বকরির শস্য খাওয়ার বিচার
ইসলামিক গল্প
বকরি শস্য খাওয়ার বিচার
হযরত দাউদ (আ) একদিন বিচার আসনে বসে ছিলেন । তার সাথে তার পুত্র হযরত সুলায়মান (আ)-ও সেখানে উপস্থিত ছিলেন । এমন সময় কয়েকজন ব্যাক্তি সেখানে হাজির হয়ে দাউদ (আ) এর নিকট বিচার জানালো যে, কোন এক ব্যাক্তির বকরির পাল তাদের ক্ষেতে এসে সেই ক্ষেতের শস্য খেয়ে তাদের বেশ ক্ষতি সাধন করেছে । তারা হযরত দাউদ (আ) এর নিকট এর বিচার চাইলেন । হযরত দাউদ (আ) লোক পাঠালেন তদন্ত করতে এবং জেনে আসতে ক্ষেতের মালিকের কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা জেনে আসতে । তদন্তকারী তদন্ত করে এসে জানালো যে, ক্ষেতের মালিকের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা ওই বকরির পালের মুল্যের প্রায় সমান-ই হবে । হযরত দাউদ (আ) তখন ক্ষেতের মালিকদের বকরিগুলো দিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন । এ বিচার শরীয়ত সম্মত হলেও এতে বকরির মালিকদের অতি মাত্রায় ক্ষতি হয়ে যাবে । হযরত সুলায়মান (আ) তা উপলব্ধি করে বললেন, “অন্য এক ব্যাবস্থা করলে কেমন হয় পিতা, যাতে উভয়পক্ষেরই কোন ক্ষতি হবে না? কিছুদিনের জন্য বকরিগুলোকে ক্ষেতের মালিককে দিয়ে দেয়া হোক । তারা বকরির দুধ পান করবেন এবং বকরির মালিকদের ক্ষেতে পানি দেয়া সহ অন্যান্য পরিচর্যার দায়িত্ব দেয়া হোক । যখন ক্ষেতের অবস্থা আবার স্বাভাবিক হবে, তখন বকরি এবং ক্ষেত যার যার মালিকানায় আবার ফিরে যাবে । এতে বকরির মালিকদেরও বকরি হারাতে হচ্ছে না, এবং ক্ষেতের মালিকরাও বকরির দুধ খেয়ে উপকৃত হবে এই সময়ে ।” পুত্রের এই বিচারে হযরত দাউদ (আ) তার ওপর সন্তুষ্ট হলেন ।