পরিচয় পর্ব-২৮০
পরিচয়(পর্ব-২৮০)
অনেকটা আতরের মতো । লোকটার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলার পর আবির, অপু আর অয়ন পুলিশের গাড়িতে করে রওনা হল হোটেলের পথে । হোটেলেই ওরা থাকবে বলে হোটেলের মালিক বলে দিয়েছেন । আগে থেকে এখানকার স্থানীয় পুলিশ স্টেশন থেকে ওদের জন্য গাড়ি পাঠানো হয়েছিল । অয়নের মাথায় হঠাৎ একটা প্রশ্ন আসতেই প্রশ্নটা করে ফেলল আবিরকে । “ভাই? তুমি আগেই কি করে বুঝেছিলে এই লোকটা আমাদের সাথে দেখা করবে?” আবির বলল, “সেকি, আমি ভাবলাম লোকটাকে ভালো করে কাছ থেকে দেখে তুই-ও হয়তো বুঝতে পারবি ।”
“না তো, আমি তো কিছুই বুঝলাম না ।”
“লোকটার কোর্টের পকেটের কাছাকাছি একটা লোগো দেখিস নি?” জিজ্ঞেস করলো অয়ন ।
“হ্যাঁ! দেখেছি তো!”
“ওটা উনার মারমেইড হোটেলের লোগো । গতকাল রাতে অপুর দেয়া ছবিগুলো দেখছিলাম । সেখানেই একটা দেয়ালে লোগোটা ছিলো । লোকটার পকেটের লোগোর লেখাটা বেশ অস্পষ্ট ছিল, তাই তোর পক্ষে পড়াটাও একটু কষ্টকর ।” বলল আবির । পথে আর কোন কথা হল না ওদের ।
হোটেলে এসে দেখে কিন্তু মনে হল না খুব বেশি নতুন । এখানে ওখানে রঙ চটে গেছে, আবার ভেতরের অনেক জায়গায় দেয়ার ধসে পড়েছে । ব্যাপারটা আবিরদের সাথে যে ওয়েটার আসছিলো তাকে আবির জিজ্ঞেস করলে সে বলে, “আর কইয়েন না স্যার! এই হোটেল বানানোর সময়ও ছিল বৃষ্টি, রঙ করার সময়ও হইছিল বৃষ্টি, তাই এই অবস্থা!” আবিরদের একটা ভিআইপি রুম দেবে বলা হলেও আবির রিও ফারনেন্দোর রুমটায়ই থাকবে । এতে রহস্য উন্মোচনে আরও সুবিধাই হবে । রুমে ঢুকে জিনিসপত্র রাখতেই অয়ন আবিরকে ফিসফিসিয়ে বলল, “ভাই! আমার প্রস্রাব চাপছে!” আবির বলল, “তো যা!” অয়ন বলল, “ওয়াশরুম কোনটা?” সামনে দুটো দরজা ছিল । তাই আবিরকে জিজ্ঞেস করলো অয়ন । আবির বলল, “খুলে দ্যাখ! তাই-ই ই তো হয়! আর যেটার পাশে সুইচ নেই সেটা ওয়াশরুম না, যেটার পাশে আছে সেটা ওয়াশরুম ।” এবার বুঝতে পারলো অয়ন আসলে কোনটা ওয়াশরুম । রুমটা বেশ ময়লা ছিল । তাছাড়া রুমটায় একটা মাত্র সিঙ্গেল বেড ছিলো । তাই ওয়েটার রুম পরিষ্কার করে আরেকটা ডাবল বেডের ব্যাবস্থা করতে লাগলো ।
প্রস্রাব শেসে ফ্ল্যাশ ট্যাংক-এর বাটন চাপার পর যখন ফ্ল্যাশ ট্যাংক আবার ভেতর থেকে পানি দিয়ে পূর্ণ হওয়া শুরু করলো, তখন আরও একটা আওয়াজ পেল অয়ন । পলিথিনের ওপর পানি পড়লে যেমন আওয়াজ হয় ঠিক সেরকম । ব্যাপারটা আহামরি কিছু না ভেবে সেখান থেকে বেড়িয়ে এলো অয়ন । দুপুরে খাওয়া দাওয়া করতে মারমেইড হোটেলের পাশেই ধনিয়া রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করতে গেলো ওরা । ভাত, শুঁটকি ভর্তা আর গরুর মাংস । হোটেলে সিসিক্যামেরা না থাকলেও এই রেস্টুরেন্টে সিসিক্যামেরা ঠিকই আছে ।
