0 %

Thanks a lot for being with us!
We are re-constructing our website!
Sorry for this temporary inconvenience
We are coming to you with a fresh look and design from 1 January 2022!
Till then! Stay connected!

পরিচয় ২৭২


পরিচয়(পর্ব-২৭২)

 

সেটা ওরই প্ল্যান । গর্ত থেকে বেরোনর আগে নিশান আয়রাকে বলেছিল, “আয়রা, তোমার কানের দুলটা দেয়া যাবে?” আয়রা জিজ্ঞেস করলো, “কেন?” নিশান বলল, “দাও না!” আয়রা ওর কানের দুল নিশানকে দেয় । তারপর সেটা দিয়ে নিশান নিজের গায়ের গেঞ্জি খুলে পিঠের অংশের নিচের দিক থেকে একটা বড় সড় অংশ কেটে নেয় সেটা আবার দু টুকরো করে । নিশানের গেঞ্জি ছিলো সাদা । সেই প্রথম টুকরোর গেঞ্জিতে নিশান মাটি দিয়ে ইংরেজিতে লিখলো, “Nishaaner Nishaan 1” এবং দ্বিতীয়টায় “Nishaaner Nishaan 2” ১মটা নিশান গর্ত থেকে ওঠার পর এবং ২য়টা অন্য গর্তে ঢোকার আগে ছুঁড়েছে । আর আয়রাকে পড়ে যাবার অভিনয় করতে বলেছে যেন কাপড়ের টুকরো ছুঁড়ে মারার সময় মাস্তানদের মনোযোগ আয়রার দিকে থাকে । সেই গর্তে ঢুকেও খোলা হল না ওদের চোখ, ওদের মুখ । লাক্সমান বলল, “আব হামকো চার ঘাণ্টা তাক হাটতে হবে । তারপর হাম পোহোছ যায়েঙ্গে ইন্ডিয়া ।” ওরা হাটা শুরু করলো ।

