ভালোবাসার ডায়রি-২ (The Dark World)
গল্পের নামঃ ভালবাসার ডায়েরি ২ ( the dark
world)
।।।।।।
ভাবতে পারিনি আমার সাথে আজ আমার সাথে এত কিছু ঘটে
যাবে। আজকে আমার বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো। সারা বাড়িতে বিয়ের আমেজ। আর তার মধ্যেই এত কিছু
ঘটে গেল। কখোনও কল্পনাও করি নি, যে আমি নিজেকে এভাবে এমন নোংরা পতিতালয়ে আবিষ্কার করবো!!!
আমার নাম নিহা। হবিগঞ্জের সুজাতপুরের একটি মফস্বল
গ্রামের মেয়ে আমি। ছোটবেলা থেকেই আমি একটু গোছালো টাইপের মেয়ে। লেখাপড়ায় আমি আলহামদুলিল্লাহ
ভালো। ক্লাস 2 থেকেই আমার রোল ১। এলাকার মুরুব্বীরা আমার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। চেহারা-ছবি
মাশাল্লাহ। ক্লাস 9 থেকেই ছেলেরা আমার পিছনে লাগতে শুরু করে। আমি অবশ্য কাওকেই তেমন
পাত্তা দেইনা।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, পাশের পাড়ার কুদ্দুস বেপারির
ছেলে ইমন আমাকে ক্লাস9 এ প্রপোজ করেছিল। আমি সোজা গিয়ে হেড স্যারকে বলি। হেড স্যার
সবার সামনে ইমনকে কান ধরিয়ে স্কুলের গেটের সামনে দাড় করিয়ে রেখেছিলেন। তারপর থেকেই
ছেলেটা আমাকে খুব বিরক্ত করতো। আমি সবকিছু সহ্য করেই লেখাপড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকি।
ভালোয় ভালোয়
কলেজ জীবন শেষ করে ভার্সিটিতে উঠলাম। আর তারপর থেকেই আমার জীবনের পরিবর্তন শুরু
হয়। তবে সব পরিবর্তন যে ইতিবাচক হয় তা কিন্তু নয়, কিছু পরিবর্তন নেতিবাচকও হয়। আর যার
পরিণাম ভোগ করা লাগতে পারে সারাজীবন।
আল্লাহর অশেষ রহমতে রাজশাহী ভার্সিটিতে চান্স পেয়েছি।আজ
ভার্সিটির প্রথম দিন। একটু ভয় ভয় করছে। ভয় ঠিক না, nervous লাগছে আরকি! নতুন শহর, সবই
অচেনা। এর আগে তেমন শহরে আসা হয়নি। যাইহোক রাজশাহী ভার্সিটির সাউথগেট দিয়ে ঢুকলাম।
ঢুকেই বামপাশে দেখি একটা বড় নোটিশবোর্ড। সেখানে সব ক্লাসের রুম নাম্বারগুলো দেয়া। আমার
রুম নাম্বার ২০৩। সোজা চলে গেলাম রুমে। প্রফেসর, লেকচারার অনেকেই একে একে আসলো। প্রথমদিনটা
পরিচিতি পর্বের মাধ্যমেই সমাপ্ত হলো। কোনো শিডিউল ক্লাস আর ঐদিন হয়নি। ভালোই ইনজয় করলাম
সারাদিন। নতুন কয়েকজন বান্ধবিও জুটিয়ে ফেলেছি। আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় মেসে উঠতে
হলো।
এখন নেক্সট টার্গেট হলো টিউশনি খোজা। তাহলে নিজের
খরচটা নিজেই চালাতে পারবো। আমার পরিবার অতটা সচ্ছল না। আমার লেখাপড়ার খরচ আমার বাবা
চালাতে পারবে না। এখন আমি বড় হয়েছি। আমার কোনো ভাই নেই, তো আমি যদি বাবা-মায়ের কষ্ট
না বুঝি তো কে বুঝবে। ভাগ্য ভালো হওয়ায় আমার মেসের পাশের বিল্ডিংয়ের ২য় তলায় ক্লাস
৮ এর একটা মেয়েকে পড়ানোর দায়িত্ব পেলাম।
আজ ৩য় দিন ভার্সিটিতে গেলাম। ভার্সিটিতে ঢুকতে
যাব ঠিক এমন সময় কিছু ছেলে আমাকে ডাক দিলো।
-- এই যে, মিস। শোনেন
আমি যাবোনা যাবোনা করেও গেলাম।
-- জ্বী।
বলুন। (আমি)
-- নাম কি তোমার???