খাওয়া দাওয়া শেষে রুমে এসে ওরা দেখল, রুম রেডি । বিছানা আনা হয়েছে, রুম একদম ঝকঝকে পরিষ্কার করা হয়েছে । রিও-র যেসব দ্রব্যাদি ছিল তা আগেই পুলিশ নিয়ে গিয়েছিলো । সিঙ্গেল বেডে অপু আর ডাবল বেডে আবির আর অয়ন ঘুমাবে বলে সিদ্ধান্ত হল । এখন আপাতত ওরা খাওয়া দাওয়া শেষে রেস্ট নিচ্ছে । অপু বলল, “কিরে আবির! একটু ঘোরাঘুরি করবি না?” আবির বলল, “আগের বার এসেছিলাম তো, ঘোরাঘুরির তেমন শখ নেই । তুই আর অয়ন চাইলে ঘুরে আয় ।” অয়ন বলল, “হ্যাঁ অপু ভাই! চলো! আমি আর তুমি যেয়ে ঘুরে আসি! চুনি আপু হলে ঠিকই যেতো!” আবির বলল, “যাহ! তুই আবার আমাকে খ্যাপালি!” অপু বলল, “আচ্ছা অয়ন, চল, আবির থাক একা ।” আবির বলল, “সেই ভালো, তোরা যা । আমার জার্নি করে আসার পর থেকে মাথাটা কেমন ঘুরছে ।” অবশেষে অয়ন আর অপু বেড়িয়ে পড়লো ঘোরার উদ্দেশ্যে । আর আবির রয়ে গেলো রুমে ।
এক দিনে সব জায়গা ঘোরা সম্ভব না, তাই আপাতত ওরা সেখান থেকে খুব কাছে কবিতাচত্তর হয়ে শাহীন বীচ থেকে হাটা শুরু করে সুগন্ধা বীচ পর্যন্ত গেলো । শাহীন বীচ খুব একটা পপুলার না, তাই এখানে ভিড় অনেক কম বা মানুষ এখানে নেই বললেই চলে । পক্ষান্তরে সুগন্ধা বীচে প্রচুর ভিড় । সমুদ্রের ঢেউ আছরে পড়ার আওয়াজ শুনতে শুনতে ওরা সুগন্ধা বীচে এসে তারপর সেখানকার বাজারগুলো ঘুরে ঘুরে দেখল । বেশিরভাগ দোকানই চাটনি, বার্মিস আচার, আর শামুকের । শামুকের ওপর কি সুন্দর নাম লেখা হয় । অয়ন একটা বড় দেখে শামুকে মাইশার নাম লেখালো ।
আগামী পর্বেঃ
অয়ন প্যান্ট নিয়ে বারান্দায় গেলো । বালি মাখা প্যান্টটা খুলল অয়ন । একটু ঝাঁকি দিলো । বারান্দায় একটা দড়ি আছে কাপড় ঝোলানোর জন্য । সেখানে প্যান্টটা রাখলো । তারপর যেই প্যান্টও পড়বে, সেটা হাতে নিলো । সেটা এখন উলটো করা । সেটা সোজা করতে যাবে, এমন সময় সামনে থাকা একটা আমগাছ নড়ে উঠলো । ভয়ে গাছের যে ডালটা নড়েছে সেদিকে তাকাল অয়ন । সাদা কিছু একটা হাতে নিয়ে একটা মানুষ না! মানুষটা হঠাৎ সেই সাদা জিনিসটা অয়নের দিকে ছুঁড়ে মারল! অয়ন ভয়ে দরজা খুলে “ভুত! ভুত!” আবির হালকা রাগ করে বলল, “আগে প্যান্ট পড়! শালা!”
