি করবে?” আবির বলল, “ফিঙ্গারপ্রিন্ট খুঁজবো । দেখি, কিছু যদি খুজে পাওয়া যায়! যদিও বলা যায় না, খুব বেশি চালাক হলে হাতে গ্লাভস পড়ে ঢুকতেই পারে!” অয়ন তখন জিজ্ঞেস করলো, “কিন্তু ভাই, এমন যদি হয়, যেই হোটেল বয় প্রথম দিন আমাদের তালা খুলে দিয়েছিলো, সেই যদি আবার ঢোকে কোন কু মতলবের জন্য, তবে সেটা বুঝবে কি করে, কারণ ওর ফিঙ্গারপ্রিন্ট তো আগে থেকে আছে!” আবির মাথা ওপর নিচ নারিয়ে বলল, “হুম, ভালো প্রশ্ন, তবে সেটা পড়ে ভাবা যাবে । এখন অপুর জন্য অপেক্ষা করতে হবে । নে! আমি গোসলে যাচ্ছি, তুইও গোসলের জন্য রেডি হ ।” বলে আবির গামছা নিয়ে বাথরুমে গেলো ।
আগামী পর্বেঃ
অপু বলল, “ও । ওইখানে হোটেলের মালিকের এক আত্মীয় আছেন, উনি সেখানে খোঁজ নিয়ে দেখেছেন, রিও সেখানেও ফেরেনি ।” আবির বলল, “হুম । বুঝলাম ।” বলে আবির কিছুক্ষণ ঘরের মধ্যে পায়চারী করলো । হঠাৎ আবিরের মাথায় একটা খেয়াল এলো, “আচ্ছা! আমরা তো একটা ঘটনা ভুলেই গেছি!” অপু জিজ্ঞেস করলো, “কি?”
অপু শুধু বলল, “হুম ।” এমন সময় অপুর মোবাইলে একটা কল এলো মেসেঞ্জারে । চয়নিকার কল । ভিডিও কল দেয়ায় অটো লাউডস্পিকার হয়ে গেলো । কল ধরতেই কড়া গলায় চয়নিকা জিজ্ঞেস করলো, “আবির কই!’
এদিকে আবির আর অয়ন তখন রেস্টুরেন্টে সকালের নাস্তা করছে । দুজনেরই মোবাইল টেবিলে । খেতে খেতে অয়ন বলল, “ভাই! ফোন অফ কইরা রাখার আইডিয়াটা কি ঠিক হইলো!” আবির বলল, “অবশ্যই ঠিক হইল, কিছুই হবে না, চিল ।” অয়ন হালকা বিরক্ত হয়ে বলল, “কিছুই হবে না মানে! তোমার বউ তো বিয়া করা! আর আমার তো গার্লফ্রেন্ড! ছাইড়া যাইতে এক মিনিটও লাগবো না!”
“এমন লোকের সাথে সম্পর্ক করিস কেন যে অল্পেতেই ছেড়ে চলে যায়!” খেতে খেতে বলল আবির ।
“ভাই! তুমি এটা বলতে পারলা!” বলল অয়ন ।
আবির অয়নের কাধে হাত রেখে শান্তনা দিয়ে বলল, “খা খা! চিন্তা করিস না! তোর বউকে বিয়ে করার দায়িত্ব আমার!” অয়ন বলে উঠল, “কি বল্লা!” আবির বলল, “ও ভুল বলছি! স্লিপ অব টাং! তোর বউকে তোর সাথে বিয়ে দেয়ায় দায়িত্ব আমার ।” অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “সত্যি?” আবির বলল, “হুম, সত্যি! এবার খা! দ্যাখ আমার খাওয়া শেষ! আর তোর অর্ধেকেরও বেশি বাকি!” অয়ন খাওয়া শুরু করলো । আবির অয়নকে, “তুই একটু বোস, আমি আসছি ।” বলে ক্যাশকাউন্টারে এসে কিছুক্ষণ সেখানে থাকা এক লোকের সাথে আবির কি যেন কথাবার্তা বলল । তারপর অয়নের খাওয়া শেষ হলে আবির টাকা দিয়ে হোটেলের দিকে রওনা হল । আসতে আসতে অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “আচ্ছা ভাই, আমাদের মোবাইলে না পেয়ে যদি অপু ভাইকে কল দেয়!”