-- নিহা। (আমি)
-- ভালো। তো মিস গাইয়া। আপনি হয়তো জানেন না যে,
আমাদের কথায় এই ভার্সিটি চলে। তো প্রতিদিন ভার্সিটিতে ঢোকার আগে আমাদের সালাম দিয়ে
ঢুকবেন।
-- জ্বী, আচ্ছা। এখন তাহলে আসি?? (আমি)
-- ঐ যাবি মানে!!! আমরা তোকে যেতে বলেছি (ওদের
মধ্য হতে আরেকজন)
ঠিক এমন সময় আরেকটা ছেলে এসে দাড়ালো। দাড়িয়ে ঐ
বাজে ছেলেদেরকে জিজ্ঞাসা করলো, "ঐ কি হইছে রে?"
-- দোস্ত, এই গাইয়া মেয়েটাকে একটু র্যাগ দিচ্ছি।
তুই নাই বলে ঠিক জমছে না। তুই আসছিস ভালো করছিস। (ঐ গ্যাংের একজন)
ছেলেটা আমার দিকে তাকালো। তাকিয়ে একটা হাসি দিয়ে
বললো," প্লিজ, আপনি কিছু মনে করবেন না। ওরা ভুল করে ফেলেছে। আপনি ক্লাসে যান"
আমি কিছু বুঝলাম না। আর বোঝার চেষ্টাও করিনি। সোজা
ক্লাসে চলে গেলাম।
ক্লাস শেষে আমি ক্যান্টিনে বসে আছি। এমন সময় আবার
ঐ ছেলেটা আসল। এসে আমার সামনে বসল।
-- ধন্যবাদ। (আমি)
-- কেন???
-- ঐযে সকালে আমাকে সাহায্য করলেন। ওরা অনেক খারাপ
ব্যবহার করছিলো। (আমি)
-- It's ok. যাইহোক, আমার নাম আবির ।
-- ওহ। আমার নাম.... (আমি)
-- আপনার নাম নিহা।
-- আপনি আমাকে কিভাবে চেনেন?
-- জ্বী,
আপনাকে আমার মা আমার ছোট বোনকে পড়ানোর জন্যে ঠিক করেছে। আপনার সাথে আমার মা
যখন কথা বলছিলেন তখন আমি পাশের ঘরেই ছিলাম।
-- ও, আচ্ছা। (আমি)
-- আপনার নাম্বারটা পেতে পারি???
-- কেন? আমি সবাইকে নাম্বার দেই না।(আমি)
-- আরে, মাঝেমাঝে আমার বোনের লেখাপড়ার খোজ নিব।
-- ওহ। আচ্ছা। 012345678910 (আমি)
-- Thank you so much
-- আজ
তাহলে আসি। ভালো থাকবেন।
এই বলে আমি চলে আসলাম।
ঐদিন রাতে একটা নাম্বার থেকে দুইবার ফোন আসলো।
আমি ফোনের পাশে ছিলাম না, তাই রিসিভ করতে পারিনি। পরে অবশ্য অপরিচিত নাম্বার তাই কল
ব্যাক করিনি।
আজকে ফার্স্ট রিহাকে পড়াতে গেলাম। রিহা আমার ছাত্রীর
নাম। আমার নামের সাথে ওর নামের কিছুটা মিল আছে। ১ম দিন তো আর বেশি পড়ানো যাবে না। তাই
অল্প কিছুক্ষণ পড়িয়ে বাকি সময় গল্প করলাম। গল্পের সুবাদে জানতে পারলাম ওর ভাই
chemistry নিয়ে পড়ে। এখন maybe 4th semester এ আছে। যাক, আজকের মত পড়ানো শেষ করে বের
হয়ে গেলাম। সিড়ি বেয়ে নামার সময়ই আবিরের সাথে দেখা হলো।
-- আরে, নিহা। কেমন আছেন? পড়াতে আসছিলেন বুঝি?
-- জ্বী। ভালো আছি। আপনি? (আমি)
-- আমিও ভালো আছি। কাল রাতে আপনাকে কল দিছিলাম।
রিসিভ করেন নি কেন?
-- ওহ। আপনি দিছিলেন। আমি ফোনের পাশে ছিলাম না।(আমি)
-- তা পরে ব্যাক তো করতে পারতেন!!!
-- আসলে আমার ফোনে ব্যালেন্স ছিল না।( আমি)
-- ও, আচ্ছা।
-- আজ তাহলে আসি।(আমি)
এই বলে আমি চলে আসলাম। আবিরকে আর কিছু বলার সুযোগ
দিলাম না।
রাত তখন বাজে ১১ঃ০৩। এমন সময় আবির আমাকে ফোন দিলো।
এত রাতে ফোন সচরাচর কেউ দেয় না। তাই ঘড়িটা দেখে নিয়েছিলাম।
-- hello, আসসালামু আলাইকুম। (আমি)
-- ওয়ালাইকুমাসসালাম।
-- আপনি এত রাতে????(আমি)
-- চিনতে পেরেছেন তাহলে!