অনেকটা আতরের মতো । লোকটার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলার পর আবির, অপু আর অয়ন পুলিশের গাড়িতে করে রওনা হল হোটেলের পথে । হোটেলেই ওরা থাকবে বলে হোটেলের মালিক বলে দিয়েছেন । আগে থেকে এখানকার স্থানীয় পুলিশ স্টেশন থেকে ওদের জন্য গাড়ি পাঠানো হয়েছিল । অয়নের মাথায় হঠাৎ একটা প্রশ্ন আসতেই প্রশ্নটা করে ফেলল আবিরকে । “ভাই? তুমি আগেই কি করে বুঝেছিলে এই লোকটা আমাদের সাথে দেখা করবে?” আবির বলল, “সেকি, আমি ভাবলাম লোকটাকে ভালো করে কাছ থেকে দেখে তুই-ও হয়তো বুঝতে পারবি ।”
“না তো, আমি তো কিছুই বুঝলাম না ।”
“লোকটার কোর্টের পকেটের কাছাকাছি একটা লোগো দেখিস নি?” জিজ্ঞেস করলো অয়ন ।
“হ্যাঁ! দেখেছি তো!”
“ওটা উনার মারমেইড হোটেলের লোগো । গতকাল রাতে অপুর দেয়া ছবিগুলো দেখছিলাম । সেখানেই একটা দেয়ালে লোগোটা ছিলো । লোকটার পকেটের লোগোর লেখাটা বেশ অস্পষ্ট ছিল, তাই তোর পক্ষে পড়াটাও একটু কষ্টকর ।” বলল আবির । পথে আর কোন কথা হল না ওদের ।
হোটেলে এসে দেখে কিন্তু মনে হল না খুব বেশি নতুন । এখানে ওখানে রঙ চটে গেছে, আবার ভেতরের অনেক জায়গায় দেয়ার ধসে পড়েছে । ব্যাপারটা আবিরদের সাথে যে ওয়েটার আসছিলো তাকে আবির জিজ্ঞেস করলে সে বলে, “আর কইয়েন না স্যার! এই হোটেল বানানোর সময়ও ছিল বৃষ্টি, রঙ করার সময়ও হইছিল বৃষ্টি, তাই এই অবস্থা!” আবিরদের একটা ভিআইপি রুম দেবে বলা হলেও আবির রিও ফারনেন্দোর রুমটায়ই থাকবে । এতে রহস্য উন্মোচনে আরও সুবিধাই হবে । রুমে ঢুকে জিনিসপত্র রাখতেই অয়ন আবিরকে ফিসফিসিয়ে বলল, “ভাই! আমার প্রস্রাব চাপছে!” আবির বলল, “তো যা!” অয়ন বলল, “ওয়াশরুম কোনটা?” সামনে দুটো দরজা ছিল । তাই আবিরকে জিজ্ঞেস করলো অয়ন । আবির বলল, “খুলে দ্যাখ! তাই-ই ই তো হয়! আর যেটার পাশে সুইচ নেই সেটা ওয়াশরুম না, যেটার পাশে আছে সেটা ওয়াশরুম ।” এবার বুঝতে পারলো অয়ন আসলে কোনটা ওয়াশরুম । রুমটা বেশ ময়লা ছিল । তাছাড়া রুমটায় একটা মাত্র সিঙ্গেল বেড ছিলো । তাই ওয়েটার রুম পরিষ্কার করে আরেকটা ডাবল বেডের ব্যাবস্থা করতে লাগলো ।
প্রস্রাব শেসে ফ্ল্যাশ ট্যাংক-এর বাটন চাপার পর যখন ফ্ল্যাশ ট্যাংক আবার ভেতর থেকে পানি দিয়ে পূর্ণ হওয়া শুরু করলো, তখন আরও একটা আওয়াজ পেল অয়ন । পলিথিনের ওপর পানি পড়লে যেমন আওয়াজ হয় ঠিক সেরকম । ব্যাপারটা আহামরি কিছু না ভেবে সেখান থেকে বেড়িয়ে এলো অয়ন । দুপুরে খাওয়া দাওয়া করতে মারমেইড হোটেলের পাশেই ধনিয়া রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করতে গেলো ওরা । ভাত, শুঁটকি ভর্তা আর গরুর মাংস । হোটেলে সিসিক্যামেরা না থাকলেও এই রেস্টুরেন্টে সিসিক্যামেরা ঠিকই আছে ।