“দিলে দিলো, ঝাড়ি টা না হয় অপু খেলো । আর চুনিই তো দেবে, তোর মাইশা আর কাকে দেবে!” বলল আবির ।
“মাইশার সাথে অপু ভাইয়ের ফেসবুকে অ্যাড আছে!” বলল অয়ন । আবির আড়চোখে অয়নের দিকে তাকালো ।
চয়নিকার কথার জবাবে অপু বলল, “জি ভাবি, আমি আসলে বাইরে আছি তো!” চয়নিকা প্রচণ্ড রাগ নিয়ে জোড়ে জোড়ে বলল, “শুনেন! বাসায় গেলে একটু কল দিয়েন! হারামজাদাটা মোবাইল অফ কইরা রাখছে না! আমি ওকে ভয় পাই! কত্ত বড় সাহস! ও আসুক! ওর একদিন কি আমার একদিন!” বলেই চয়নিকা কল কেটে দিলো । অপু ফোন থেকে চোখ সরিয়ে দেখল পুলিশ ষ্টেশনের সবাই ওর দিকে তাকিয়ে আছে । অপু গলা খাখরে উঠলে সবাই যে যার কাজে লেগে গেলো । পকেটে মোবাইল রাখতেই আবার একটা কল এলো অপুর মোবাইলে । মাইশার কল । কল ধরতেই মাইশা জিজ্ঞাসা করলো, “অয়ন কই?” পুলিশ ষ্টেশনের সবাই আবার অপুর দিকে তাকাল ।
রুমের কাছাকাছি আসার পর অয়ন যখনই তালা খুলতে যাবে, এমন সময় আবির অয়নকে বলল, “থাম!” অয়ন থেমে গেলো । তালাতে হাত-ও লাগায় নি অয়ন । আবির তখন তালাটা ভালো করে দেখে অয়নকে জিজ্ঞেস করলো, “কিছু ঘাপলা দেখতে পাচ্ছিস?” অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “কিসের ঘাপলা?” আবির বলল, “ভালো করে দ্যাখ!” অয়ন বিরক্তি নিয়ে বলল, “তুমি ঘাপলা বাঁধাও, তাই তুমি-ই ভালো ঘাপলা ধরতে পারো!” আবির বলল, “আরে শালাবাবু রে! দ্যাখ! তালায় থাকা কোম্পানির লোগোটা আমরা লাগানোর সময় সামনে রেখে লাগিয়েছিলাম, আর এখন ওপাশে চলে গেছে! তুই-ই তো তালাটা লাগালি!” অয়ন চমকে উঠলো । জিজ্ঞেস করলো, “সত্যি! কি জানি বাবা, আমার তো অতো খেয়াল নেই!” আবির কিছুক্ষণ কি ভেবে বলল, “একটু দাড়া!” বলে আবির নিচে চলে গেলো । অয়ন বিরক্ত হয়ে নিজেও নিজেকে বলল, “ধুর বাবা! খালি আমাকে একা রেখে চলে যায়!” কিছুক্ষণ পায়চারী করে আবার অয়ন নিজেই নিজেকে বলল, “মোবাইলটা একটু ওপেন করবো? না বাবা! ঝাড়ি খাওয়ার ইচ্ছে নাই!” আবার কিছুক্ষণ পায়চারী করলো অয়ন । প্রায় মিনিট দশেক পর আবির এলো । একটা স্যার্জিক্যাল গ্লাভস পড়ে । তারপর তালাটা খুলে একটা টিসুতে পেচিয়ে রাখল । ভেতরে যেয়ে আবির আগে সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা দেখে নিলো অয়ন তখন জিজ্ঞেস করলো, “ভাই! তার মানে কি এই হোটেলের কেউ আমাদের রুমে ঢুকেছিল!” আবির বলল, “তাই তো মনে হচ্ছে, যদিও অন্য কেউও হতে পারে, এমন কেউ যে রিওকে ধরে নিয়ে গেছে, কারণ রিও-র কাছেও তো রুমের একটা চাবি থাকার কথা, যদিও নকল চাবি বানানো এতো কঠিনও না ।” অয়ন জিজ্ঞেস করলো, “তুমি এখন তালা দিয়ে কি করবে?” আবির বলল, “ফিঙ্গারপ্রিন্ট খুঁজবো । দেখি, কিছু যদি খুজে পাওয়া যায়! যদিও বলা যায় না, খুব বেশি চালাক হলে হাতে গ্লাভস পড়ে ঢুকতেই পারে!” অয়ন তখন জিজ্ঞেস করলো, “কিন্তু ভাই, এমন যদি হয়, যেই হোটেল বয় প্রথম দিন আমাদের তালা খুলে দিয়েছিলো, সেই যদি আবার ঢোকে কোন কু মতলবের জন্য, তবে সেটা বুঝবে কি করে, কারণ ওর ফিঙ্গারপ্রিন্ট তো আগে থেকে আছে!” আবির মাথা ওপর নিচ নারিয়ে বলল, “হুম, ভালো প্রশ্ন, তবে সেটা পড়ে ভাবা যাবে । এখন অপুর জন্য অপেক্ষা করতে হবে । নে! আমি গোসলে যাচ্ছি, তুইও গোসলের জন্য রেডি হ ।” বলে আবির গামছা নিয়ে বাথরুমে গেলো ।
আগামী পর্বেঃ
অপু বলল, “ও । ওইখানে হোটেলের মালিকের এক আত্মীয় আছেন, উনি সেখানে খোঁজ নিয়ে দেখেছেন, রিও সেখানেও ফেরেনি ।” আবির বলল, “হুম । বুঝলাম ।” বলে আবির কিছুক্ষণ ঘরের মধ্যে পায়চারী করলো । হঠাৎ আবিরের মাথায় একটা খেয়াল এলো, “আচ্ছা! আমরা তো একটা ঘটনা ভুলেই গেছি!” অপু জিজ্ঞেস করলো, “কি?”