-- জ্বী। চিনতে পেরেছি। এখন কি বলবেন বলে ফেলুন।
(আমি)
-- কিছুনা। এমনি ফোন দিয়েছি আরকি।
-- এমনটা কিন্তু কথা ছিলো না। (আমি)
-- মানে?
-- আপনি বলেছিলেন যে, আপনি মাঝেমধ্যে আপনার বোনের
লেখাপড়ার খোজ নিবেন, সেই জন্যেই আমি আপনাকে নাম্বার দিয়েছিলাম।(আমি)
-- ওহ। তাহলে বলেন আমার বোনকে পড়ানোর পর আপনার
কি মনে হয়েছে??
-- excuse me! আজকে কেবল একদিন পড়ালাম। (আমি)
-- তবুও কিছু তো বোঝ যায় যে, student কেমন??
-- student হিসেবে ভালোই। ok,bye. Good Night.
এই বলেই আমি ফোন কেটে দিলাম।
ছেলেটা এরকম করছে কেন??? বারবার ফোন দিচ্ছে। আমার
অনিচ্ছাসত্ত্বেও এক প্রকার জোর করেই আমার সাথে কথা বলতে চাইছে। মনে ছ্যাচড়া, বেহায়হা
এরকম প্রায় হাফ ডজন গালি দিলাম। তবে ওনার কথা বলার ধরনটা অনেক সুন্দর। অনেক স্মার্টলি
কথা বলে।
এর পরের দিন, শুক্রবার। সকালের দিকে বেশ কয়েকবার
আবির আমাকে ফোন দিয়েছে। দুপুরের দিকেও বার কল দিছে। আমি একবারও রিসিভ করিনি।
আসলে লেখাপড়া নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। রাতে টেবিলে পড়তেছি
এমন সময় আবির ফোন দিলো,,
-- ঐ সারাদিন কতবার ফোন দিছি, একবারও রিসিভ করেন
নি কেন?
-- এই যে, মিঃ। আমি আপনার girlfriend না যে, আপনি এরকম behave করবেন। (আমি)
-- না,মানে, সরি। তা রিসিভ কেন করেন নি??
-- ব্যস্ত ছিলাম। (আমি)
-- যাইহোক, আমরা কিন্তু friend হতে পারি। যদি আপনি
রাজি থাকেন!!
-- হুম। ফ্রেন্ড তো হওয়াই যায়। তবে অনলি ফ্রেন্ড। ওকে? (আমি)
-- হ্যালো, ম্যাডাম। আপনি কি বলতে চাচ্ছেন??
-- না। আপনার ভাব তো সুবিধার না!!! (আমি)
-- দেখেন, আমি ভদ্র ঘড়ের ছেলে। আপনি......
-- থাক। I was just jocking. (আমি)
-- ওহ। এখনই???
-- ফ্রেন্ড তো নাকি! (আমি)
-- অবশ্যই, তবে at first এই আপনি বলাটা বন্ধ করতে
হবে।
-- তো কি বলব? (আমি)
-- তুমি করে বলবেন।
-- আচ্ছা। ঠিক আছে। এখন bye (আমি)
-- তুমি এত bye bye করো কেন??
-- ঘুম আসছে তো। (আমি)
-- ও, তাহলে ঘুমাও। good night!
আমি ফোন কেটে দিয়ে ঘুমিয়ে গেলাম। রাতে আর খাওয়া
হলো না।
ও ইদানিং আমার খুব খেয়াল রাখছে। ঠিকমত খেয়েছি কিনা,
রাতে ঘুম হলো কিনা ইত্যাদি। আমাকে গাইয়া থেকে স্মার্ট করে তুলেছে। এখন আমিও শহুরে বড়লোক
বাবার মেয়েদের মত ওয়েস্টার্ন ড্রেস পরি।
আমি বুঝতেই পারি যে, ও আমাকে পছন্দ করে। তবুও না
বোঝার ভান করতাম।
একদিন আমি আর আবির এক বিকেলে একটা কফিশপে বসে আছি।
ও ই আমাকে এখানে ডেকেছে। কিন্তু আজকে ও নিজেও কথা বলছে না, আমাকেও কথা বলতে দিচ্ছে না। অলরেডি আধা ঘন্টা হয়ে
গেছে, আমরা দুজন চুপচাপ বসে আছি। কফিশপের অন্যান্য কাস্টমাররা মাঝে মাঝে অবাক দৃষ্টিতে
দেখছে। কফিশপের ওয়েটার বেশ-কয়েকবার অর্ডারের জন্য এসে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। এক ঘণ্টা
হতে চললো, যা বুঝলাম তা হলো, আর কিছুক্ষণ যদি এই শপে থাকি তাহলে আমাদের মার খেতে হবে।
বুঝিনা, যে ছেলে মেয়েদের সাথে এত স্মার্টলি কথা বলে। কোনো কথাই মুখে আটকায় না, সে আমার
সামনে এত ইমানদার হলো কিভাবে??