খাওয়া দাওয়া শেষে রুমে এসে ওরা দেখল, রুম রেডি । বিছানা আনা হয়েছে, রুম একদম ঝকঝকে পরিষ্কার করা হয়েছে । রিও-র যেসব দ্রব্যাদি ছিল তা আগেই পুলিশ নিয়ে গিয়েছিলো । সিঙ্গেল বেডে অপু আর ডাবল বেডে আবির আর অয়ন ঘুমাবে বলে সিদ্ধান্ত হল । এখন আপাতত ওরা খাওয়া দাওয়া শেষে রেস্ট নিচ্ছে । অপু বলল, “কিরে আবির! একটু ঘোরাঘুরি করবি না?” আবির বলল, “আগের বার এসেছিলাম তো, ঘোরাঘুরির তেমন শখ নেই । তুই আর অয়ন চাইলে ঘুরে আয় ।” অয়ন বলল, “হ্যাঁ অপু ভাই! চলো! আমি আর তুমি যেয়ে ঘুরে আসি! চুনি আপু হলে ঠিকই যেতো!” আবির বলল, “যাহ! তুই আবার আমাকে খ্যাপালি!” অপু বলল, “আচ্ছা অয়ন, চল, আবির থাক একা ।” আবির বলল, “সেই ভালো, তোরা যা । আমার জার্নি করে আসার পর থেকে মাথাটা কেমন ঘুরছে ।” অবশেষে অয়ন আর অপু বেড়িয়ে পড়লো ঘোরার উদ্দেশ্যে । আর আবির রয়ে গেলো রুমে ।
এক দিনে সব জায়গা ঘোরা সম্ভব না, তাই আপাতত ওরা সেখান থেকে খুব কাছে কবিতাচত্তর হয়ে শাহীন বীচ থেকে হাটা শুরু করে সুগন্ধা বীচ পর্যন্ত গেলো । শাহীন বীচ খুব একটা পপুলার না, তাই এখানে ভিড় অনেক কম বা মানুষ এখানে নেই বললেই চলে । পক্ষান্তরে সুগন্ধা বীচে প্রচুর ভিড় । সমুদ্রের ঢেউ আছরে পড়ার আওয়াজ শুনতে শুনতে ওরা সুগন্ধা বীচে এসে তারপর সেখানকার বাজারগুলো ঘুরে ঘুরে দেখল । বেশিরভাগ দোকানই চাটনি, বার্মিস আচার, আর শামুকের । শামুকের ওপর কি সুন্দর নাম লেখা হয় । অয়ন একটা বড় দেখে শামুকে মাইশার নাম লেখালো ।
আগামী পর্বেঃ
অয়ন প্যান্ট নিয়ে বারান্দায় গেলো । বালি মাখা প্যান্টটা খুলল অয়ন । একটু ঝাঁকি দিলো । বারান্দায় একটা দড়ি আছে কাপড় ঝোলানোর জন্য । সেখানে প্যান্টটা রাখলো । তারপর যেই প্যান্টও পড়বে, সেটা হাতে নিলো । সেটা এখন উলটো করা । সেটা সোজা করতে যাবে, এমন সময় সামনে থাকা একটা আমগাছ নড়ে উঠলো । ভয়ে গাছের যে ডালটা নড়েছে সেদিকে তাকাল অয়ন । সাদা কিছু একটা হাতে নিয়ে একটা মানুষ না! মানুষটা হঠাৎ সেই সাদা জিনিসটা অয়নের দিকে ছুঁড়ে মারল! অয়ন ভয়ে দরজা খুলে “ভুত! ভুত!” আবির হালকা রাগ করে বলল, “আগে প্যান্ট পড়! শালা!”