আবির পড়েই গিয়েছিলো প্রায়, উঠে দাঁড়িয়ে দেখল, কালো করে রোগা পাতলা এক লোক ওকে আটকেছে । লোকটা আবিরকে বলল, “বাপুরে, ওইহানে ক্যান যাইতেআছো? ওই জায়গা ভালা না বাপুরে, ওই জায়গায় যাইস না!” আবির হালকা রাগ নিয়ে জিজ্ঞেস করলো, “কেন ভালো না! কেন! এখানে কি এমন আছে? বাঘ ভাল্লুক!” লোকটা বলল, “না বাবা! ভুত আছে! ভুত!” আবির ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো, “ভুত! ভুত কোত্থেকে আসবে?” লোকটা বলল, “আমি নিজের চোখে দেইখেছি বাপুরে! ভিতরে একখান পুরান কবরস্থান আছে! কবর এহন বুঝা যায় না, তয় সেই কবরগুলার ভেতরে থেইকা রাইতে লাশ উইঠা আসে, কিন্তু কোন গর্তই থাকে না ওইহানে! আমি নিজের চোখে দেখছি!” আবির হালকা হাসল । তারপর জিজ্ঞেস করলো, “সিরিয়াসলি! কোনদিকে সেই কবর বলতে পারেন?” লোকটা বলল, “না বাপুরে! সেই জায়গা ভালা না! সেইহানে যাইও না বাপুরে! কি করবা সেইখানে যাইয়া!” আবির বলল, “ওই ভুতগুলোই যে আমার ছেলেকে ধরে এখানে……………………!” পুরো কথা বলতে গিয়ে আবিরের মাথা ঘুরে গেলো । পড়ে যেতে নিলে লোকটা আবিরকে ধরতে চেষ্টা করলো কিন্তু পারল না । আবির মাটিতে পড়ে গেলো । আবির চোখ বন্ধ করলো, জ্ঞান হারাল । লোকটা মুখে একটু আগে ভীতি মাখা যে অভিব্যক্তি দেখা যাচ্ছিলো তা মুহূর্তে চলে গেলো । সেখানে চলে এলো একটা হাসি । নিজের কার্যসিদ্ধি করতে পারলে যেমন হাসি হাসে লোকে, ঠিক সেরকম । এমন সময় লোকটা একটা শিস বাজাতেই আরও দুজন হাজির হয়ে গেলো । তাদের একজন বলল, “আরে বাহ, তুই তো খুব ভালো পাহাড়া দিছোস!” লোকটা বলল, “ধুরু! কি যে কস! আমার ভাগ্য ম্যালা ভালা বুঝলি! এই লোক ঢুইকাই যাইতো । তয় এমনে জ্ঞান না হারাইলে আটকানো কষ্টকর ছিল ।” এরপর তিনজন মিলে আবিরকে ধরল । নিয়ে গেলো জঙ্গলের ভেতর । একটা জায়গায় যেয়ে আবিরকে মাটির ওপর রাখল ওরা । যে লোকটা আবিরকে জঙ্গলে ঢোকা থেকে আটকেছিল, সে হঠাৎ কি জানি খুঁজতে খুঁজতে বলে উঠলো, “একি! আমার পিস্তল কই গেলো!” এমন সময় হঠাৎ এই তিন মাস্তানের পায়ে গুলি লাগলো । সেটা আর কেউ লাগায়নি, লাগিয়েছে আবির । তারপর উঠে দাঁড়িয়ে একে একে প্রত্যেকের পিস্তলগুলো কেড়ে নিলো আবির । রোগা পাতলা লোকটা বলল, “এই! তুই জ্ঞান হারাস নাই! আমারে বোকা বানাইছোস!” আবির বলল, “কেন ভাই, তুমিও একজন নিষ্পাপ আগন্তুক সেজে আমাকে বোকা বানাতে চেয়েছিলে তাই না?” আবির সবাইকে এক জায়গায় করে গুলি তাক করে রাখল । তারপর বলল, “আমাকে বোকা পেয়েছিস, তোরাই রটিয়েছিস এ জঙ্গলে যে ঢোকে সে আর ফিরে আসে না, আসলে তো যায় তোদেরই খপ্পরে, কিন্তু তুই নাকি জঙ্গলে এসে ভুত দেখেছিস, বা বা বা! আর হ্যাঁ, ধাক্কা দেয়াটাও শিখে নিস, গুলির ওখানে হাত লেগে গিয়েছিলো তো আমার । তো বুঝবো না তো কি করবো বল! তাই তো জ্ঞান হারাবার অভিনয়, আর সেসময় তোর কাছ থেকে পিস্তল নেয়া!” লোকগুলো হাতজোড় করে আবিরের কাছ থেকে ক্ষমা চাইলো কিন্তু আবির বলল, “না! আগে বল, সবাইকে তোরা কোথায় বন্দি করিস!” একজন বলল, “আমরা সত্যি কইতাছি! আমরা কিচ্ছু জানি না!” বলে পাশেই একটা জায়গা দেখিয়ে বলল, “এই যে এইহানে একখান গর্ত আছে! এইহানে ছেলেপেলে আইনা কিছুদিন রাখা হয়! আবার এইহান থেইকা উঠাইয়া অন্য রাস্তা দিয়া নিয়া যায় । কিন্তু কোন রাস্তা দিয়া নিয়া যায় সেইটা আমরা জানি না!” আবির তাকাল সে গর্তের দিকে । সত্যি বোঝার উপায় নেই এখানে আসলেই একটা গর্ত আছে । পাশেই একটা কাপড়ের টুকরো নজরে এলো । সেটায় লেখা, “Nishaaner Nishaan 1”

 

আগামী পর্বেঃ

লাক্সমান এমন সময় বলে উঠলো, “১ মিনিট রুকো! হাম কিস রাস্তে পে যা রাহে হে!” প্রকাশ বলল, “ক্যান কি হইছে?” লাক্সমান বলল, “সামনে আলো কিসের আইতাছে?” লাক্সমানের সাথে সাথে ক্ষণিকের মধ্যে প্রকাশও আলো দেখতে পেল । বলে উঠলো, “উও! উও কেয়া হে! ভুত!”