-- তোমার কাছে কোনো নোটপ্যাড আছে?
-- হুম। আছে। কেন? (আমি)
-- দাও তো।
আমি প্যাড দিতেই সেটাতে কি যেন লিখতে শুরু করলো।
২মিনিট পর নোটপ্যাডটি আমার হাতে দিয়ে হনহন করে বেরিয়ে গেল। আমি নোটপ্যাডটা ব্যাগে ঢুকিয়ে
একটা কোল্ড কফি অর্ডার দিলাম। কফিটা মুলত অর্ডার দিলাম মার খাওয়ার ভয়ে। একে তো মেয়ে
মানুষ, আরও কফিশপের ম্যানেজার যেভাবে রাগি লুক নিয়ে তাকাচ্ছিল!! আসলেই তো, এক ঘণ্টা
ধরে একটা কফিশপে বসে যদি একটা কফি অর্ডার না দেই তাহলে ব্যাপারটা বড্ড বেমানান লাগবে।
বাসায় এসে আগেই নোটপ্যাডটা বের করলাম। সেটায় লেখা
ছিলো,
"প্রিয় কিংবা প্রিয়সী বলে আমি শুরু করব না।
আমি তোমাকে প্রিয়তমাও বলব না। আমি তোমাকে যা বলে ডাকতে চাই সেই শব্দ বাংলা অভিধানে
নেই। কিন্তু এটা বলতে পারি যে, You are the power bank of my heart. বাক্য চয়নটা একটু
বোকা বোকা হয়ে গেল, তাইনা। আজ এক ঘণ্টা ধরেও তোমাকে সরাসরি কিছু বলতে পারলাম না। এটুকুই
যে লিখতে পারছি, তার জন্যে আলহামদুলিল্লাহ।
কিভাবে যে বলি কথাগুলো বুঝতে পারছি না। আমি পূর্ণদৈর্ঘ
বাংলা ছায়াছবির নায়কদের মত বস্তা পচা সস্তা ডায়ালগ না দিয়ে ডিরেক্ট বলে দিচ্ছি, I
love you. তবে, কবে- কিভাবে ফেএলিংস তৈরি হয়েছে আমি জানিনা।
আর কিছু বলতেও পারব না। রাত ১০ টায় ফোন দিব।
Bye"
চিঠিটা পড়ে কিছুক্ষণের জন্যে সবকিছু থমকে গেল।
কোনো এক অজানা আকর্ষণ আমাকে চিঠিটার দিকে টানছে। এরকম ভাবে চিঠি লিখলে যে কেউ প্রেমে
পড়ে যাবে। তবে কিছুটা বাজিয়ে দেখতে হবে।
রাত ১০টা বাজে। আমি আবিরের ফোনের জন্যে অপেক্ষা
করছি।
৪-৫মিনিট লেটে আবিরের ফোন আসলো।
-- হ্যালো (আমি)
--
-- কি ছিলো এটা (আমি)
--
-- কথা বলছো না কেন? (আমি)
-- রাগ করেছ???
-- রাগ করব না তো কি? দুদিন ফ্রেন্ডশিপ করেছি আর
এর মধ্যেই এতদুর। (আমি)
-- প্লিজ, ফ্রেন্ডশিপটা নষ্ট করোনা।
-- তোর সাথে ফ্রেন্ডশিপ আজ এখানেই শেষ। আমি গ্রামের
বলে কি আমাকে সস্তা মনে হয়??? (আমি)
-- না, না। সস্তা কেন হবে!! আমি তো.....
{ওপাশ থেকে কথা ঠিক মত আসছে না। বুঝলাম য, ইমন
কাদছে।যদিও কান্নাটা নিঃশব্দের, তবে কান্নার জন্যে কথা বলতে পারছে না?}
-- আমি আর কোনো কথা শুনবো না। আজ থেকে আমাদের সাধারণ
ফ্রেন্ডশিপ শেষ। (আমি)
-- প্লিজ, এমনটা... {কথা বলতে পারছে না}
-- আরে, আজ থেকে আমাদের সাধারণ ফ্রেন্ডশিপ শেষ,
এখন তো আমরা একে অপরের power bank. (আমি)
-- মানে???
-- বুঝে নাও। (আমি)
--
-- বুঝেছ??? (আমি)
--
-- কথা বলো। (আমি)
--
-- রাগ করেছ? (আমি)
-- হুম
-- এখনই??? (আমি)
-- I LOVE YOU
-- বলবো না। (আমি)
-- কেন? ও বুঝেছি। কালকে ভার্সিটিতে তোমার জন্যে
একটা সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে। দেখা হবে।
-- হ্যালো... (আমি)
ওপাশ থেকে ফোন কেটে দিলো।
ঐরাতে আর ঘুম হলো না। সারারাত ভেবেছি যে, ও কি
এমন সারপ্রাইজ দিবে!!! আমি অনেক excited.
পরের দিন ভার্সিটিতে আগে আগেই গেলাম। সব কিছু এখনও
পর্যন্ত স্বাভাবিক। বেলা ১২ঃ৩০ টায় আমার ক্লাস
শেষ। ভার্সিটিতে সারপ্রাইজ তো দূরে থাক, সারাদিন আবিরকেই দেখলাম না। আমি গেট দিয়ে বের
হতে যাবো, ঠিক এই সময় পিছন থেকে আবির ডাক দিলো।
আবিরেরর ডাক শুনে পিছনে ফিরেই হকচকিয়ে গেলাম। দেখি
প্রায় ২০-২২ জন ছেলে হাতে লাভ বেলুন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ছেলেগুলো এলোমেলো ভাবেই দাঁড়িয়ে
আছে, তবে এটাই যেন সৌন্দর্য। ভালো ভালো আর্টিস্টরা কাগজে আন্দাজে দাগ দিলেও সেটা যেমন
সুন্দর শিল্প হয়ে যায়, ব্যাপারটা ঠিক সেরকম। আমার ঠিক পিছনেই হাটু গেড়ে বসে আছে আবির।
আর আবিরের পিছনেই আরও ৮জন ৮টা ব্যানারে I, L, O,V E, Y, O,U লিখে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
-- তুমি কি ভার্সিটির সবার বোন হবে, যার জন্যে
আমাকে সবাই দুলাভাই বলে ডাকবে? (আবির)
-- (খুশিতে আমার মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না)
-- তুমি কি আমার খাটের কোলবালিশ এর জায়গা দখল করবে?(আবির)
-- (আমি লজ্জায় পড়ে গেলাম)
-- I LOVE YOU NIHA
-- I love you too আবির.
আমার কাছে এই পুরো ব্যাপারটা খুব ভালো লেগেছে।
আমার জন্যে এই পুরো আয়োজনটা অনেক বড় সারপ্রাইজ
ছিল। আমাদের রিলেশনশিপটা যে হঠাৎ এভাবে শুরু হবে, সেটা কল্পনারও অতীত ছিলো।
আমদের রিলেশনশিপ নিয়ে অনেকেই হিংসা করে। হিংসা
হওয়াটাই সাভাবিক, আমরা দুজন দুজনকে ছাড়া এক মুহুর্তও থাকতে পারি না। আবির আমার পুরো
জীবনকাহিনী জানে। আমিও ওর কাছ থেকে কিছুই লুকাইনি। আমার পার্সোনাল ডায়েরিটাও আবিরের
কাছে।
আমাদের রিলেশনশিপের এক মাস হয়ে গেছে। একদিন রিয়া
আপু আমাকে ভার্সিটিতে ডাকলেন। রিয়া আপু হলো আবিরের ক্লাসমেট।
রিয়া আপুর সাথে আমার ভালোই সম্পর্ক।
-- হাই, আপু। কেমন আছো? (আমি)
-- ভালো আছি, তুমি কেমন আছো? (রিয়া আপু)
-- এইতো আছি আলহামদুলিল্লাহ। (আমি)
-- আজকে তোমাকে এখানে ডেকেছি কিছু কথা বলার জন্যে।
(রিয়া আপু)
-- জ্বী, বলুন। কি কথা? (আমি)
-- আসলে, কিভাবে যে শুরু করি??(রিয়া আপু)
-- আপনি বলেন সমস্যা নেই। (আমি)
-- শোনো, আবিরকে আমি ভালো করেই চিনি। তুমি কিন্তু
ওর প্রথম প্রেম নও।(রিয়া আপু)
-- হ্যা।
সেটা ও আমাকে বলেছে। (আমি)
-- ও তোমাকে কি বলেছে?(রিয়া আপু)
-- ও আমাকে বলেছে যে, আমার আগেও ওর একটা মেয়ের
সাথে রিলেশন ছিলো। (আমি)
-- হা হা। ও এতদিনে কমপক্ষে ২০টা মেয়ের সাথে প্রেম
করেছে। আর সবার কপাল পুড়িয়েছে।(রিয়া আপু)
-- মানে??? আপনি কি যা তা বলছেন? (আমি)
-- আমি ঠিকই বলছি। ও প্রথমে ভালোভাবে মেয়ে পটায়,
তারপর বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করে সেটা দিয়ে ব্লাকমেইল করে। আর তার কয়েকদিন পর থেকে আর
তাদের দেখা যায় না।(রিয়া আপু)
-- মুখ সামলে কথা বল। এতক্ষণ তোকে কিছু বলিনি,
শুধুমাত্র তুই আমার আবিরেরর ইয়ারমেট তাই। আর একটাও কথা বলবি না। তোকে একটা ভালো মেয়ে
মনে করতাম। এখন দেখি ভার্সিটির বাকি সবার মতো তুইও আমাদেরকে হিংসে করিস। (আমি)
-- তুমি কিন্তু আমাকে ভুল বুঝছো!(রিয়া আপু)
--
আমি আর ওখানে এক মুহুর্তও না বসে সোজা চলে আসলাম।
মাথাটাই গরম করে দিছে। মানুষ যে এত নিচে কিভাবে নামতে পারে বুঝিনা। ফালতু যত্তসব।।
আমি মেসে এসেই আবিরকে ফোন দিলাম
-- হ্যালো, (আমি)
-- হ্যা, বলেন, মহারাণী।
-- রিয়াকে তোমার কেমন লাগে?? (আমি)
-- কেন, বলতো?
-- আগে বলো তোমার কেমন লাগে? (আমি)
-- খারাপ লাগে না। মেয়েটা অনেক ভদ্র। এবার বলো
কি বলবা?
-- আশ্চর্য।
পৃথিবীতে কত রকমের মানুষ আছে। তুমি রিয়ার সম্পর্কে কত ভালো কথা বললে। আর রিয়া
কত খারাপ কথা বললো।(আমি)
-- কি বলেছে ও??
-- কিছুনা। বাদ দাও তো। (আমি)
-- নাহ বলো।
-- আমি বলছি তো বাদ দাও। এখন রাখি। bye, জান।
(আমি)
এই বলে ফোনটা কেটে দিলাম।
পৃথিবীতে কত রকমের মানুষ আছে! রিয়া আপুকে কত ভালো
মনে করতাম, অথচ....। ভাবতেই অবাক লাগে, রিয়া আপু যে আবিরের নামে এত খারাপ খারাপ কথা
বলল, সেই আবিরই রিয়া আপুর সম্পর্কে এত ভালো কথা বললো।
আজ আমাদের রিলেশনশিপের এক বছর হয়ে গেলো। আমি খুব
লাকি এমন একজন বয়ফ্রেন্ড পেয়ে। আবিরের কাছে আমিই সব। ভেবেছিলাম, রাত ১২ টায় আবির আমাকে
ফোন করবে। after-all আমাদের রিলেশনশিপের ১ বছর পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু তেমনটা হলো না।
আবিরের ফোনের জন্যে অপেক্ষা করে করে যখন কোনো ফোন পেলাম না। তখন আমিই ফোন করলাম, কিন্তু
এ কি! আবিরের ফোন তো বন্ধ। যা কিছু হয়ে যাক, আবিরের ফোন তো কখনো অফ থাকে না। হয়তো ফোনে
চার্জ নাই। ঘুমিয়ে গেছে। ব্যাপারটা আমার কাছে খুব খারাপ লাগলো। আমি খুবই কষ্ট পেলাম। ও কি ভুলে গেছে আজকের দিনের কথা???? নাকি আমার উপরে
কোনো কারণে রেগে আছে??? এরকম সব ফালতু চিন্তা করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি জানি না।
সকালে আবির আমাকে ফোন করলো, আমি তখনও ঘুমিয়ে ছিলাম।
ফোনের রিংটোন এর শব্দে ঘুম ভাংলো।
-- hello (আমি)
-- hello, ঘুম ভেঙ্গেছে আমার জানের?
-- হুম। কালকে তোমার ফোন অফ ছিলো কেন? (আমি)
-- চার্জ ছিলোনা।
-- আজকের দিনের কথা মনে আছে? (আমি)
-- অবশ্যই। আজকে তুমি আমাকে কি গিফট দিবা তাই বলো?
-- ও মা! আগেই গিফট? (আমি)
-- তা গিফট দিবা না?
-- অবশ্যই দিবো। বলো তোমার কি গিফট লাগবে??(আমি)
-- দেখো, এই এক বছরের রিলেশনশিপে আমি তোমার কাছে
কিছুই চাইনি। আজ চাইছি। প্লিজ তুমি না বলোনা!
-- আরে, বলোনা তোমার কি চাই? (আমি)
-- তুমি তো জানোই যে, আজকে আমার বাসায় কেউ নেই।
আম্মু, রিহা সব এক সপ্তাহের জন্যে বেড়াতে গেছে।
-- হ্যা। তো??(আমি)
-- আজকে রাতে তুমি আমার বাসায় আমার কাছে আসো। প্লিজ।
-- তুমি কি বলতে চাইছো? (আমি)
-- আরে, তোমার সৌন্দর্য ভোগ করার অধিকার তো একমাত্র
আমারই আছে নাকি?
-- হ্যা। তবে সেটা বিয়ের পরে। (আমি)
-- তুমি এই যুগে এসে এই কথা বলছো?
-- দেখো। তুমি প্লিজ আমাকে জোর করনা। (আমি)
-- ওহ। বুঝেছি।
-- কি বুঝেছ? (আমি)
-- তুমি আসলে আমাকে ভালোই বাসনা। সব ছিল তোমার
অভিনয়।
-- ছি। তুমি আমাকে এটা বলতে পারলে? (আমি)
-- পারব না কেন? সত্য কথা বলতে দোষ কি!
-- এখন তো মনে হচ্ছে রিয়া আপু যা বলেছিল সব সত্য।
(আমি)
-- হ্যা। তা তো মনে হবেই! আমি তো তোমার কেউ না!
-- তোমার মন-মানসিকতা যে এত নিচু তা আমি কল্পনাও
করতে পারি না। ছি?? (আমি)
-- আসলে আমিই বোকা। আমি বুঝিনি যে, তুমি আমাকে
মোটেও ভালোবাসনা। সব তোমার অভিনয়।
-- আর একটাও কথা বলবা না,তুমি। বরং আমি তোমাকে
চিনতে পারিনি। আর কখনও আমার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করবা না। (আমি)
এই বলে আমি ফোন কেটে দিলাম।মানুষ চিনতে আমি এত
ভুল করলাম??
যাকে আমি এত ভালোবেসেছি। আজ সে আমাকে অবৈধ ভাবে
ভোগ করতে চাচ্ছে। ছিঃ
আমি আর এসব ব্যাপারে ভাবতে পারছি না।
বিকালে অবশ্য আবির কয়েকবার ফোন দিয়েছে। আমি রিসিভ
করিনি।
দুইদিন পরে ভার্সিটিতে গেলাম। এই দুইদিন আবিরের
সাথে আমার কোনো যোগাযোগ হয়নি। ভার্সিটির গেইট দিয়ে যেই ঢুকেছি অমনি পেছন থেকে আবির
আমার ওড়না টেনে ধরে। পেছন থেকে এরকম হঠাৎ টান সহ্য করতে না পেরে আমি পেছনে পড়ে যাই।
কিন্তু আবির আমাকে ধরেই সবার সামনে আমাকে একটা লিপ কিস করল। ওর এই কিস আমার চাহিদার
ছিলো না। বরং আমার জন্যে ছিল আসম্মানের। আমি উঠে দাড়িয়েই আবিরকে একটা চড় মারি। তারপর
ওড়না ঠিক করে আবার মেসে ফেরত চলে আসলাম।
পরদিনই আমি আমার গ্রামের বাড়িতে চলে আসি। সিদ্ধান্ত
নেই, আর ঐ ভার্সিটিতে পড়ব না। এর মধ্যেই আমার বাবা আমার জন্যে বিয়ে ঠিক করেছে। পাশের
গ্রামের মাতব্বর রহিম চাচার একমাত্র ছেলে মাহামুদের সাথে আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে। জায়গা-জমি,
ধন-সম্পদ সবই আছে। যেই আমি লেখাপড়া শেষ করার আগে বিয়ে করব না বলে মনে মনে দৃঢ় সংকল্প
করেছিলাম, সেই আমি বিন্দুমাত্র না ভেবেই বিয়েতে রাজি হয়ে যাই। কিছুই ভালো লাগছে না।
আজ আমার বিয়ে। আমি অবশ্য এখনও আমার হবু বরের মুখ
দেখিনি। সবাই বলাবলি করছিলো আমার হবু বর নাকি নায়কের মত দেখতে। বিদেশ ফেরত নায়ক তো
হবেই। তবে আশেপাশের এইসব কথা আমার মনে কোনোরকম দাগ কাটছে না। আমার পুরোটা জুরে শুধুই
আবির। হয়তো আর কেউ কখনও ওর জায়গাটা নিতে পারবে না।
এমন সময় দেখি ঘরে রিয়া আপু ঢুকলো।
-- আরে, আপনি?? (আমি)
-- তুমি নাহয় দাওয়াত দাওনি। তবে আমি কি করে তোমাকে ভুলি?? বলো।
-- {আমি আপুকে জড়িয়ে ধরে কাদতে শুরু করলাম। }(আমি)
-- কাদতে হবে না পাগলি। আসো তোমাকে সাজিয়ে দেই।
-- আমি তো already সেজে আছি। (আমি)
-- আরে, আসো তো। এই ঔষধটা লক্ষ্মী মেয়ের মত খেয়ে
নাও।
-- কিসের ঔষধ এটা?(আমি)
-- সারাদিন অনেক কষ্ট হবে আর কেদে কেদে তো অলরেডি
ক্লান্ত হয়ে গেছো। এটা খাও, সব ঠিক হয়ে যাবে।।
[আমি ঔষধটা খেয়ে নিলাম]
আর কিছুক্ষণ পরেই আমার আশেপাশের সবকিছু কেমন যেন
ঘোলাটে হতে শুরু করলো। দেখলাম চোরের মত জানালা কেটে ইমন ঢুকলো। তারপর কি হলো ঠিক জানি
না।
এখন আমি একটা ঘরের মেঝেতে পড়ে আছি। আমার সামনেই
চেয়ারে আবির বসে আছে। আর আবিরের এক পা আমার বুকের উপরে। অনেকে জোরে পা দিয়ে চাপ দিচ্ছে,
আবির। আমার অনেক ব্যথা করছে। আবিরের পেছনেই দাড়িয়ে আছে রিয়া আপু আর ইমন। সবাই আমার
দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে।
আবির বলতে শুরু করলো ঃ এই, জান। তোমার কষ্ট হচ্ছে??
আহারে। কষ্ট পেও না, পুরোটাই প্লান ছিলো। এটা তো হওয়ারই ছিলো। হা হা হা।
-- রিয়া আপু, আপনি?(আমি)
-- আরে, পাগল, আমি তো আবিরের এসিস্ট্যান্ট। ঐদিন তোমাকে আবিরের সম্পর্কে যেগুলো বলেছিলাম ঐগুলা
টেস্ট করার জন্যে বলেছিলাম যে, তুমি আবিরের ফাদে কতটুকু পা দিয়েছ। হা হা (রিয়া)
-- ঐ মনে আছে, তুই একদিন সবার সামনে মাস্টারমশাইকে
দিয়ে আমাকে কান ধরে দাড় করিয়ে রেখেছিলি!! (ইমন)
এখন আমার কাছে সব পরিষ্কার।
হঠাৎ দেখি রুমে এক মহিলা এলো লাল শাড়ী পড়ে। গায়ে গহনার অভাব নাই। এসে আগে আমার সামনে এসে বসলো।
বসে বললো, "আজ থেকে তুইও এই পতিতালয়ের সদস্য। আপাতত দুইদিন এই রুমেই তুই আটকে
থাকবি। চিন্তা নাই। এখানে খাবার-দাবার ভালোই পাবি।"
তারপর ঐ মহিলা আবিরের হাতে একটা টাকার বান্ডিল
দিয়ে বের হয়ে গেল। আর পেছন পেছন আবির, ইমন আর রিয়াও বেরিয়ে গেলো। আবির ঐ মহিলাকে বললো,
খুব শীঘ্রই আরেকটা আসছে! হা হা।
হে আল্লাহ,
কি অন্যায় করেছিলাম আমি? কোন পাপের শাস্তি আমাকে
তুমি দিচ্ছো, আল্লাহ? আমিই কেন?
একদিন হয়ে গেছে।একটা মেয়ে এসে আমাকে খাবার দিয়ে
যায়।এই বদ্ধ ঘরের ভিতর আর কেউ আসেনা। মেয়েটাকে ডাকলেও উত্তর দেয়না। খাবার দিয়েই চলে
যায়।
আচ্ছা, দুইদিন পরে আমার কি হবে? আমাকে কি শেষপর্যন্ত
এই পাপ কাজে লিপ্ত হতে হবে।
হয়তো প্রতিবছর আমার মতো অনেকে সমাজের এই কালো হাতগুলোর
থাবা খেয়ে এই এলাকায় ঢোকে। হয়তো এর মধ্যে অনেকে আত্মহত্যা করে, আবার অনেকে করে না।
তবে কি এখানেই আমার জীবনের সমাপ্তি!!!
তবু্ও কোথা থেকে যেন, আমার মনে একটা আশার বিজ গজিয়ে
উঠছে।
-- আচ্ছা, যার সাথে আমার বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো,
তিনি এখন কি করছে? তিনি কি আমার কথা চিন্তা করছেন? উনি নাকি আমার ছবি দেখেই আমাকে বিয়ে
করতে চেয়েছিলেন। এখন কি, উনি আমাকে খুজছেন? আমার মন বলছে খুজছেন। আচ্ছা, উনি কি আমাকে খুজতে খুজতে এখানে আসবে? যদিও বা আসে
আমাকে কি এখান থেকে নিয়ে যাবেন? আমি কি কখনও সাভাবিক জীবন পাব না। আমার মন বলছে, তিনি
আসবেন এবং আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাবেন।
সমাপ্ত